১২. হাতিটাকে বাঁচানো গেল না

এত চেষ্টা সত্ত্বেও হাতিটাকে বাঁচানো গেল না।

 সকালে সবে ঘুম থেকে উঠেছে টুপুর, মিতিনদের ঘর তখনও বন্ধ, সুমায়া হাঁফাতে হাঁফাতে এসে খবর দিল। কাল রাতেই খুন হয়ে গেছে হাতিটা।

টুপুর উদ্রান্তের মতো মিতিনদের দরজায় ধাক্কা দিল। চোখ কচলাতে কচলাতে বেরিয়ে মিতিনও হতচকিত, তুমি খবর পেলে কোত্থেকে?

সুমায়া ফুপিয়ে কেঁদে উঠল, ফরেস্টগার্ড এসে খবর দিয়ে গেল দিদি। শয়তানরা ওকে লিগিরদাতেই মেরেছে।

লিগিরদা? একসঙ্গে টুপুর আর মিতিনের গলা দিয়ে বিস্ময় ঠিকরে এল।

হাঁ দিদি। দাঁত ভি উপড়ে নিয়েছে।

মিতিন দু হাতে চুল খামচে ধরল। মাথা ঝাঁকাচ্ছে, সাহেবরা কোথায়?

সাহাবলোগ তো শুনেই জিপ লিয়ে বেরিয়ে গেল। হামাকেই বললেন আপনাদের জানিয়ে দিতে।

অবনী আর সহেলি বেরিয়ে এসেছেন ঘর থেকে। পার্থও। কয়েক সেকেন্ড কারও মুখেই কথা নেই। যেন মৃত হাতির স্মরণে শোকপালন চলছে।

মিতিনই বরফ ভাঙল। গলা থেকে ধিক্কার ঝরছে, ছি ছি ছি, আমরা কী নির্বোধ! ওরা যে আবার লিগিরদাতেই চেষ্টা করবে এই সরল সত্যিটুকু কেন মাথায় এল না?

পার্থ বলল, না আসাই তো স্বাভাবিক। ওখানে তো ওরা ফেল করেছিল।

এবং সেইজন্যই ওরা মাস্টার প্ল্যানটা বদলায়নি। চোরাশিকারি দলের পাণ্ডা সাত ঘাটের জল খাওয়া লোক। আমরা কী ভাবতে পারি, সেটাও সে আমাদের আগে ভেবে ফেলেছে। হি ইজ অলওয়েজ ওয়ান স্টেপ অ্যাহেড। লিগিরদার প্ল্যান ভেস্তে গেছে বলে ওরা আর লিগিরদা যাবে না, আমাদের এই ভাবনাটাও পড়ে ফেলেছে রাবণ। জানত, কাল লিগিরদায় পাহারা থাকবে না।

সহেলি বললেন, কী ডেঞ্জারাস লোক রে!

মিতিন অস্থিরভাবে পায়চারি করছে, আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না। আমার তো অন্তত বোঝা উচিত ছিল রাবণ হস্তি চরিত্র আমাদের চেয়ে অনেক ভাল জানে। সে নিশ্চিত ছিল হাতি এক-দুদিনের মধ্যে লিগিরদায় আসবেই।

পার্থ বলল, তো এখন আমরা কী করব?

লিগিরদা যাব। এক্ষুনি। তুমি নজরুল ভাইকে ডাকো।

সুমায়া বলল, আমি যাব দিদি। হামার দিল বহুত দুখাচ্ছে।

চল।

মিতিন ঘরে ঢুকে পোশাক বদলে নিল চটপট। টুপুরও। পার্থ অবনীও রেডি। জঙ্গলে এই প্রথম অবনীকে তাড়াহুড়ো করতে দেখা গেল। বুমবুম ঘুমোচ্ছে, তাকে আর ডাকা হল না। ওইটুকু ছেলের ওই বিচ্ছিরি দৃশ্য দেখার কোন দরকার নেই।

সহেলি রয়ে গেলেন বুমবুমের কাছে। তড়িঘড়ি জিপে উঠে বসল বাকিরা।

লিগিরদার রাস্তাটা আজ বড় বেশি লম্বা মনে হচ্ছিল সকলের। কেন যে পথ ফুরোয় না?

