“রালফ, তোমার চাকরী নেই?”
“না।”
“কতোদিন থেকে চাকরী নেই?”
“জানি না। অনেক দিন।”
“কেন তোমার চাকরী নেই রালফ?”
“জানি না।”
“কেন তুমি জান না রালফ? তোমার জানতে হবে।”
“আচ্ছা।”
“তোমার চাকরী নেই তার কারণ অন্যায়ভাবে তোমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”
“তাই?”
“হ্যাঁ, রালফ।”
“আচ্ছা।”
“রালফ, তোমাকে শুধু আচ্ছা বললে হবে না। তোমাকে কিছু একটা করতে হবে।”
“করব।”
“হ্যাঁ রালফ। আমাদের দেশের নাম কী বল দেখি রালফ।”
“ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা।”
“এই দেশটা কার জন্যে রালফ?”
“কার জন্য?”
“আমাদের জন্য রালফ। আমাদের যাদের গায়ের রং সাদা তাদের জন্যে। আমরা যারা জিসাসকে বিশ্বাস করি তাদের জন্য।”
“হ্যাঁ। আমাদের জন্যে।”
“বল দেখি এই দেশটা কার জন্য?”
“আমাদের যাদের গায়ের রং সাদা তাদের জন্য।”
“অন্যেরা আমাদের দেশে এসে আমাদের চাকরী নিয়ে নিচ্ছে।”
“তাই?”
“হ্যাঁ রালফ। তুমি দেখছ না তোমার চাকরী নিয়ে নিচ্ছে। তোমাকে বরখাস্ত কর দিচ্ছে। এখন তুমি খেতে পাও না। তোমার একটা ভালো গাড়ী নাই। তোমার গার্লফ্রেন্ড নাই।
“নাই। কিছু নাই।”
“বুঝেছ রালফ। তোমাকে প্রতিশোধ নিতে হবে। বুঝেছ?”
“বুঝেছি।”
“তোমার বন্দুক আছে রালফ?”
“নাই। বন্দুক নাই।”
“তুমি বন্দুক দিয়ে গুলী করতে পার রালফ?”
“পারি। রাইফেল দিয়ে গুলী করতে পারি। গুলী করতে আমার খুব ভালো লাগে। গুলীর শব্দ আমার খুব ভালো লাগে। রাইফেল দিয়ে গুলী। করলে যে বারুদের গন্ধ বের হয় সেটাও ভালো লাগে। গুলী খুব ভালো লাগে।”
“চমৎকার রালফ। আমাদের সবার রাইফেল ভালো লাগে।”
“রাইফেল দিয়ে গুলী করব।”
“অবশ্যই করবে রালফ। অবশ্যই তুমি গুলী করবে। তোমাকে রাইফেল দিব। গুলী ভরা ম্যাগাজিন দিব। তুমি গুলী করবে আর গুলী করবে
“গুলী করব।”
“কাকে গুলী করবে রালফ?”
“কাকে করব?”
“এই যে এই মেয়েটাকে করতে পার।”
“এই মেয়েটা তো ছোট।”
“কিন্তু তার গায়ের রং দেখেছ রালফ?”
“দেখেছি।”
“কী মনে হয় রালফ? গায়ের রং কী তোমার আমার মত সাদা?”
“না। সাদা না।”
“তার মানে বুঝেছ? এই মেয়েটা আর তার ভাই আর তার বোন আর তার মা আর তার বাবা সবাই আমাদের দেশে এসেছে। এখন তারা আমাদের চাকরী নিয়ে আমাদের বরখাস্ত করে দেয় রালফ। কাজটা কী ঠিক হচ্ছে রালফ?”
“না।”
“তুমি ঠিক বলেছ রালফ। কাজটা ঠিক হচ্ছে না। এখন কী করতে হবে বল।”
“গুলী।”
“কাকে গুলী করবে?”
“জানি না। মনে হয় এই মেয়েটাকে।”
“হ্যাঁ তোমাকে আমি আরো বলব। কিন্তু বলার আগে তুমি এটা খাও।”
“এটা কী?”
“একটা ড্রিংক”
“এটা খেলে কী হয়?”
“তুমি নিজেই দেখবে রালফ। এটা খেলে সবকিছু ভালোভাবে বোঝা যায়।”
রালফ ড্রিংকটা খেলো, খেয়ে বলল, “ড্রিংকটাতে খুব ঝঝ মনে হচ্ছে, মাথা থেকে মনে হচ্ছে আগুন বের হচ্ছে।”
“সব ঠিক হয়ে যাবে রালফ, আগে আবার এই মেয়েটার ছবিটা দেখ। চেহারাটা মনে রাখ।”
“মনে রাখছি।”
“মেয়েটাকে কী করতে হবে?”
“গুলী করতে হবে।”
“কোথায় গুলী করবে রালফ?”
“তুমি বল।”
“মাথায়। মাথায় আর বুকে।”
“ঠিক আছে।”
“কী রকম রাইফেল তুমি চাও রালফ?”
“সেমি অটোমেটিক।”
“ঠিক আছে, তুমি তাই পাবে। আসো এই ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকো। মেয়েটার ছবি। চেহারাটা মনে রাখো। রালফ।”
“মনে রাখছি।”
“মেয়েটাকে কী করতে হবে রালফ।”
“গুলী করতে হবে।”
“চমৎকার।”
“মেয়েটাকে কী করতে হবে রালফ?”
“বললাম তো।”
“আবার বল।”
“গুলী করতে হবে।”
“চমৎকার। মেয়েটার ছবিগুলোর দিকে তাকাও রালফ। চেহারাটা মনে রাখো।”
“ঠিক আছে।”
“তোমার এখন কেমন লাগছে রালফ?”
“খুব ভালো লাগছে।”