০৯. জাহাজডুবির পর

৯. জাহাজডুবির পর

পরদিন যখন সূর্য ওঠবার সময়, তখনও ভয়ংকর ক্রোধে ঝড় আছড়াচ্ছে দ্বীপের ওপর। তখনও সমুদ্রে উদ্দাম ঢেউয়ের মাতামাতি। কী তার গর্জন, আর কী তার দামাল উচ্ছ্বাস! এই আবহাওয়ায় স্কুনারটা যে সাগরপাড়ি দেবে না, তাতে কোনোই সন্দেহ নেই।

গুহা থেকে বেরিয়ে এসে বাস্‌কেথ চারদিকে তাকালে, তারপর দেখতে পেলে অন্তরীপের দুশো গজ দূরে উত্তর দিকে ভাঙাচোরা একটা জাহাজ প’ড়ে আছে। প্রায় পাঁচশোটন ভার বইতে পারতো যে-জাহাজ, সেই মস্ত জাহাজটা এখন প্রায় চুরমার হ’য়ে গিয়েছে। জলদস্যুরা এই জাহাজডুবির কথা জেনেছে কি না, বাস্‌কেথ তা বুঝতে পারছিলো না। যদি জানতে পেরে থাকে তবে নিশ্চয়ই অকুস্থলে গিয়ে হাজির হয়েছে, নিদেন সেদিকে যাবে ব’লে রওনা হয়েছে।

বাস্‌কেথ খুঁটিয়ে দেখবার চেষ্টা করলে জায়গাটা। যতক্ষণ-না তাদের অনুপস্থিতি সম্বন্ধে সে নিশ্চিত হ’লো ততক্ষণ একচুলও নড়লো না। তারপর হন্তদন্ত হ’য়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে ধ্বংসকাণ্ডের কাছে এসে পৌঁছুলো। একটু লক্ষ ক’রে জাহাজটার নামটা পড়তে পারলে বাস্‌কেথ : ‘সেনচুরি,’ মবিল। তার মানে, মার্কিন জাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা রাজ্যের রাজধানী মবিল-এর জাহাজ ছিলো তাহ’লে। ছিলো, কেননা ‘সেনচুরি’ একেবারে চুরমার হ’য়ে গিয়েছে। কোনো মানুষ দেখা গেলো না : নিশ্চয়ই কেউ বাঁচেনি। জাহাজের কোনোকিছুই আস্ত বা অটুট নেই, যা গুড়িয়ে যায়নি তাও দোমড়ানো তোবড়ানো।

জাহাজ এমনভাবে কাৎ হ’য়ে পড়েছিলো, উঠতে গিয়ে বাস্‌কেথকে খুব-একটা বেগ পেতে হয়নি। ধ্বংস কাকে বলে সেটা এবার ভালো ক’রেই বুঝতে পারলে বাস্‌কেথ। জলের তোড়ে ভেতরের সবকিছুই ভেসে গিয়েছে। ঘুরে-ঘুরে দেখতে-দেখতে একটাও মৃতদেহ চোখে পড়েনি তার। দুর্ভাগা লোকগুলো ঢেউয়ের ধাক্কায় হয় উত্তাল সমুদ্রে ভেসে গিয়েছে নয়তো সংঘর্ষের সময় ডুবে গিয়েছে।

তীরে নেমে বাস্‌কেথ ফের চারদিকে তাকালে। না, জলদস্যুরা এখনও অকুস্থলে আসেনি। হাওয়ার বিষম প্রকোপ সত্ত্বেও বাসকেথ অন্তরীপের শেষ বিন্দুটার দিকে চললো। ‘দৈবাৎ যদি সেনচুরির কোনো লোককে এখনও জীবিত দেখতে পাই,’ মনে-মনে সে ভাবলে, ‘তাহ’লে তাকে বাঁচাবার জন্যে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো।’

