ভোরবেলা গৌরী আর ললিতা সেরিনার বাসায় এসে বেল বাজায়। সকাল বেলা তাদের সেরিনাকে নিয়ে স্কুলে যাবার কথা। কেউ দরজা খুলল না তখন তারা আরো কয়েকবার বেল বাজালো। এবারও কেউ দরজা খুললো না। তখন তারা কয়েকবার জোরে জোরে সেরিনার নাম ধরে ডাকল। তারপরও কেউ দরজা খুলল না। তখন দুজনেই একটু দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। কী করবে সেটা নিয়ে যখন চিন্তা করছে ঠিক তখন বিলকিসকেও দেখা গেল, এতো সকালে সেও চলে এসেছে
বারবার বেল বাজানোর পর ডাকাডাকি করার পরও কেউ দরজা খুলছে না শুনে বিলকিসও দুর্ভাবনায় পড়ে গেল। বিলকিস তখন গিয়ে দরজায় একটা ধাক্কা দিতেই দরজাটা খুলে যায়। তারা সবাই তখন একজন আরেকজনের মুখের দিকে তাকাল, দরজাটা খোলা কেন? হঠাৎ করে তাদের বুকের ভেতর এক ধরনের আতংক হতে থাকে। পা টিপে টিপে তারা বাসায় ভেতরে ঢুকলো। ডাইনিং টেবিলের ওপর কয়েকটা বই, পাশে একটা ঘর, দরজা খোলা। অন্য ঘরটা সেরিনার সেখানে উঁকি দিতেই তারা চমকে উঠল, সেখানে একটা চেয়ারে সেরিনার বাবা শামীমকে বেঁধে রাখা হয়েছে। তার মুখের মাঝে টেপ লাগানো তাই কোনো শব্দ করতে পারছে না।
তিনজন একসাথে চিৎকার করে উঠল তারপর তারা শামীমের কাছে। ছুটে গেল। বিলকিস টান দিয়ে মুখের টেপটা খুলে দেয়, গৌরী আর ললিতা হাতের বাধন খোলার জন্যে টানাটানি করতে থাকে, কিন্তু শক্ত করে বাঁধা বলে খুলতে পারছিল না। শামীম বুক ভরে কয়েকবার নিশ্বাস নিয়ে বলল, “সেরিনাকে ধরে নিয়ে গেছে।”
“কে ধরে নিয়েছে?”
“তিন চারজন মানুষ এসেছিল–” শামীম ভাঙা গলায় বলল, “মেয়েটা আমার কোথায় আছে? কেমন আছে?”
গৌরী বলল, “চাচা, আমরা জানি সেরিনাকে কারা ধরে নিয়ে গেছে।”
শামীম চিৎকার করে বলল, “তোমরা জান? কারা? কোথায়?”
গৌরী বলল, “দাঁড়ান চাচা, আমরা বলছি, আগে আপনার হাত পায়ের দড়িটা কেটে দেই।”
শামীম বলল, “রান্নাঘরের টেবিলে দেখ, চাকু আছে।”
রান্নাঘরের টেবিল থেকে একটা বড় চাকু এনে তারা শামীমের হাত পায়ের দড়ি কেটে দিল। শামীম হাত আর পায়ে টিপে টিপে রক্ত সঞ্চালন করতে করতে বলল, “কারা সেরিনাকে ধরে নিয়েছে? তোমরা কেমন করে জান?”
বিলকিস বলল, “সেরিনা আমাদের বলেছে।”
“সেরিনা তোমাদের বলেছে? তাহলে আমাকে কেন কিছু বলল না?” শামীম অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে রইল।
গৌরী বলল, “মনে হয় আপনি দুশ্চিন্তা করবেন বলে আপনাকে বলে নাই।”
ললিতা বলল, “একটা বিদেশী লোক আছে। কালো চশমা পরে থাকে।”
গৌরী বলল, “ওরা একটা এনজিও। শহরের শেষে যে বড় নূতন বিল্ডিং তৈরী করেছে সেইখানে আছে।”
“তুমি কেমন করে জান?”
“বাবা বলেছে। এই এনজিও বিল হাওর রক্ষা করার জন্যে এসেছে। আমার বাবা মাছ ধরে–ওরা বাবাদের সাথে কথা বলেছে। বাবা জানে।”
“তুমি এনজিওর নাম জান?”
