তিনি বসে আছেন একটি দাবা সেটের সামনে।
দাবা সেটটি অন্যগুলোর মতো নয়। এখানে স্কয়ারের সংখ্যা একাশিটি। তিনটি নতুন পিস যুক্ত করা হয়েছে। এই পিসগুলোর কর্মপদ্ধতি কী হলে খেলােটাকে যথেষ্ট জটিল করা যায়, তা-ই তিনি ভাবছিলেন। মাঝে মাঝে কথা বলছেন সিডিসির সঙ্গে। সিডিসি হচ্ছে নিষিদ্ধ নগরীর মূল কম্পিউটার। সিডিসির শব্দ তৈরির অংশটি অসাধারণ। সে যখন যেমন স্বর প্রয়োজন, তখন সে রকম স্বর বের করে। তিনি যখন ঘুমুতে যান, তখন সিডিসি কিশোরী কণ্ঠে তাঁর সঙ্গে কথা বলে। এখন কথা বলছে বৃদ্ধের গলায়। ভারি, ভাঙা ভাঙা— খানিকটা যেন শ্লেষ্মােজড়িত। তিনি দাবার বোর্ড থেকে চোখ না। সরিয়েই ডাকলেন, সিডিসি।
বলুন।
খেলাটা তো কিছুতেই কায়দা করা যাচ্ছে না।
আমার কাছে ছেড়ে দিন, আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
তাতে আমার লাভটা কি হল? আমি চাচ্ছি নিজে একটা খেলা বের করতে।
আপনি যা চাচ্ছেন তা তো হচ্ছে না। এই খেলা বহু প্ৰাচীন, আপনি শুধু তার ভেতর নতুনত্ব আনতে চেষ্টা করছেন।
সেটাই কম কি?
সেটা তেমন কিছু নয়। আপনার আগেও অনেকে চেষ্টা করেছে।
তাই নাকি?
হ্যাঁ। আপনি চাইলে কারা কারা পরিবর্তন করেছেন, কী ধরনের পরিবর্তন, তা বলতে পারি।
আমি কিছুই জানতে চাই না।
তিনি উঠে দাঁড়ালেন। হাতের এ ঝটিকায় দাবার বোর্ড উল্টে দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালেন। মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত বিশাল এক আয়না। সেই আয়নায় তিনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নিজেকে দেখছেন। তাঁর চোখে মুগ্ধ বিস্ময়।
সিডিসি।
বলুন।
আমাকে কেমন দেখাচ্ছে বল তো?
ভালো দেখাচ্ছে।
শুধু ভালো? এর বেশি কিছু নয়?
আপনি আমার কাছ থেকে কী ধরনের কথা শুনতে চাচ্ছেন বুঝতে পারছি না।
আমি যা শুনতে চাই তা-ই তুমি বলবে?
যদি সম্ভব হয় বলব। আপনি তো জানেন, আমি মিথ্যা বলতে পারি না। আমার বয়স কত?
আপনার বয়স পাঁচ শ এগার বছর তিন মাস দু দিন ছয় ঘণ্টা বত্রিশ মিনিট।
তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হলেন। মুখ কুঁচকে বললেন, আমাকে দেখে কী মনে হয় তাই জানতে চাচ্ছি। আমাকে দেখে কি মনে হয় আমার বয়স পাঁচ শ?
না, তা মনে হয় না। ত্ৰিশের মতো মনে হয়, তবে—
আবার তবে কি?
আপনার মধ্যে বিশেষ এক ধরনের অস্থিরতা দেখছি, যা সাধারণ একজন ত্ৰিশ বছরের যুবকের থাকে না।
তুমি নিতান্তই মুখের মতো কথা বলছি।
হতে পারে।
তুমি আমার সঙ্গে এ রকম বুড়োদের মতো গলায় কথা বলছি কেন? তুমি কি আমাকে বুঝিয়ে দিতে চাও যে আমি একজন বুড়ো?
তা নয়।
তা নয়। মানে? অবশ্যই তোমার মনে এই জিনিস আছে।
আপনি আজ বিশেষ উত্তেজিত, তাই এরকম ভাবছেন।
এবং তুমি কথাও বেশি বল। অপ্রয়োজনে এখন থেকে একটি কথাও বলবে না।
ঠিক আছে, বলব না।
আমি নিজ থেকে কোনো প্রশ্ন করলে তবেই উত্তর দেবে। বুঝতে পারছ?
পারছি।
তিনি আয়নার সামনে থেকে সরে এলেন। তার ইচ্ছা করছে লাথি দিয়ে আয়নাটা ভেঙে ফেলতে। বহু কষ্টে তিনি নিজেকে সামলালেন। তাও পুরোপুরি সামলাতে পারছেন না। থারথার করে তার শরীর কাঁপছে।
সিডিসি।
বলুন।
কী করা যায় বল তো?
