হেনমতে তথায় রহিল ছয় জন।
মৃগয়া করিয়া ভ্রমে বন উপবন।।
বৎসরেক জতু-গৃহে করিল নিবাস।
পুরোচন জানিল যে হইল বিশ্বাস।।
পুরোচন-মন বুঝি ধর্ম্মের নন্দন।
ভাইগণে আনিয়া বলেন ততক্ষণ।।
আমা সবা বিশ্বাস জানিল পুরোচন।
সাবধান হইয়া থাকিব ছয় জন।।
আজি রাত্রে অগ্নি দিবে বুঝি পুরোচন।
বিদুরের কথা ভাই চিন্তহ এখন।।
ভীম বলে, দিবসে করিতে নাহি বল।
রাত্রি হৈলে পাবে দুষ্ট আপনার ফল।।
কুন্তীদেবী শুনিয়া বলেন পুত্রগণে।
পলাইয়া কোথায় ভ্রমিবে বনে বনে।।
ভালমতে করি আজি ব্রাহ্মণ-ভোজন।
ক্ষুধিত বিপ্রেরে তোষ দিয়া বহুধন।।
জননীর আজ্ঞায় আনিল দ্বিজগণ।
কুন্তীদেবী করাইল ব্রাহ্মণ-ভোজন।।
ভোজন করিয়া দ্বিজ গেল সর্ব্ব জন।
অন্ন হেতু আইল যতেক দুঃখিগণ।।
পঞ্চ পুত্র সহ এক নিষাদ-রমণী।
অন্ন হেতু এল যথা কুন্তী ঠাকুরাণী।।
পুত্রগণে দেখি কুন্তী জিজ্ঞাসেন তায়।
আপন দুঃখের কথা নিষাদী জানায়।।
তার দুঃখে হইলেন কুন্তী দুঃখান্বিতা।
তথায় রহিল সুকে নিষাদ-বনিতা।।
দিনকর অস্ত গেল, নিশা প্রবেশিল।
যথাস্থানে সর্ব্বলোক শয়ন করিল।।
পরিবার সহ গৃহে শোয় পুরোচন।
কত রাত্রে হইল নিদ্রায় অচেতন।।
বৃকোদরে আজ্ঞা দেন ধর্ম্মের নন্দন।
পুরোচন-দ্বারে অগ্নি দেহ এইক্ষণ।।
বৃকোদর পুরোচন-দ্বারে অগ্নি দিল।
অগ্নি দিয়া মাতৃ সহ গর্ত্তে প্রবেশিল।।
তদন্তরে জতুগৃহে দিয়া হুতাশন।
সুড়ঙ্গে প্রবেশ কৈল পবন-নন্দন।।
মাতৃ সহ পঞ্চ ভাই অতি শীঘ্র চলে।
হেথা জতুগৃহ ব্যাপ্ত হইল অনলে।।
অগ্নির পাইয়া শব্দ গ্রামবাসিগণ।
জল লয়ে চতুর্দ্দিকে ধায়সর্ব্বজন।।
নিকটে যাইতে শক্তি নহিল কাহার।
চতুর্দ্দিকে ভ্রমে লোক করি হাহাকার।।
জৌ-ঘৃত-তৈলের গন্ধ চতুর্দ্দিকে ধায়।
জতুগৃহ বলি লোকে বুঝিবারে পায়।।
দুষ্ট ধৃতরাষ্ট্র কর্ম্ম কৈল দুরাচার।
কপটে দহিল পঞ্চ পাণ্ডুর কুমার।।
ধর্ম্মশীল পঞ্চ ভাই, নহে অপরাধী।
সর্ব্ব-গুণনিধি জিতেন্দ্রিয় সত্যবাদী।।
তবে সবে জানিল পুড়িল পুরোচন।
ভাল ভাল বলিয়া বলয়ে সর্ব্বজন।।
নিদ্দোষী জনেরে হিংসা করে যেই জন।
এইরূপ শাস্তি তারে দেন নারায়ণ।।
