চব্বিশ ঘণ্টা পরেও পরাজয়ের কথাটা ভুলতে পারল না মুসা। পারল না কিশোরও। চিকেন লারসেনের স্পেশাল মুরগীর কাবাব দিয়ে সেটা ভোলার চেষ্টা করছে।
চুপচাপ তাকিয়ে ওর খাওয়া দেখছে মুসা। ঘন ঘন ওঠানামা করছে কিশোরের হাতের চামচ। দেয়াল কাঁপিয়ে বাজছে হাই ফাঁই স্টেরিও, পঞ্চাশের দশকের রক মিউজিক।
কিশোর, তিন নম্বরটা খাচ্ছ, মুসা বলল।
কিশোরের চোখ ক্ষণিকের জন্যে উঠল। কিন্তু চামচের ওঠানামা বন্ধ হল না। চিবান বন্ধ হলো না। মাথা নাড়ল না।
হঠাৎ সামনের দরজার বেল বাজল। ঘরে ঢুকল রবিন। একটা চেয়ার টেনে। বসল সে। শোনো, খবর আছে একটা। ভোর বেলায় মিস্টার বার্টলেটের কাছে। ফোন এসেছে। জরুরী তলব। জানো কে?
শ্রাগ করল কিশোর। আজকাল মাথা আর খেলে না আমার। রহস্যের সমাধান করতে পারি না।
শোনই আগে কে ফোন করেছিল। দেখো, এটার সমাধান করতে পার কিনা। জ্যাক রিডার ফোন করেছিলেন। ডিলানের সম্মানে কাল রাতে তার বাড়িতে একটা পার্টি দিচ্ছেন। মরগানস ব্যাণ্ড দরকার।
তাহলে মরগানের খুশি, আমাদের কি? মুখ গোমড়া করেই রেখেছে মুসা।
রবিন বলল, কিছুই বুঝতে পারছ না তোমরা। ডিলনের মুখ থেকে সত্যি কথা আদায়ের এটা একটা মস্ত সুযোগ।
কেন? আরেকটু মাংস মুখে পুরল কিশোর, আমাদেরও দাওয়াত করেছে। নাকি?
করলেই কি না করলেই কি, হাসল রবিন। শোনো, আমার বুদ্ধি শোনো। সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট, কালো বো টাই আর সানগ্লাস পরে চলে যাব আমরা। যে ক্যাটারিং সার্ভিসকে ভাড়া করেছেন রিডার, ওরা এই পোশাক পরেই যাবে। পার্টি চলাকালে ঢুকে পড়ব, কেউ আমাদের আলাদা করে চিনতে পারবে না।
এতক্ষণে হাসি ফুটল মুসার মুখে। কিশোরও চিবান বন্ধ করল।
পরদিন রাত নটায়, পুরোদমে পার্টি চলছে, এই সময় রিডারের বেল এয়ারের বাড়িতে ঢুকল তিন গোয়েন্দা। পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ল রান্নাঘরে। তিনজনে তিনটে খাবারের ট্রে তুলে নিয়ে চলে এল মেহমানরা যেখানে ভিড় করে আছে সেখানে। ক্যাটারিং সার্ভিসের ওয়েইটারেরা খুব ব্যস্ত, ছোটাছুটি করছে এদিক ওদিক, বাড়তি তিনজন যে ঢুকে পড়েছে ওদের মধ্যে খেয়ালই করল না।
ডিলন কোথায়? কিশোরকে জিজ্ঞেস করল মুসা।
হরর অথবা ভূতের ছবি তৈরি করার মত করেই যেন সাজানো হয়েছে রিডারের বাড়িটা। মধ্যযুগীয় কায়দায় ভারি ভারি করে তৈরি হয়েছে আসবাব, খোদাই করে অলঙ্করণ করা হয়েছে। রক্তলাল মখমলে মোড়া গদি। দেয়ালে ঝাড়বাতি। লোহার বড় বড় মোমদানীতে জ্বলছে বড় বড় মোম। কালো কাপড়ে লাল রঙে লেখা, ইংরেজিতে লেখা হয়েছে ব্যানার, যার বাংলা করলে দাঁড়ায়ঃ মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছ বলে স্বাগতম, ডিলন। আঁকাবাঁকা করে আঁকা হয়েছে অক্ষরগুলো, দেখে মনে হয় নিচ থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে। লিভিংরুমের মাঝখানে, ঝোলানো হয়েছে ব্যানার। তার নিচে বিশাল কাচের ফুলদানীতে রাখা হয়েছে লাল গোলাপ।
সুইমিং পুলের দিকে মুখ করা বারান্দায় বাজনা বাজাচ্ছে মরগানের দল। হলিউডের সিনেমা জগতের বড় বড় চাঁইয়েরা অতিথি হয়ে এসেছে। খাচ্ছে, নাচছে, আনন্দ করছে।
ওই যে অলিংগার, দেখাল রবিন। বাজনার শব্দকে ছাপিয়ে জোরে জোরে কথা বলতে হচ্ছে, নইলে বোঝা যায় না। আমাদের দিকে তাকালেই সরে যেতে হবে।
ডিলন কোথায়? একজন ওয়েইটারকে এগিয়ে আসতে দেখে আরেক দিকে মুখ করে দাঁড়াল কিশোর।
পেছন থেকে এগিয়ে এসে প্রায় ছোঁ মেরে মুসার চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলে নিলেন রিডার। ঘটনাটা কি?