কোন প্রসঙ্গে বলছেন?
কী প্রসঙ্গে বলছি বুঝতে পারছি না? মুর্থ।
আপনি অতিরিক্ত রকম উত্তেজিত। আপনি চাইলে আপনাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারি।
এই মাত্ৰই তো জাগলাম।
আপনি অনেকক্ষণ আগেই জেগেছেন।
তাই নাকি?
প্রায় দশ ঘণ্টা ধরে দাবা নিয়ে চিন্তা করছেন। আমার মনে হয় এখন কিছু খাদ্য গ্রহণ করে ঘুমুতে যাওয়া উচিত।
ঘুম পাচ্ছে না।
আপনি শুয়ে থাকুন, আমি নিও ফ্রিকোয়েন্সি বদলে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে মধুর কোনো সংগীতের ব্যবস্থাও করছি।
মধুর সংগীত বলেও কিছু নেই।
তিনি লক্ষ করলেন তার উত্তেজনা কমে আসছে। হয়তো ইতোমধ্যেই সিডিসি নিও ফ্রিকোয়েন্সি কমাতে শুরু করেছে। দূরাগত বিষাদময় সংগীতও তিনি শুনতে পাচ্ছেন। এই সংগীত বিষাদময় হলেও কোনো এক অদ্ভুত কারণে মন শান্ত করে। গানের কথাগুলো অস্পষ্টভাবে কানে আসছে।
হে প্ৰিয়তম!
তুমি কি দূর থেকেই আমাকে দেখবে?
আজ বাইরে কী অপূর্ব জোছনা।
সেই আলোয় তুমি এবং আমি কখনো কি
নিজেদের দেখব না?
তিনি ক্লান্ত গলায় ডাকলেন, সিডিসি!
শুনেছি।
জীবন খুব একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে সিডিসি।
দীর্ঘ জীবন কিছুটা ক্লান্তিকর হয়ে পড়ে। মধুর সংগীত, মহান শিল্পকর্মও একসময় অর্থহীন মনে হয়।
তিনি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললেন। সিডিসি বলল, আপনার জীবনে কিছুটা উত্তেজনা আনার ব্যবস্থা করেছি।
কী রকম?
প্রথম শহরের দুজন নাগরিককে নিয়ে আসা হয়েছে। ওদের সঙ্গে কথা বললে কিছুটা বৈচিত্ৰ্য আপনি পেতে পারেন।
আমার বৈচিত্র্যের প্রয়োজন নেই।
প্রয়োজন আছে। সম্পূর্ণ দুধরনের দুজন মানুষকে আনা হয়েছে। ওদের কাণ্ডকারখানা দেখতে আপনার ভালো লাগবে।
তোমার কথা শুনেই আমার অসহ্য বোধ হচ্ছে। ওদের মুহূর্তে ফেরত পাঠাও।
নিষিদ্ধ নগরী থেকে কাউকে ফেরত পাঠাবার নিয়ম নেই।
তাহলে মেরে ফেলি।
মেরে ফেলব?
হ্যাঁ, মেরে ফেলবে। এবং মৃত্যুর সময় ওদের ফিল্ম করে রাখবে। পরে এক সময় দেখব। আমার মনে হয় দেখতে ভালো লাগবে।
ঠিক আছে। মৃত্যুর আগে ওদের একবার দেখতে চান না?
না, মেরে ফেল। ওদের মেরে ফেল।
ঠিক আছে।
কষ্ট দিয়ে মারবে। খুব কষ্ট দিয়ে মারবে।
তাই করব।
আমি এখক ঘুমুব। ঘুম পাচ্ছে।
তিনি মেঝেতেই এলিয়ে পড়লেন। অপূর্ব সংগীত হতে থাকল,
হে প্ৰিয়তম,
আজ এই বসন্তের দিনে আকাশ এমন মেঘলা কেন?
আকাশ কি আমার মনের কষ্ট বুঝে ফেলল?
তা কেমন করে হয়?
আমার যে কষ্ট তা তো আমি নিজেই জানি না।
আকাশ কি করে জানবে?
তিনি গাঢ় ঘুমে তলিয়ে পড়লেন। ঘরের আলো কমে এল। সংগীত অস্পষ্ট হয়ে আসছে। তিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মধুর স্বপ্ন দেখছেন। সেই স্বপ্নের কোনো অর্থ নেই, তবু মনে হচ্ছে অর্থ আছে।
তাঁর ঘুম ভাঙল।
ঘর অন্ধকার। তার চোখ মেলার সঙ্গে সঙ্গেই ঘর আলো হতে শুরু করল। তিনি বুঝতে পারলেন যতক্ষণ তার ঘুমানোর কথা, তিনি তার চেয়েও বেশি সময় ঘুমিয়েছেন। হয়তো অনেক বেশি সময়। কারণ তাঁর পাশে একটি চিকিৎসক রোবট। রোবটটি আন্তরিক স্বরে বলল, কেমন আছেন?