এত বলি কান্দে যত নগরের লোক।
পাণ্ডবের গুণ স্মরি করে বহু শোক।।
জননী সহিত হেথা পাণ্ডুর নন্দন।
সুড়ঙ্গে বাহির হৈয়া প্রবেশিল বন।।
ঘোর অন্ধকার নিশা গহন কানন।
লতা বৃক্ষ কন্টকেতে যায় ছয় জন।।
রাজার কুমার সব, রাজার গৃহিনী।
তাহে অন্ধকার নিশা পথ নাহি চিনি।।
চলিতে অশক্ত কুন্তী, ধর্ম্ম যুধিষ্ঠির।
ধনঞ্জয় মাদ্রী-পুত্র কোমল শরীর।।
কত দূরে যান কুন্তী হন অচেতন।
শীঘ্রগতি যাইতে না পারে পঞ্চজন।।
তবে বৃকোদর নিল মায়ে স্কন্ধে করি।
দুই স্কন্ধে মাদ্রী-পুত্র, হস্তে দোঁহা ধরি।।
বায়ু বেগে যান ভীম লৈয়া পঞ্চজনে।
বৃক্ষ শীলা চূর্ণ হয় ভীমের চরণে।।
অতি শীঘ্রগতি যায় ভীম মহাবীর।
নিশাযোগে উত্তরিল জাহ্নবীর তীর।।
গভীর গঙ্গার জল, অতি সে বিস্তার।
দেখি হৈল চিন্তিত কেমনে হই পার।।
চিন্তিত ভোজের পুত্রী পঞ্চ সহোদর।
গঙ্গাজল-পরিমাণ করে বৃকোদর।।
হেনকালে দিব্য এই আইল তরণী।
পবন গমন তাহে শোভে পতাকিনী।।
নৌকায় কৈবর্ত্ত বিদুরের অনুচর।
নৌকা পাই পঞ্চ ভাই চিন্তিত অন্তর।।
দূরে থাকি কৈবর্ত্ত করিল নমস্কার।
কহিতে লাগিল বিদুরের সমাচার।।
আমারে পাঠায় দিল পরম যতনে।
তোমা সবা পার করিবারে নৌকাযানে।।
অবিশ্বাসী নহি আমি বিদুরের জন।
সঙ্কেতে আমারে পাঠাইলে সে কারণ।।
যখন আইলা সবে বারণানগর।
কূটভাষে তোমারে সে করিল উত্তর।।
যাহে জন্মে তাহে ভক্ষ্যে, শীতল বিনাশে।
ইহার আছয়ে ভয় যাহ সেই দেশে।।
এই চিহ্ন বলে মোরে আসিবার কালে।
পাঠাইল পার করিবারে গঙ্গাজলে।।
কৈবর্ত্ত-বচন শুনি বিশ্বাস জন্মিল।
ছয় জন দিয়া নৌকা-আরোহণ কৈল।।
চালাইল নৌকা তবে পবন-গমনে।
পুনরপি কহে দাস বিদুর-বচন।।
বিদুর বলিল এই করুণা বচন।
হেথা তাক শিরে-ঘ্রাণ করি আলিঙ্গন।।
কতকাল অজ্ঞাতে বঞ্চহ কোন স্থানে।
দুঃখ ক্লেশ সহি কর কালের হরণে।।
এই কথা কহিতে হইয়া গঙ্গাপার।
কূলে উঠিলেন সবে পাণ্ডুর কুমার।।
বলেন কৈবর্ত্ত প্রতি ধর্ম্মের নন্দন।
বিদুরে কহিবা গিয়া এই নিবেদন।।
বিষম প্রমাদ হৈতে হইলাম পার।
তোমা হৈতে পাণ্ডবের বন্ধু নাহি আর।।
তোমার উপায় হেতু রহিল জীবন।