কিন্তু কাউকেই পাওয়া গেলো না। ফের সেনচুরির কাছে ফিরে এসে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সে সবকিছু খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো, যদি কোনো খাবারদাবারের খোঁজ মেলে। এবার অবিশ্যি তাকে নিরাশ হতে হলো না। তীরেই পড়েছিলো একটা বিস্কুটের বাক্স, আর শুকনো মাংসের কৌটো। পরিমাণটা এত যে একা বা কেথের তাতে অনেকদিন চ’লে যাবে। রাজা সলোমনের রত্নভাণ্ডারের মতোই মূল্যবান সেই খাবারগুলোকে সে প্রথমে গিয়ে গুহায় রেখে এলো। তারপর অন্তরীপের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে উপসাগরের দিকে তাকালে।

বাকেথের ধারণা ছিলো, বোম্বেটেরা এই জাহাজডুবির কথা জানে। গতরাতে নিশ্চয়ই তারা সেনচুরিকে তীরের দিকে আসতে দেখেছে; আর মউল যখন যাত্রার জন্যে তৈরি থাকা সত্ত্বেও আবহাওয়ার জন্যে রওনা হ’তে পারেনি, তখন নিশ্চয়ই জাহাজডুবির মালপত্তরের খোঁজে এখানে এসে ঢুঁ মারবে।

হাওয়ার সঙ্গে যুঝতে-যুঝতে একটা টিলার ওপর উঠতে-উঠতে এই বেদম হাওয়ার কথাই সে ভাবছিলো। এমন সময় হঠাৎ একটা আর্তনাদ শুনে সে চমকে উঠলো। শব্দ লক্ষ্য করে হনহন ক’রে চললো বাস্‌কেথ। বাস্‌কেথ প্রথম যেখানটায় আশ্রয় নিয়েছিলো, আর্তনাদটা সেদিক থেকেই আসছিলো।

গজ পঞ্চাশ যেতেই একটা মস্ত পাথরের ধারে একটি লোককে প’ড়ে থাকতে দেখতে পেলে বাস্‌কেথ। গোঙাতে-গোঙাতে যেন হাওয়াকে আঁকড়ে ধরেই লোকটি উঠে বসবার চেষ্টা করছে। তক্ষুনি বাস্‌কেথ তার কাছে গিয়ে হাজির হ’লো।

দেখে মনে হ’লো আহত লোকটির বয়েস তিরিশ-পঁয়ত্রিশ। শক্ত পেটানো চেহারা, যেমন নাবিকদের হয়, পরনে নাবিকেরই পোশাক। চিৎ হ’য়ে পড়ে আছে। তার গায়ে বা পোশাকে কোনো রক্তের দাগ নেই। খুব-একটা জখম হয়নি ব’লেই মনে হচ্ছে। এইই বোধহয় সেনচুরির একমাত্র জীবিত লোক। বাসকেথের পায়ের আওয়াজ বোধহয় লোকটির কানে পৌঁছোয়নি। বাস্‌কেথ ঝুঁকে, নিচু হ’য়ে, লোকটির কাঁধে হাত রাখতেই সে উঠে বসবার চেষ্টা করলে, কিন্তু পারলে না : ফের ঐ বালির ওপরেই প’ড়ে গেলো। লোকটির ঠোটদুটো কাঁপছে, যন্ত্রণায় সারা মুখটা বিকৃত, অর্ধস্ফুট একটা আওয়াজ বেরিয়ে আসছে মুখ থেকে : ‘বাঁচাও! বাঁচাও!’