তিনি বিরক্তিতে ভুরু কুচকে ফেললেন। চিকিৎসক রোবট জিজ্ঞেস করছে, কেমন আছেন। এই প্রশ্নের জবাব তারই দেয়া উচিত। তা দিচ্ছে না, জিজ্ঞেস করছে- কেমন আছেন। ব্যাটা ফাজিল।
আজ আপনি দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন। ঘুমিয়েছি, ভালো করেছি। তোমাকে জিজ্ঞেস করে জগতে হবে? মোটেই নয়। আপনার যতক্ষণ প্রয়োজন আপনি ঘুমুবেন। তবে- তবে কি? আপনার রক্তে LC2 হরমোনের পরিমাণ একটু বেশি, এই জন্যে…
বকবক করবে না, চুপ করে থাক। বেশ চুপ করেই থাকব। আপনি নিজে কেমন বোধ করছেন এইটুকু শুধু বলুন। আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই।
যা ব্যাটা ভাগ।
আপনি কি বললেন?
আমি বললাম এই মুহুর্তে এখান থেকে বিদেয় হতে।
আপনি এত উত্তেজিত হচ্ছেন কেন?
আমি আরো উত্তেজিত হব এবং তুমি যদি এই মুহুর্তে এখান থেকে বিদায় না। হও তাহলে কাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে তোমার মারকারি চোখের বারটা বাজিয়ে দেব।
রোবটটি পায়ে পায়ে সরে গেল। তার খিদে পাচ্ছে। আগে খিদে পেলে খাবার চলে আসত। তিনি নিষেধ করে দিয়েছিলেন, এখন আর আসে না। আজ এলে ভালো হত। খাবারের কথা কাউকে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
সিডিসি।
আমি আছি।
তা তো থাকবেই। তুমি আবার যাবে কোথায়? আমি যেমন অমর, তুমিও তেমনি। অজর অমর অক্ষয়। হা হা হা।
আপনাকে কি খাবার দিতে বলব? আমার মনে হচ্ছে আপনি ক্ষুধার্তা।
তোমার আর কি মনে হচ্ছে?
মনে হচ্ছে আপনি বেশ উত্তেজিত। রক্তে LC2 হরমোনের পরিমাণটা কমোনর চেষ্টা করা উচিত।
সিডিসি।
বলুন।
তোমাকে কি- একটা কথা যেন বলব ভাবছিলাম, এখন মনে পড়ছে না।
আমি কি মনে করিয়ে দেবার চেষ্টা করব?
বেশ কর।
আমার মনে হয় প্রথম শহর থেকে আসা মানুষ দুজন সম্পর্কে কিছু বলতে চান।
ও হ্যাঁ। ঠিক ঠিক ঠিক।
কি বলতে চাচ্ছেন বলুন।
ওদের মেরে ফেলার দরকার নেই।
ওরা বেঁচেই আছে। মারা হয় নি।
আমি লক্ষ করেছি। আমি তোমাকে যে হুকুম দিই, তা তুমি সঙ্গে সঙ্গে পালন কর না। এর কারণ কি?
কারণ আপনি হুকুম খুব ঘনঘন বদলান। ওদের মারবার কথা যখন বললেন, তখনি আমার মনে হয়েছিল, এই আদেশ আপনি পাল্টে দেবেন।
আমার খাবার ব্যবস্থা কর।
খাবার চলে এল। প্রচুর আয়োজন, সবই তরল। চুমুক দিয়ে খাবার ব্যাপার। তিনি মুখ বিকৃত করে এলোমেলোভাবে দু-একটা গ্লাসে চুমুক দিলেন। তার মুখের ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে কোনোটাই তার মনে লাগছে না। নিতান্তই অভ্যাসের বসে চুমুক দিচ্ছেন। যেন এক্ষুণি বমি করে সব বের করে দেবেন।
সিডিসি।
বলুন।
চিকিৎসক ব্যাটাকে তুমি পাঠিয়েছিলে?
হ্যাঁ।
কেন জানতে পারি?
আপনার ঘুম ভাঙছিল না। আমি চিন্তিত বোধ করছিলাম।
এখন চিন্তা দূর হয়েছে?
