চৌদ্দ জন যুদ্ধে পড়ে, সূর্পণখা দেখে।
ত্রাস পাইয়া কহে গিয়া খরের সম্মুখে।।
যুঝিবারে পাঠাইলে ভাই চৌদ্দ জন।
অযশ করিল না সাধিল প্রয়োজন।।
যে চৌদ্দ রাক্ষস পাঠাইলে রণ-স্থান।
রামের বাণেতে তারা হারাইল প্রাণ।।
খর বলে, দেখ তুমি আমার প্রতাপ।
ঘুচাইব এখনি তোমার মনস্তাপ।।
লইয়া চলিল নিজ অস্ত্র খরশান।
নিশাচর চতুর্দ্দশ হাজার প্রধান।।
প্রবাল প্রস্তর ছটা তাহে নানা মণি।
বিচিত্র পতাকা ধ্বজ রথের সাজনি।।
রথগুলা চন্দ্র সুর্য্য জিনিয়া উজ্জ্বল।
প্রবাল মুক্তার হার করে ঝলমল।।
কনক-রচিত রথ বিচিত্র নির্ম্মাণ।
বায়ুবেগে অষ্ট ঘোড়া রথের যোগান।।
অস্ত্র শস্ত্র তাবৎ তুলিয়া রথোপর।
রথ-স্তম্ভ ধরি উঠেমহাবলী খর।।
আচম্বিতে গৃধিনী পড়িল রথ-ধ্বজে।
না চলে রথের ঘোড়া, চলে মন্দ তেজে।।
মেঘের গর্জনে গর্জ্জে রাক্ষস দূষণ।
রামেরে মারিব আগে পশ্চাৎ লক্ষ্মণ।।
রাক্ষস ধাইল যত পরম কৌতুকে।
কৃত্তিবাস রামায়ণ রচে মন-সুখে।।