গাড়ি ছুটছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে। সন্ধে হয়ে গিয়েছে। গাড়ি চালাচ্ছে সিদ্ধার্থ, পাশে বসে আছেন অমিতাভ। দুজনেরই মুখে কোনও কথা নেই। অমিতাভর হাতে মোবাইল। মাঝে মাঝেই সেই ফোনে নির্দেশ আসছে।
একটু পরেই আবার ফোন বেজে উঠল।
অমিতাভ হ্যালো বলতেই একটা গম্ভীর কণ্ঠ জিজ্ঞেস করল, আপনারা এখন কোথায়?
অমিতাভ বললেন, শক্তিগড়ের কাছাকাছি এসেছি।
সেই লোকটি বলল, সামনে যেখানে ঘোরার জায়গা দেখবেন, সেখান দিয়ে গাড়ি ফেরাবেন। ইউ টার্ন। বাড়ির দিকে ফিরবেন।
অমিতাভ দারুণ অবাক হয়ে বললেন, বাড়িতে ফিরে যাব?
লোকটি ধমক দিয়ে বলল, আমি সে কথা বলেছি? বাড়ির দিকে, তার মানেই বাড়িতে ফেরা নয়।
ধমক খেয়েও অমিতাভ বললেন, আচ্ছা। বুঝেছি।
লোকটি বলল, টাকা রেডি আছে?
অমিতাভ বললেন, হ্যাঁ।
লোকটি জিজ্ঞেস করল, সব হাজার টাকার নোট?
অমিতাভ বললেন, হ্যাঁ। আমার ছেলে ভাল আছে?
লোকটি বলল, সে ভালই আছে। তবে তার মাথার কাছে একটা রিভলভার ধরা আছে। আপনাদের সঙ্গে পুলিশ দেখলেই গুলি চালাব।
অমিতাভ ভয় পেয়ে বলে উঠলেন, না, না, আমরা পুলিশে খবর দিইনি। আর কেউ জানে না।
লোকটি বলল, গুড! এখন যা বলছি, সেইমতো চলুন। গাড়ি ঘোরান!
লাইন কেটে গেল।
মোবাইল ফোনে সাধারণত যে ফোন করে, তার নম্বর ফুটে ওঠে। ওরা কিছু একটা কায়দা করেছে, যাতে শুধু দেখা যায় প্রাইভেট নম্বর। তার মানে, অমিতাভ ইচ্ছে করলেও ওদের ফোন করতে পারবেন না।
তিনি সিদ্ধার্থকে বললেন, গাড়ি ঘোরাতে বলেছে।
সিদ্ধার্থ বলল, কোন জায়গায় থামতে হবে, তা এখনও জানাতে চায় না।
অমিতাভ বললেন, আমি আর ধৈর্য ধরতে পারছি না। কতক্ষণে বিন্দুকে দেখব।
সিদ্ধার্থ গাড়ির গতি কমিয়ে দিল। কোথায় যেতে হবে, তা জানা না থাকলে গাড়ি চালাতে খুব অসুবিধে হয়। গাড়ি ঘোরাবার জায়গা পাওয়ামাত্র আবার বেজে উঠল ফোন।
সেই গম্ভীর গলা বলল, মিনিটদশেক পর বাঁ দিকে বেরিয়ে যাওয়ার একটা রাস্তা পাবেন। সেটা ধরবেন।
সেটা মেমারির রাস্তা। সেই রাস্তা ধরে খানিকটা যাওয়ার পর আবার ফোন। এবার হুকুম হল, গাড়ি আবার ঘোরান। হাইওয়েতে চলে আসুন।
প্রতিবাদ করার উপায় নেই। ওরা যা বলবে, তা মানতেই হবে!