পুরোপুরি দূর হয় নি। আপনার একটা কাউন্সিল মিটিং আছে। সেই মিটিং-এ সুস্থ শরীরে উপস্থিত থাকা প্রয়োজন।
কাউন্সিল মিটিংটা কখন শুরু হবে?
এক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হবে?
কয় জন সদস্য উপস্থিত থাকবেন?
আমার মানে হয়, শেষ পর্যন্ত আট জন উপস্থিত থাকবেন।
আমরা আছি নজন, আট জন উপস্থিত থাকবে—এর মানে কি? নবম ব্যক্তিটি কে?
আপনিই নবম ব্যক্তি। আমার মনে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত কাউন্সিল মিটিং-এ আপনি থাকবেন না।
তোমার এই রকম মনে হচ্ছে?
জ্বি।
তিনি বেশ কিছু সময় চুপ করে রইলেন। কড়া লাল রঙের একটা পানীয় এক চুমুকে শেষ করলেন। কিছুক্ষণ পায়চারি করলেন। আবার নিজের জায়গায় ফিরে গেলেন। সেখানেও বেশিক্ষণ বসতে পারলেন না, উঠে এলেন আয়নার সামনে। নিজের প্রতিবিম্ব দেখলেন গভীর বিস্ময়ে। যেন নিজেকেই নিজে চিনতে পারছেন না।
সিডিসি!
বিলুন।
আমাকে কেমন দেখাচ্ছে?
খুব চমৎকার লাগছে আপনাকে। রাজপুত্রের মতো।
রাজপুত্র দেখেছি কখনো?
জি না দেখি নি, তবে জানি যে প্রাচীন পৃথিবীতে একদল মানুষ ছিলেন, যারা রাজ্য শাসন করতেন। যেহেতু তারা দেশের সেরা সুন্দরীদের বিয়ে করতেন, তাদের ছেলেমেয়েরা হতো। রূপবান।
অনেক কুৎসিত রাজপুত্রও নিশ্চয়ই ছিল?
হ্যাঁ, তা ছিল।
আমি কুৎসিত রাজপুত্রদের একটা তালিকা চাই এবং সম্ভব হলে তাদের ছবি দেখতে চাই।
এক্ষুণি চান?
হ্যাঁ আমি এক্ষুণি চাই। তার আগে আমার আরেকটি প্রশ্নের জবাব দাও।
প্রশ্ন করুন।
আমরা সব মিলিয়ে ছিলাম চল্লিশ জন। চল্লিশ জন অমর মানুষ। আজ ন জন টিকে আছি, এর মানে কি?
বেঁচে থাকাটা একসময় আপনাদের কাছে ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে। জীবনধারণ অর্থহীন মনে হয়। তখন আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেকে নষ্ট করে দেন।
বোকার মতো কথা বলবে না। তুমি যা বলবে তা আমি জানি। যে জিনিস আমি জানি, তা অন্যের কাছ থেকে জানতে চাইব কেন?
অনেক সময় জানা জিনিসও অন্যের কাছ থেকে শুনতে ভালো লাগে।
ঠিক ঠিক ঠিক। চল্লিশ জনের মধ্যে নজন আছি। এই সংখ্যা আরো কমবে, তাই না?
হ্যাঁ কমবে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে। আমরা আসলে অমর নই।
শারীরিক দিক দিয়ে অমর, তবে মানসিক মৃত্যু ঘটে যায়। তখন শরীরও যায়।
আমার বেলায় এই ব্যাপারটা কবে ঘটবে বলতে পার?
ঠিক কবে ঘটবে তা বলতে পারি না। আমি সম্ভাবনার কথা বলতে পারি। ছয় মাসের মধ্যে ঘটার সম্ভাবনা হচ্ছে সাতষট্টি দশমিক দুই তিন ভাগ।
তিনি স্থির চোখে তাকিয়ে রইলেন। পো পো শব্দ হচ্ছে। ঘরে লাল আলো জুলছে ও নিভছে। কাউন্সিল মিটিং শুরু হবার সংকেত। তিনি উঠে দাঁড়ালেন। কাটা কাটা গলায় বললেন, সিডিসি, আমি কাউন্সিল মিটিং-এ যাচ্ছি।
খুবই আনন্দের কথা।
কাজেই বুঝতে পারছি, আমার প্রসঙ্গে তুমি যা বলছি তা ঠিক নয়। তুমি বলেছিলে আমি কাউন্সিল মিটিং-এ যাব না। দেখ এখন যাচ্ছি।
আপনি যাবে না। এ কথা আমি কখনো বলি নি। আমি বলেছি সম্ভাবনার কথা। শতকরা এক ভাগ সম্ভাবনা থাকলেও কিন্তু থেকেই যায়।
তুমি মহামুর্থ।
হতে পারে। সেই সম্ভাবনাও আছে।