জিজ্ঞাসেন জন্মেজয় কহ মুনিবর।
অতঃপর কি করিলা পঞ্চ সহোদর।।
মুনি বলে, অবধান কর কুরুনাথ।
একাদশ মাস গত হইল অজ্ঞাত।।
সুদেষ্ণার সেবা কৃষ্ণা করে অনুক্ষণ।
হেনমতে দেখ তথা দৈবের ঘটন।।
কীচক নামেতে বিরাটের সেনাপতি।
এক দিন দ্রৌপদীরে দেখিল দুর্ম্মতি।।
দৃষ্টিমাত্র রূপে তার হৈল বিমোহিত।
দ্রৌপদীর সন্নিকটে হৈল উপনীত।।
বলিতে লাগিল তবে মধুর বচনে।
হের, অবধান কর পূর্ণচন্দ্রাননে।।
মনোহর অঙ্গ তব অনঙ্গ মোহিনী।
নিরুপম অঙ্গ তব প্রথম যৌবনী।।
হেথায় আছহ, কভু নাহ আমি জানি।
এ রূপ যৌবন কেন নষ্ট কর ধনি।।
তোমার অঙ্গের শোভা সুর-মন লোভে।
এ সব ভূষণ নাহি তব অঙ্গে শোভে।।
দেখিয়া তোমারে মন মজিল আমার।
কামবাণে দহে প্রাণ করহ উদ্ধার।।
গৃহ দারা পুত্র মম যত ধন জন।
সব ত্যজি লইলাম তোমার শরণ।।
সহস্র সহস্র মোর আছে নারীগণ।
দাসী হয়ে সেবিবেক তোমার চরণ।।
রত্ন-অলঙ্কার যত লোক মনোহর।
যথা ইচ্ছা বিভূষণ কর কলেবর।।
রত্ন-মন্দির শয্যা, রত্ন-সিংহাসন।
রত্ন-আভরণ পর, শুনহ বচন।।
সবার উপরে তুমি হবে ঠাকুরাণী।
যদি না রাখহ ধনী অধীনের বাণী।।
এখনি ত্যজিব প্রাণ তোমা বিদ্যমান।
এই দেখ হইয়াছে কণ্ঠাগত প্রাণ।।
কীচকের বাক্যে কৃষ্ণা কম্পে কলেবর।
ধর্ম্মেরে স্মরিয়া দেবী করিলা উত্তর।।
সৈরন্ধ্রী আমার জাতি, বীভৎসরূপিণী।
আমারে এমত কভু না শোভে কাহিনী।।
এ সকল কহ নিজ কুল-ভার্য্যাগণে।
বংশবৃদ্ধি হবে যাতে, থাকিবে কল্যাণে।।
পরদারে লোভে কৈলে নাহিক মঙ্গল।
জীয়ন্তে অখ্যাতি ঘোষে পৃথিবী মণ্ডল।।
যতেক সুকৃতি তার সব নষ্ট হয়।
পরশ করিলে মাত্র হয় আয়ুক্ষয়।।
পুত্র দারা শোক কষ্ট দরিদ্র লক্ষণ।
অল্পকালে দণ্ড তারে করয়ে শমন।।
সকল বিনাশ হয় পরদারা প্রীতে।
কভু ত্রাণ নাহি তার নরক হইতে।।
পরদারা আমি, তাহা জানহ আপনে।
পাপদৃষ্টি মোর প্রতি কর কি কারণে।।
গন্ধর্বব আমার পতি যদ্যপি দেখিবে।
কুটুম্ব সহিত তোমা সবংশে মারিবে।।
পঞ্চ গন্ধর্ব্বের আমি করি যে সেবন।
অনুক্ষণ রাখে মোরে সেই পঞ্চ জন।।
কালরাত্রি পোহাইল আজি যে তোমারে।
তেঁই হেন দুষ্ট ভাষা কহিছ আমারে।।
