অসময়ে আম্র এক তরুডালে দেখি।
অর্জ্জুনে কহিলা কৃষ্ণা পরম কৌতুকী।।
আশ্চর্য্য দেখহ দেব, এ বড় বিস্ময়।
এই শুনি ধনঞ্জয় যুড়ি দিব্য শর।।
দিলেন পাড়িয়া আম্র কৃষ্ণার গোচর।
আম্র হাতে করি কৃষ্ণা আনন্দিত মন।
হেনকালে আসিলেন দেবকীনন্দন।।
দ্রৌপদীর অহঙ্কার চূর্ণ করিবারে।
কহিলেন বনমালী দুঃখিত অন্তরে।।
কি কর্ম্ম করিলে পার্থ, কভু ভাল নয়।
দুরন্ত অনর্থ আজি ঘটিল নিশ্চয়।।
তোমার কি দোষ দিব, বিধির সংযোগ।
পূর্ব্বকৃত কর্ম্মবশে হৈল এই ভোগ।।
হেন বুদ্ধি হয় যার, তার কাল পূর্ণ।
পণ্ডিত জনের হয় ভ্রমে মতিচ্ছন্ন।।
নিশ্চয় মজিলে, হেন লয় মম মনে।
নহিলে কুবুদ্ধি কেন তোমা হেন জনে।।
শুনিয়া কৃষ্ণের কথা রাজা যুধিষ্ঠির।
ব্যগ্র হয়ে জিজ্ঞাসেন, কহ যদুবীর।।
যাহাতে পাইল ভয় তোমা হেন জন।
সামান্য বিষয় ইহা নহে কদাচন।।
অনর্থের হেতু এই অকালের ফল।
কাহার আশ্রম দেব এই বনস্থল।।
কোন্ মহাজন সেই, কত বল ধরে।
কিমতে রহিব এই বনের ভিতরে।।
কিমতে পাইব রক্ষা কর পরিত্রাণ।
অব্যর্থ তোমার বাক্য বজ্রের সমান।।
শ্রীকৃষ্ণ কহেন, মুনি নামে সন্দীপন।
তাঁহার আশ্রম এই শুনহ রাজন।।
যাঁর নামে সুরাসুর হয় কম্পমান।
অলঙ্ঘ্য যাঁহার বাক্য বজ্রের সমান।।
ত্রিভুবনে আছে যত সাধ্য সিদ্ধ ঋষি।
সন্দীপন তুল্য কেহ নাহিক তপস্বী।।
বহুকাল নিবসতি করে এই বন।
কদাচিৎ কোন স্থানে না যান কখন।।
তপস্যা করিতে যান প্রত্যূষ সময়।
সমস্ত দিবস সেই অনশনে রয়।।
আশ্চর্য্য দেখহ তার তপস্যার বলে।
প্রতিদিন এক আম্র এই বৃক্ষে ফলে।।
সমস্ত দিবস গেলে সন্ধ্যাকালে পাকে।
আশ্রমে আসিয়া মুনি পরম কৌতুকে।।
বৃক্ষ হৈতে আশ্র পাড়ি করেন ভক্ষণ।
এইমতে বহুকাল আছে সন্দীপন।।
হেন আশ্র দৌপদীকে পাড়ি দিল পার্থ।
দোঁহার কর্ম্মের দোষে হইল অনর্থ।।
তপস্যা করিয়া মুনি আশ্রমেতে আসি।
আম্র না পাইয়া করিবেক ভস্মরাশি।।
চিন্তিয়া না দেখি কিছু ইহার উপায়।
কি কর্ম্ম করিলে পার্থ কৃষ্ণার কথায়।।
শুনিয়া কৃষ্ণের মুখে রাজা যুধিষ্ঠির।
বিপদ্ জানিয়া বড় হলেন অস্থির।।
করাযোড়ে কহিলেন গোবিন্দের আগে।
