১৭২তম অধ্যায়
অম্বার প্রত্যাখ্যানে প্রার্থনা
“ ‘অনন্তর আমি জননী সত্যবতীসন্নিধানে গমন ও তাঁহাকে অভিবাদন করিয়া কহিলাম, “জননি! আমি একমাত্ৰ বীৰ্য্যই এই তিন কন্যার শুল্ক [পণ] অবগত হইয়া পার্থিবগণকে পরাজয় করিয়া ইহাদিগকে বিচিত্ৰবীৰ্য্যের নিমিত্ত আহরণ করিয়াছি।” তখন সত্যবতী হৃষ্টমনে ও গলদশ্রুনয়নেই [বিগলিত অশ্রুযুক্ত নেত্ৰে] আমার মস্তক আঘ্রাণ করিয়া কহিলেন, “বৎস! তুমি ভাগ্যবলে জয়লাভ করিয়াছ।” পরে তাঁহার অনুমোদিত বিবাহকাল সমুপস্থিত হইলে কাশিরাজের জ্যেষ্ঠাকন্যা অম্বা লজ্জাবনত বদনে [লজ্জানম্র] আমাকে কহিলেন, “হে ভীষ্ম। আপনি ধর্ম্মপরায়ণ ও সর্ব্বশাস্ত্ৰবিশারদ, এক্ষণে আমার ধর্ম্মানুগত বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহার অনুষ্ঠান করুন। আমি পূর্ব্বে শাল্বপতিকে মনে মনে বরণ করিয়াছি, তিনিও নির্জ্জনে পিতার অজ্ঞাতসারে আমাকে বরণ করিয়াছেন; আমি আর অন্যকে প্রার্থনা করি না। এক্ষণে আপনি কুরুবংশে জন্মপরিগ্রহ করিয়া ধর্ম্মপথ উল্লঙ্ঘনপূর্ব্বক কিরূপে আমাকে স্বীয় আবাসে রাখিবেন? হে মহারাজ! আপনি ইহা বুদ্ধিবলে সম্যক অবধারণ করিয়া যাহা কর্ত্তব্য, তাহার অনুষ্ঠান করুন। শাল্বরাজ নিশ্চয়ই গমন করিতে অনুমতি করুন। আমরা শ্রবণ করিয়াছি, আপনি পৃথিবীমধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট ব্ৰহ্মচারী; অতএব আমার প্রতি অনুকম্প [দয়া] প্রদর্শন করুন।” ”