গোবিন্দ কহেন শুন সকল দেবতা।
খন্ডিরে সকল দুঃখ দূর হবে ব্যথা।।
আমার অবধ্য বৃত্র শুন দেবগণ।
আমার পরম ভক্ত শুনহ বচন।।
দধীচি মুনির অস্থি আন সর্ব্বজন।
তাহাতে করহ অস্ত্র বজ্র সুগঠন।।
সেই অস্ত্রে বৃত্রাসুর হইবে নিধন।
এই তার বধোপায় আছে নিরূপণ।।
শুনি ইন্দ্র কহিতে লাগিল যুড়ি কর।
দধীচি ছাড়িবে কেন নিজ কলেবর।।
অনেক পুন্যেতে হয় মনুষ্যের কায়।
নিজ কায় কেমনে ছাড়িবে মুনিরায়।।
তাহাতে ব্রাক্ষ্মণ অঙ্গ শ্রেষ্ঠতম গণি।
ব্রাক্ষ্মণ শরীর হৈলে মুক্ত হয় প্রাণী।।
চৌরাশী সহস্র যোনি ভ্রমণ করিয়।
পশ্চাৎ ব্রাক্ষ্মণ জন্ম লভয়ে আসিয়।।
কর্ম্মক্রমে পারে যদি সাবধান হতে।
দুই জন্মে মুক্ত হয় কহি বেদমতে।।
কহ প্রভু ইহার বিধান অনুসারে।
কোনমতে নিধন করিল বৃত্রাসুরে।।
গোবিন্দ কহেন শুন সকল দেবতা।
দধীচির পূর্ব্বেকার কহি এক কথা।।
পরম দয়ালু মুনি উপকারে রত।
পর উপকারে প্রাণ ত্যজে অতি দ্রুত।।
স্বর্গ বৈদ্য অশ্বিনীকুমার দুই জন।
উপাসনা হেতু গেল দধীচি সদন।।
অনেক বিনয়ে স্তব কৈল মুনিবরে।
সদয় হইয়া মুনি জিজ্ঞাসে দোঁহারে।।
কি হেতু আইলে দোঁহে আমার সদন।
কি কার্য্য সাধিব শীঘ্র কহ দুই জন।।
আপনার প্রাণ দিলে যদি কার্য্য হয়।
অবশ্য কর্ত্তব্য এই কহিনু নিশ্চয়।।
অশ্বিনীকুমার বলে শুন মুনিবর।
তোমার হইব শিষ্য দুই সহোদর।।
শুনিয়া কহেন মুনি করিব অবশ্য।
উপদেশ দিয়া দোঁহা করি লব শিষ্য।।
অঙ্গীকার করি আমি নাহিক সংশয়।
আজি দিন ভাল নহে যাহ নিজ গৃহ।।
এই বাক্য শুনি দোঁহে প্রণাম করিয়া।
আপন ভবনে গেল বিদায় হইয়া।।
এ কথা শুনিয়া ইন্দ্র নারদের স্থানে।
তখনি গেলেন দধীচির সন্নিধানে।।
ইন্দ্রেরে দেখিয়া মুনি করিল আদর।
পাদ্য অর্ঘ্য আসনেতে পূজিল বিস্তর।।
সন্তুষ্ট হইয়া ইন্দ্র বসেন আসনে।
দধীচি জিজ্ঞাসে তারে মধুর বচনে।।
কিবা হেতু আগমন হৈল সুরেশ্বর।
কি কার্য্য সাধিব আজ্ঞা করহ সত্বর।।
পুরন্দর কহে শুন মুনি মহাশয়।
হেয়ায় আসিয়াছিল অশ্বিনীতনয়।।
শুনিলাম আপনি করাবে উপাসনা।
এই হেতু আইলাম করিতে যে মানা।।
তবে যদি তাহারে করিবে তুমি শিষ্য।
তোমার মস্তক আমি কাটিব অবশ্য।।
ইন্দ্রের শুনিয়া কথা কহে মুনিবর।