বন দফতরের বহু কর্মীই পৌঁছে গেছে লিগিরদায়। খবর ছড়িয়ে গেছে চারদিকে, ভিড় করেছে জঙ্গলবাসীরাও। টুপুররা গিয়ে দেখল দৃশ্যটাকে যত ভয়ঙ্কর ভাবছিল, দৃশ্যটা তার চেয়েও ভয়ঙ্কর। রক্তে মাখামাখি হয়ে পড়ে আছে হাতিটা, সল্টলিক থেকে হাত তিরিশেক তফাতে। গঁড়ের ঠিক পাশে, কানের কাছে তিন-তিনটে বুলেটের গর্ত। এবং দুটি দাঁতের একটিও নেই।

ডি-এফ-ও হন্তদন্ত মুখে দৌড়ে এলেন, কী বাজে ব্যাপার হল বলুন তো? আমি যে স্যারকে এখন কী জবাবদিহি করব?

হাতির মৃত্যু নিয়ে নয়, ডি-এফ-ও ব্যাকুল ওপরঅলাকে কৈফিয়ত দেওয়ার চিন্তায়।

মিতিন গোমড়া মুখে বলল, ওসব নয় পরে ভাববেন। আগে গজদন্ত দুটো উদ্ধারের চিন্তাটা তো করুন।

দাঁত নিয়ে পালাতে পারবে না। জঙ্গলের সব গেটে ওয়াকিটকিতে মেসেজ চলে গেছে। প্রত্যেকটি গাড়ি সার্চ করা হবে।

যদি তারা গাড়িতে না যায়? ভুলে যাবেন না, জঙ্গলের ভেতর দিয়ে একটা ট্রেনলাইনও আছে।

তাই তো! ডি-এফ-ওর চোখ ঘোলাটে হয়ে গেল, এটা তো ভাবিনি!

জঙ্গলের ভেতরে একটাই তো স্টেশন। করমপদা। প্যাসেঞ্জার ট্রেন সকালে করমপদায় কখন আসে?

ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া মুখে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছেন ডি-এফ-ও। সামটার রেঞ্জার তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে বললেন, কিরিবুরু থেকে ট্রেন ছাড়ে আটটা পাঁচে। করমপদায় সাড়ে আটটায় পৌঁছবে।

ডি-এফ-ও ঘড়ি দেখে লাফিয়ে উঠলেন, সর্বনাশ, সাতটা যে বেজে গেছে! এখনই তবে ওয়াকিটকিতে করমপদায় জানিয়ে দিই, ট্রেনটাকে আটকাক।

না। আপনারই যাওয়া উচিত।

মিতিনের স্বরে এমন একটা দৃঢ়তা ছিল যে, তাকে অগ্রাহ্য করতে পারলেন না ডি-এফ-ও। দৌড়ে জিপে উঠে পড়েছেন। হাতের ইশারায় চারজন সশস্ত্র বনরক্ষীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে মুখ বাড়িয়ে মিতিনকে বললেন, আপনি আসবেন না?

যাচ্ছি। আপনারা এগোন।

লিগিরদা ছাড়ার আগে আর একবার হাতিটার কাছে দিয়ে দাঁড়াল মিতিন। পাশে টুপুর আর সুমায়া। কী অসহায় ভাবে পড়ে আছে অত বড় প্রাণীটি! দু চোখের মণি স্থির, যেন এখনও এই নিষ্ঠুর পৃথিবীটাকে দেখা তার ফুরোয়নি। জঙ্গলের সম্রাটের চোখে এখনও জঙ্গলের ছায়া। আহা রে!