পাণ্ডবের ভালমন্দ তোমারে যে লাগে।।
পাণ্ডবেরে রক্ষা করে, নাহি হেন জন।
গুপ্ত কথা নহে এই দেবকীনন্দন।।
রাখিবে রাখহ, নহে যাহা লয় মনে।
তোমার আশ্রিত জনে মারে কোন্ জনে।।
তোমা হৈতে যেই কর্ম্ম না হবে শমতা।
অন্যজন সে কর্ম্মেতে চিন্তা করে বৃথা।।
তোমার আশ্রিত মোরা ভাই পঞ্চ জন।
কিমতে পাইব রক্ষা, কহ নারায়ণ।।
শুনিয়া ধর্ম্মের কথা কহেন শ্রীপতি।
বৃক্ষেতে ফলিয়া আম্র আছিল যেমতি।।
সেই মত বৃক্ষে যদি লাগে পুনর্ব্বার।
তবে সে হইবে রাজা সবার নিস্তার।।
যুধিষ্ঠির বলিলেন, এ তিন ভুবন।
ত্রিবিধ সমস্ত লোকে পালে যেই জন।।
উৎপত্তি প্রলয় হয় যাঁহার আজ্ঞায়।
ডালে আম্র লাগাইতে তাঁর কোন্ দায়।।
গোবিন্দ বলেন, এক আছে প্রতিকার।
বৃক্ষডালে আম্র লাগে, সবার নিস্তার।।
করিলে করিতে পার, নহে বড় কাজ।
কপট ত্যজিয়া যদি কহ ধর্ম্মরাজ।।
যুধিষ্ঠির বলে, কৃষ্ণ যে আজ্ঞা তোমার।
মম সাধ্য হয় যদি, কর প্রতিকার।।
প্রতিকারে মৃত্যু ইচ্ছা করে কোন জনে।
আজ্ঞা কর পালিব তা করি প্রাণপণে।।
গোবিন্দ বলেন, রাজা নহে বড় কাজ।
সবার নিস্তার হয়, শুন মহারাজ।।
দ্রুপদনন্দিনী আর তোমা পঞ্চ জন।
কোন কথা অনুক্ষণ জাগে কার মনে।।
সবার মনের কথা কহ মম আগে।
কপট ত্যজিয়া কহ, তবে আম্র লাগে।।
এইমত সর্ব্বজনে করে অঙ্গীকার।
প্রথমে কহেন কথা ধর্ম্মের কুমার।।
শুন চিন্তামণি চিন্তা করি অনুক্ষণ।
পূর্ব্বমত বিভবাদি হইলে নারায়ণ।।
ব্রাহ্মণ ভোজন যজ্ঞ করি অহর্নিশি।
ইহা বিনা অন্য আমি নহি অভিলাষী।।
অনুক্ষণ মম মনে এই মনোরথ।
শুনিয়া অকাল আম্র উঠে কত পথ।।
আশ্চর্য্য দেখিয়া সবে হরিষ অন্তর।
কহিতে লাগিল তদন্তরে বৃকোদর।।
ভীম বলে, কৃষ্ণচন্দ্র শুন মম বাণী।
এই চিন্তা করি আমি দিবস রজনী।।
গদাঘাতে শত ভাই কৌরব সংহারি।
দুষ্ট দুঃশাসন-বুক নখ দিয়া চিরি।।
উদর পূরিব আমি তাহার শোণিতে।
কৃষ্ণার কুন্তল বান্ধি দিব এই হাতে।।
মহামদে মত্ত হয়ে দুষ্টবুদ্ধি কুরু।
বস্ত্র তুলি দ্রৌপদীরে দেখাইল ঊরু।।
ভাঙ্গিয়া পাড়িব রণমধ্যে গদা মারি।
এই চিত্তে করি আমি দিবস শর্ব্বরী।।
এতেক কহিল যদি ভীম মহামতি।
