কুটিলার কৃষ্ণনিন্দা
কুটিলে বলে, এমন বৃদ্ধি-তোরে দিয়েছে কেটা ।
করিস ব্রহ্মজ্ঞান, ভগবান, সেই নন্দঘোষের বেটা । ৮১
যে যমুনা-পারে, যেতে না পারে, কংসরাজার দায়।
হলে স্বয়ংব্রহ্ম, এম্নি কৰ্ম্ম, গোয়ালার অন্ন খায় ॥ ৮২
বনে, হারালে গাভী, বলি সুরভি, নন্দের ভয়ে কাঁদে ।
হলে পরাৎপর, তার কি কর, নন্দরাণী বাঁধে ॥ ৮৩
সে কি বইতে নন্দের বাধা, গোলোকচন্দ্ৰ হ’লে ।
দিবানিশি, একটা বাঁশের বাঁশী, বাজাতে রাধা বলে ॥ ৮৪
তবে কি, মান ঘুচায়ে, মানের দায়ে, তোর পায়ে সে ধরিত ।
হরি হ’লে কি, জঠর-জ্বালায়, মাখন চুরি করিত ।। ৮৫
গোলোকচন্দ্রে, শিরে বন্দে, ইন্দ্র চন্দ্র ভানু।
চরাচর, অগোচর, চরাত সে কি ধেনু ।। ৮৬
ভজিলে পরে, পরাৎপরে, তারে জগতে ভজে ।
সে হলে কি, শ্যাম-কলঙ্কী, নাম হতে তোর ব্রজে ।। ৮৭
যে যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞে ভোজন পঞ্চামৃত মিষ্ট ।
সে হলে কি, খেতে গোকুলে, রাখালের উচ্ছিষ্ট ।। ৮৮
নন্দের বেটা ব্রহ্ম নয়, জেনেছি তার মৰ্ম্ম ।
যার পানে যার মন পড়ে, রাই! সেই যেন তার ব্রহ্ম ।। ৮৯