বাস্‌কেথ হাঁটু গেড়ে ব’সে লোকটাকে ধীরে-ধরে পাথরটার গায়ে হেলান দিয়ে বসালে। বললে : ভয় নেই। আমি তোমাকে উদ্ধার করতে এসেছি।’

বেচারার একটা হাত শুধু একবার হাওয়াকে চেপে ধরতে চাইলো, পরক্ষণে তার জ্ঞান হারিয়ে গেলো। কী দুর্বল লোকটা! বাস্‌কেথ ভালো ক’রে পরীক্ষা ক’রে বুকে কান পেতে, তার বুকের ধুকধুকিটার ক্ষীণ শব্দ শুনতে পেলে। লোকটা যেহেতু বেঁচে আছে, বাস্‌কেথের এখন প্রথম কাজ তাকে কোনো নিরাপদ আস্তানায় নিয়ে যাওয়া। যে-কোনো মুহূর্তে জলদস্যুরা এসে পড়তে পারে। লোকটাকে ব’য়ে নিজের ছোট্ট গুহাটায় নিয়ে যেতে হবে, তাছাড়া এই মুহূর্তে তার আর-কিছু করবার নেই। সে তা-ই করলে : মিনিট পনেরোর মধ্যে লোকটির সংজ্ঞাহীন দেহ কাঁধে নিয়ে সে ছোটো গুহাটায় গিয়ে হাজির হ’লো, তারপর সন্তর্পণে, খুব সাবধানে, তাকে শুইয়ে দিলে।

বাইরে থেকে তার দেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। বা কেথের শঙ্কা হচ্ছিলো, হয়তো ছিটকে এসে ডাঙায় পড়বার জন্যে তার কোনো হাড়-টাড় ভেঙে গিয়েছে। এই জন্যেই সে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরীক্ষা ক’রে দেখলে। না, হাড়টাড় ভাঙেনি ব’লেই মনে হচ্ছে।

অনেকক্ষণ পর নাবিকটি চোখ খুললে। কোনোরকমে অস্ফুট স্বরে বললে, ‘জল।’ একটু জল!’

বাস্‌কেথ তাকে আস্তে-আস্তে জল খাইয়ে দিয়ে জিগেস করলে, ‘এখন কি একটু ভালো বোধ হচ্ছে?’

ভাঙা গলায় লোকটা বললে, ‘হ্যাঁ, খানিকটে।’ তারপর যেন মনে-মনে সব ঘটনা খতিয়ে দেখবার একটা ব্যর্থ চেষ্টা ক’রে বললে, ‘আমি কোথায়? তুমি—কে? এই জায়গা? আমি যে কিছুই বুঝতে পারছিনে।’

—এখন নিরাপদ জায়গাতেই আছো। সেনচুরি তীরে আছড়ে প’ড়ে ভেঙে যাবার পর আমি তোমায় তীরে প’ড়ে থাকতে দেখেছিলুম।’

—’সেনচুরি! হ্যাঁ-হ্যাঁ, মনে পড়েছে।’

—কী নাম তোমার? ‘

——ডেভিস। জন ডেভিস।’

—’জাহাজের কাপ্তেন?’

—’না! ফার্স্ট মেট। জাহাজের অন্যরা কোথায়?’

বাস্‌কেথ ঘাড় নেড়ে ব্যথিত কণ্ঠে বললে, ‘কেউ নেই, আর-কাউকেই দেখতে পাইনি। মনে হচ্ছে, শুধু তুমিই বেঁচে গিয়েছো।’

—’সবাই মারা গেছে?’

—’জানিনে। হয়তো মারাই গেছে। কেননা আর-কাউকেই দেখতে পাইনি।’

জন ডেভিস খবরটা শুনে মুষড়ে পড়লো। সে-ই শুধু বেঁচে গিয়েছে! কী ক’রে বাঁচলো সে? বুঝতে পারলে যে এই অচেনা লোকটাই তার উদ্ধারকর্তা। ভাঙা গলায় আস্তে বললে : ‘ধন্যবাদ, তোমাকে অজস্র ধন্যবাদ।’ তার দু-চোখ দিয়ে দরদর ক’রে জল পড়ছে।

–’খিদে পেয়েছে তোমার? কিছু খাবে?’