শিক্ষা নাহি দিব বিদ্যা জেনো পুরন্দর।।
এত শুনি বিদায় হইল সুরপতি।
জিজ্ঞাসেন জন্মেজয় মুনিবর প্রতি।।
ইহার কারণ মুনি বলহ আমারে।
ইন্দ্র কেন নিষেধ করিল দধীচিরে।।
কোন শাস্ত্রে বড় ইন্দ্র অশ্বিনীকুমারে।
বিশেষ করিয়া মুনি কহিবা আমারে।।
মুনি বলে শুন পরীক্ষিতের নন্দন।
যে হেতু নিষেধ করে সহস্রলোচন।।
ইন্দ্র-উপাসিতা যেই বিদ্যা সারাৎসার।
মুনিরে মাগিল তাহা অশ্বিনীকুমার।।
যেই বিদ্যা প্রভাবে বাসব স্বর্গপতি।
গ্রহণ করিবে মম বিদ্যা মূঢ়মতি।।
সে বিদ্যা গ্রহণে হবে সমান আমার।
মন্ত্রবলে নিতে পারে মম অধিকার।।
এতেক ভাবিয়া ইন্দ্র করিল নিষেধ।
শুন রাজা পূর্ব্বকার বৃত্তান্ত বিভেদ।।
শুনিয়া সে জন্মেজয় হৈল হৃষ্টমন।
হরি পুনঃ কি কহেন কহ তপোধন।।
বিদায় হইয়া যদি আখন্ডল গেল।
দোঁহে মুনি সন্নিধানে প্রভাতে আইল।।
মুনিবরে প্রণমিয়া দুই সহোদর।
নিকটে বসিল দোঁহে হরিষ অন্তর।।
কথোপকথন বহু হৈল মুনি সনে।
ইন্দ্রের সংবাদ মুনি কহে দুইজনে।।
উপদেশ তোমায় করাই যদি আমি।
মম শিরশ্ছেদন করিবে সুরস্বামী।।
তোমা দোঁহে মন্ত্র দিয়া হারাইব প্রাণ।
বুঝি দুইজনে ইহা কর সমাধান।।
অশ্বিনীকুমার বলে শুন মহাশয়।
এই বাক্যে কদাচিত না করিহ ভয়।।
অনেক ঔষধ মোরা জানি মুনিবর।
ক্ষণে জিয়াইতে পারি মৃত কলেবর।।
স্বর্গ বৈদ্য অশ্বিনীকুমার দুই ভাই।
যতেক ঔষধি কিছু অগোচর নাই।।
প্রতিজ্ঞা করিল ইন্দ্র কাটিবে তোমায়।
মম এক নিবেদন শুন মহাশয়।।
কাটিয়া তোমার মুন্ড রাখি গুপ্তস্থানে।
গুপ্ত মুন্ড কথা যেন ইন্দ্র নাহি জানে।।
অশ্বমুন্ড তব স্কন্ধে করিয়া যোজন।
সেই মুন্ডে মন্ত্র মোরা লব দুইজন।।
মন্ত্র দিলে দেবরাজ কুপিত হইয়া।
তোমার অশ্বের মুন্ড যাবেক কাটিয়া।।
তোমার স্বকীয় মুন্ড মোরা দুইজন।
পুনরপি তব স্কন্ধে করিব যোজন।।
শুনিয়া দধীচি মুনি করিল স্বীকার।
মুনি শির কাটিলেন অশ্বিনীকুমার।।
অশ্বমুন্ড যোড়া দিল মুনিবর স্কন্ধে।
পরাণ পাইল মুনি নাহি কোন সন্ধে।।
বিদায় লইয়া দোঁহে গেল নিকেতন।
নারদ জানিয়া গেল সব বিবরণ।।
সকল সংবাদ কহিলেন পুরন্দরে।
খড়গ হাতে করি ইন্দ্র যায় ক্রোধ ভরে।।
যোগে যথা আছে বসি সে দধীচি মুনি।
তথা গিয়া উপনীত হৈল বজ্রপাণি।।
