তিষা তার বিছানায় পা তুলে বসে এনিম্যানের ম্যানুয়েলটি দেখছে। স্কুল থেকে তাকে যে ছোট এনিম্যান শিশুটি দিয়েছে সেটি তার ঘরের মাঝে ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাণীটি কৌতূহলী, যেটাই দেখছে সেটাই হাত দিয়ে স্পর্শ করছে, যদি হাতে নেয়া সম্ভব হয় তাহলে হাতে তুলছে, দেখছে আবার রেখে দিচ্ছে। কোনো কিছু একটু মসৃণ হলে সে হাত দিয়ে সেটা বারবার অনুভব করছে। ম্যানুয়েলে লেখা আছে এনিম্যানের স্মৃতি খুব দুর্বল। কোনো একটা কিছু দেখলে সেটা মনে রাখতে পারে না, কিন্তু তিষা বুঝতে পারল কথাটা পুরোপুরি সত্যি না, যে জিনিষটা সে একবার দেখেছে সেটি সে দ্বিতীয়বার তুলে দেখে না।
এনিম্যানটার কিছু বিচিত্র ব্যবহার আছে। এটি পিছনের দুই পা আর দুই হাতে ভর দিয়ে হাঁটে। ছেলে মেয়েরা যখন চারপায়ে হাঁটার ভঙ্গী করে তখন তারা দুই হাত আর হাঁটুতে ভর দেয়, এটি হাঁটু ব্যবহার করে না, পায়ের পাতা ব্যবহার করে। তিষা লক্ষ্য করেছে এনিম্যানটি ইচ্ছে করলে দুই পায়ে দাঁড়াতে পারে কিন্তু কখনোই দাঁড়ানোর চেষ্টা করে না। কেউ যদি আশে পাশে না থাকে তাহলে খুব সাবধানে দুই পায়ে ভর দিয়ে মানুষের মত দাঁড়ায় কিন্তু খুব কম সময়ের জন্যে। কাউকে দেখলেই আবার হাত পায়ের উপর ভর দিয়ে ফেলে।
যে কারণে এনিম্যান নামের এই পোষা প্রাণীটি এতো জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেটি হচ্ছে তার মুখের হাসি। সবসময়েই এর হাসি মুখ, মাঝে মাঝে সত্যি সত্যি শব্দ করে হেসে ওঠে। হাসিটি খুবই সুন্দর, এনিম্যানটি ছোট বাচ্চাদের মত খিল খিল করে হেসে ওঠে। এনিম্যানটি যখন হাসে তখন তাকে দেখে অন্যরাও না হেসে পারে না। ম্যানুয়েলটিতে এই হাসি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে অনেক গবেষণা করে এই
এনিম্যান প্রাণীটিকে খুব সুখী এবং আনন্দময় প্রাণীতে তৈরি করা হয়েছে। এই হাসিটি আন্তরিক কারণ এর মাঝে কোনো দুঃখ নেই। শুধু যে দুঃখ নেই তা নয় এর মাঝে ভয় আতংক বা হিংসা বলেও কিছু নেই। ম্যানুয়েলটিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে এটি হাসতে পারলেও আর কিছু পারে না, কেউ যেন এর মাঝে অন্যান্য মানবিক গুণ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা না করে। এনিম্যানের হাসিটি এই প্রাণীটির একটি অতি সাধারণ অভিব্যক্তি তার ভাষা। প্রাণীটির কথা বলার ক্ষমতা নেই তাই এই হাসিটি দিয়েই সে আশে পাশে অন্যান্যদের সাথে ভাব বিনিময় করে।
তিষা বেশ কিছুক্ষণ এনিম্যানটিকে লক্ষ্য করে শেষে তাকে ডাকল, “এই যে! এদিকে তাকাও–”
এনিম্যানটি মাথা ঘুরে তিষার দিকে তাকাল তারপর ফিক করে হেসে ফেলল হুবহু একটা মানুষের বাচ্চার মত। তিষা হাত এগিয়ে দিয়ে বলল, “এসো আমার কাছে।”
এনিম্যানটি তার কথা ঠিক বুঝতে পারল বলে মনে হয় না, মেঝেতে বসে ঘাড় নাড়িয়ে তাকিয়ে রইল। তিষা হাত দিয়ে ডাকল, “এসো। কাছে এসো।”
এবারে এনিম্যানটি তার কাছে এগিয়ে আসে, কাছে এসে তার হাতকে স্পর্শ করে। ছোট ছোট আঙ্গুল, হাতটা শীতল। তিষা এনিম্যানটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই সেটি আবার ফিক করে হেসে ফেলল তারপর আরামে চোখ বুজে ফেলল। মাথায় লম্বা চুল, শরীরে কোমল এক ধরণের পশম, তিষা আদর করে সারা শরীরে হাত বুলিয়ে দেয়।
আম্মু ঠিক তখন এক গ্লাস দুধ নিয়ে এসেছেন, সেটা দেখেই তিষা মুখ ভার করে বলল, “আম্মু তুমি আবার দুধ নিয়ে এসেছ!”
