রবিবার সকালের দিকে কাজল বোস এলো।
কিরীটী কাজল বোসের অপেক্ষাতেই ছিল—এবং জংলীকে বলে রেখেছিল কাজল বোস এলে যেন সে তাকে তার ঘরে পৌঁছে দেয়।
জংলীর সঙ্গে কাজল বোস ঘরে ঢুকতেই কিরীটী বললে, আসুন, মিস বোস–কতকগুলো ব্যাপার আপনার সঙ্গে আমি আলোচনা করতে চাই, তাই আপনাকে কষ্ট দিতে হলো, বসুন।
কাজল কিরীটীর কথার কোন জবাব দিল না—অল্প দূরে সুব্রত চুপচাপ বসে একটা পিকটোরিয়ালের পাতা উল্টাচ্ছিল, সেদিকে একবার তাকিয়ে একটা খালি সোফায় কিরীটীর মুখোমুখি বসল।
কাজলের মুখটা গম্ভীর—যেন একটা বিরক্ত-বিরক্ত ভাব।
আপনি হয়ত বিরক্ত বোধ করেছেন মিস বোস, আপনাকে আমি বেশীক্ষণ আটকাবো না।
কাজল বোস নীরব।
মিস বোস সেই দুর্ঘটনার দিন আপনি কি ধুলোর ঝড়ে বিভ্রান্ত হয়ে হঠাৎ পড়েটড়ে গিয়েছিলেন?
না তো!
তবে আপনার হাতের চুড়ি ভাঙল কি করে?
আমার হাতের চুড়ি—কেন আপনাকে তো সেদিন আমি বলেছিলাম, আমার ছোেট ভাইঝি আমার হাতের চুড়ি টানাটানি করতে গিয়ে ভেঙে ফেলে।
হ্যাঁ বলেছিলেন মনে আছে–তবে কথাটা ঠিক আমার বিশ্বাস হয়নি—
কেন? বিশ্বাস হয়নি কেন আপনার—কেন, আপনার মনে হয়েছে যে আমি মিথ্যা বলছি!
মিথ্যা বলেছেন তা আমি বলিনি—
তবে?
আপনার বাঁ হাতে ঠিক কব্জির কাছে একটা অ্যারেশন,—মানে কিছুটা ছড়ে যাওয়ার মত সেদিন দেখেছিলাম এবং তার চিহ্ন এখনো আছে, মনে হয় ওটা কিছুতে কেটে গিয়েছে—কাজেই স্বাভাবিক ভাবেই আমার মনে হয়েছে—
কি মনে হয়েছে আপনার কিরীটীবাবু?
আপনি হয়ত সেদিন পড়ে গিয়েছিলেন বা কোন কারণে হাতে আঘাত পেয়েছিলেন, যার ফলে আপনার বাঁ হাতের দু-একগাছি চুড়ি ভেঙে গিয়েছিল ও কব্জির কাছে ছড়ে গিয়েছিল সেই আঘাতে।
না, সে সব কিছুই হয়নি—আপনি যা ভাবছেন!
তবে আপনার বাঁ হাতের কব্জির কাছে ঐ আঘাতের চিহ্নটা কি করে এলো?
তা ঠিক মনে নেই—হয়ত কোন সময়ে কিছু হয়েছে—
মিস বোস, যে সত্যকে আপনি ঢাকবার চেষ্টা করছেন, তাকে আপনি ঢেকে রাখতে। পারবেন না। শুনুন, আমি যদি বলি, সেদিন ঝড় ও ধুলোর ঘূর্ণির মধ্যে কারো সঙ্গে আপনার ধাক্কা লেগেছিল!
ধাক্কা?
হ্যাঁ, কিংবা কারো সঙ্গে আপনার হাতাহাতি হয়েছিল সেই সময়ই আপনার হাতের চুড়ি ভেঙে যায়।
কি পাগলের মত যা তা বলছেন?