ইয়ে…ইয়ে…মানে…ইয়ে… থেমে গেল মুসা। কথা আটকে গেছে। কি বলবে জানে না।
তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেল রবিন। হেসে বলল, গোয়েন্দাগিরির ব্যবসায় আর পোষাচ্ছে না। তাই ক্যাটারিং ধরেছি।
খুব ভাল করেছ, হরর ছবির সংলাপ বলছেন যেন পরিচালক। তবে মুভি বিজনেস থেকে দূরে থাকবে। যদি হৃৎপিণ্ডে কাঁচির খোঁচা খেতে না চাও। হিরোকে নিয়েই বড় বিপদে আছি এমনিতেই। আর ঝামেলা বাড়িও না।
বুঝলাম না, মিস্টার রিডার? কিশোর বলল।
ডিলনের জন্যে এই পার্টি দিয়েছি। যাতে সে আসে। মন ভাল হয়। আবার অভিনয় করে সাফোকেশন টু-তে। কি জবাব দিয়েছে জান? সিয়াও। আউ রিভোয়া। হ্যাসটা লুয়েগো। শ্যালম। নানা ভাষায় এই কথাগুলোর একটাই মানে, বিদায়।
ডিলন কোথায় জানেন?
পুলের পানির তলায় থাকতে পারে। কিংবা আমার টরচার চেম্বারে। অ্যাঞ্জেলাকে নিয়ে ওদিকটাতেই যেতে দেখেছি।
গোল একটা ঘোরান সিঁড়ি দেখালেন রিডার। নিচে একটা ঘর রয়েছে। সেখানে অত্যাচার করার প্রাচীন সব অ্যানটিক যন্ত্রপাতি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বসে কথা বলতে দেখা গেল অ্যাঞ্জেলা আর ডিলনকে।
বেন, তিন গোয়েন্দাকে চিনতে পেরে হেসে বলল অ্যাঞ্জেলা, ওরা গোয়েন্দা। তোমাকে অনেক খুঁজেছে।
তাই নাকি? হাসি মুখে বলল বটে ডিলন, কিন্তু কণ্ঠস্বর তেমন আন্তরিক মনে হল না।
ওই কিডন্যাপিংটা নিশ্চয় খুব বাজে ব্যাপার হয়েছে, রবিন বলল আলাপ জমানর ভঙ্গিতে।
কথাটার জবাব না দিয়ে কর্কশ গলায় ডিলন বলল, তোমরাই পটারকে অপমান করতে গিয়েছিলে?
অপমান? আকাশ থেকে পড়ল যেন মুসা, বলেন কি? আমি তার রেসলিঙের মস্ত বড় ভক্ত। অপমান করতে পারি?
টেলিভিশনে আপনার সাক্ষাৎকার দেখার পর থেকেই কয়েকটা কথা জিজ্ঞেস করার জন্যে মরে যাচ্ছি, মিস্টার ডিলন, কিশোর বলল নিরীহ কণ্ঠে। আপনি বলেছেন, অন্ধকারে আপনি বুঝতে পারেননি কিডন্যাপাররা কজন ছিল। তাদের কথা শুনেছেন নিশ্চয়। গলা শুনেও মানুষ গণনা করা যায় অনেক সময়।
মাথা নাড়ল ডিলন। ওই ব্যাটারা অনেক চালাক। কেবলই কণ্ঠস্বর বদল করেছে। আমার মাথা খারাপ করে দিয়েছে। অনেক বড় অভিনেতা ওরা, আমার ওস্তাদ। চোখের পাতা সামান্যতম কাপল না ওর। শান্ত, স্বাভাবিক রয়েছে।
একটা স্বর নকল করে শোনাতে পারেন?
