০৮. বিশাল কালো একটা টেবিল

বিশাল কালো একটা টেবিলের একপাশে রুখ এবং ক্রীনা বসে আছে। টেবিলে তাদের ঘিরে ছয়টি বুদ্ধিমান এনরয়েড, তারা দেখতে মোটামুটি একই ধরনের কিন্তু ভালো করে তাকালে তাদের সূক্ষ্ম পার্থক্যটুকু চোখে পড়ে। কারো মাথা একটু বড়, কারো ফটোসেল একটু বেশি বিস্তৃত, কারো এনডাইজ দেহ একটু বেশি ধাতব। রুখ এবং ক্রীনার ঠিক সামনে একটা খালি চেয়ার, সেখানে কে বসবে কে জানে। মানুষের বসতে হয়– এনরয়েডদের যান্ত্রিক দেহের তো বসার প্রয়োজন নেই।

ক্রীনা রুখের দিকে একটু ঝুঁকে নিচু গলায় ফিসফিস করে বলল, রুখ, আমার ভয় করছে।

রুখ ক্রীনার দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বলল, তোমার ফিসফিস করে কথা বলার প্রয়োজন নেই ক্রীনা। এখানে যেসব এনরয়েড আছে তারা তোমার দিকে তাকিয়েই তুমি কী ভাবছ বলে দিতে পারে। এদের কাছে আমাদের কিছু গোপন নেই। এরা আমাদের সবকিছু জানে।

সত্যি?

হ্যা সত্যি।

ক্রীনা এবারে স্বাভাবিক গলায় বলল, আমাদের এখানে বসিয়ে রেখেছে কেন?

নিশ্চয়ই কথা বলবে।

যদি আমাদের মনের সব কথা জানে তা হলে শুধু শুধু কথা বলার প্রয়োজন কী?

রুখ দুর্বলভাবে হাসল, বলল, জানি না।

খুব কাছে কে যেন নিচু গলায় হাসল। রুখ এবং ক্রীনা চমকে ওঠে, কে এটা?

খুব কাছে থেকে আবার গলার স্বর শোনা গেল, আমি।

আমি কে?

কণ্ঠস্বরটি আবার হেসে ওঠে, হাসি থামিয়ে বলে, কত সহজে তুমি কত কঠিন একটা প্রশ্ন করলে। সত্যিই তো, আমি কে?

রুখ কঠিন গলায় বলল, আপনারা আমাদের থেকে অনেক বুদ্ধিমান, দোহাই আপনাদের, পুরো ব্যাপারটি আমাদের জন্যে একটু সহজ করে দিন। আমরা মানুষেরা তো জেনেশুনে অপ্রয়োজনে একটা ক্ষুদ্র প্রাণীকে যন্ত্রণা দেই না।

আমি খুব দুঃখিত রুখ। সত্যি কথা বলতে কী, বুদ্ধিমত্তা সমান না হলে ভাব বিনিময় করা খুব কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি।

ধন্যবাদ।

প্রথমে আমি পরিচয় করিয়ে দিই। তোমাদের ঘিরে ছয় জন বুদ্ধিমান এনরয়েড বসে আছে। মানুষের যেরকম নাম থাকতে হয় এনরয়েডের বেলায় সেটা সত্যি নয়। কিন্তু তোমাদের সুবিধের জন্য আমরা সবার একটি নাম দিয়ে দিই। এরা হচ্ছে মেগা, জিগা, পিকো, ফ্যামটো, ন্যানো আর কিলো। তোমরা মানুষেরা যেরকম নাম রাখ সেরকম হল না। কিন্তু কাজ চলে যাবে। এর মাঝে পিকোকে রুথ ধ্বংস করেছিল আবার নতুন করে তৈরি করা হয়েছে।

রুখ চমকে উঠে বলল, কী? কী বললেন?

হ্যাঁ। তোমার মনে নেই। ঘটনাটি খুব বড় ধরনের নির্বুদ্ধিতা ছিল তাই ফ্যামটো সেটি তোমার স্মৃতি থেকে মুছে দিয়েছে।

কিন্তু, আমি বুঝতে পারছি না। আমি একজন মানুষ হয়ে 

মানুষ অনেক বুদ্ধিমান প্রাণী–তাই বলে তারা যে নিচু স্তরের সরীসৃপ সাপের কামড় খেয়ে মারা যায় না সেটা সত্যি না

তা ঠিক।

হ্যাঁ। তোমার স্মৃতি থেকে সবকিছু যে মুছে দেওয়া গিয়েছে সেটা অবশ্য সত্যি নয়। তুমি লুকিয়ে কিছু তথ্য নিয়ে গিয়েছ। নিনীষ স্কেলে আট মাত্রার বুদ্ধিমান প্রাণীর জন্য সেটা নিঃসন্দেহে একটি অভূতপূর্ব ব্যাপার। যা–ই হোক, যা বলছিলাম–এখানে তোমাদের থেকে দুই মাত্রা উপরের বুদ্ধিমত্তার এনরয়েড ছাড়া আমিও রয়েছি।

আপনি কে?