আমি যে পাগলের মত যা-তা বলছি না মিস বোস—তার উপযুক্ত প্রমাণ থানা। অফিসার সুশীল নন্দীর কাছে আছে—কিছু ভাঙা চুড়ির অংশ—যে অংশগুলো আপনার। হাতের ঐ চুড়ির সঙ্গে হুবহু মিলে যাবে—আর আদালত যখন সেই প্রশ্ন আপনাকে করবে—
আদালত প্রশ্ন করবে? কথাটা উচ্চারণ করতে গিয়ে মনে হলো যেন কাজল বোসের গলার স্বর কেঁপে গেল একটু।
নিশ্চয়ই। আদালতে যখন মিত্রানীর হত্যা-মামলা উঠবে—এবং ঐ চুড়ির ব্যাপারে, আপনাকে ক্রস করবে সরকারী উকিল—
আপনি-আপনি কি বলতে চান কিরীটীবাবু?
কিছুই না, কেবল সেদিন সত্য যা আপনার জ্ঞাতসারে ঘটেছিল সেইটুকুই আপনার কাছ থেকে জানতে চাই–বলুন
আ-আমি কিছু জানি না।
জানেন। বলুন কার সঙ্গে সেদিন আপনার ধাক্কা লেগেছিল–কে সে?
আমি বলতে পারবো না–পারবো না।
আপনি বলতে পারবেন না কিন্তু আমি বলছি–তিনি সুহাসবাবু, তাই না?
না, না—তাকে আমি চিনতে পারিনি বিশ্বাস করুন, তাকে আমি চিনতে পারিনি—
চিনেছিলেন—তাকে আপনি চিনেছিলেন মিস বোস, কিরীটীর গলার স্বর ঋজু ও কঠিন, বুঝতে পারছেন না কেন একজনকে বাঁচাতে গিয়ে ফাঁসির দড়ি আপনার দিকে এগিয়ে আসছে!
ফাঁসি! একটা আর্ত অস্ফুট চিৎকার যেন কাজল বোসের কণ্ঠ চিরে বের হয়ে এলো। তার দুই চোখে ভয়ার্ত দৃষ্টি।
একজনকে হত্যার অপরাধে ইনডিয়ান পেনাল কোর্ডের ৩০২ ধারায় সেই দণ্ডই দেওয়া হয়ে থাকে—কাজেই সুহাসবাবুর—
না, না—আপনি বিশ্বাস করুন কিরীটীবাবু, সুহাস নির্দোষ—সম্পূর্ণ নির্দোষ, সে মিত্রানীকে হত্যা করেনি—
তাকে ফাঁসির দড়ি থেকে বাঁচাবার একটি মাত্র উপায় আছে মিস বোস-অকপটে সেদিন যা যা ঘটেছিল সেইটুকু আমার কাছে প্রকাশ করে দেওয়া। কিরীটীর গলার স্বর শান্ত কিন্তু দৃঢ়। বলুন—সেদিন ঠিক কি ঘটেছিল আপনার দৃষ্টির মধ্যে ধুলোর ঘূর্ণিঝড় ওঠাবার পর–
সত্যি বলছি, আপনি বিশ্বাস করুন কিরীটীবাবু
আমার প্রশ্নের জবাব দিন যদি সুহাসবাবুকে বাঁচাতে চান। কেন বুঝতে পারছেন না আপনি মিস বোস—সুহাসবাবুর বাঁচবার আর কোন রাস্তা নেই বলেই আপনাকে অনুরোধ করেছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করবার জন্য!
আমার কথা আপনি বিশ্বাস করবেন?
সত্য বললে কেন বিশ্বাস করবো না!
কাজল বোস অতঃপর নিজেকে যেন একটু গুছিয়ে নিলো। তারপর বলতে শুরু করল, হঠাৎ ধুলোর ঘূর্ণিঝড় ওঠবার পর আমরা প্রত্যেকেই সেই ধুলোর অন্ধকারে ছিটকে পড়েছিলাম—
জানি। তারপর?
