রচনা পরিচয় (গৃহ্যসূত্র)
ঋগ্বেদের সাতটি গৃহ্যসূত্র বিলুপ্ত হয়ে গেছে; পরবর্তী সাহিত্যে উল্লিখিত হওয়ার আমরা এদের নাম জানতে পেরেছি : শৌনক, শাকল্য, ঐতরেয়, বহ্বৃচ, ভারবীয়, পরাশর ও পৈঙ্গি। ঋগ্বেদের দুটিমাত্র গৃহ্যসূত্ৰ–শাঙ্খায়ন ও আশ্বলায়ন আমাদের কাছে পৌঁছেছে। শুক্লযজুর্বেদের গৃহ্যসূত্রগুলির মধ্যেও দুটি এখন পাওয়া যায় : বাজসনেয় ও পারস্কার (‘কার্ষীয়’ নামেও পরিচিত–কাত্যায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত); ‘বাজবাপ’ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে কৃষ্ণ যজুর্বেদের ন’টি গৃহ্যসূত্রের সবগুলি আমরা পেয়েছি। এদের মধ্যে ছ’টি তৈক্তিরীয় শাখার অন্তর্গত : বৌধায়ন, ভারদ্বাজ, আপস্তম্ব, হিরণ্যকেশী সত্যাষাঢ়, বৈখানস ও অগ্নিবেশ। অবশিষ্ট তিনটি মৈত্রায়ণ শাখার অন্তর্গত : মানব, কাঠক (বা লৌগাক্ষি) ও বারাহ। সামবেদের সঙ্গে চারটি গৃহ্যসূত্র সংশ্লিষ্ট : গোভিল, জৈমিনীয়, খাদির (দ্রাহ্যায়ণ নামেও পরিচিত) এবং কৌথুম। শেষোক্ত গ্রন্থের সামান্য কিছু অংশমাত্র পাওয়া যায়; এই গুলি বিশ্লেষণ করে। মনে হয়, একে যথার্থ গৃহ্যসূত্র অপেক্ষা ‘পদ্ধতির প্রকৃতি যুক্ত সহায়ক শ্রেণীর রচনা বলাই সঙ্গত। অথর্ববেদের কৌশিক সূত্র মিশ্রশ্রেণীর রচনা—শৌতসূত্র পর্যায়ে আমরা ইতিমধ্যে এর আলোচনা করেছি।