মিতিন দাঁতে দাঁত ঘষে বলল, শয়তানগুলোকে ছাড়া চলবে না রে সুমায়া।

শুকনো পাতা মাড়িয়ে ছুটল জিপ। হাতির মৃত্যুতে নজরুলও দারুণ ব্যথিত। চাপা ক্রোধে চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে তাঁর। সাঁ সাঁ ছোটাচ্ছেন গাড়ি। খানিকটা বেপরোয়াভাবেই। মিনিট পনেরোর মধ্যেই আগের জিপখানাকে ধরে ফেললেন নজরুল।

করমপদার গেটে পৌঁছে জোরে জোরে হর্ন বাজাচ্ছেন ডি-এফ-ও। বনকৰ্মীটি দৌড়ে এল। আজ সে উর্দি পরেছে। খটাস সেলাম ঠুকে বলল, জি সাব?

মিতিন লাফিয়ে নামল জিপ থেকে। চেঁচিয়ে ডি-এফ-ওকে বলল, এক্ষুনি ওকে অ্যারেস্ট করুন মিস্টার মারান্ডি।

বনকর্মীটির মুখ পলকে পাংশু।

ডি-এফ-ওকে কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগই দিল না মিতিন। বলল, পরে কথা হবে। আগে ওকে তুলে নিন জিপে। এর কোয়ার্টারেই আমি গজদন্ত প্যাকিং-এর বাক্স দেখেছি।

কোনও প্রতিবাদ জোড়ার আগেই সশস্ত্র বনরক্ষী জিপে পুরে ফেলল বনকৰ্মীটিকে।

মিতিন নজরুলকে বলল, এবার সোজা স্টেশন। জলদি।

পার্থ কবজি ঘুরিয়ে ঘড়ি দেখল, আটটা আটাশ! ট্রেন বেরিয়ে যায়নি তো?

রোমাঞ্চকর অভিযানের সঙ্গী হয়ে অবনীও রীতিমতো উত্তেজিত। হাত মুঠো করে বললেন, পেয়ে যাব মনে হচ্ছে। প্যাসেঞ্জার ট্রেন কি আর ঠিক টাইমে আসবে?

অবনীর অনুমানই সঠিক। ট্রেন ঢোকেনি এখনও। তবে সিগনাল ডাউন হয়ে গেছে। বেশ কিছু লোক অপেক্ষা করছে ট্রেনের জন্য।

প্ল্যাটফর্মের অন্য প্রান্তে একটা বড়সড় জটলা। ভিড়ের মধ্যে মধুবাবাকে দেখা যাচ্ছে। ইয়া ইয়া দুখানা প্যাকিংবাক্স রাখা রয়েছে প্ল্যাটফর্মে, একটায় অধিষ্ঠান করছেন মধুবাবা, পাশেরটায় তাঁর চ্যালা। আদিবাসী ভক্তরা বিদায় জানাতে এসেছে মধুবাবাকে। টিপ টিপ প্রণাম ঠুকছে। আশীর্বাদ করার ভঙ্গিতে একটা হাত উঁচু করে তুলে রেখেছেন মধুবাবা।

মিতিন দৌড়তে দৌড়তে মধুবাবার সামনে গেল। মুখে একটা বিচিত্ৰ হাসি ফুটিয়ে বলল, চললেন কোথায়?

পাশের বাক্সটার ওপর থেকে চ্যালার যথারীতি হিন্দিতে উত্তর, বাবা বারসোই যাচ্ছেন।

হঠাৎ বারসোই? কালই তো রাউরকেলা থেকে ফিরলেন!