বলতে পার আমি সম্মিলিত এনরয়েডদের বুদ্ধিমত্তা। তোমাদের মানুষের এই ক্ষমতা নেই, তোমরা তোমাদের মস্তিষ্কের সুষম অবস্থান করে তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পার না। আমরা পারি। অত্যন্ত প্রাচীন পদ্ধতি কিন্তু কার্যকর।

বিদ্যৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ?

হ্যা মূলত বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ। যা–ই হোক আমি আমাদের এই আলোচনাটুকু যথাসম্ভব মানবিক করতে চাই। তাই আমরা এখানে চেয়ার এবং টেবিলের ব্যবস্থা করেছি। তোমাদের মস্তিষ্কে সরাসরি যোগাযোগ না করে তোমাদের সাথে কথা বলছি। প্রশ্ন করছি, প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। কথার মাঝে আবেগ প্রকাশ করছি, যখন প্রয়োজন তখন হাসছি, যখন প্রয়োজন কঠিন গলায় কথা বলছি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

সত্যি কথা বলতে কী, আমি ব্যাপারটি তোমাদের জন্য আরো সহজ করে দিতে চাই। আমি তোমাদের সামনে একজন মানুষের রূপ নিয়ে আসতে চাই–তোমাদের যেন মনে হয় তোমরা একজন মানুষের সাথে কথা বলছ।

রুখ একটু অস্বস্তি নিয়ে সামনের শূন্য চেয়ারটির দিকে তাকাল, সেখানে মানুষের রূপ নিয়ে কিছু একটা বসে থাকলেই কি পুরো ব্যাপারটি তাদের জন্য খুব সহজ হয়ে যাবে?

কণ্ঠস্বরটি বলল, আমি জানি তোমারা কী ভাবছ, কিন্তু দেখ ব্যাপারটি তোমাদের সাহায্য করবে। আমি কী রূপে আসব? পুরুষ না মহিলা?

কিছু আসে–যায় না। রুখ মাথা নাড়ল, আপনি কী রূপে আসবেন তাতে আমার বিশেষ কিছু আসে–যায় না।

ক্রীনা? তোমার কোনো পছন্দ আছে?

মধ্যবয়স্ক পুরুষ। কাঁচাপাকা চুল। কালো চোখ। হাসিখুশি।

চমৎকার! প্রায় সাথে সাথেই ঘরের দরজা খুলে একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষ এসে ঢুকল, তার কাঁচাপাকা চুল, কালো চোখ এবং হাসিখুশি চেহারা। মানুষটি যে তার কল্পনার সাথে কীভাবে মিলে গিয়েছে সেটি দেখে ক্রীনা প্রায় শিউরে ওঠে, এই বুদ্ধিমান এনরয়েডরা সত্যিই তাদের মস্তিষ্কের গহিনে প্রবেশ করতে পারে।

মানুষটি চেয়ার টেনে বসে রুখ এবং ক্রীনার দিকে তাকিয়ে বলল, কোনোরকম পানীয়?

রুখ এবং ক্রীনা এই প্রথমবার একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে একটু হাসল। তারা আবার মানুষটির দিকে তাকাল, বলল, না ধন্যবাদ।

ঠাণ্ডা পানি? বিশুদ্ধ পানি?

বেশ।

প্রায় সাথে সাথেই একটি সাহায্যকারী রোবট এসে মানুষটির সামনে এক গ্লাস এবং তাদের দুজনের সামনে দুই গ্লাস পানি রেখে গেল। মানুষটি পানির গ্লাসে চুমুক দিয়ে তাদের দিকে তাকাল, একটু হেসে বলল, আমার নাম রয়েড। মেতসিসের মূল নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে আমি তোমাদের সাদর অভ্যর্থনা জানাচ্ছি।

মহামান্য রয়েড– রুথ সোজা হয়ে বসে বলল, আপনাকে

রয়েড হা হা করে হেসে বলল, আমার সাথে তোমাদের ভদ্রতা বা সম্মানসূচক কথা বলার প্রয়োজন নেই। তোমরা একজন মানুষ অন্য মানুষের সাথে যেভাবে কথা বল, আমার সাথে ঠিক সেভাবে কথা বলতে পার।