কত দূরে আম্র তবে উঠে ঊর্দ্ধগতি।।
অর্জ্জুন কহেন, এই জাগে মম মনে।
অরণ্যে যখন আসি ভাই পঞ্চ জনে।।
দুই হাতে চতুর্দ্দিকে ফেলাইনু ধূলা।
তাদৃশ অস্ত্রেতে কাটি দুষ্ট ক্ষত্রগুলা।।
দিব্যবাণে কর্ণবীরে করিব নিধন।
ভীমসেন মারিবেক ভাই শত জন।।
এ সব ভাবিয়া করি কালের হরণ।
আমার মনের কথা মুন নারায়ণ।।
তবে আম্র কতদূরে উঠে ঊর্দ্ধপথে।
নকুল কহিল তবে কৃষ্ণের সাক্ষাতে।।
শুন কৃষ্ণ যেই কথা মনে চিন্তা করি।
দেশে গিয়া রাজা হৈলে ধর্ম্ম-অধিকারী।।
পূর্ব্বমত রব আমি হয়ে যুবরাজ।
ধর্ম্মরাজে ভেটাইব নৃপতি সমাজ।।
বিচারিয়া বলিব দেশের ভাল মন্দ।
তবে আম্র কতদূরে উঠিল স্বচ্ছন্দ।।
সহদেব বলে, অনুক্ষণ ভাবি সনে।
রাজ্যে গিয়া যুধিষ্ঠির বসিলে আসনে।।
করিব রাজার আগে চামর ব্যজন।
লইব সবার তত্ত্ব, যত পুরজন।।
নিযুক্ত রহিব নিত্য ব্রাহ্মণ-ভোজনে।
সব দুঃখ পাসরিব জননী পালনে।।
মনের মানস কহিলাম অকপটে।
এতেক কহিতে আম্র কত দূর উঠে।।
অতঃপর ধীরে ধীরে বলে যাজ্ঞসেনী।
ইহা চিন্তা করি আমি দিবস রজনী।।
আমারে দিয়াছে দুঃখ দুষ্টগণ যত।
ভীমার্জ্জুন হাতে হবে সর্ব্ব জন হত।।
তা সবার নারীগণ কান্দিবেক দুঃখে।
দেখি পরিহাস করি মনের কৌতুকে।।
পূর্ব্বমত নিত্য করি যজ্ঞ মহোৎসব।
পালন করিব সুখে যতেক বান্ধব।।
এতেক কহিলা যদি কৃষ্ণা গুণবতী।
পুনর্ব্বার আম্রের হইল অধোগতি।।
মহাভীত হয়ে তবে কহে যুধিষ্ঠির ।
কি হেতু পড়িল আম্র, কহ যদুবীর।।
গোবিন্দ বলেন, রাজা কি কহিব কথা।
সকল করিল নষ্ট দ্রুপদদুহিতা।।
কহিল সকল যত কপট বচন।
সে কারণ পড়ে আম্র ধর্ম্মের নন্দন।।
ব্যগ্র হয়ে পঞ্চ ভাই কহে করপুটে।
উপায় করহ কৃষ্ণ, যাহে আম্র উঠে।।
গোবিন্দ কহেন, কৃষ্ণা কহ সত্য কথা।
নিশ্চয় বৃক্ষেতে আম্র লাগিবে সর্ব্বথা।।
কহিল কৃষ্ণার প্রতি ধর্ম্ম-নরপতি।
কি কারণে সৃষ্টি নষ্ট কর গুণবতী।।
কপট ত্যজিয়া কহ গোবিন্দের আগে।
সবার জীবন রয়, গাছে আম্র লাগে।।
এতেক কহিল যদি ধর্ম্মের তনয়।
কিছু না কহিয়া দেবী মৌনভাবে রয়।।
দেখিয়া কুপিল তবে পার্থ ধনুর্দ্ধর।
দ্রৌপদীরে মারিবারে যুড়ে দিব্য শর।।
