এরপর সেই হিজরতকারী মোহাজেরদের উপর, বিশেষ ভাবে মুসলমানদের উপর সাধারণবাবে পৌত্তলিকদের অত্যাচার আরো বেড়ে গেল। পরিবারের অমুসলিমরা মুসলমানদের নানাভাবে কষ্ট দিতে লাগল। কেননা কোরাইশরা খবর পেয়েছিলো যে, নাজ্জাশী মুসলমানদের সাথে খুব ভাল ব্যবহার করেছেন এবং হাবশায় মুসলমানরা খুব ভালভাবেই দিন কাটিয়েছেন। এ খবর তাদের অর্ন্তজ্বালা বাড়িয়ে দিয়েছিল। কোরাইশদের অত্যাচার নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুণরায় হাবশায় ঞিজরত করতে সাহাবাদের পরামর্শ দেন। তবে প্রথমবারের হিজরতের চেয়ে এটা ছিল অনেক কঠিন। কারণ কোরাইশ পৌত্তলিকরা এবার ছিল অনেক সতর্ক। তাদের ফা!কি দিয়ে মুসলমানরা অন্যত্র চলে গিয়ে নিরাপদে জীবনযাপন করবে এটা তারা ভাবতেই পারছিল না। কিন্তু মুসলমানরা অমুসলিমদের চেয়ে বেশী বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়ায় আল্লাহ সুবহানতাআলা তাদের জন্য হাবশায় যাওয়ার পথ সহজ করে দিলেন। ফলে হিজরতকারী মুসলমানরা কোরাইশদের নিয়ন্ত্রনে যাওয়ার আগেই হাবশার বাদশাহের কাছে পৌঁছে গেলেন। এবার বিরাশি বা তিরাশি জনের একটি দল হিজরত করেন। হযরত আম্মার (রা) এর হিজরতের চেয়ে ভিন্ন ঘটনা, এ হিজরতে আঠার উনিশ জন মহিলা ছিলেন। আল্লামা মুনসুরপুরী মহিলাদের সংখ্যা আঠার বলে উল্লেখ করেছেন।