পুনঃ ভাগ্য হইলে হইবে দরশন।।
এত বলি কৈবর্ত্তেরে করিল মেলানি।
বনেতে প্রবেশ কৈল প্রভাত রজনী।।
গঙ্গার দক্ষিণে যান কুন্তীর নন্দন।
বাহি নৌকা দাস কৈল উত্তরে গমন।।
এ স্থানে প্রভাত হৈলে নগরের লোক।
জতুগৃহ নিকটে আসিয়া করে শোক।।
জল দিয়া নিভাইল যে ছিল অনল।
ভস্ম উলটিয়া সবে নিরখে সকল।।
দ্বারমধ্যে দেখিল পুড়িল পুরোচন।
তাহার সুহৃদ যত ভাই বন্ধুগণ।।
অস্ত্রগৃহে পুড়িল যতেক অস্ত্রধারী।
প্রত্যেকে প্রত্যেক ভস্ম দেখিল বিচারি।।
জতুগৃহ-দ্বারে তবে গেল ততক্ষণ।
দেখিল অনলে দগ্ধ আছে ছয় জন।।
দেখিয়া সকল লোক হাহাকার করে।
গড়াগড়ি দিয়া পড়ে ভূমির উপরে।।
হায় হায় কোথা কুন্তী-মাদ্রীর নন্দন।
নিরখিয়া সর্ব্বলোক করয়ে ক্রন্দন।।
এই কর্ম্ম করিল পাপিষ্ঠ দুর্য্যোধন।
জতুগৃহ করিতে পাঠাল পুরোচন।।
দুষ্টবুদ্ধি ধৃতরাষ্ট্র মনে ইহা জানে।
কপট করিয়া দগ্ধ কৈল পুত্রগণে।।
এইক্ষণে আমা সবাকার এই কাজ।
লোক পাঠাইয়া দেহ হস্তিনার মাঝ।।
ধৃতরাষ্ট্রে বল না করিয়া কিছু ভয়।
মনোবাঞ্ছা পূর্ণ তোর হৈল দুরাশয়।।
হস্তিনাগনরে দূত গেল শীঘ্রগতি।
জানাইল সমাচার অন্ধরাজ প্রতি।।
জৌগৃহে ছিলেন কুন্তী পাণ্ডুর নন্দন।
নিশাযোগে অগ্নি তাহে দিল কোন্ জন।।
পুত্রসহ কুন্তীদেবী হইল দাহন।
পরিবার সহ দগ্ধ হৈল পুরোচন।।
এত শুনি ধৃতরাষ্ট্র শোকে অচেতন।
ক্ষণেক নিঃশব্দ হৈয়া করিল ক্রন্দন।।
হাহা কুন্তী যুধিষ্ঠির ভীম ধনঞ্জয়।
হাহা সহদেব আর নকুল দুর্জ্জয়।।
আজি জানিলাম আমি পাণ্ডুর নিধন।
ভ্রাতৃশোক না ছিল এ সবার কারণ।।
বহুবিধ বিলাপ করয়ে অন্ধবর।
সমাচার গেল অন্তঃপুরের ভিতর।।
গান্ধারী প্রভৃতি ছিল যত নারীগণ।
শোকেতে আকুল সবে করয়ে ক্রন্দন।।
ভীষ্ম দ্রোণ কৃপাচার্য্য বাহ্লীক বিদুর।
পাণ্ডবের মৃত্যু শুনি শোকেতে আতুর।।
নগরের লোক সব কান্দয়ে শুনিয়া।
পাণ্ডবের গুণ সব হৃদয়ে স্মরিয়া।।
কেহ ডাকে যুধিষ্ঠির, কহ বৃকোদর।
কেহ ধনঞ্জয়, কেহ মাদ্রীর কোঙর।।
হা হা কুন্তী বলি কেহ করয়ে ক্রন্দন।
এই মত নগরে কান্দয়ে সর্ব্বজন।।
তবে ধৃতরাষ্ট্র শ্রাদ্ধ করিল বিধান।