“খেয়ে নে বাবা, তোর ডাক্তার বলে দিয়েছে খুব ভালো করে খেতে হবে।”
“কখনো বলেনি আম্মু। এই দেশের ডাক্তাররা কখনো খেতে বলে না, বরং উল্টোটা বলে। কম করে খেতে বলে।”
“এই এক গ্লাস দুধ।”
তিষা নাক কুঁচকে বলল, “খাওয়া উচিৎ তোমার আম্মু! তুমি কতো শুকিয়েছ সেটা দেখেছ?”
তিষার কথা বলার ভঙ্গীর কারণেই হোক আর অন্য কারণেই হোক এনিম্যানটি মনে হয় খুব মজা পেল, সেটা হঠাৎ খিলখিল করে শব্দ করে হাসতে থাকে। তিষা তার দিকে চোখ পাকিয়ে বলল, “কী হল? তুমি এভাবে হাসছ কেন?”
এনিম্যানটি মনে হয় এই কথায় আরো বেশী মজা পেয়ে গেল। সেটা আরো জোরে হাসতে থাকে। আম্মু বললেন, “কী মজার একটা জিনিষ! শুধু হাসে।”
“হ্যাঁ আম্মু, অসম্ভব হাসিখুশী। পৃথিবীর সব মানুষ যদি এদের মত হতো তাহলে কতো মজা হতো!”
“দেখে মনে হয় খুব লক্ষ্মী।”
“হ্যাঁ আম্মু খুব লক্ষ্মী।”
“কী নাম দিবি ঠিক করেছিস?”
“এতো লক্ষ্মী তাই ভেবেছিলাম লক্ষ্মী বলেই ডাকব। কিন্তু তাহলে আমার এদেশের বন্ধুরা নাম উচ্চারণই করতে পারবে না। দাঁত টাত ভেঙ্গে যাবে। তাই ঠিক করেছি মিশকা নাম দিয়ে ডাকব।”
“মিশকা?”
“হ্যাঁ। মিশ-কা।” তিষা তখন এনিম্যানটার দিকে তাকিয়ে বলল, “বুঝলে? এখন থেকে তোমার নাম মিশকা মিশ-কা।”
এনিম্যানটি কী বুঝল কে জানে, কিন্তু ঠিক মানুষের মত মাথা নাড়ল।
তিষা দুধ শেষ না করা পর্যন্ত আম্মু দাঁড়িয়ে রইলেন তারপর খালি গ্লাসটা নিয়ে নিচে চলে গেলেন। ঠিক এরকম সময় বাসার সামনে একটা গাড়ী থামার শব্দ হল। প্রায় সাথে সাথেই গাড়ীর দরজা খুলে কয়েকজনের গাড়ী থেকে হৈ হুল্লোড় করে নামার শব্দ হল। তিষা জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরে তাকাল এবং সাথে সাথে তার মুখে হাসি ফুটে উঠল। তার ক্লাশের বেশ কয়েকজন ছেলে মেয়ে এসেছে। গাড়ীর ড্রাইভিং সিট থেকে জন নেমে আসছে–এতো বড় একটা গাড়ী জন কোথায় পেয়েছে কে জানে?
তিষা এনিম্যানটাকে কোল থেকে নিচে নামিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসে। ততক্ষণে সবাই বাসার ভেতরে ঢুকে গেছে। তিষার, আম্মু দরজা খুলে তাদেরকে বাসার ভিতরে নিয়ে এসেছেন। তিষাকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আসতে গিয়ে এদের অনেককেই তিষার আম্মু চিনেন। একজন একজন করে সবাই তিষার আম্মুকে আলিঙ্গন করল। মেয়েরা আম্মুকে চুমু খেল।
তিষাকে দেখে সবাই চিৎকার করে হাসল, বলল, “টিশা! তোমাকে অসাধারণ দেখাচ্ছে!”
তিশা বলল, “আমি তোমাদের কতোবার বলব আমার নাম টিশা না, আমার নাম তিষা!”
লিজা নামের একজন মেয়ে বলল, “ তোমার কথাবার্তা খুবই আজব। আমরা তো টিশাই বলছি!”
