ব্যাকহোলের বাচ্চা ঘটনা ঘটে যাবার পর আমাদের জীবনে অনেক গুলো ঘটনা ঘটল। ভালো ঘটনাগুলো এরকম :
অক্সব্রীজ স্কুলের সায়েন্স টিচার তার স্কুল ছেড়ে আমাদের স্কুল পড়াতে চলে এলেন। স্যার খুব মন দিয়ে পড়ান, আমরা জীবনের প্রথম আর্কিমিডিসের সূত্রটা বুঝতে পেরেছি।
আমাদের অনেকগুলো টক শোতে হাজির হতে হয়েছিল। টেলিভিশনে দেখাচ্ছে সেজন্যে প্রথম প্রথম আমরা বেশ নার্ভাস হয়েছিলাম, পরে যখন অভ্যাস হয়ে গেল তখন আমাদের টক শো গুলো খুব ভালো হতো। ব্ল্যাকহোলের বাচ্চার গল্পের পাশাপাশি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পেটানো নিয়ে কথা বলার কারণে অনেক স্কুলের স্যার ম্যাডামরা নাকী ছাত্রছাত্রীদের পেটানো বন্ধ করে দিয়েছেন।
টক শোতে থাকার জন্যে টেলিভিশন চ্যানেল গুলো থেকে আমরা বেশ কিছু টাকা পয়সা পেয়েছিলাম। বগার হাত খরচের দুঃখটা মিটে গিয়েছে।
মিঠুন তার মায়ের কানের দুলে প্লাস্টিকের পাথর গুলোর জায়গায় আসল হীরা দুটি লাগিয়ে দিয়েছে। তার মা নাকী পার্থক্যটা ধরতে পারেন নাই।
কর্নেল কায়েস মাঝে মাঝে আমাদের নানা জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যান। তাঁর কাছে শুনেছি জামশেদের নাকি কোর্ট মার্শাল হয়ে গেছে। কোর্ট মার্শাল মানে কী আমরা জানি না ক’কে জিজ্ঞেস করব বুঝতে পারি না।
অক্সব্রীজ স্কুলের ছেলেমেয়েরা তাদের স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে বিশাল দরখাস্ত করে বলেছে তাদের স্কুলটার কড়া নিয়ম কানুন কমিয়ে আমাদের স্কুলের মতো সহজ করে দিতে। এতে নাকী সৃজনশীলতা বেড়ে যায়। (হা-হা-হা হাসতে হাসতে মারা যাই।)
বাবা ক্রিকেট খেলা দেখতে দেখতে মাঝে মঝে চিৎকার করে বলেন, ইবু ইবু দেখে যা, তোকে টেলিভিশনে দেখাচ্ছে। কথাটা সত্যি, মাঝে মাঝেই আমাদের টেলিভিশনে দেখায়।।
বিবিসিতে আমাদের একটা সাক্ষাতকার হয়েছিল, কথাবার্তা ইংরেজীতে বলে মিঠুনই বেশি বলেছে। আমরা হু হা করে মাথা নেড়েছি মাঝে মাঝে ইয়েস নো বলেছি।
জার্মানি না ইতালির কোন কনফারেন্সে নাকী আমাদের ভাকবে। শোনার পর থেকে বগা কাটা চামুচ দিয়ে খাওয়া প্র্যাকটিস করছে।
এরকম ভালো খবর আরো অনেকগুলো আছে বলে শেষ করতে সময় নেবে। খারাপ খবরটা এরকম :
আমাদের ছোট শহরে কারাটের একটা স্কুল খুলেছে আর ঝুম্পা তার টক শোয়ের টাকা দিয়ে সেই স্কুলে ভর্তি হয়ে গেছে। এমনিতেই তার যন্ত্রণায় আমাদের জীবন শেষ, সে কারাটে শিখে গেলে আমাদের কী অবস্থা
খুব দুশ্চিন্তায় আছি।