—না। আরো-কিছু জল পেলে ভালো হয়।’

জন ডেভিসকে চাঙ্গা করে তোলবার জন্যে একটু ব্র্যাণ্ডি মিশিয়ে সে জল খেতে দিলে। খানিকক্ষণ পরে মনে হ’লো, জন ডেভিস কিছুটা সামলে উঠেছে। তারপর আস্তে-আস্তে ভাঙা-ভাঙা কথায় সে যা বললে, তার সারমর্ম সংক্ষেপে এই :

মবিল বন্দর থেকে সাড়ে-পাঁচশো টনের জাহাজ সেনচুরি কাপ্তেন হেনরির পরিচালনায় তিন সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলো। হেনরি আর জন ডেভিস ছাড়া জাহাজে আরো বারোজন নাবিক ছিলো। যাত্রার গোড়ার দিকটা শুভই হয়েছিলো। কিন্তু স্টটেন আইল্যাণ্ডের কাছাকাছি এসে ভীষণ ঝড়ের পাল্লায় প’ড়ে জাহাজটার নিয়ন্ত্রণ তারা হারিয়ে ফ্যালে। অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। বাতিঘরের কথা জানা ছিলো ব’লে কাপ্তেনের আশা ছিলো অন্তত দশ মাইল দূর থেকে বাতিঘরের আলো দেখতে পাবেন। কিন্তু কোনো আলো দেখতে না-পেয়ে তিনি ভেবেছিলেন স্টটেন আইল্যাণ্ড থেকে নিশ্চয়ই অনেকটা দূরে আছেন। এমনি সময়ে বজ্রপাতের মতো একটা ভয়ংকর শব্দ ক’রে জাহাজটি তীরের পাথরে আছড়ে পড়ে। তারপরেই সব শেষ।

একটু চুপ ক’রে থেকে জন ডেভিস আবার বাস্‌কেথকে তার ধন্যবাদ জানালে, কিন্তু কিছুতেই সে বুঝে উঠতে পারছিলো না সে কোথায় আছে। ধাঁধা লাগছিলো তার। বাস্‌কেথকে সে জিগেস করলে, ‘আমরা কোথায়?’

—’স্টটেন আইল্যাণ্ডে।’

—’স্টটেন আইল্যাণ্ডে!’ জন ডেভিস কেমন ভ্যাবাচাকা খেয়ে গেলো।

—হ্যাঁ, স্টটেনে আইল্যাণ্ডে। দ্বীপটা ইগোর উপাসাগরের মুখে—’

—’তা জানি! কিন্তু বাতিঘর?’

—’বাতিঘরের আলো জ্বলেনি।’

জন ডেভিসের বিস্ময় ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। হতভম্বের মতো হাজারটা জিজ্ঞাসা চোখে নিয়ে সে তাকিয়ে রইলো। তখন বাস্‌কেথ তাকে আদ্যোপান্ত সব খুলে বলে বুঝিয়ে দিলে বাতিঘরের আলো কেন জ্বলেনি, আর কেনই বা সে বাতিঘর ছেড়ে বাইরে আস্তানা গেড়েছে। ফিলিপ আর মরিস কীভাবে খুন হয়েছে সে-কথা বলতে-বলতে তার স্বর ব্যথায় আর্দ্র হ’য়ে উঠেছিলো।

——কী সাংঘাতিক!’ জন ডেভিস আঁৎকে উঠে বললে, ‘তাহ’লে ঐ বোম্বেটেরাই এখন বাতিঘরের মালিক এবং তারাই বাতিঘরের লণ্ঠন জ্বালেনি। অর্থাৎ এই শয়তানগুলোর জন্যেই সেনচুরির এই সর্বনাশ হ’লো।’

—’হ্যাঁ।’ ঘাড় নেড়ে সায় দিলে বাস্‌কেথ। তারপর সে খুলে বললে দস্যুরা এখন কী মলব এঁটেছে। ‘মালপত্র তোলা শেষ হ’য়ে গেছে। আজ ভোরেই এদের রওনা হবার কথা ছিলো।’

—এরা কোথায় যাবে ব’লে মৎলব করেছে, তার কিছু জানো?’