জন তার হাত নেড়ে সাইন ল্যাংগুয়েজ দিয়ে বলল, “শুধু আমি ঠিক করে উচ্চারণ করি। তাই না?”
জনের কথা শুনে কিংবা দেখে সবাই হেসে উঠল এবং তিষা সাথে সাথে মাথা নাড়ল, বলল, “ঠিক বলেছ!”
তিষা জনকে জিজ্ঞেস করল, “তুমি এই গাড়ী কোথায় পেয়েছ জন?”
“কিনেছি! মনে নেই গত সামারে ক্রীতদাসের মতো খাটলাম? সেই ক্রীতদাসের বেতন দিয়ে কিনেছি।”
তিষা চোখ কপালে তুলে বলল, “সত্যি?”
লিজা বলল, “সে জন্যেই তো তোমাকে নিতে এসেছি! জন তার নূতন গাড়ীতে চড়িয়ে আমাদের আইসক্রিম পার্লার নিয়ে যাবে!”
তিষা আম্মুর দিকে তাকিয়ে বলল, “আম্মু আমি যাই?”
“যাবি? যা।”
এই স্টেটে মাত্র পনেরো বছর বয়সেই গাড়ী চালানোর নিয়ম আছে ষোল বছরে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে দেয়। এতো অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা গাড়ী চালাবে আম্মু খানিকটা অস্বস্তি বোধ করেন কিন্তু সেটা প্রকাশ করলেন না। বললেন, “সাবধানে গাড়ী চালিও।”
তিষা বলল, “তুমি কোনো চিন্তা করো না আম্মু, জন হচ্ছে সুপার ড্রাইভার!”
বসার ঘরে হইচই শুনে এনিম্যানটি সতর্ক পায়ে নিচে নেমে এসেছে। তাকে দেখে সবাই আবার আনন্দে চিৎকার করতে থাকে! জন কাছে গিয়ে সেটাকে কোলে তুলে নেয় আর সাথে সাথে সেটা ফিক করে হেসে ফেলে। একজন একজন করে সবাই এনিম্যানটিকে আদর করল, তারপর তিষাকে নিয়ে বের হয়ে গেল। আম্মু জানালা দিয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেন সবাই জনের বিশাল গাড়ীটিতে গিয়ে উঠেছে, এতো কম বয়সী ছেলে এতো বড় একটা গাড়ী কেমন করে কিনে ফেলল কে জানে! হয়তো এই দেশে বড় গাড়ীই সস্তা, কে বলতে পারবে?
তিষা যখন ফিরে এসেছে তখন আকাশে কালো করে মেঘ জমতে শুরু করেছে। আম্মু স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, “যাক বাবা! ঠিক ঠিক চলে এসেছিস। যা দুশ্চিন্তা লাগছিল!”
তিষা অবাক হয়ে বলল, “সে কী! তোমার দুশ্চিন্তা কী নিয়ে?”
“বাচ্চা একটা ছেলে সবাইকে নিয়ে গাড়ী চালাচ্ছে, দুশ্চিন্তা করব না?”
“আম্মু, তুমি আমেরিকানদের চিনো না! এরা গাড়ী ছাড়া আর কিছু বুঝে না। জন গাড়ীর পুরো ইঞ্জিন খুলে আবার লাগিয়ে দিতে পারে। সে হচ্ছে গাড়ীর পোকা!”
“আমি ভেবেছিলাম সে কম্পিউটারের পোকা।”
“কম্পিউটারের জিনিয়াস আর গাড়ীর পোকা।”
“দুটোর মাঝে পার্থক্য কী?”
“একটা হয় মাথা দিয়ে অন্যটা অভ্যাস দিয়ে!”
আম্মু হাল ছেড়ে দেয়ার ভঙ্গী করে মাথা নাড়লেন আর ঠিক তখন বাইরে বিদ্যুতের আলো ঝলসে উঠল। আম্মু বললেন, দেখেছিস! বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে!”
তিষা জানালার কাছে গিয়ে বাইরে তাকাল, বলল, “এই দেশে আমি কখনো আকাশে মেঘ জমতে দেখি নি! বিদ্যুৎ তো অনেক দূরের ব্যাপার।”
আম্মু বললেন, “আজকে খবরে বলেছে রাতে বজ্রপাতসহ ঝড় হবে!”
তিষা হাত তালি দিয়ে বলল, “সত্যি হবে তো? কতোদিন বিজলী মেঘ এসব দেখি না! মনে আছে বাংলাদেশে কালবৈশাখীর সময় কী চমৎকার ঝড় হতো? কুচকুচে কালো মেঘ আর তার মাঝে ঝিলিক করে বিজলী তারপরে মেঘের ডাক! মনে আছে?”