দেখিল ধেয়ানে মুনি আছয়ে বসিয়া।
মুনির অশ্বের মুন্ড ফেলিল কাটিয়া।।
অশ্বমুন্ড লইয়া ইন্দ্র করিল গমন।
দধীচি মুনির স্কন্ধ আছয়ে তেমন।।
অশ্বিনীকুমার চর ছিল সেইখানে।
দ্রুতগতি বার্ত্তা দিল ভাই দুইজনে।।
অশ্বিনীকুমার তথা গেল শীঘ্রতর।
মুনিমুন্ড যুড়িলেক স্কন্ধের উপর।
ঔষধ পরশে মুনি পাইল পরাণ।।
অশ্বিনীকুমারে বহু করিল বাখান।
শুন সবে দধীচি মুনির আদ্যন্তর।।
পরকার্য্যে দিল মুনি নিজ কলেবর।
সকলে চলিয়া যাহ দধীচির স্থান।।
দেবের কারণে মুনি ছাড়িবে পরাণ।
এতেক কহেন যদি দেব নারায়ণ।।
বিদায় হইল তবে যত দেবগণ।
প্রণাম করিয়া সবে চলিল সত্বরে।।
সঙ্গেতে করিয়া নিল অশ্বিনীকুমারে।
উপনীত হৈল যথা মুনি মহাশয়।।
প্রণাম করিল গিয়া দেবতা নিচয়।
পাদ্য অর্ঘ্য দিয়া মুনি পূজিল সবারে।।
বসিল সকল দেব আসন উপরে।
জিজ্ঞাসিল মুনিবর গমন কারণ।।
কহিতে লাগিল তবে সহস্রলোচন।
অবধান কর মুনি তপের গোঁসাই।।
নিজ নিবেদন কথা কহিতে ডরাই।
বৃত্রাসুর হইল ত্রিদিব অধিকারী। ।
নারায়ণ স্থানে সবে করিণু গোহারী।
কহিলেন কৃষ্ণ বৃত্র বধের কারণ।।
সকল দেবতা যাহ দধীচি সদন।
দেব উপকার হেতু মুনির কুমার।।
দয়া করি ছাড়িবেন প্রাণ আপনার।
তাঁর অস্থি লয়ে অস্ত্র কর আখন্ডল।
বজ্রাঘাতে মারহ দানব মহাবল।।
শুন মুনি রক্ষা হয় না হয় অন্যথা।
আপনার প্রাণযদি ছাড়হ সর্ব্বথা।।
মুনি বলে হেন বাক্য নাহি শুনি কাণে।
পরের লাগিয়া কেহ ছাড়ে নিজ প্রাণে।।
অনেক পুন্যেতে প্রাণী নরযোনি পায়।
কেমনে ছাড়িতে তাহা বল দেবরায়।।
দুর্ল্লভ জনম এই মনুষ্য উত্তম।
আর যত দেহ দেখ সকলি অধম।।
শূকর জনম হৈয়া বিষ্ঠা মূত্র খায়।
শরীর ছাড়িতে তার মনে ব্যথা পায়।।
মারিতে উদ্যত যদি কেহ করে তায়।
শরীর মমতা হেতু সঘনে পলায়।।
কাক গৃধ্র শিবা শ্বান খেচর গর্দ্দভ।
পিপীলিকা সর্প ভেক দেখ যত সব।।
অধম যোনীর মধ্যে যেই প্রাণ ধরে।
ইচ্ছাবশে কোন জন ছাড়ে কলেবরে।।
বিশেষ ব্রাক্ষ্মণদেহ হয়েছে আমার।
বহু পুন্যে দ্বিজতনু পাইনু এবার।।
সকল প্রাণীতে জ্ঞান আছয়ে নিশ্চয়।
আহার মৈথুন নিদ্রা আর আছে ভয়।।
মনুষ্য সমান জ্ঞানী নাহি কোন জন।
এ দেহে অনেক কর্ম্ম ভজন সাধন।।