তুমি যে এমত ভাষা আমারে কহিলে।
ধরিল যমের দূত আজি তব চুলে।।
সুবুদ্ধি পণ্ডিত যেই জ্ঞানবন্ত জন।
পরস্ত্রী দেখিলে হেঁট করয়ে বদন।।
দৌপদীর বাক্য শুনি কীচক দুঃখিত।
নৈরাশ্য আঘাতে হয় অত্যন্ত পীড়িত।।
তাহার ভগিনী বিরাটের রাজরাণী।
তার স্থানে কহে গিয়া সবিনয় বাণী।।
অচেতন অঙ্গ কম্পে সঘনে নিশ্বাস।
কহিতে না পারে, কহে অর্দ্ধ অর্দ্ধ ভাষ।।
ভগিনী নিকটে যাহা বলা নাহি যায়।
কহিতে লাগিল তাহা লজ্জা নাহি পায়।।
দেখহ ভগিনী মোর বাহিরায় প্রাণ।
যদি মোরে চাহ শীঘ্র কর পরিত্রাণ।।
সৈরন্ধ্রী আছয়ে যেই তোমার সদনে।
তারে মোর পত্নী করি দেহ এইক্ষণে।।
না দিলে সোদর হত্যা হইবে তোমার।
এখনি জানিবে প্রাণ যাইবে আমার।।
মধুর বচনে কন বিরাটের রাণী।
কেন হেন কহ ভাই অনুচিত বাণী।।
ছার দাসী লাগি কেন ত্যজিবে জীবন।
দিবার হইলে আমি দিতাম এখন।।
অভয় দিয়াছি আমি, লয়েছে শরণ।
দুষ্টমতি নহে সেই, বুঝিয়াছি মন।।
চক্ষু মেলি নাহি চাহে পুরুষের পানে।
তব ভার্য্যা হৈতে তারে কহিব কেমনে।।
করিছে গন্ধর্ব্ব পঞ্চ তাহার রক্ষণ।
শান্ত হও, ত্যজ ভাই সৈরন্ধ্রীতে মন।।
কীচক বলিল, শুন গন্ধর্ব্ব কি ছার।
কাহার শকতি হয় অগ্রেতে আমার।।
পঞ্চ গন্ধর্ব্বেতে রক্ষা করে বলি কয়।
সহস্র গন্ধর্ব্ব হৈলে নাহি করি ভয়।।
নষ্টা স্ত্রী প্রকৃতি কভু নাহি জান তুমি।
নষ্টা স্ত্রীলোকেরে ভালমতে জানি আমি।।
মুখেতে সতীত্ব কহে, অন্তরেতে আন।
সেইমত সৈরন্ধ্রীতে কর অনুমান।।
যদি মোরে চাহ, তবে বল শীঘ্রগতি।
সেবিকারে কর ভয়, সোদরে অপ্রীতি।।
রাণী বলে, যত কহ, মোহেব বশেতে।
সতী প্রতি হে বাণী কহিব কিমতে।।
সৈরন্ধ্রী ইচ্ছিয়া, নিজ মরণ ইচ্ছিলে।
সেই হেতু ভগিনীরে এ কথা কহিলে।।
নিশ্চয় নিকট মৃত্যু দেখি যে তোমার।
যাহ তুমি দ্রুতগতি আপন আগার।।
আহারাদি কর গিয়া আপনার ঘরে।
সৈরন্ধ্রী পাঠাব সুধা আনিবার তরে।।
শান্তি কথা সব তারে কহিবে প্রথম।
শান্তিতে ভজিলে হয় সকল উত্তম।।
এত শুনি শীঘ্র গৃহে করিল গমন।
যা বলিল ভগ্নী, তাহা করিল তখন।।
তবে কতক্ষণে বিরাটের পাটরাণী।
সৈরন্ধ্রীরে ডাকি কহে সুমধুর বাণী।।