শক্তিগড়, বর্ধমান বাইপাস পেরিয়ে যাওয়ার পর ফোনে ফের নির্দেশ এল, এবার বাঁ দিকে একটা পেট্রল পাম্প দেখতে পাবেন। সেখানে গাড়িটা ঢুকিয়েই দাঁড়িয়ে থাকবেন। ওখানে কিন্তু পেট্রল পাওয়া যায় না।
পেট্রল পাম্পে পেট্রল পাওয়া যায় না! এ-কথাটার ঠিক মানে বোঝা গেল না। কাছে এসে বুঝতে পারা গেল যে, পেট্রল পাম্পটা তৈরি হচ্ছে, এখনও খোলাই হয়নি! অন্ধকার, কোনও লোকজন নেই।
গাড়ি থামিয়ে চুপ করে বসে রইল দুজন।
মিনিটপাঁচেক পর ফোনে আবার শোনা গেল, ঠিক আছে, একজন গাড়িতে বসে থাকবেন, আর-একজন টাকার ব্যাগটা নিয়ে নেমে আসবেন। অফিসঘরটা ফাকা, তার দরজার সামনে ব্যাগটা রেখে ফিরে যাবেন। অপেক্ষা করবেন দশ মিনিট গাড়িতে বসে। ততক্ষণ টাকাটা মিলিয়ে দেখা হবে। সব ঠিক থাকলে তারপর আপনাদের ছেলেকে ফেরত পাবেন।
অমিতাভ সুটকেসটা নিয়ে নেমে পড়লেন। সেটা বেশ ভারী। জয়ন্তী আর স্নিগ্ধার সব গয়না বিক্রি করে আর তিন জায়গা থেকে ধার নিয়ে জোগাড় করতে হয়েছে এই টাকা! অমিতাভ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হেঁটে এলেন সেই অফিসঘরটার কাছে। তিনি আশা করেছিলেন, সেখানে ওদের দলের সঙ্গে বিন্দুকে দেখতে পাবেন। কেউ নেই। অন্ধকার, কিন্তু ঘুটঘুটে অন্ধকার নয়। আকাশে একটু একটু জ্যোৎস্না আছে। তিনি এদিক-ওদিক তাকিয়েও কিছু দেখতে পেলেন না। টাকার ব্যাগটা নামিয়ে রেখে তাকে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। তাই অমিতাভ আর দাঁড়িয়ে থাকার সাহস পেলেন না।
গাড়িতে ওঠার পর সিদ্ধার্থ জিজ্ঞেস করল, কেউ ছিল ওখানে?
অমিতাভ বললেন, কেউ না। আমরা ঠিক জায়গায় এসেছি তো? অত টাকা। যদি অন্য কেউ নিয়ে যায়!
সিদ্ধার্থ বলল, ওরা যা বলছে, আমরা সেই অনুযায়ী তো এসেছি। এ ছাড়া আর কী করার আছে?
অমিতাভ বললেন, দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে! কতক্ষণে দশ মিনিট হয়?
সিদ্ধার্থ বলল, ছশো সেকেন্ড। আমি গুনছি।
অমিতাভ ঘড়ির দিকে চেয়ে আছেন।
সিদ্ধার্থ বলল, হয়ে গিয়েছে ছশো সেকেন্ড।
অমিতাভ বললেন, তুমি তাড়াতাড়ি গুনে ফেলেছ। আরও দুমিনিট বাকি।
ঘড়িতে বারো মিনিট কেটে যাওয়ার পর একটা গাড়ির শব্দ হল। আগে বোঝা যায়নি, একটা বড় গাছের নীচে দাঁড়িয়ে ছিল একটা কালো রঙের স্টেশন ওয়াগন। সেটা স্টার্ট দিয়েই চলে গেল হাইওয়ের দিকে। তারপরই দেখা গেল, এই গাড়ির দিকে ছুটে আসছে একটা বাচ্চা ছেলে। বিল্টু! সিদ্ধার্থ আর অমিতাভও গাড়ি থেকে নেমে ছুটে গেলেন বিল্টুর দিকে। মাঝপথে অমিতাভ বিন্দুকে জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নিলেন।
আনন্দের চোটে পাগলের মতো বলতে লাগলেন, বিল্টু, বিল্টু! তুই ফিরে এসেছিস! তোর মা যে কান্নাকাটি করছে। উফ! তোর কোথাও লাগেটাগেনি তো?
বিলু মুখ দিয়ে শুধু উঁ উঁ শব্দ করছে আর ছটফটিয়ে নেমে পড়তে চাইছে কোল থেকে।
অমিতাভ বললেন, বিল্টু, তুই কথা বলছিস না কেন?
সিদ্ধার্থ বলল, একটা কালো কাপড় দিয়ে ওর মুখটা বাঁধা দেখছি।
তাড়াতাড়ি বিলুকে কোল থেকে নামিয়ে তার মুখের বাঁধনটা খুলে দেওয়া হল।
তখন ছেলেটি বলল, মুঝে ছোড় দো!
অমিতাভ আর সিদ্ধার্থ দুজনেই যেন আকাশ থেকে মাটিতে আছড়ে পড়লেন! জীবনে কখনও এমন অবাক হননি। এ ছেলেটি তো বিল্টু নয়! একই বয়স। প্রায় একই রকম চেহারা। কিন্তু অন্য ছেলে।
অমিতাভ হতভম্বের মতো হয়ে গিয়ে বললেন, ওরা বিল্টুকে ফেরত দিল না। বিন্দু কোথায় গেল?
এ ছেলেটি বলল, বিল্টু কৌন হ্যায়? মেরা নাম পরমজিৎ সিংহ!