হেন দেহ ছাড়িবার কহ দেবরাজ।
আমি যদি মরি তবে সিদ্ধ হবে কার্য।।
না হইল তব কার্য্য মম কিবা দায়।
না বুঝি আদেশ কেন কর দেবরায়।।
না ছাড়িব প্রাণ আমি শুনহ বিচার।
শুনিয়া সবার মনে লাগে চমৎকার।।
ইন্দ্র আদি দেবগণ অধোমুখ হৈয়া।
ক্ষিতি পরে সর্ব্বজন মৌনেতে বসিয়া।।
ত্রাসে কারো মুখে নাহি বচন নিঃসরে।
সদয় হৃদয় মুনি জানিল অন্তরে।।
কহিতে লাগিল মুনি করুণা বচন।
ভয় ত্যজ কহি শুন সর্ব্ব দেবগণ।।
আমি মলে রক্ষা পায় দেবতা সমাজ।
এ ছার শরীরে তবে কিবা আর কাজ।।
অবশ্য মরিব আমি দেবের কারণ।
মম অস্থি লয়ে ইন্দ্র সাধ প্রয়োজন।।
পৃথিবীতে যত যত করিলাম পুণ্য।
আমার সার্থক জন্ম হল ধন্য ধন্য।।
আশ্বাস পাইয়া ইন্দ্র কহে যুড়ি কর।
কত কল্প অমর হইলে মুনিবর।।
তোমার অস্থিতে হবে অস্ত্র বলবান।
এ তোমার মৃত্যু নহে জীবন সমান।।
এতেক শুনিয়া মুনি করিল স্বীকার।
যোগাসনে বসি প্রাণ ত্যজে আপনার।।
ইন্দ্রাদি দেবতাগণ হন হরষিত।
পুষ্পবৃষ্টি মুনি পরে করে অপ্রমিত।।
নাচিতে লাগিল দেবগণ ঊর্দ্ধবাহু।
কার্য্যসিদ্ধি করিয়া আনন্দ করে বহু।।
শঙ্খ ভেরি আদি বাজয়ে বিশাল।
বীণা ডম্ফ ঘন বাজে ফুকারে কহাল।।
মধুর সুনাদ বাঁশী বাজে শত শত।
উৎসব করয়ে আসি অপ্সরাদি যত।।
মেনকা উর্ব্বশী আর রম্ভা তিলোত্তমা।
জানপদী সহজন্যা রূপে অনুপমা।।
নানারঙ্গে নৃত্য করে যত বারাঙ্গনা।
গন্ধর্ব্ব কিন্নর গায় হরষিত মনা।।
মহা মহোৎসব হৈল না পারি বর্ণিতে।
ডাক দিয়া দেবরাজ লাগিল কহিতে।।
হরিষ বিধানে কহে দেব আখন্ডল।
আজি হৈতে পুণ্য তীর্থ হইল এ স্থল।।
দধীচির তীর্থ নাম করি নিরূপণ।
আমার ভারতী এই শুন দেবগণ।।
অনন্ত জন্মের পাপ খন্ডিবে ইহাতে।
স্নানদান করে যেই দধীচি তীর্থেতে।।
তথাস্তু বলিয়া চলিলেন দেবগণ।
দধীচির অস্থি লয়ে সহস্রলোচন।।
ডাকি বিশ্বকর্ম্মারে কহেন শীঘ্রগতি।
বজ্র নির্ম্মাইয়া মোরে দেহ মহামতি।।
আজ্ঞা মাত্র বির্ম্মকর্ম্মা বজ্র নিরমিল।
সকল অস্ত্রের তেজ তাহে সমর্পিল।।
ব্রক্ষ্মর নিকটে লয়ে গেলেন মঘবা।
প্রণাম করিল ইন্দ্র হয়ে নতগ্রীবা।।
বজ্র দেখি হরষিত হয়ে পদ্মযোনি।
ব্রক্ষ্মমন্ত্রে অভিষেক করেন তখনি।।
জীবন্যাস দিয়া ইন্দ্রে বলেন বচন।
এই অস্ত্র লয়ে কর দানব মর্দ্দন।।