আম্মু একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, “মনে নেই আবার! দেশের মেঘ বৃষ্টি খুবই মিস করি।”
.
রাত্রে তিষা তার বিছানায় বসে কোলের মাঝে ল্যাপটপ রেখে কাজ করছে। ঘরের এক কোনায় একটা কার্ডবোর্ডের বাক্সে একটা কম্বল ভাঁজ করে তার মাঝে মিশকার শোওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঠিক ছোট শিশুর মত পা গুটিয়ে সে ঘুমিয়ে আছে।
তিষা তার প্রিয় একটা গান ডাউনলোড করে যখন সেটা শুনতে যাচ্ছে ঠিক তখন আকাশে গুড়গুড় করে মেঘ ডাকল, ঠিক যেভাবে দেশে মেঘ ডাকতো। তিষা জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়, আকাশ চিরে একবার বিদ্যুৎ ঝলসে উঠল তারপর হঠাৎ করে প্রচণ্ড শব্দে আশেপাশে কোথাও বাজ পড়ল।
তিষা চমকে উঠল আর ঠিক তখন খুব বিচিত্র একটা ব্যাপার ঘটল। মিশকা চমকে ঘুম থেকে জেগে উঠল, আতংকে চিৎকার করার ফলে সেটি খুব জোরে শব্দ করে হেসে উঠল তারপর অপ্রকৃতিস্থ মানুষের মত হাসতে হাসতে সেটি তার বাক্স থেকে লাফ দিয়ে বের হয়ে প্রায় ছুটে এসে তিষার বিছানায় উঠে তিষাকে জড়িয়ে ধরে খিল খিল করে হাসতে থাকে। তিষা অবাক হয়ে লক্ষ্য করল সেটি থরথর করে কাঁপছে।
তিষা এনিম্যানটাকে জড়িয়ে ধরে তার মাথায়, শরীরে হাত বুলিয়ে অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। বজ্রপাতের বিকট শব্দে এটি ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়ে এটি আতংকে চিৎকার না করে শব্দ করে হেসে উঠছে। যখন কাদার কথা তখন হাসছে!
হঠাৎ করে তিষার একটা বিচিত্র কথা মনে হল, হয়তো এই এনিম্যানটি আসলে ভয় পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। কিন্তু যারা তাকে তৈরী করেছে তারা এনিম্যানের কাদার ক্ষমতা দেয়নি তাই যখন কাঁদার কথা তখন সেটি হাসছে। আসলে হয়তো এটি হাসি নয় আসলে এটি কান্না। এই এনিম্যানটি হয়তো আসলে হাসিখুশী একটা প্রাণী নয়, এনিম্যানটি হয়তো আসলে খুব দুঃখী একটা প্রাণী। এটা তার দুঃখটাকে প্রকাশ করে হাসি দিয়ে! তিষা নিজের অজান্তেই কেমন জানি শিউরে উঠল।
এনিম্যানটি কিছুক্ষণেই শান্ত হয়ে যায়। তার মাথায় শরীরে হাত বুলিয়ে দিয়ে তিষা আবার তাকে তার কার্ডবোর্ডের বাক্সে শুইয়ে দিয়ে ল্যাপটপটা কোলে তুলে নেয়। বাহিরে যখন ঝড় শুরু হয়েছে বাতাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে তখন সে তার ব্লগে লিখল।
“এনিম্যান কী সত্যি খুব হাসি খুশী প্রাণী? এমনকী হতে পারে না যে আসলে এটি খুব দুঃখী একটা
প্রাণী? তার ভেতর অনেক
কষ্ট কিন্তু সে তার কষ্টটা প্রকাশ করে হাসির মতো একটা ভঙ্গী করে। তাই আমরা ভাবি এটি খুব হাসিখুশী। আসলে এটি হাসিখুশী নয়। আসলে এটি ভীত আতংকিত একটা প্রাণী?
আমি শুধু শুধু এটি বলছি না।
একটু আগে বিকট শব্দে একটা বজ্রপাত হল। ভয়ে চমকে জেগে উঠে আমার এনিম্যানটি আতংকে চিৎকার না
করে জোরে হেসে উঠল। ছুটতে
ছুটতে আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে এটা ভয়ে থর থর
করে কাঁপছিল। কিন্তু তার
মুখে ভয় নেই, তার
মুখে হাসি।
কি বিচিত্র!”
তিষা জানতেও পারল না ব্লগে তার এই সহজ কয়েক লাইনের লেখাটি কী ভয়ংকর একটি প্রক্রিয়া শুরু করে দিল।