মালী, সুমালী ও মাল্যবানের জন্ম-বৃত্তান্ত
তবে সুকেশের বর দিলেন পার্ব্বতী।
তাহা হৈতে হৈল যত রাক্ষস উৎপত্তি।।
পার্ব্বতীর বরে তার বাড়িল সম্মান।
তাহারে গন্ধর্ব্ব এক কন্যা দিল দান।।
স্ত্রী পুরুষে রহিলেন পৃথিবী ভিতরে।
তিন পুত্র হৈল তার কত দিন পরে।।
পুত্র দেখি সুকেশ পরম কুতূহলী।
নাম রাখে মাল্যবান, মালী ও সুমালী।।
তিন ভাই মিলি তপ করিল বিস্তর।
ব্রহ্মা বলে কিবা বর চাহ নিশাচর।।
মন্ত্রণা করিয়া বর মাগে তিন জন।
স্বর্গ মর্ত্ত্য পাতালে জিনিব ত্রিভুবন।।
সংগ্রামেতে কোথাও না পাই অপমান।
এই বর দিতে ব্রহ্মা করহ বিধান।।
ব্রহ্মা বলে ত্রিভুবন জয়ী হবে সবে।
সংগ্রামে বিষ্ণুর ঠাঁই পরাভব হবে।।
ব্রহ্মার বরেতে তারা ত্রিভুবন জিনে।
দেবতা গন্ধর্ব্ব ধরি বেঁধে বেঁধে আনে।।
আছিল গন্ধর্ব্ব-রাজ শৈব সদাচারী।
তিন কন্যা ভূপতির পরমা সুন্দরী।।
বিভা কৈল মালী ও সুমালী মাল্যবান।
দুনারীর গর্ভে জন্ম এগার সন্তান।।
বীরবসু সুচিক আর যজ্ঞ ও কোপন।
তালভঙ্গ সিংহনাদ মাধব নন্দন।।
প্রহস্ত ও অকম্পন ধর্ম্মেতে বিকট।
সুনিতান বিড়ালাক্ষ রণেতে উৎকট।।
সত্রাজিত নামে পুত্র প্রবল প্রখর।
দু-জনার পুত্র হৈল বিষম দুষ্কর।।
অবশেষে কন্যা হৈল দুষ্কর কর্কশা।
রাবণের মাতা সেই নামটি নিকষা।।
সুমালী রাক্ষসের নারী পরমা যুবতী।
চারি পুত্র হৈল তার ধর্ম্মশীল অতি।।
বীর অনল ভীম ও রাক্ষস সম্পাতি।
রহিয়াছে আসি বিভীষণের সংহতি।।
তিন ভাইয়ের পরিবার বাড়িল বিস্তর।
সেই সব নিশাচর অবনী ভিতর।।
সকল রাক্ষস মিলি করিল যুকতি।
এতেক রাক্ষস কোথা করিব বসতি।।