গৌরী মাথা চুলকালো, বলল, “বাবা নাম বলেছিল, এখন ভুলে গেছি।”
শামীম বলল, “কোনো সমস্যা নাই। আমি বের করে নেব।”
বিলকিস বলল, “আপনি এখনই থানায় ফোন করেন। ফোন করে সবকিছু বলেন।”
শামীম যখন থানায় ফোন করছে তখন বাকী তিনজন তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রইল। শামীম ফোনে কথা বলতে শুরু করতেই টের পেয়ে গেল এখানে অন্য কোনো ব্যাপার ঘটে গেছে, ফোনে কথা বলে লাভ নেই। তারা তার কথা শুনতেই চায় না, বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর বলল, তারা একজনকে তার বাসায় পাঠাচ্ছে। শামীম যেন বাসায় অপেক্ষা করে।
বিলকিস তখন নিচু গলায় গৌরী আর ললিতাকে ডেকে বলল, “এই তোরা শোন।”
“কী হয়েছে?”
“এইভাবে হবে না।”
“তাহলে কী করবি?”
বিলকিস ফিসফিস করে বলল, “চল, তাড়াতাড়ি স্কুলে যাই।”
“স্কুলে গিয়ে কী করবি?”
“সবাইকে বলি। তারপর সবাই মিলে আমরা ঐ এনজিও অফিসটা আক্রমণ করি।”
গৌরী বলল, “আক্রমণ করি?”
“হ্যাঁ। তা না হলে সেরিনাকে বাঁচাবি কেমন করে?”
শান্তশিষ্ট ললিতা মাথা নাড়ল, বলল, “ঠিকই বলেছিস। চল যাই।”
তাই শামীম যখন অস্থির হয়ে তার ঘরে ছটফট করছে তখন বিলকিস, গৌরী আর ললিতা তাদের স্কুলের দিকে ছুটছে। তারা যখন স্কুলে পৌঁছেছে। তখন মাত্র এসেম্বলী শুরু হয়েছে। বড় আপা সব মেয়েদেরকে বিজ্ঞানী মাদাম কুরীর গল্প বলছেন তার মাঝে দৌড়াতে দৌড়াতে তিনজন এসেম্বলীর সামনে হাজির হল। বড় আপা চোখ কপালে তুলে বললেন, “কী হল? তোমরা এতো দেরী করে এখানে?”
বিলকিস বলল, “বড় আপা, সর্বনাশ হয়ে গেছে।”
বড় আপা ভয় পেয়ে বললেন, “কী সর্বনাশ?”
“সেরিনাকে ধরে নিয়ে গেছে।”
পুকুরের তলা থেকে একজনকে উদ্ধার করার পর, স্কুলের জন্যে। সাঁতার প্রতিযোগিতায় জাতীয় পুরস্কার আনার পর থেকে সবাই সেরিনাকে চিনে। কাজেই এসেম্বলীতে দাঁড়িয়ে থাকা সব মেয়ে এক ধরনের আর্ত চিৎকার করল। বড় আপা জিজ্ঞেস করলেন, “কে সেরিনাকে ধরে নিয়ে গেছে?”
বিলকিস বলল, “একজন বিদেশী। তাদের একটা এনজিও অফিস আছে।”
“তোমরা কেমন করে জান?”
গৌরী বলল, “আমরা সেরিনার বাসায় গিয়েছিলাম। সেরিনার আব্বুকে বাসায় দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল, আমরা গিয়ে ছুটিয়েছি।”
“পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে?”
গৌরী বলল, “লাভ নাই।”
বড় আপা ভুরু কুঁচকে বললেন, “লাভ নাই?”
“না, পুলিশ কোনো পাত্তা দিচ্ছে না।”
“কী বল পাত্তা দিচ্ছে না–আমি এক্ষুণি ফোন করছি।”
বিলকিস মাথা নেড়ে বলল, “বড় আপা আমাদের সময় নাই।”
“কীসের সময় নাই?”
“সেরিনাকে বাঁচানোর। ওরা সেরিনাকে মেরে ফেলবে–”
“কী বলছ তুমি? কেন সেরিনাকে মেরে ফেলবে?”
গৌরী কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল, “সেরিনার একটা বিশেষ ক্ষমতা আছে–সেই ক্ষমতার জন্যে তাকে ধরে নিতে আসছে, ধরে কেটে কুটে ফেলবে। আমাদের এক্ষুণি যেতে হবে।”
“কোথায় যেতে হবে?”
“এনজিও অফিসে। গিয়ে ঘেরাও করতে হবে। আমরা যদি না। ছোটাই কেউ সেরিনাকে বাঁচাতে পারবে না। আমাদের হাতে একটুও সময় নাই। প্লীজ বড় আপা। প্লীজ।”
বড় আপা কিছুই বুঝতে পারছিলেন না, খানিকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বললেন, “তোমরা কী বলছ আমি কিছুই বুঝতে পারছি না! তোমরা এখানে কী করবে?”
