শ্রীজনমেজয় বলে, শুন মহামুনি।
পূর্ব্ব বিবরণ কথা তোমা হৈতে শুনি।।
লক্ষ্মী কেন পৃথিবীকে অভিশাপ দিল।
কহ দেখি পৃথিবীর কি পাপ আছিল।।
বলেন বৈশম্পায়ন, শুনহ রাজন।
সংক্ষেপে তোমারে কহি সে সব কথন।।
লক্ষ্মী সঙ্গে নারায়ণ থাকেন সতত।
নানা কেলি কলারস করেন বহুত।।
অপার মহিমা তাঁর কে বুঝিতে পারে।
অবিরত কমলা থাকেন বক্ষোপরে।।
তাহা দেখি বসুমতী কহেন লক্ষ্মীরে।
তোমার সমান তপ কেহ নাহি করে।।
না দেখি এমন তপ, না শুনি শ্রবণে।
নারায়ণ সঙ্গে তুমি থাক রাত্রি দিনে।।
বক্ষঃস্থলে তোমারে ধরেন যদুপতি।
তোমার সমান কেহ নহে ভাগ্যবতী।।
কিন্তু কৃষ্ণ সনে তোমা বিচ্ছেদ করাব।
নারায়ণ সঙ্গে আমি সতত থাকিব।।
মহীবাক্য শুনি দেবী ক্রোধ উপজিল।
মনোদুঃখ পেয়ে অভিশাপ প্রদানিল।।
জন্মিবে জনার গর্ভে, হবে স্বাহা নাম।
অনল তোমার স্বামী, ইথে নাহি আন।।
পৃথিবী বলেন, তুমি শাপ দিলে মোরে।
নারায়ণ সহ দেখা নহিবে তোমারে।।
পৃথিবী পালিতে জন্মিবেন নারায়ণ।
সতত পাইব আমি তাঁর দরশন।।
অনুক্ষণ থাকিবেন গোবিন্দ আমাতে।
এত বলি বসুমতী গেলেন ত্বরিতে।।
শাপে বর পেয়ে তুষ্টা হইল ধরণী।
স্বাহা নাম হৈল নীলধ্বজের নন্দিনী।।
মহাভারতের কথা অমৃত সমান।
কাশীরাম দাস কহে, শুনে পুণ্যবান।।