ক্রীড়ায় ছিলাম আমি, তৃষ্ণায় পীড়িত।
ভ্রাতৃগৃহ হৈতে সুধা আনহ ত্বরিত।।
সুদেষ্ণার বাক্য শুনি যেন বজ্রাঘাত।
ভয়েতে কাঁপেন কৃষ্ণা যেন রম্ভাপাত।।
কৃষ্ণা বলে , সূতপুত্র নির্লজ্জ দুর্ম্মতি।
তার পাশে যেতে মোরে না বলহ সতি।।
প্রথমে তোমার স্থানে করেছি নির্ণয়।
রাখিলে আপন গৃহে করিয়া অভয়।।
আপন বচন দেবী করহ পালন।
সুধা আনিবারে তথা যাক অন্য জন।।
আর কোন কর্ম্মে আজ্ঞা কর রাজরাণী।
শ্রমসাধ্য হলেও তা পালিব এখনি।।
শুনিয়া সুদেষ্ণা কহে ক্রোধে আরবার।
প্রেষিণী নারীর কেন এত অহঙ্কার।।
যথায় পাঠাব, তথা করিবে গমন।
বিশেষে বিশ্বস্ত তুমি, বলি সে কারণ।।
যাহ শীঘ্রগতি, সুধা আনহ ত্বরিতে।
এত লি সুধাপাত্র তুলি দিল হাতে।।
এত শুনি দ্রৌপদীর চক্ষে বহে নীর।
করযোড়ে প্রণমিল দেবতা মিহির।।
সূর্য্যপানে চাহি দেবী করেন স্তবন।
দুঃসহ সঙ্কটে দেব করহ তারণ।।
পাণ্ডুপুত্র বিনা মম অন্যে নাহি মতি।
কীচকের স্থানে মোরে কর অব্যাহতি।।
মুহূর্ত্তেক সূর্য্যস্তব দ্রৌপদী করিল।
কৃষ্ণা রাখিবারে দেব রক্ষগণ দিল।।
কৃষ্ণাতে সমর্থ যেন না হয় কীচক।
অলক্ষিতে যাহ সঙ্গে রাক্ষস রক্ষক।।
দুঃখেতে কাতরা অতি দ্রূপদ-নন্দিনী।
ব্যাঘ্র স্থানে যেতে যথা ডরায় হরিণী।।
দূর হৈতে মূঢ়মতি দেখি দ্রৌপদীরে।
প্রাসাদ হইতে ভূমে নামিল সত্বরে।।
সমুদ্র তরিতে যেন পাইল তরণী।
কৃষ্ণারে চাহিয়া বলে সুমধুর বাণী।।
আজি সুপ্রভাত মোর হইল রজনী।
তেঁই মোরে কৃপা করি আসিলে আপনি।।
এই গৃহ ধন জন সকলি তোমার।
দিব্য বস্ত্র পর তুমি,দিব্য অলঙ্কার।।
কৃষ্ণা বলে, তব ভগ্নী হৈল পিপাসিত।
সুধা দেহ লয়ে আমি যাইব ত্বরিত।।
কীচক বলিল, কেন বলহ এমন।
তোমার আজ্ঞায় সুধা লবে অন্য জন।।
কষ্ট গেল, শুভ তব হইল এখন।
সহস্র সহস্র দাসী সেবিবে চরণ।।
আসি বৈস তুমি এই রত্ন সিংহাসনে।
এত বলি ধরিতে চলিল সেইক্ষণে।।
কীচকের দুষ্টাচার দেখিয়া পার্ষতী।
ভূমিতে ফেলিয়া পাত্র ধায় শীঘ্রগতি।।
অন্তঃপুরে গেলে দুষ্ট করিবেক বল।
ভাবিয়া চলিলা দেবী রাজ সভাস্থল।।
পাছু পাছু ধেয়ে যায় কীচক দুর্ম্মতি।
সভামধ্যে চুলে ধরি ক্রোধে মারে লাথি।।