ব্রাহ্মণেরে দিলা বহু রত্ন ধেনু দান।।
হেথায় পাণ্ডবগণ ভুঞ্জি অতি ক্লেশ।
হিড়িম্বের অরণ্যেতে করিল প্রবেশ।।
পরিশ্রম আর ভয় ক্ষুধা তৃষ্ণা যত।
কহেন ডাকিয়া কুন্তী প্রতি পঞ্চসুত।।
বহুদূর আইলাম অরণ্য ভিতর।
তৃষ্ণায় আকুল নাহি চলে কলেবর।।
যাইতে না পারি আর বিনা জলপানে।
কতক্ষণ বিশ্রাম করহ এই স্থানে।।
এত শুনি যুধিষ্ঠির বলেন বচন।
না জানি মরিল, কিবা জীয়ে পুরোচন।।
দুষ্ট দুরাচার দুর্য্যোধনের মন্ত্রণা।
এই সমাচার পাছে কহে কোন জনা।।
তবে ত সাজিয়া দল আসিবে হেথায়।
কি করিব তবে পুনঃ কহ ত উপায়।।
ভীম বলে, নিঃশব্দে থাকহ এইখানে।
পশ্চাতে যাইব তৃপ্ত হৈয়া জলপানে।।
অন্য সর্ব্বজনেরে রাখিয়া বটমূলে।
জল-অন্বেষণে ভীম ভ্রমে নানা স্থলে।।
জলচর-পক্ষ শব্দ শুনি কত দূরে।
শব্দ-অনুসারে গেল জল আনিবারে।।
জলেতে নামিয়ে বীর কৈল স্নানপান।
জল লইবারে ভীম পাত্র নাহি পান।।
পাত্র না পাইয়া ভীম বস্ত্র ভিজাইল।
বসনে করিয়া জল লইয়া চলিল।।
দুই ক্রোশ গিয়াছিল জলের কারণ।
ক্ষণমাত্রে পুনঃ এল পবন-নন্দন।।
দেখিল সকলে নিদ্রাগত অচেতন।
কহিতে লাগিল ভীম বিলাপ বচন।।
বসুদেব-ভগিনী যে কুন্তী ভোজসুতা।
বিচিত্রবীর্য্যের বধূ পাণ্ডুর বনিতা।।
বিচিত্র পালঙ্কোপরি শয্যা মনোহর।
নিদ্রা নাহি হয় যাঁর তাহার উপর।।
হেন মাতা গড়াগড়ি যায় ভূমিতলে।
হরি হরি বিধি হেন লিখিল কপালে।।
কমল অধিক যার কোমল শরীর।
হেন ভাই ভূমিতে লোটায় যুধিষ্ঠির।।
তিন লোক ঈশ্বরের যোগ্য যেই জন।
সহজ মনুষ্য প্রায় ভূমিতে শয়ন।।
অর্জ্জুন সমান বীর্য্যবন্ত কোন্ জন।
হেন ভাই কৈল হায় ভূমিতে শয়ন।।
অর্জ্জুন সমান বীর্য্যাবন্ত কোন্ জন।
হেন ভাই কৈল হায় ভূমিতে শয়ন।।
সুন্দর নকুল সহদেব অনুপাম।
বীর্য্যাবন্ত বুদ্ধিমন্ত সর্ব্ব গুণধাম।।
এরূপ দুর্গতি নাহি হয় কোন জনে।
দুষ্টবুদ্ধি জ্ঞাতি দুর্য্যোধনের কারণে।।
আপদে তরয়ে লোক জ্ঞাতির সহায়।
বনে যেন বৃক্ষে বৃক্ষে বাতে রক্ষা পায়।।
দুর্য্যোধন কুলাঙ্গার হৈল জ্ঞাতি-বৈরী।
গৃহ ত্যাজি যার হেতু বনে বনচারী।।