ঝড়ের ঝাপটা থেকে বাঁচবার জন্য এলোমেলো ভাবে যে কোথায় চলেছি প্রথমটায় যেমন বুঝতে পারিনি তেমনি এও বুঝতে পারিনি কতদূর এগিয়েছি ঐ সময়–
একটা কথা মিস বোস, মিত্রানী আপনার কত দূরে ছিল?
ঠিক জানি না, তবে মনে হয়—
সুহাসবাবু—
হ্যাঁ, বোধ হয় আমার ঠিক আগেই ছিল সুহাস—কাজল বোস থামল।
কিরীটী বললে, বলুন, থামলেন কেন?
হঠাৎ যেন কার সঙ্গে আমার ধাক্কা লাগলো–
ধাক্কাটা লেগেছিল সামনে না পিছন থেকে, না পাশ থেকে? কিরীটীর প্রশ্ন।
মনে হয়েছিল যেন পাশ থেকেই—একটু থেমে আবার কাজল বললে, ভেবেছিলাম বুঝি সুহাসই, তাই তাকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে চেঁচিয়ে উঠি—কে, সুহাস—কিন্তু কোন সাড়া পেলাম না—বরং যাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম সে যেন একটা ধাক্কা দিয়ে আমাকে ঠেলে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করলো—আমি সামলাতে পারিনি নিজেকে—পড়ে যাই
লোকটাকে আপনি ভাল করে দেখতে পাননি?
না।
তারপর?
ঠিক সেই মুহূর্তে একটা অস্ফুট চিৎকার শুনতে পাই, আমি পড়ে গিয়ে ততক্ষণে আবার উঠে দাঁড়িয়েছি—একটা ঝটাপটির শব্দ—তারপরই–
কেউ কি সুহাস বলে ডেকেছিল?
না, না। তারপরই একটু থেমে কাজল বোস বলতে লাগল, এগুতে যাবো কোন মতে—একটা গাছের ডাল এসে সামনে আছড়ে পড়ল, আবার একটা অস্ফুট চিৎকার কানে এলো। সুহাসই গাছের ডালের তলায় চাপা পড়েছিল, পরে বুঝেছিলাম। আর মিত্রানীকে আরো কিছুটা দূরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল–কাজেই সুহাস নয়, সে মিত্রানীকে হত্যা করতে পারে না। বলা শেষ করে কাজল যেন কিছুটা হাঁপাতে থাকে।
একটা কথা বোধ হয় আপনি জানেন না—
কি কথা?
কখনো হয়ত আজ পর্যন্ত চিন্তাও করতে পারেননি—
কি কথা? পুনরায় প্রশ্ন করলে কাজল বোস।
আপনি গত বছর সুহাসবাবুর জন্মদিনে তাকে সবুজ সুতোর নাম তুলে যে সিল্কের রুমালটা প্রেজেন্ট করেছিলেন, মিত্রানীকে সেই রুমালটার সাহায্যেই হত্যা করা হয়েছে–
কে—কে বললে?
যে রুমালটা মিত্রানীকে পেঁচিয়ে গলার ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটা সুহাসবাবুরই—তিনি ঐ কথা বলেছেন পুলিসের কাছে।
কাজল বোস যেন একেবারে বোবা। ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে আছে কিরীটীর মুখের দিকে।
সামান্য একটা রুমাল নিশ্চয়ই চুরি যায়নি—এক যদি না হত্যাকারী কৌশলে তার নিজের উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্য সেটা হাতিয়ে থাকে কিংবা সুহাস মিত্রই নিজে সেটা ব্যবহার না করে থাকেন!