রুখ খানিকক্ষণ রয়েডের দিকে তাকিয়ে মুখে হাসি টেনে এনে বলল, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।

ক্রীনা সোজা হয়ে বসে বলল, এবারে তা হলে কাজের কথায় আসা যাক। আমি খুব ভয় পাচ্ছি, পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আমার ভিতরে একটা আতঙ্ক কাজ করছে। আমি এক মুহূর্তের জন্যও শান্তি পাচ্ছি না। আমি

আমি জানি।

আমাদেরকে কি বলবে কেন আমাদের এনেছ? তোমরা তো আমাদের সম্পর্কে সব কিছু জান।

রয়েডের মুখে হঠাৎ একটু গাম্ভীর্যের ছায়া পড়ল। সে চেয়ারে হেলান দিয়ে বলল, তোমরা দুজনেই অনেক বুদ্ধিমান, তোমরা কি অনুমান করতে পার কেন তোমাদের ডেকেছি?

আমরা?

হ্যাঁ।

ক্রীনা একটা নিশ্বাস ফেলে বলল, সম্ভবত শাস্তি দেওয়ার জন্য।

টেবিলে যে–ছয়টি রোবট বসেছিল তাদের মাঝে পিকো নামের রোবটটি যান্ত্রিক শব্দ করে সোজা হয়ে বলল, আমার বিবেচনায় এই মেয়েটি সত্যি কথা বলেছে।

রয়েড পিকোর দিকে তাকিয়ে বলল, পিকো তুমি কেন বলছ এই মেয়েটি সত্যি কথা বলছে?

যখন বিভিন্ন বুদ্ধিমত্তার অস্তিত্ব একসাথে থাকে তখন তাদের মাঝে স্তরভেদ রক্ষা করা হলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। গতরাতের ঘটনায় সেটি রক্ষা করা হয় নি। মেতসিসের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বিনষ্ট করা হয়েছে–

ক্রীনা বাধা দিয়ে বলল, কিন্তু

পিকো কঠোর স্বরে বলল, আমি কথা বলার সময় আমাকে বাধা দেবে না।

ক্রীনা থতমত খেয়ে বলল, আমি দুঃখিত।

মেতসিসের পরিকল্পনা নষ্ট করায় এখানকার নিজস্ব রুটিন রক্ষা করা যাচ্ছে না। মানুষকে জানতে হবে তারা ইচ্ছে করলেই আমাদের পরিকল্পনায় বাধা দিতে পারবে না।

রয়েডের মুখে এক ধরনের হাসি ফুটে উঠল, যেন সে ভারি একটা মজার কথা শুনছে, সে মাথা নেড়ে বলল, যদি তবু তারা দেয়?

তা হলে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

সেটি কী রকম?

আমরা আগে কার্বন মনোঅক্সাইজ দিয়ে তাদেরকে যন্ত্রণাশূন্যভাবে হত্যা করেছি। এখন থেকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করতে হবে।

কিন্তু সবাইকে যদি মেরে ফেলা হয় তা হলে এই ভয়ঙ্কর শাস্তির ঘটনাটা জানবে কে?

পরবর্তী মানুষেরা। পুরো ঘটনাটি তাদের স্মৃতিতে পাকাপাকিভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া। হবে। ভবিষ্যতে তারা কখনো এরকম দুঃসাহস দেখাবে না।

ক্রীনা আর নিজেকে সামলাতে পারল না, গলা উচিয়ে বলল, আমি এর থেকে বড় নির্বুদ্ধিতার কথা আগে কখনো শুনি নি। তোমরা দাবি কর তোমরা মানুষ থেকে বুদ্ধিমান? এই হচ্ছে তোমাদের বুদ্ধির নমুনা?

পিকো গর্জন করে বলল, খবরদার মেয়ে, তুমি সম্মান বজায় রেখে কথা বলবে। তুমি জান, তোমাদের আমরা পোকামাকড়ের মতো পিষে পেলতে পারি?

আমরা মানুষেরা অকারণে কোনো কীটপতঙ্গকেও স্পর্শ করি না। অথচ তোমরা মানুষের মতো প্রাণীকে শুধু যে হত্যা কর তাই না–তাদেরকে হত্যা করার ভয় দেখাও?