দুর্য্যোধন কর্ণ আর শকুনি দুর্ম্মতি।
ধৃতরাষ্ট্র সেও দুষ্ট করিল অনীতি।।
ধর্ম্মেরে না করে ভয় রাজ্যে লুব্ধ মন।
পাপেতে নিমগ্ন হৈল, দুষ্ট দুর্য্যোধন।।
পুণ্যবলে নাহি দুষ্ট জীয়ে দেববলে।
কোন্ দেবে বরদাতা হৈল কোন্ কালে।।
হেন কদাচার নাহি করে কোন জন।
বিধিমতে শাস্তি আমি দিব ভালে ভালে।।
জ্যেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ দুষ্ট ধৃতরাষ্ট্র মহারাজা।
তাহাকে নিষেধ করে নাহি হেন রাজা।।
এই পাপে কৌরবেরে করিব নিধন।
অবশ্য মারব আমি শতেক নন্দন।।
এত দুঃখ সহ কেন ঈশ্বর আমার।
আজ্ঞা পেলে কটাক্ষেতে করি যে সংহার।।
মহাধর্ম্মশীল তুমি ধর্ম্মেতে তৎপর।
তাই এত দুঃখ পাও গুণের সাগর।।
সে কারণে আজ্ঞা না করেন যুধিষ্ঠির।
গদার বাড়িতে তার লোটাতে শরীর।।
কোন্ মন্ত্রে মহৌষধি কৈল কোন্ জন।
সে কারণে রহে দুষ্ট তোমার জীবন।।
ধর্ম্মাত্মা যুধিষ্ঠির না জানে পাপাচার।
সে কারণে এ দুঃখ আমা সবাকার।।
কোন কর্ম্মে অশক্ত যে আমি ইহা সব।
তব আজ্ঞা না করেন মারিতে কৌরব।।
কহিতে কহিতে ক্রোধ হৈল বৃকোদর।
দুই চক্ষু লোহিত কচালে দুই করে।।
পুনঃ ক্রোধ সম্বরিয়া দেখে ভ্রাতৃগণে।
নিদ্রা ভঙ্গ না করেন, বিচারিয়া মনে।।
জাগিয়া রহিল ভীম বটবৃক্ষ মূলে।
চারি ভাই মাতা নিদ্রা যায়েন বিভোলে।।
হেনকালে হিড়িম্ব নামেতে নিশাচর।
বিপুল-বিস্তার কায়, লোকে ভয়ঙ্কর।।
দন্তপাটি বিদাকাটী জিহ্বা লহ লহ।
দীর্ঘকর্ণ রক্তর্ব্ণ চক্ষু কূপগৃহ।।
কৃষ্ণ অঙ্গ অতি ব্যঙ্গ শিরা দীর্ঘতর।
সেই কাল ছিল ভাল মহীর উপর।।
পেয়ে গন্ধ হয়ে অন্ধ চৌদিকেতে চায়।
চন্দ্রপ্রভা মুখ শোভা জলরুহ প্রায়।।
সুশোভন ছয় জন দেখি বটমূলে।
হৃষ্টমতি স্বসা প্রতি নিশাচর বলে।।
চারিদিন ভক্ষ্যহীন আছি উপবাসে।
দৈবযোগে দেখ আগে আইল মানুষে।।
সুপ্রভাত অকস্মাৎ মাংস উপনীত।
ছয় জনে মোর স্থানে আনহ ত্বরিত।।
নাহি ভয় আগুসরি যাহ শীঘ্রগতি।
মোর বন কোন্ জন বিরোধিবে তথি।।
ভ্রাতৃ-কথা শুনি তথা চলিল রাক্ষসী।
বীরবর বৃকোদর যথা আছে বসি।।
মহাভারতের কথা অমৃত-সমান।
কাশীরাম দাস কহে শুনে পুণ্যবান।।