ললিতা বলল, “স্কুলের সব মেয়ে নিয়ে এনজিও অফিস ঘেরাও করে ভেতর থেকে সেরিনাকে ছুটিয়ে আনব।”
বড় আপা চোখ কপালে তুলে বললেন, “কী বলছ তোমরা পাগলের মতো?”
“সত্যি বলছি বড় আপা। এ ছাড়া কোনো উপায় নাই।”
বিলকিস তখন এসেম্বলীতে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার খানেক মেয়ের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করল, “তোমরা আমাদের সাথে সেরিনাকে বাঁচানোর জন্যে যাবে?”
সব মেয়ে এক সাথে চিৎকার করে বলল, “যাব।”
বিলকিস বলল, “তাহলে চল।”
সব মেয়ে তখন চিষ্কার করতে করতে বের হতে শুরু করল, বড় আপা বললেন, “দাঁড়াও দাঁড়াও। আগেই যেও না—”
কিন্তু ততক্ষণে সবাই স্কুল থেকে বের হয়ে বিলকিস গৌরী আর ললিতার পিছু পিছু ছুটতে শুরু করেছে। দেখতে দেখতে শহরের রাস্তাঘাটের যত গাড়ী, টেম্পো, রিক্সা, স্কুটার আছে সব থেমে গেল আর তার ভেতর দিয়ে শত শত মেয়ে ছুটতে লাগল।
.
সেরিনাকে একটা কমলা রংয়ের জাম্পস্যুট পরানো হয়েছে। তার কপালের দুই পাশে দুইটা মনিটর লাগানো। সাদা এপ্রন পরা একজন মানুষ হাতে একটা সিরিঞ্জ নিয়ে সেরিনার কাছে এগিয়ে এল। সেরিনা ক্লান্ত গলায় জিজ্ঞেস করল, “এটা কী?”
“তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে একটা ইনজেকশান।”
“কেন আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছেন?”
“তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে তোমার শরীরটা শীতল করে ফেলা হবে তুমি কিছু টের পাবে না।”
সেরিনা স্থির চোখে সাদা এপ্রন পরা মানুষটার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, “আপনাকে এই কাজ করার জন্যে কতো টাকা দিয়েছে?”
মানুষটির মুখের মাংশপেশী শক্ত হয়ে গেল, বলল, “তুমি নড়বে না।”
সেরিনা বলল, “আপনার ছেলে মেয়ে আছে? আমাকে শেষ করে দেওয়ার জন্যে আপনাকে যে টাকা দিবে সেই টাকা দিয়ে আপনি আপনার ছেলে মেয়েদের খেলনা কিনে দেবেন? তাদেরকে শিশুমেলা নিয়ে যাবেন?”
মানুষটা কঠিন গলায় বলল, “তুমি বেশী কথা বলবে না মেয়ে।”
ঠিক তখন জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রথম একটা ঢিল এসে পড়ল। তারপর একটার পর একটা ঢিল পড়তে লাগল। এবং সাথে সাথে অসংখ্য মেয়ে কন্ঠের চিৎকার শোনা যেতে লাগল।
বিদেশী মানুষটা দৌড়ে ঘরে এসে ঢুকল, ইংরেজীতে জিজ্ঞেস করল, “কী হয়েছে?”
ঘরের ভেতরে আরো যেসব মানুষ আছে তারা সাবধানে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে ভয় পাওয়া গলায় বলল, “বুঝতে পারছি না। হাজার হাজার মেয়ে লাঠি সোটা ঢিল নিয়ে আক্রমণ করেছে।”
“কেন?”
“বুঝতে পারছি না। মনে হয় এই মেয়েটাকে নিয়ে যেতে এসেছে।”
“এরা কেমন করে জানল, মেয়েটা এখানে আছে?”
“জানি না। খুবই বিচিত্র ব্যাপার।”
বিদেশীটার মুখ পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেল, সে ভদ্রলোকের মতো দেখতে মানুষটার দিকে তাকিয়ে বলল, “তুমি বলেছিলে এই প্রজেক্টটা তুমি তুলে দেবে। এখন এসব কী হচ্ছে? এখন কী হবে?”
মানুষটা মাথা চুলকে বলল, “একটু ঝামেলা হয়ে গেল। এর মাঝে স্কুলের মেয়েরা কেমন করে চলে এসেছে বুঝতে পারছি না।”
“হেলিকপ্টার কোথায়?”
“এখনো আসে নাই। চলে আসবে।”
বিদেশী মানুষটা খেঁকিয়ে উঠল, “কখন চলে আসবে?”