পিকো হঠাৎ তার জায়গায় সোজা হয়ে দাঁড়াল। তারপর ক্রীনার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে, চিৎকার করে বলে, আমি এই মুহূর্তে তোমার মস্তিষ্ক বিদীর্ণ করে দেব, অপটিক নার্ড ছিঁড়ে ফেলে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে তোমার শরীর ছিন্নভিন্ন করে দেব। নির্বোধ মেয়ে

রয়েড বলল, অনেক হয়েছে পিকো। তুমি থাম।

পিকো থামার কোনো লক্ষণ দেখাল না, ক্রীনার দিকে এগিয়ে আসতেই লাগল। রয়েড তখন তার হাত তুলে পিকোর দিকে লক্ষ করে একটি প্রচণ্ড বিদ্যুৎ–ঝলক ছুঁড়ে দেয়, মুহূর্তের মাঝে পিকোর পুরো মাথাটি একটা বিস্ফোরণ করে উড়ে যায়। মাথাবিহীন অবস্থায় পিকো দু–এক পা এগিয়ে এসে হঠাৎ করে থেমে যায়, পুরো জিনিসটিকে একটি বিকট রসিকতা বলে মনে হতে থাকে। ফ্যামটো নামের এনরয়েডটি শিস দেবার মতো শব্দ করে বলে, এক শত বিয়াল্লিশ ঘণ্টার মাঝে পিকো দুবার ধ্বংস হল।

রয়েড হাসতে হাসতে বলল, পিকোকে পুনর্বিন্যাস করার সময় এবারে মানবিক অনুভূতি কমিয়ে আনতে হবে।

হ্যাঁ। ফ্যামটো গম্ভীর গলায় বলল, মানুষের সাথে কথা বলার জন্য মানবিক অনুভূতির প্রয়োজন নেই।

রয়েড এবার ঘুরে রুথ এবং ক্রীনার দিকে তাকিয়ে বলল, আমি খুব দুঃখিত তোমাদের সামনে এ–ধরনের একটি দুর্ঘটনা ঘটানোর জন্যে।

রুখ এবং ক্রীনা কোনো কথা বলল না, এক ধরনের আতঙ্ক নিয়ে একবার পিকোর বিধ্বস্ত দেহ এবং একবার রয়েডের দিকে তাকাল। রয়েড একটু সামনে ঝুঁকে বলল, যা বলছিলাম, তোমরা কি এখন অনুমান করতে পার কেন তোমাদের এখানে আনা হয়েছে?

রুখ একবার ক্রীনার দিকে তাকিয়ে একটা নিশ্বাস ফেলে বলল, এইমাত্র যা ঘটল, তার পুরোটা নিশ্চয়ই সাজানো ঘটনা। তোমরা আমাদেরকে এনেছ বিশেষ প্রয়োজনে।

নিনীষ স্কেলে অষ্টম মাত্রা হিসেবে তোমরা যথেষ্ট বুদ্ধিমান। প্রয়োজনটা কি তোমরা আন্দাজ করতে পার?

না, পারি না।

চেষ্টা কর।

আমাদেরকে তোমরা কোনো কাজে ব্যবহার করবে।

কী কাজে?

রুখ খানিকক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে রয়েডের দিকে তাকিয়ে রইল, তারপর মাথা নেড়ে বলল, তুমি প্রকৃত মানুষ নও, তুমি একটা মানুষের প্রতিচ্ছবি, তোমার দিকে তাকিয়ে আমি কিছু অনুমান করতে পারি না। তবে

তবে কী?

তোমরা যে–কাজে আমাদের ব্যবহার করতে চাও সেটি–সেটি

সেটি?

সেটি নিশ্চয়ই আমাদের জন্যে খুব ভয়ঙ্কর।

রয়েড কয়েক মুহূর্ত নিঃশব্দে রুখ এবং ক্রীনার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল, তোমরা মোটামুটি ঠিকই আন্দাজ করেছ। মেতসিস একটা বিচিত্র কক্ষপথে আটকা পড়ে আছে। কোনো একটা বুদ্ধিমান মহাজাগতিক প্রাণী আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইছে। তারা আমাদের থেকেও বুদ্ধিমান–তাদের বুদ্ধিমত্তার কাছে তোমার আমার দুজনের বুদ্ধিমত্তাই একই রকম অকিঞ্চিৎকর। তাই

তাই?

খবর নেওয়ার জন্য আমি তোমাদের একজনকে সেই প্রাণীর কাছে পাঠাব।

না–  রুখ আর্তচিৎকার করে বলল, না। না–

রয়েড কোনো কথা না বলে স্থিরদৃষ্টিতে দুজনের দিকে তাকিয়ে রইল। ভালবাসাহীন। কঠোর সেই দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রুখ হঠাৎ শিউরে ওঠে।