ইন্দ্র বজ্র পাইয়া হইয়া আনন্দিত।
ব্রহ্মারে প্রণাম করি চলেন ত্বরিত।।
দেবসৈন্য সমস্ত করিয়া সমাবেশ।
নিজরাজ্য প্রাপ্তি হেতু উদযোগী সুরেশ।।
যুঝিতে চলিল বৃত্রাসুরের সংহতি।
ইন্দ্রের নিনাদ পাইলেক দৈত্যপতি।।
নিজ সৈন্যে সাজিয়া চলিল দৈত্যেশ্বর।
দুইদলে মহাযুদ্ধে হয় ঘোরতর।।
রথী রথী মহাযুদ্ধ হৈল বাণে বাণে।
পদাতি পদাতি যুদ্ধ হইল সঘনে।।
ঘোড়ায় ঘোড়ায় যুদ্ধ হৈল মহামার।
বাণে বাণে গগনে হইল অন্ধকার।।
অনল বায়ব্য বাণ দোঁহে এড়ে রণে।
দুইবাণ নষ্ট হয় দোঁহাকার বাণে।।
মুখ মেলি দৈত্য ইন্দ্রে গিলিবারে যায়।
দেখিয়া বৃত্রের বল বাসব পলায়।।
ইন্দ্র পলাইল দূরে লয়ে সব দেবে।
বিষ্ণুর শরণ লইলেন গিয়া সবে।।
যুদ্ধ সমাচার কহে দেব নারায়ণে।
বিষ্ণু বলিলেন ইন্দ্র শুন সাবধানে।।
বিষ্ণু তেজ নাহি কিছু তোমার শরীরে।
এই মম তেজ ধর দ্বিলাম তোমারে।।
বিষ্ণুতেজ পাইয়া হইয়া বলবান।
পুনঃ যুদ্ধ করিবারে গেল মরুত্বান।।
মহাযুদ্ধ সুরাসুরে হয় ঘোরতর।
পড়িল অনেক সৈন্য সংগ্রাম ভিতর।।
যুদ্ধকালে বৃত্রাসুর ইন্দ্রে বলে বাণী।
আমারে করহ বধ বাসব আপনি।।
ধর্ম্মপরায়ণ বৃত্র পরম বৈষ্ণব।
নারারূপ বৃত্রাসুর শক্রে করে স্তব।।
সুরপতি বলে বৃত্র তুমি বলবান।
তোমাকে ক্ষমিয়া আমি সন্বরিনু বাণ।।
বৃত্র বলে কার্যসিদ্ধি নহিল আমার।
ইন্দ্র মোরে ক্ষমিয়া করিলা পরিহার।।
শুন মূর্খ রণে পড়ি যাব স্বর্গলোক।
এ কর্ম্ম না করি আমি বৃথা করি শোক।।
এত বলি বৃত্রাসুর ইন্দ্রে দেয় গালি।
শুন রে পামর ইন্দ্র তোর প্রতি বলি।।
গুরুদারা হরিলি করিলি মহাপাপ।
তোরে মারি গৌতমের খন্ডাইব তাপ।।
এতেক কুবাক্য বৃত্র বাসবেরে বলে।
শুনি সুরপতি ক্রোধে অগ্নি হেন জ্বলে।।
কুলিশ ধরিয়া ইন্দ্র মারিলেন তোরে।
চূর্ণ হৈল বৃত্রাসুর কুলিশ প্রহারে।।
অপর সকল দৈত্য পলাইল রণে।
ইন্দ্র পুনঃ রাজা হৈল অমর ভুবনে।।
যার যেই কার্য্য সেই লভিলসত্বর।
সকল অমর হৈল সুস্থির অন্তর।।
শুনহ ভূপতি কুরুবংশ চূড়ামণি।
কহিলাম দধীচির তীর্থের কাহিনী।।
সেই তীর্থে বলরাম হৈয়া উপনীত।
স্নানদান যজ্ঞ করিলেন নিয়মিত।।
মহাভারতের কথা সমান শীযূষ।
যাহার শ্রবণে নর হয় নিষ্কলুষ।।