সিদ্ধার্থ বলল, ওরা ভুল করেছে। বিল্টুর বদলে অন্য ছেলেকে…স্যার, আপনি শিগগির গাড়িতে উঠে পড়ুন। এখনও যদি ওদের ধরা যায়।
এর মধ্যে মিনিটপাঁচেক অন্তত কেটে গিয়েছে। বড় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। অনেক গাড়ি। সিদ্ধার্থ অনেক চেষ্টা করেও সেই কালো গাড়িটাকে আর ধরতে পারল না। ওরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারলে নিশ্চয়ই ফোন করত। ফোনও এল না।
প্রায় পানাগড় ছাড়িয়ে এক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে সিদ্ধার্থ হতাশভাবে বলল, এবার কী হবে?
অমিতাভ দুহাতে মুখ চাপা দিয়ে কেঁদে ফেললেন।
পরমজিৎ জিজ্ঞেস করল, ইউ আর নট ব্যাড পিপল! ব্যাড পিপল ডোন্ট ক্রাই!
সিদ্ধার্থ বলল, নো পরমজিৎ, উই আর নট ব্যাড পিপল। ডিড ইউ সি অ্যানাদার বয় লাইক ইউ? বিল্টু! ওয়াজ হি ইন দ্যাট কার?
পরমজিৎ বলল, নো। আই ডিড নট সি হিম। ইউ স্পিক বাংলা? আমি বাংলা জানি। আমার দুজন বাংগালি ফ্রেন্ড আছে।
সিদ্ধার্থ জিজ্ঞেস করল, ওই গাড়িতে আর কোনও ছোট ছেলে ছিল না?
পরমজিৎ দুদিকে মাথা নেড়ে বলল, না।
অমিতাভ চোখ থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকেও ওরা চুরি করে নিয়ে এসেছে?
পরমজিৎ বলল, ইয়েস। আমি স্কুল থেকে বেরিয়েছি। একটা গাড়ি এল। জোর করে আমাকে তুলে নিল। ওরা খুব খারাপ লোক। আমাকে মেরেছে।
অমিতাভ শিউরে উঠে বললেন, ওরা বিন্দুকেও মেরেছে নাকি?
পরমজিৎ বলল, আমি ওদের একজনের হাত কামড়ে দিয়েছি।
সিদ্ধার্থ বলল, বেশ করেছ।
পরমজিৎ বলল, তোমরা ভাল লোক। তোমরা আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেবে?
সিদ্ধার্থ বলল, নিশ্চয়ই পৌঁছে দেব। তোমার বাড়ি কোথায়?
পরমজিৎ বলল, কালিম্পং! ওখানেই আমাদের স্কুল।
সিদ্ধার্থ বলল, এই রে? অত দূর! আজ রাতে তো আমরা সেখানে যেতে পারব না।
অমিতাভ বললেন, আমাদের বাড়ির লোক চিন্তা করছে। ওরা ভাবছে, আমরা বিন্দুকে ফিরিয়ে নিয়ে যাব। ফিরে গিয়ে সব বুঝিয়ে বলতে হবে।
সিদ্ধার্থ বলল, পরমজিৎ, তুমি আমাদের বাড়ি চলো। তোমার ভয় নেই, তোমাকে আর কেউ ধরে নিয়ে যেতে পারবে না।
পরমজিৎ বলল, তোমাদের বাড়ি কোথায়? সিদ্ধার্থ বলল, কলকাতায়!
পরমজিৎ বলল, ওঃ। আই লাভ ক্যালকাটা। চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘ দেখব।
সিদ্ধার্থ স্টার্ট দিয়ে গাড়ি ঘোরাল।
কলকাতায় পৌঁছোতে পৌঁছোতে রাত সাড়ে দশটা বেজে গেল। এর মধ্যে পরমজিৎ ঘুমিয়ে পড়েছে। বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নেমে অমিতাভ পরমজিৎকে কোলে করে নামলেন। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন জয়ন্তী আর রিনি। ওঁরা তো ধরেই নিলেন যে বিলুই ফিরে এসেছে। অমিতাভ উপরে আসার পরে দেখা গেল বিল্টুর বদলে অন্য একটা ছেলেকে!
সব কথা শোনার পর জয়ন্তী ধপাস করে চেয়ারে বসে পড়ে মাথা এলিয়ে দিলেন। মনে হল, অজ্ঞান হয়ে যাবেন। টাকাপয়সা, যথাসর্বস্ব গেল, অথচ ছেলেও ফেরত এল না। তার বদলে এল একটা অন্য ছেলে! এ ছেলেকে নিয়েও তো সমস্যা হবে। এখন যদি ওরা ফোন করে বলে যে, ভুল করে ছেলে বদলাবদলি হয়ে গিয়েছে! পরমজিৎকে কোনও একটা জায়গায় নামিয়ে দিলে তারপর বিন্দু ফেরত আসবে! তখন কী করা হবে?