কাজল বোস যেন পাথর।
কিরীটীর শেষ কথাটার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ কাজল বোস যেন এলিয়ে পড়ল সোফাটার ওপরে অসহায় ভাবে। কিরীটী তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ায়, কি—কি হলো মিস বোস–সুব্রত, ভদ্রমহিলার চোখমুখে একটু জল দেবোধ হয় সংজ্ঞা হারিয়েছেন।
সুব্রত বুঝতে পেরেছিল কিরীটীর অনুমান মিথ্যা নয়, তাই সে তাড়াতাড়ি উঠে পাশের টিপয় থেকে জলের গ্লাসটা তুলে নিয়ে হাতে গ্লাসের জল ঢেলে কাজল বোসের চোখেমুখে ঝাপটা দিতে থাকে।
মিস বোস!
চোখের পাতায় তখনো জলের কণাগুলো লেগে আছে, কাজল বোস কিরীটীর মুখের দিকে তাকাল। আর ঠিক সেই মুহূর্তে সুহাস মিত্র এসে ঘরে ঢুকল।
কাজল বোস উঠে দাঁড়াল।
তুমি—তাহলে তুমিই—কাজল বললে।
কাজল! ডাকল সুহাস।
তাকে যেন একটা থাবা দিয়ে থামিয়ে দিয়ে কাজল বললে, তুমি—তুমি এত নীচ এত ছোট সুহাস?
কাজল—শোনো, শোনো—
এখনো—এখনো তুমি বলতে চাও—
কাজল!
শুনেছি—সব শুনেছি-কিরীটীবাবু আমাকে সব বলেছেন এইমাত্র, মিত্রানীকে হত্যা করবার আর কিছু তুমি খুঁজে পেলে না শেষ পর্যন্ত আমারই দেওয়া রুমালটা দিয়ে–
কাজল, এসব কি বলছো তুমি!
ঠিক বলছি-তুমিই সেদিন আমাকে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলে—
আমি তোমাকে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলাম! কি বলছো তুমি কি ক্ষেপে গেলে?
সুহাস, পাপ কখনো চাপা থাকে না–
কাজল বোস আর দাঁড়াল না—টলতে টলতে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। ঘর থেকে বের হয়ে যেতে কেউ তাকে বাধা দিল না। সুহাস তাকাল কিরাটীর মুখের দিকে বিহ্বল দৃষ্টিতে—তারপর বললে, কি বলে গেল কাজল কিরীটীবাবু?
নিজের কানেই তো শুনলেন আপনি ও কি বলে গেল—
শুনেছি, কিন্তু আপনি ওকে কি বলেছেন?
রুমালটার কথা বলেছি মাত্র—
কিন্তু ধাক্কা দেওয়ার কথা কি ও বলে গেল?
সেদিন কে নাকি ওকে ধাক্কা দিয়েছিল ধুলোর ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে। তারপরই একটু হেসে কিরীটী বললে, ওর কাছে আমার যা জানবার ছিল জানা হয়ে গিয়েছে—কাজল বোসকে নিয়ে যে জটটা ছিল সেটা খুলে গিয়েছে, বাকী এখন শেষ জটটি–
কিসের জট? প্রশ্ন করে সুহাস।
মিত্রানীর হত্যারহস্যকে ঘিরে তিনটে জট ছিল তার মধ্যে একটি খুলে দিয়েছেন সেদিন আপনি—আজ কাজল বোস খুলে দিয়ে গেল একটি—বাকী এখন শেষ জটটি। আশা করছি সেটাও খুলতে আর দেরি হবে না–
কিরীটীবাবু! সুহাস ডাকল।
বলুন।
সত্যিই কি আপনি মনে করেন—সুহাস ইতস্তত করে থেমে গেল।
কি, আমি!
সত্যিই কি আপনি মনে করেন—দলের মধ্যে আমিই সেদিন মিত্রানীকে হত্যা করেছি?
সে কথা থাক—আপনি আগে বলুন, সেদিন কি কাজলের সঙ্গেই আপনার ধাক্কা লেগেছিল অথচ সাড়া দেননি তার ডাকে?