সূর্য্য অনুচর সেই অলক্ষিতে ছিল।
কীচকে ধরিয়া বলে ভূমিতে পাড়িল।।
মূল কাটা গেলে যথা বৃক্ষ পড়ে তলে।
অচেতন হয়ে দুষ্ট পড়িল ভূতলে।।
রাজা সহ পাত্র মিত্র বসেছে সভায়।
সবে দেখে, দ্রৌপদীরে প্রহারিল পায়।।
সভায় বসিয়াছিল বীর বৃকোদর।
দুই চক্ষু রক্তবর্ণ, কম্পিত অধর।।
জ্বলন্ত অনলে যেন ঘৃত দিল ঢালি।
দেখিল যে অপমান পাইল পাঞ্চালী।।
নয়ন যুগলে অগ্নিকণা বাহিরায়।
দুপাটী দশন চাপি উঠিল সভায়।।
সম্মূখে আছিল বৃক্ষ লইবারে যায়।
অনুমতি লইবারে ধর্ম্মপানে চায়।।
অঙ্গুলি নাড়িয়া ধর্ম্ম চক্ষুতে চাপিল।
অধোমুখে হয়ে ভীম সভাতে বসিল।।
স্বামীগণ সব বসি দেখে চারি পাশে।
ঊর্দ্ধশ্বাসে কান্দে কৃষ্ণ, কহ অর্দ্ধভাষে।।
ধর্ম্মাসনে বসি আছ মৎসের ঈশ্বর।
বিনা অপরাধে মোরে মারিল বর্ব্বর।।
দাসীরে মারিতে নারে রাজার সভায়।
তোমা বিধ্যমানে মোরে প্রহারিল পায়।।
দুষ্ট লোকে রাজা দণ্ড নাহি করে যদি।
তবে অল্পকালে তারে দণ্ড দেন বিধি।।
অনাথা দেখিয়া মোরে দুষ্ট দুরাশয়।
চুলে ধরি মারিলেক, নাহি ধর্ম্মভয়।।
ন্যায়মত রাজা যদি পালে প্রজাগণ।
বহুকাল থাকে সেই ইন্দ্রের ভুবন।।
ন্যায় না করিয়া যদি উপরোধ করে।
অধোমুখ হয়ে পড়ে নরক দুস্তরে।।
দান যজ্ঞ আদি কর্ম্ম সব ব্যর্থ যায়।
এমন বিধির বিধি, শাস্ত্রে হেন কয়।।
কীচক পড়িয়াছিল হয়ে অচেতন।
সচেতন কর, আজ্ঞা করিল রাজন।।
পিতা প্রতি কহে তবে বিরাট নন্দন।
রাজধর্ম্ম রাজা নাহি করিলা পালন।।
বিনা অপরাধে আসি মারিল সভায়।
রাজদণ্ড নাহি দিলে চোর-সভা প্রায়।।
সবাই অধর্ম্মী বসিয়াছ যত জন।
ধর্ম্ম ভয় নাহি, তেঁই না কহ বচন।।
এত শুনি সদুত্তর করে মৎস্যভূপ।
পরোক্ষে দোঁহার দ্বন্দ্ব না জানি কিরূপ।।
না জানিয়া না শুনিয়া কহিব কেমনে।
কি হেতু তোমরা দ্বন্দ্ব কর দুই জনে।।
বিরাটের হেন বাক্য শুনি যাজ্ঞসেনী।
রোদন করিয়া কহে শিরে কর হানি।।
পদাঘাতে মৃতবৎ করে শত্রুগণ।
দেব দ্বিজগণ প্রিয়, বড় প্রিয় রণে।।
সে সব জনের আমি মানসী মহিষী।
সূতপুত্র মোরে পদে প্রহারিল আসি।।
যাঁর ধনুর্ঘোষে তিন লোকে কম্প হয়।