দেখ, বেশি চালাকি… লাফ দিয়ে একটা পুরানো উঁচু চেয়ার থেকে নেমে পড়ল ডিলন, ওটাতে বসিয়ে অত্যাচার করা হত মানুষকে।
তার হাত চেপে ধরল অ্যাঞ্জেলা। আরে থামো থামো, ওরা তোমার উপকারই করতে চেয়েছে।
আপনার জন্যে খুবই সহজ কাজ, ডিলনের ওই আচরণ যেন দেখেও দেখেনি। কিশোর, এমনি ভঙ্গিতে বলল, কারণ আপনি বড় অভিনেতা। যে কোন লোকের স্বর নকল করে ফেলতে পারবেন। এভাবেই বলুন না, হাল্লো, পটার? কেমন আছ, পটার? তারপর এই কথাগুলো আবার আপনার স্বাভাবিক স্বরে বলুন। শুনতে খুব। ইচ্ছে করছে।
বলো না, বেন, অ্যাঞ্জেলা বলল। ছেলেগুলো এত করে যখন বলছে।
বলল ডিলন। একবার অন্য স্বরে, একবার নিজের আসল স্বরে। গায়ে কাঁটা দিল মুসার। এই কণ্ঠ তার চেনা। অলিংগারের অফিসে রেডিয়াল বাটন টিপে ফোন। করার সময় ওপাশ থেকে এই স্বরই শুনতে পেয়েছিল। কিশোরের দিকে তাকিয়ে মাথা ঝাঁকাল সে। জবাবে কিশোরও ঝাঁকাল।
আপনার ছবি দেখেছি। সিনেমা, কিশোর বলল। তাতে বেঁধে রাখতে দেখেছি। কিডন্যাপাররাও কি বেঁধে রেখেছিল সারাক্ষণ?
ঢিলেঢালা একটা হাফ-হাতা টারকুইজ শার্ট পরেছে ডিলন। চট করে একবার কব্জির দিকে তাকাল। দাগটাগ কিছু নেই। আড়চোখে তাকাল কিশোরের দিকে। মাথা নেড়ে বলল, না, ঘরে তালা দিয়ে রেখেছিল কেবল।
সাংঘাতিক চালাক তো ব্যাটা, ভাবল মুসা। কাচের ব্যাপারটা কি বলুন তো? এত কাচ?
কিসের কাচ? জিজ্ঞেস করল ডিলন।
আপনার সৈকতের ধারের বাড়িতে। সারা ঘরে কাচ ছড়িয়ে ছিল।
হঠাৎ ঘরের সমস্ত আলো মিটমিট করতে শুরু করল, জ্বলে আর নেভে, জ্বলে আর নেভে।
এই, সবাই স্ক্রিনিং রুমে চলে আসুন, মাইক্রোফোনে বললেন রিডার। সব ঘরেই স্পিকার লাগান রয়েছে, তাতে শোনা গেল তার কথা। আপনাদের জন্যে একটা সারপ্রাইজ আছে।
চলো, অ্যাঞ্জেলাকে বলল ডিলন। ছেলেগুলো বিরক্ত করে ফেলেছে। আমাকে।
কাচের ব্যাপারটা বললেন না তো মিস্টার ডিলন? মুসা নাছোড়বান্দা।
আমি কি করে বলব? খেঁকিয়ে উঠল ডিলন। আমি কি দেখেছি নাকি? ধরেই আমার মাথায় একটা বস্তা টেনে দিয়ে ঢেকে ফেলল। ঠেলে মুসাকে সামনে থেকে সরিয়ে দিয়ে অ্যাঞ্জেলার হাত ধরে টানল সে। কাচ নিয়ে কে মাথা ঘামায়? আমি তো ভেবেছি আর কোনদিনই ফিরতে পারব না। একটা কথা শোনো, কাজে লাগবে। বড় বেশি ছোঁক ছোঁক কর তোমরা। ভাল নয় এটা। অ্যাঞ্জেলাকে নিয়ে ঘোরান সিঁড়ির দিকে এগিয়ে গেল সে। বেরিয়ে গেল টরচার চেম্বার থেকে।
এটাই চেয়েছিলাম, কিশোর বলল। ওকে নার্ভাস করে দিতে পেরেছি।
অত্যাচার করার ভয়াবহ যন্ত্রগুলোর দিকে তাকাল মুসা। এ ঘরে এসে কে নার্ভাস হবে না!
নার্ভাস হলে লাভটা কি? কিশোরের দিকে তাকিয়ে বলল রবিন, আমরা চেয়েছি ও ভুল করুক। বেস কিছু বলুক। যাতে কাঁক করে টুটি টিপে ধরতে পারি। তা তো করল না। পুরোপুরি ঠাণ্ডা রইল। ওর কিছু করতে পারব না।
ওরা তিনজনও উঠে এল ওপরতলায়। স্ক্রিনিং রুমে বড় একটা সিনেমার পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন জ্যাক রিডার।
বক্তৃতা দেয়ার ঢঙে বলছেন, …আমরা সবাই একটা উদ্দেশ্যেই এখানে জমায়েত হয়েছি। ডিলন যে নিরাপদে মুক্তি পেয়ে ফিরে এসেছে এটা জানানোর জন্যে। দুনিয়া কোন দিনই জানতে পারবে না, মৃত্যুর কতটা কাছে চলে গিয়েছিল এতবড় একজন অভিনেতা। তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি সত্যি আনন্দিত। আরও খুশি হব যদি ছবিটা শেষ করতে পারি।
কেউ হাসল, কেউ কাশল, কেউ কেউ দৃষ্টি বিনিময় করল পরস্পরের দিকে।
এসব তো আমরা জানি, চিৎকার করে বলল একজন। সারপ্রাইজটা কি?