চ্যালা একটি লোককে দেখিয়ে বলল, ইনি বাবার শিষ্য যদুনাথ মোহান্তি। ইনিই বাবাকে নিয়ে যেতে এসেছেন।

অদূরে দণ্ডায়মান লোকটির পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি। চুল ব্যাকব্রাশ করে আঁচড়ানো। নাকের নীচে শোভা পাচ্ছে এক জবরদস্ত বীরাপ্পান গোঁফ।

মিতিন হেসে বলল, কী হালদারবাবু, আপনি টাইটেল পালটালেন কবে? এমন বদখত একখানা গোঁফই বা লাগিয়েছেন কেন? দু দিকটা তো সমান হয়নি। ডানপাশটা তো ঝুলে যাচ্ছে।

যদুনাথ ওরফে হালদার ভুল করে গোঁফে হাত দিয়ে ফেলল। এবং তৎক্ষণাৎ খুলে পড়েছে গোঁফজোড়া।

মিতিনকে কষ্ট করে গ্রেফতার করার কথা বলতেও হল না, ডি-এফ-ওর সঙ্গী এক বন্দুকধারী ঘেঁটি চেপে ধরেছে হালদারের। নির্বিবাদে হালদার গোঁফজোড়া দিয়ে দিল বনরক্ষীটিকে।

মিতিন ততক্ষণে দুই প্যাকিং বাক্সের মধ্যিখানে ঢুকে পড়েছে। ব্যঙ্গের সুরে বলল, সাধুমহারাজ, আপনার তো আর বারসোই যাওয়া হল না। এবার আপনিও ভালয় ভালয় আপনার গোঁফদাড়ি জমা করে দিন। আপনার আলখাল্লাটাও কি খুলে নেব?

চ্যালা প্যাকিংবাক্স থেকে নেমে পড়েছে। গুটিগুটি পায়ে সরে পড়ার চেষ্টা করছিল, মিতিন তর্জনী তুলল, অ্যাই, একদম নড়ার চেষ্টা নয়। ফরেস্টগার্ডদের রাইফেল কিন্তু লোডেড।

সঙ্গে সঙ্গে ডি-এফ-ও হুঙ্কার ছুড়লেন, গেট সেট।

তড়াক করে একসঙ্গে সবকটা রাইফেলের সেফটিক্যাচ উঠে গেল।

চ্যালাটি মুখে অসহায়তার ভাব ফুটিয়ে বলল, ইয়ে কেয়া হো রহা হ্যায় বহিনজি?

অ্যাই, চোপ। আর হিন্দি নয়, হালদারের পো এবার বাংলায় কথা বল। বলেই এক হ্যাঁচকায় তার দাড়িটা খুলে নিল মিতিন।

ঠিক তখনই একটা ভোজবাজি ঘটল। কিংবা সার্কাস। অদ্ভুত ক্ষিপ্রতায় একখানা ব্যাক ভল্ট খেলেন মধুবাবা। প্যাকিংবাক্সের পিছনে পড়েই স্প্রিং দেওয়া ছুরির মতো লাফিয়ে উঠলেন। সাপের মতে এঁকেবেঁকে ছুটতে শুরু করেছেন প্ল্যাটফর্ম বেয়ে।

সমস্ত রাইফেলের নল ঘুরে গেছে মধুবাবার দিকে। কিন্তু তারা নিশানা স্থির করতে পারছে না। ডি-এফ-ও গর্জন করছেন, পাকড়ো। পাকড়ো।

সহসা এক আশ্চর্য কাণ্ড! তীব্র বেগে কোনও একটা বস্তু উড়ে গিয়ে আঘাত করল মধুবাবার ঘাড়ের নীচটায়। সঙ্গে সঙ্গে কাটা কলাগাছের মতো লুটিয়ে পড়লেন মধুবাবা।

সবকটা চোখ একসঙ্গে ঘুরে গেল। সুমায়ার হাতের গুলতিটা তখনও কাঁপছে থরথর। চোখ জ্বলছে সুমায়ার।

অবনী স্থানকালপাত্র ভুলে শিশুর মতো হাততালি দিয়ে উঠলেন, শাবাশ। সুমায়া তো কামাল করে দিল।