–’যাবে প্যাসিফিক আইল্যাণ্ডসের দিকে। সেখানে নিশ্চিন্ত মনে দাপট দেখিয়ে লুঠতরাজ চালাতে পারবে তারা।’

—’এ-রকম ঝড় থাকলে তারা রওনা হ’তে পারবে না।’

– তা পারবে না। যে-রকম আবহাওয়া দেখছি তাতে এক হপ্তার মধ্যে এরা রওনা হতে পারবে ব’লে মনে হয় না।’

–’এদিকে, যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ নিশ্চয়ই বাতিঘরের আলো জ্বালবে না?’

—’সেইরকমই তো মনে হয়।’

—’তাহ’লে সেনচুরির মতো আরো জাহাজের সর্বনাশ হ’তে পারে?’

—’তা পারে বৈ কি।

—’তাহ’লে অন্যকোনো জাহাজকে এদিকে দেখতে পেলেই হুঁশিয়ার ক’রে দিতে হবে।’

—’আমি সেনচুরিকেও সাবধান ক’রে দিতে চেয়েছিলুম কিন্তু এমন জোরালো হাওয়া যে কিছুতেই আগুন জ্বালতে পারিনি।’

–’আমরা দুজনে মিলে হাত লাগালে নিশ্চয়ই পারবো।’ ডেভিসের গলায় দৃঢ়তা। ‘এখানে কাঠকুটোর অভাব হবে না। সেনচুরির ভাঙা টুকরোগুলো তো আছেই, এদিক-ওদিক নিশ্চয়ই আরো কাঠ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বোম্বেটেরা যতদিন দ্বীপে আছে, ততদিন আলো জ্বালবে না। কিন্তু সমুদ্রের যা অবস্থা তাতে এই ক-দিনে আরো কত জাহাজের সর্বনাশ হ’য়ে যাবে, কে জানে।’

—’এটা ঠিক যে কন্‌গ্রে আর তার স্যাঙাত্রা এই দ্বীপে আর বেশিদিন থাকছে না। যে-মুহূর্তে আবহাওয়া একটু শান্ত হবে, তারা রওনা হ’য়ে পড়বে। তারপরে আর একদিনও সবুর করবে না।‘

–‘কেন?’

-’কারণ তারা জানে শিগগিরই বাতিঘরের রক্ষীদের ছুটি দেবার জন্যে সান্তা ফে এসে হাজির হবে।’

—’সান্তা-ফে?’

–’হ্যাঁ, সান্তা-ফে। আরহেন্তিনার মানোয়ারি জাহাজ। সে মার্চের গোড়ার দিকেই আমাদের ছুটি দেবার জন্যে নতুন রক্ষী নিয়ে এসে পৌঁছুবে। আজ আঠারোই ফেব্রুয়ারি-কাজেই খুব বেশি দেরি নেই।’

—’তাহ’লে একটা জাহাজ এসে, সত্যি-সত্যি, ইচ্ছে ক’রে, স্টটেনে আইল্যাণ্ডে ভিড়বে?’

– হ্যাঁ, বুয়েনোস আইরেস থেকে রওনা হ’য়ে মার্চের দশ তারিখের আগেই তার এখানে এসে পৌঁছুবার কথা।’

—’জিশুর দোহাই,’ জন ডেভিস বললে, ‘আবহাওয়া তা’হলে যেন এমন খারাপই থাকে। সান্তা ফে একবার এদিককার জলে আসুক, তারপরে ওই বোম্বেটেগুলোকে দেখে নেয়া যাবে।’

ঠিক এই কথাই বাস্‌কেথও আগে ভেবেছে। হুবহু এই কথাগুলোই।….