সারপ্রাইজ? হাসছেন রিডার। হাত কচলাচ্ছেন। সেটা একটা গোপন ব্যাপার। আমাদের সবারই কিছু না কিছু গোপনীয়তা আছে। ডিলনেরও আছে। সেটা গোপন রাখাই ভাল।
কাছেই দাঁড়িয়ে রয়েছে মুসা, ভাল করে তাকাল ডিলনের মুখের দিকে। ভাবের কোন পরিবর্তন দেখতে পেল না। লোকটা সত্যিই বড় অভিনেতা, মনে মনে স্বীকার না করে পারল না সে।
ডিলন এই প্রথম আমার ছবিতে কাজ করছে না, রিডার বলছেন, আরও করেছে। তার প্রথম ছবিটাই পরিচালনা করেছি আমি।
আর বলবেন না! দুহাতে মুখ ঢেকে হতাশ হওয়ার অভিনয় করল ডিলন। ভ্যাম্পায়ার ইন মাই ক্লোজেটের কথা বলছেন তো? ছবিটা মুক্তিই দিতে দিল না স্টুডিও। ওই ভয়ঙ্কর বোমা ফাটানোর দৃশ্যটাই এর জন্যে দায়ী। ওফ বিচ্ছিরি!
হ্যাঁ, একমত হয়ে মাথা ঝাঁকালেন রিডার। আমারও একই অবস্থা হয়েছিল ওই ছবি করতে গিয়ে। লোকে আমার দিকে ফিরেও তাকাত না তখন। বড় পরিচালক বলা তো দূরের কথা, এখন যেমন বলে। থামলেন তিনি। তাকালেন। শ্রোতাদের দিকে। হাততালি আর প্রশংসা আশা করলেন যেন। লেডিজ অ্যাণ্ড জেন্টলম্যান, ডিলন জানে না কথাটা, ওই ছবির একটা প্রিন্ট আমার কাছে আছে। সেটাই দেখান হবে এখন।
এইবার হাততালি আর চিল্কারে ফেটে পড়ল শ্রোতারা।
লাইটস! ক্যামেরা! অ্যাকশন! শুটিঙের সময় যেভাবে চেঁচানো সে রকম করে চেঁচিয়ে উঠলেন রিডার।
আলো নিভে গেল। রোম খাড়া করে দেয়া বাজনা বেজে উঠল। পর্দায় ফুটল ছবি।
এক ভয়াবহ ছবি। বোর্ডিং স্কুলে ছাত্ররা বার বার ভ্যাম্পায়ারের শিকার হতে লাগল। পিশাচটাকে জ্যান্ত করে তুলেছিল কয়েকটা ছেলে। বহুদিন বন্ধ করে রাখা পাতাল ঘরে গিয়ে ঢুকেছিল, পেয়ে গিয়েছিল একটা প্রাচীন পাণ্ডুলিপি আর একটা কঙ্কাল, ওই পাণ্ডুলিপিতে লেখা ছিল কি করে জ্যান্ত করে তুলতে হয় ভ্যাম্পায়ারকে। খেলার ছলে ওরা করে ফেলেছিল কাজটা, সত্যিই যে জেগে উঠবে। পিশাচ কল্পনাই করতে পারেনি।
প্রথমেই ভ্যাম্পায়ারের কামড় খেল ডিলন। হয়ে গেল ভ্যাম্পায়ার। ফ্যাকাসে চেহারা, তাতে সবুজ আভা, চোখের চারপাশে কালো দাগ, চোয়াল বসা, কালো আলখেল্লা পরা ভয়ঙ্কর ভ্যাম্পায়ার আতঙ্কের ঝড় তুলল যেন পর্দায়।
হঠাৎ আঙুল দিয়ে রবিন আর কিশোরের পিঠে খোঁচা মারল মুসা। কিশোরেরটা এতই জোরে হয়ে গেল, উফ করে উঠল সে।
আমি যা দেখেছি তুমিও দেখেছ? ওর কানে কানে বলল মুসা, মনে করতে পার?
অন্ধকারেই উজ্জ্বল হলো কিশোরের হাসি। ভাল মত। এই পোশাকই পরেছিল সে, হ্যালোউইনের রাতে আমাদের হেডকোয়ার্টারে ঢোকার সময়।