অর্জ্জুন কহেন, শীঘ্র কহ সত্য কথা।
কাটিব নচেৎ তীক্ষ্ণ শরে তোর কাথা।।
এতেক কহিল যদি পার্থ মহামতি।
লজ্জা ত্যজি কহে তবে কৃষ্ণা গুণবতী।।
দ্রৌপদী কহিল, দেব কি কহিব আর।
কায়মনোবাক্যে তুমি জান সবাকার।।
যজ্ঞকালে কর্ণ বীর আসিল যখন।
তারে দেখি মনে মনে চিন্তিনু তখন।।
এই জন হৈত যদি কুন্তীর নন্দন।
ইহার সহিত পতি হৈত ছয় জন।।
এখন হইল সেই কথা মম মনে।
এতেক কহিতে আম্র উঠে সেইক্ষণে।।
বৃক্ষেতে লাগিল যেন ছিল পূর্ব্বমত।
আশ্চর্য্য মানিয়া সবে হৈল আনন্দিত।।
নিস্তার পাইয়া মৌনে রন যুধিষ্ঠির।
গর্জ্জিয়া উঠিয়া কহে বৃকোদর বীর।।
এই কি তোমার রীতি কৃষ্ণা দুষ্টমতি।
এক পতি সেবা করে সতী কুলবতী।।
বিশেষে তোমার এই পতি পঞ্চ জন।
তথাপি বাঞ্ছহ মনে সূতের নন্দন।।
ইহাতে কহাস লোকে পতিব্রতা সতী।
প্রকাশ করিলি তোর কুৎসিত প্রবৃত্তি।।
সভামধ্যে বলে সবে পরম পবিত্র।
এত দিনে ব্যক্ত হৈল নারীর চরিত্র।।
অবিশ্বাসী সর্ব্বনাশী তুই দুষ্টমতি।
কি জন্য হইল তোর এম কুরীতি।।
যদ্যপি শত্রুর প্রতি আছে তোর মন।
বিশ্বাস করিবে তোরে আর কোন্ জন।।
এত বলি মহাক্রোধ গদা লয়ে ভীম।
দ্রৌপদী মারিতে যায় বিক্রমে অসীম।।
ঈষৎ হাসিয়া তবে দেব জগন্নাথ।
শীঘ্রগতি ভীমের ধরেন দুই হাত।।
সহাস্যে শ্রীমুকে তবে কহে ভীমসেনে।
দ্রৌপদীরে নিন্দা তুমি কর অকারণে।।
কদাচিৎ দ্রৌপদীর দুষ্ট নহে মন।
কহিব তোমারে আমি ইহার কারণ।।
সকল বৃত্তান্ত জানি সবাকার আমি।
অকারণে দ্রৌপদীর দুষ্ট নহে মন।
কহিব তোমারে আমি ইহার কারণ।।
সকল বৃত্তান্ত জানি সবাকার আমি।
অকারণে দ্রৌপদীরে নিন্দ ভীম তুমি।।
নারী মধ্যে এমত নাহিক কোন জন।
তবে যে কহিল কৃষ্ণা ত্রাসের কারণ।।
ইহার কারণ আছে, অতি গুপ্তকথা।
এখন উচিত নহে, কহিব সর্ব্বথা।।
দেশে গিয়া নরপতি বসিলে আসনে।
বলিব বিশেষ করি তবে পঞ্চজনে।।
কৃষ্ণার সমান সতী পতিব্রতা নারী।
ক্ষিতিমধ্যে নাহি কেহ, কহিবারে পারি।।
শুনিয়া কৃষ্ণের মুখে এতেক উত্তর।
নিবৃত্ত হইয়া বসে বীর বৃকোদর।।
আশ্চর্য্য মানিল যুধিষ্ঠির নৃপমণি।
লজ্জায় মলিন মুখে রহে যাজ্ঞসেনী।।