ভদ্রলোকের মতো দেখতে মানুষটা বলল, “হেলিকপ্টার এলেও মনে হয় আর লাভ হবে না।”
“কেন?”
মানুষটা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে বলল, “মেয়েরা দেওয়াল টপকে ভিতরে ঢুকতে শুরু করেছে। হাতে লাঠি সোটা।”
এই প্রথম বিদেশী মানুষটার মুখে ভয়ের একটা চিহ্ন দেখা গেল, শুকনো গলায় বলল, “আমাদের গার্ড কোথায়?”
“গার্ড দিয়ে এদের ঠেকানো যাবে না। অনেক মেয়ে! হাজার হাজার।”
সেরিনার মুখে হাসি ফুটে উঠল, বলল, “আপনারা বলেছিলেন, আপনাদের কেউ ঠেকাতে পারবে না! আমার স্কুলের মেয়েরাই ঠেকিয়ে দিয়েছে।”
বিদেশীটা বলল, “কী বলছে এই মেয়ে?”
ভদ্রলোকের মতো দেখতে মানুষটা সেরিনার কথাটাকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিল। বিদেশীটা সেরিনার দিকে ঘুরে তাকিয়ে বলল, “এই মেয়ে! তুমি জেনে রাখো–আমি তোমাকে ধরে নিয়ে যাবই যাব।”
সেরিনা ইংরেজীতে বলল, “কীভাবে? আমাদের মেয়েরা আমাকে বাঁচাবে। নিতে দেবে না।”
“আমি তোমার শরীরে একটা ট্রাকিওশান ঢুকিয়ে দেব। সেই ট্রাকিওশান তোমার শরীরের ভেতর থেকে সিগনাল দিবে! তুমি পৃথিবীর যেখানেই থাকো তোমাকে খুঁজে বের করব। আমাদের এজেন্সির এজেন্টরা তোমাকে খুঁজে বের করে ধরে নিয়ে যাবে!”
সেরিনা ভয় পাওয়া চোখে বিদেশীটার দিকে তাকিয়ে রইল, মানুষটি সত্যি কথা বলছে না ভয় দেখাচ্ছে সে বুঝতে পারল না।
বিদেশী মানুষটি মিথ্যা ভয় দেখাচ্ছিল না, সে প্রায় ছুটে ঘরের এক কোনায় রাখা একটা বাক্স খুলে সেখান থেকে সাবধানে একটা ছোট স্টিলের টিউব বের করে আনে। তার ভেতর থেকে একটা ইলেকট্রনিক যন্ত্র বের করে কোথায় চাপ দিতেই বিপ বিপ শব্দ করে একটা বাতি জ্বলে উঠল, সেটা হাতে নিয়ে সে সেরিনার দিকে এগিয়ে আসে, তারপর সেরিনা কিছু বোঝার আগেই তার ঘাড়ে একটা ধারালো সূঁচ ঢুকিয়ে দেয়। তীব্র যন্ত্রণায় সেরিনা চিৎকার করে উঠল আর ঠিক তখন দরজা ভেঙ্গে ভিতরে অনেকগুলো মেয়ে ঢুকলো, সবার সামনে বিলকিস। তার হাতে বড় একটা ঢিল, কেউ কিছু বোঝার আগে সে বিদেশীটাকে লক্ষ্য করে ঢিলটা ছুঁড়ে দিল।
সাথে সাথে একটা আর্তনাদের মতো শব্দ করে বিদেশীটা নিজের মুখ ঢেকে বসে পড়ে। বিলকিস চিৎকার করে বলল, “ধর শূয়রের বাচ্চাকে।” সত্যি সত্যি তাকে ধরার জন্যে সবাই ভিতরে ঢুকে যায়।
অসংখ্য মেয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে গেছে। বেশীর ভাগ সেরিনাকে ঘিরে দাঁড়াল, কেউ একজন জিজ্ঞেস করল, “সেরিনা, তুই ভালো আছিস?”
“হ্যাঁ। ভালো আছি। কিন্তু আমার ঘাড়ে কি যেন লাগিয়েছে খুব ব্যথা করছে। একটু খুলে দিবি?”
একজন এগিয়ে এসে হ্যাঁচকা টানে ঘাড় থেকে সেটা খুলে ফেলল। তারপর সেরিনার হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিতে লাগল।
ঠিক তখন পুলিশের বাঁশী শোনা গেল। পুলিশ চলে এসেছে কিন্তু কাকে বাঁচানোর জন্যে এসেছে সেটা তখনো কেউ বুঝতে পারছিল না।