না, সে কাজল নয়—
তবে কে? আমার অনুমান আপনি হয়ত তাকে চিনতে পেরেছিলেন চোখের দৃষ্টিতে নয়, হয়ত অনুভবে—স্পর্শের মধ্যে দিয়ে–
বিশ্বাস করুন তাকে আমি চিনতে পারিনি–
সুহাসবাবু, আপনারা এখনো একটা কথা জানেন না—কারণ বলা হয়নি কাউকে আপনাদের
জানি না—কি জানি না?
মিত্রানী ওয়াজ রেপড্–
সে কি! একটা অর্ধস্ফুট চিৎকার যেন বের হয়ে এলো সুহাসের কণ্ঠ চিরে।
হ্যাঁ—এবং খুব সম্ভব প্রচণ্ড ঘৃণা ও আক্রোশের বশে হত্যাকারী প্রথমে তাকে রুমালের ফাস গলায় দিয়ে হত্যা করে, তারপর তাকে রেপ করে—
আমি–-আমি কথাটা এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না কিরীটীবাবু!
হয়ত হত্যাকারীর মিত্রানীকে ঘিরে দীর্ঘদিনের অমিত লালসা শেষ পর্যন্ত তাকে পশুর পর্যায়ে টেনে এনেছিল, তাকে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে ফেলেছিল–
কিরীটীবাবু!
বলুন।
এখনো আপনার ধারণা সে আমাদেরই একজন?
বলতে পারলেই আমি খুশি হতাম সুহাসবাবু কিন্তু তা পারছি না—এখনো সন্দেহের জালটা যেন আপনাদেরই কাউকে ঘিরে আছে—
সুহাস আর কোন প্রতিবাদ জানাল না। কেমন যেন মুহ্যমানের মত সোফার উপরে বসে রইলো। কারো মুখেই কোন কথা নেই, যেন একটা পাষাণ-স্তব্ধতা বিরাজ করছে। ঘরের মধ্যে—তারপরই যেন হঠাৎ একসময় উঠে দাঁড়াল সুহাস মিত্র এবং কোন রকম কিছু না বলে শ্লথ পায়ে ঘরের ভিতর থেকে বের হয়ে গেল।
সিঁড়িতে সুহাস মিত্রের পায়ের শব্দটা মিলিয়ে যাবার পর সুব্রত বললে, বেচারা মনে হলো যেন অত্যন্ত কঠিন আঘাত পেয়েছে।
কিরীটী শান্ত গলায় বললে, ঐ আঘাতটা না দিতে পারলে—যাকে বলে অ্যাসিড টেস্ট সেটা হতো না এবং আসলে সত্যটাও প্রকাশ পেত না।
তুই তাহলে সুহাস মিত্রকে মুক্তি দিলি?
আপাতত।
আপাতত মানে?
কিরীটী সুব্রতর কথার কোন জবাব না দিয়ে উঠে গিয়ে ফোন ডায়েল করতে লাগল।
বার-দুই এনগেজ টোন হলো, তারপর অন্য প্রান্তে শোনা গেল, ও. সি. শিবুপুর পি. এস.–
সুশীলবাবু আমি কিরীটী—কোন খবর আছে?
আছে তবে ফোনে বলবো না—কাল আসুন না একবার—
যাবো—আচ্ছা মৃতের জামা ও শাড়ি–
এখনো থানাতেই আছে—একজিবিট হিসাবে–কেন বলুন তো?
ওগুলো আমি একবার দেখতে চাই—আর ঐ সঙ্গে স্পটটাও একবার ঘুরে দেখে আসবো ভাবছি। আচ্ছা তাহলে সেই কথাই রইলো।
কিরীটী অতঃপর রিসিভারটা নামিয়ে রেখে দিল।
কিরীটী ফিরে এসে সোফায় বসতেই সুব্রত শুধালো, স্পটটা একবার দেখবার কথা গত দুদিন ধরে আমিও ভাবছিলাম!