অপুর্ব্ব কৃষ্ণের মায়া কে বুঝিতে পারে।
কেবল কৃষ্ণার গর্ব্ব চূর্ণ করিবারে।।
করিলেন এত ছদ্ম মিথ্যা প্রবঞ্চনা।
কৌতুকেতে স্নান দান করে সর্ব্ব জনা।।
আহার করিল ফলমূল কুতূহলে।
পঞ্চ ভাই কৃষ্ণেরে কহিল হেনকালে।।
অতঃপর জগন্নাথ কর অবধান।
এ স্থান হইতে করি আমরা প্রস্থান।।
শ্রীকৃষ্ণ কহেন, আসিয়াছ মুনি স্থানে।
বিনা সম্ভাষিয়া তাঁরে যাইব কেমনে।।
অন্য কেহ নহে রাজা তুমি উপস্থিত।
আসিয়া আশ্রমে মুনি হবেন দুঃখিত।।
বলিবেন যুধিষ্ঠির আশ্রমেতে আসি।
অবজ্ঞা করিয়া গেল মোরে না সম্ভাষি।।
সে হেতু দিনেক থাকা হেথা যুক্তি হয়।
এ যুক্তি সবার মনে লয় কি না লয়।।
ধর্ম্ম বলিলেন, দেব যে আজ্ঞা তোমার।
ভুবন ভিতরে লঙ্ঘে হেন শক্তি কার।।
এত বলি মনঃসুখে রহে সর্ব্বজন।
হেথা মুনি জানিলেন কৃষ্ণ আগমন।।
নিজের প্রশংসা করে নিজে বহুতর।
ধন্য আমি, সুপবিত্র হৈল কলেবর।।
তপস্যা করিয়া যাঁর দৃষ্টি অভিলাষী।
অযত্নে তাঁহার দেখা পাই ঘরে বসি।।
এত বলি মনঃসুখে তুলি ফলমুল।
হরিষ অন্তরে চলে হইয়া ব্যাকুল।।
আশ্রমে আসিয়া মুনি হৈল উপনীত।
মধ্যাহ্ন সময়ে যেন আদিত্য উদিত।।
পূরাইতে জনার্দ্দন ভক্ত মনোরথ।
আসিলেন অগ্রসরি কতদূর পথ।।
সেইমত সর্ব্বজন আসিল সংহতি।
মুনিবরে প্রণমিল সবে হৃষ্টমতি।।
শ্রীকৃষ্ণে দেখিয়া কহে মুনি সন্দীপন।
অনন্ত তোমার মায়া জানে কোন জন।।
তুমি ব্রহ্মা, তুমি শিব, তুমি নারায়ণ।
কি শক্তি আমার প্রভু করিতে স্তবন।।
বহুমত স্তব করি মুনি সন্দীপন।
আশ্রমে আসিয়া দিল বসিতে আসন।।
তদ্রুপ আসন দেন আর সর্ব্বজনে।
রহিলেন সবর্বজন আনন্দিত মনে।।
অতিথি বিধানে কৈল সবাকার পূজা।
পরম আনন্দমতি যুধিষ্ঠির রাজা।।
নানা কথা কৌতুকেতে রহে মনোরথে।
রজনী বঞ্চিয়া সবে উঠিল প্রভাতে।।
পঞ্চ ভাই প্রণমিল তপোধন-বরে।
বিদায় হইয়া যান হরিষ-অন্তরে।।
কহিলেন কৃষ্ণ তবে মুনি সন্দীপনে।
সম্ভাষ করিল পাণ্ডপুত্র পঞ্চ জনে।।
তথা হৈতে পূর্ব্বভিতে করেন গমন।
দুই দিকে দেখে কত রমণীর বন।।
ভারত-পঙ্কজ-রবি মহামুনি ব্যাস।
পাঁচালী প্রবন্ধে কহে কাশীরাম দাস।।