মিতিন বলল, ও আর উঠলে হয়! মাটি পুড়িয়ে গুলতির গুলি বানিয়েছে সুমায়া। আর সারান্ডা পাহাড়ের মাটিতে তো লোহা। মধুবাবার ভবলীলা বোধহয় সাঙ্গ হল।

কাছে গিয়ে অবশ্য দেখা গেল মধুবাবা ভালরকমই জীবিত। জ্ঞানও ফিরেছে, তাকাচ্ছে পিটপিট।

পার্থ ঝুঁকল, আসুন, এবার আপনার চুলদাড়িটা খুলে নিই।

অবনী বললেন, পরচুলাটা তুমি খোলো, দাড়িটা আমি খুলি। এমন দুর্দান্ত অভিযানে আমারও একটা শেয়ার থাক।

ডি-এফ-ওর কাছে পুরো ঘটনাটাই বুঝি প্রহেলিকার মতো লাগছিল। দৃশ্যটাকে মনে হচ্ছিল হ্যালুসিনেশান। মিতিন তাঁকে বাস্তবে ফেরাল। কেজো গলায় বলল, প্যাকিং বাক্স দুটো খুলে দেখে নিন। দুটো গজদন্তই আছে। আর এই মধুবাবাটিকে একটু সাবধানে নিয়ে যান। এ কিন্তু জেল ভাঙাতে দারুণ ওস্তাদ। দু-দুবার কেনিয়ার জেল থেকে পালিয়েছে।

ডি-এফ-ও হতভম্ব মুখে বললেন, আপনি একে আগে চিনতেন?

ছবি দেখেছি। এ লোকটার আসল নাম গর্জন রায়। এক অতি প্রতিভাধর শয়তান। একসময়ে নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিল। মূল বাড়ি জলপাইগুড়ির কাছে রানিনগরে। এখন বিশ্বনাগরিক। পেশা চৌর্যবৃত্তি। হাতির দাঁত লুঠ করায় ইনি স্পেশালাইজ করেছেন।

মধুবাবা ওরফে গর্জন রায়কে হাতকড়া পরিয়ে দিল বনরক্ষীরা। হালদার গোলদার জুটিরও হাতে শিকল। স্টেশনে উপস্থিত আদিবাসীদের চোখে পলক পড়ছে না। সরল মুখগুলো হাঁ হয়ে আছে বিস্ময়ে।

ট্রেনের হুইসল শোনা গেল। বারসোই যাওয়ার গাড়ি ঢুকছে প্ল্যাটফর্মে।

ডি-এফ-ও আরও কী একটা প্রশ্ন করতে যাচ্ছিলেন, মিতিন তাঁকে থামিয়ে দিল। বলল, আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। আরও একজনকে খাঁচায় পুরতে হবে।

কাকে?

সিংহমশাই। …এই গর্জন রায় যদি রাবণ হন, তো তিনি মেঘনাদ। আমার আন্দাজ বলছে, এই ট্রেনেই আমরা দৰ্শন পাব জামদার সিংহর।

টুপুরের চোখ বিস্ফারিত, পুরুষোত্তমবাবু? এই ট্রেনে আসছেন? তিনিই আড়াল থেকে..? না কি বিকাশ সিংহ?

এক্ষুনি দেখতে পাবি।

ট্রেন থামল। ওঠানামা করছে যাত্রীরা।

ডি-এফ-ওকে সঙ্গে নিয়ে কামরায় কামরায় উঁকি মারছিল মিতিন। একটা দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেল।

হিমশীতল গলায় বলল, আসুন সিংহমশাই। আমরা আপনারই পথ চেয়ে আছি।

দীর্ঘকায় মানুষটা সুড়সুড় করে নেমে এল প্ল্যাটফর্মে।

টুপুরের গলা দিয়ে শব্দ ঠিকরে এল, আরে, এ যে মুকুলবাবু!