রিনি বলল, জেনেশুনে একটা ছেলেকে কি চোর-ডাকাতদের হাতে তুলে দেওয়া যায়! ওরা যদি কোনও কারণে পরমজিৎকে মেরে ফেলে, তার জন্য আমাদেরও তো দায়ী হতে হবে।
অমিতাভ বললেন, এ ছেলেটাকে ওদের কাছে পৌঁছে না দিলে ওরা কি বিকে ফেরত দেবে? মোটেই দেবে না।
রিনি বলল, তাও হয়তো ঠিক।
সিদ্ধার্থ বলল, আমাদের বিন্দুকে আমরা যে-কোনও উপায়ে হোক ফেরত চাইব, তা অবশ্যই ঠিক কথা। কিন্তু অন্যের একটা ছেলেকে জেনেশুনে ওই শয়তানদের হাতে তুলে দেওয়াও ঠিক হতে পারে না।
রিনি বলল, তা হলে এখন কী করা হবে?
অনেক রাত পর্যন্ত ভেবে ভেবেও এর উত্তর পাওয়া গেল না!
পরদিন সকালে আগে ঘুম ভাঙল পরমজিতের। সে রিনিদের সঙ্গে শুয়েছিল। জেগে উঠে পরমজিৎ রিনির গায়ে ঠেলা দিয়ে বলল, হেই, হু আর ইউ?
রিনি বলল, আমার নাম রিনি। আমি বিল্টুর দিদি। আমি তোমারও দিদি হতে পারি।
পরমজিৎ বলল, আমারও দুটো দিদি আছে। দাদা না আছে। মা আছেন, বাবা আছেন। তুমি কালিম্পং দেখেছ?
রিনি বলল, অনেক দিন আগে। ভাল মনে নেই।
পরমজিৎ বলল, চলো আমাদের বাড়ি। অনেক বরফ দেখাব। আমি কখন বাড়ি যাব?
রিনি বলল, যাবে। সন্ধেবেলা। কেন, আমাদের বাড়ি তোমার ভাল লাগছে না?
পরমজিৎ বলল, এটা একটা পচা বাড়ি। দেওয়ালে সৌরভ গাঙ্গুলির ছবি কে রেখেছে?
রিনি বলল, আমার ভাই বিল্টু। কেন, সৌরভ গাঙ্গুলিকে তোমার ভাল লাগে না?
পরমজিৎ বলল, নো। সচিন তেন্ডুলকর আমার মোস্ট ফেভারিট।
রিনি বলল, ঠিক আছে, তোমাকে সচিনের ছবিও দেখাব। এখন তুমি কী খাবে? কাল রাতে ঘুমিয়ে ছিলে, কিছু খাওনি।
পরমজিৎ বলল, কর্নফ্লেক্স খাব। আমি কলা খাই না। জ্যাম-জেলি আর দুধ দিয়ে খাব।
রিনি বলল, ঠিক আছে, তাই খাবে।
দরজার বাইরে থেকে খবরের কাগজটা এনেই চমকে উঠে অমিতাভ বললেন, এই রে!
রিনি জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছে বাবা?
অমিতাভ কাগজটা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, পরমজিৎকে দেখা। ওর ছবি বেরিয়েছে প্রথম পাতায়।
সত্যিই পরমজিতের ছবি। সেইসঙ্গে বড় করে লেখাখবর –কালিম্পং-এর বিখ্যাত ব্যবসায়ী সুরজ সিংহের ছেলে নিখোঁজ। সে অপহরণকারীদেরই হাতে
পড়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ চারিদিকে খুঁজছে ছেলেটিকে।
রিনি বলল, এবার তো পুলিশকে খবর দিতেই হবে। পুলিশকে জানাতে হবে যে, পরমজিৎ আছে আমাদের বাড়িতে। না জানালে সেটা বেআইনি হবে।
অমিতাভ বললেন, তখন তো বিলুর কথাও বলতে হবে পুলিশকে। না জানিয়ে আর উপায় নেই।
রিনি বলল, তা হলে তো এখন কাকাবাবুকেও সব জানানো যায়। পুলিশের চেয়েও কাকাবাবুই বেশি সাহায্য করতে পারবেন।
সে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করল। সন্তু জানাল, কাকাবাবু ভোরবেলাই বেরিয়ে গিয়েছেন, কাউকে কিছু না বলে! সন্তুকেও কিছু জানাননি!