এক রথে যে করিল তিন লোক জয়।।
তাঁর ভার্য্যা হই আমি, দেখিয়া অনাথ।
সূতপুত্র দুষ্ট মোরে করে পদাঘাত।।
বল বুদ্ধি তা সবার কোথাকারে গেল।
মোর এত অপমান নয়নে দেখিল।।
বলিতে লাগিল তবে যত সভাজন।
ভাল কর্ম্ম না করিল সূতের নন্দন।।
সাক্ষাতে সৈরন্ধ্রী দেবকন্যা-স্বরূপিণী।
হেন অঙ্গে পদাঘাত অনুচিত বাণী।।
তবে ধর্ম্ম কহিছেন কঙ্ক নামধারী।
সৈরন্ধ্রী না কর খেদ, যাও অন্তঃপুরী।।
ধর্ম্মশীল মৎস্যরাজ ডরে পললোকে।
উপরোধ করি ক্ষমা করিল কীচকে।।
দেখিতেছে গন্ধর্ব্বেরা তব পতিগণ।
সময় বুঝিয়া ক্ষমা করিল এখন।।
কালেতে কীচকে তারা দণ্ডিবে উচিত।
কীচক হইতে কিছু নাহি হও ভীত।।
দুঃখিনী সমান কেহ কান্দহ সভায়।
আত্মপাপে দুঃখ পাও, কি দোষ রাজায়।।
কৃষ্ণা কহে, সভাসদ কহিলে প্রমাণ।
আত্মপাপে দুঃখ মোর কে করিবে আন।।
এত বলি দুই চক্ষু কেশেতে মুছিল।
কেশ বিঘর্ষণে কত শোণিত স্রাবিল।।
ভর্ত্তৃ-আজ্ঞা পেয়ে কৃষ্ণা যান অন্তঃপুরী।
যথায় আছয়ে নারী কেকয়-কুমারী।।
সুদেষ্ণার আগে দেবী কান্দিতে লাগিল।
শাঠ্যেতে সুদেষ্ণা তারে সম্ভ্রমে পুছিল।।
কে তোমার করিলেক এতেক দুর্গতি।
সমূলে বিনাশ পাবে সেই দুষ্টমতি।।
নিঃশ্বাস ছাড়িয়া কহে সৈরন্ধ্রী-রূপিণী।
জানিয়া কপট কেন কর রাজরাণী।।
সুধা আনিবারে ভ্রাতৃগৃহেতে পাঠালে।
কত বা কহিব তাহা, যত দুঃখ দিলে।।
রাজাসহ পাত্র মিত্র দেখেছে সভায়।
কেশে ধরি তব ভ্রাতা মারিল আমায়।।
যথোচিত তার শাস্তি পাবে দুষ্টমতি।
আজি কিম্বা কালি যাবে যমের বসতি।।
আজি হৈতে ত্যজ আমা ভ্রাতার জীবন।
কর আয়োজন তার শ্রাদ্ধের কারণ।।
এত বলি নিজ স্থানে গেলেন পাঞ্চালী।
জলে প্রবেশিয়া সব ধুইল রক্ত ধূলী।।
পরপুরুষের স্পর্শে যেই আচরণ।
বিধানে দ্রৌপদী তাহা করিল তখন।।
পুনঃ পুনঃ কান্দে কৃষ্ণা নিজ দুঃখ স্মরি।
হেনমতে গেল তবে অর্দ্ধেক শর্ব্বরী।।
ক্ষুধা নিদ্রা নাহি, দেবী করে অনুমান।
এ দুঃখ সাগর হৈতে কে করিবে ত্রাণ।।
না পারিবে বৃকোদর বিনা অন্য জন।
চিন্তিয়া ভীমের পাশে করেন গমন।।
মহাভারতের কথা অমৃত-সমান।
কাশীরাম দাস কহে, শুনে পুণ্যবান।।