০৭৭. ভীমের কৌরব-আক্রমণ-বহুবীরবিনাশ

৭৭তম অধ্যায়

ভীমের কৌরব-আক্রমণ-বহুবীরবিনাশ

সঞ্জয় কহিলেন, “মহারাজ! আপনি আপনার দোষেই এই মহাবিপদে নিপতিত হইয়াছেন। আপনি যেসমুদয় ধর্ম্মসঙ্কট [ধর্ম্মসম্পর্কিত বিপদ] বুঝিতে পারিয়াছিলেন, দুৰ্য্যোধন তাহা অবগত হইতে সমর্থ হয় নাই। হে ভূপাল! পূর্ব্বে আপনার দোষে দূতক্ৰীড়া হইয়াছিল; এক্ষণেও আপনার দোষে এই সংগ্রাম সমুপস্থিত হইয়াছে; অতএব আপনিই অধুনা স্বীয় পাপানুষ্ঠানের ফলভোগ করুন। লোকে স্বয়ং কর্ম্মানুষ্ঠান করিয়া ইহলোকে হউক আর পরলোকেই হউক, স্বয়ংই তাহার ফলভোগ করিয়া থাকে। যাহা হউক, আপনি এই ব্যসনসময়ে স্থিরচিত্ত হইয়া যুদ্ধের বিষয় আনুপূর্বিক শ্রবণ করুন।

“মহাবলপরাক্রান্ত ভীমসেন নিশিতশরনিকরদ্বারা ভীষ্মরক্ষিত মহাসৈন্য ভেদ করিয়া তন্মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া দুঃশাসন, দুর্বিসহ, দুঃসহ দুর্ম্মদ, জয়, জয়ৎসেন, বিকর্ণ, চিত্ৰসেন, সুদৰ্শন, চারুচিত্র, সুবর্ম্মা, দুষ্কর্ণও কর্ণপ্রভৃতি মহারথ দুৰ্য্যোধনানুজগণকে অবলোকন করিয়া তাহাদের সম্মুখীন হইলেন। দুঃশাসন প্রভৃতি বীরগণ ভীমসেনকে অবলোকন করিয়া পরস্পর কহিতে লাগিলেন, ‘ভ্ৰাতৃগণ! আমরা সকলে ইহার জীবন সংহার করিব।’ দুৰ্য্যোধনের অনুজগণ এইরূপ স্থির করিয়া ভীমসেনকে পরিবৃত করিলে মহাবীর বৃকোদর ক্রূর মহাগ্রহসমুদযে পরিবৃত প্রলয়কালীন সূর্য্যের ন্যায় শোভমান হইলেন। ঐ মহাবীর ব্যূহমধ্যে প্রবেশপূর্ব্বক দেবাসুরযুদ্ধে দানবদলসম্মুখীন পুরন্দরের ন্যায় নির্ভীকচিত্তে অবস্থান করিতে লাগিলেন।

“তখন সর্ব্বশাস্ত্ৰে সুশিক্ষিত সহস্র রথী ঘোরতর শরনিকর সমুদ্যত করিয়া তাঁহার চতুর্দ্দিক আবৃত করিল। মহাবীর ভীমসেন মহারাজের পুত্ৰগণকে লক্ষ্য না করিয়া কৌরবদিগের প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণকে সংহার করিতে লাগিলেন। পরিশেষে আপনার পুত্ৰগণ তাঁহাকে রুদ্ধ করিবার চেষ্টা করিতেছেন বুঝিতে পারিয়া তত্ৰত্য সমস্ত যোদ্ধৃগণকে সংহার করিবার বাসনায় গদাহস্তে রথ হইতে অবতরণপূর্ব্বক কৌরবসৈন্যকে নিধন করিলেন।

ধৃষ্টদ্যুম্নের ভীম-সাহায্য

“এইরূপে মহাবীর বৃকোদার কৌরবসৈন্যমধ্যে প্রবিষ্ট হইলে দ্রপদতনয় ধৃষ্টদ্যুম্ন সহসা দ্রোণকে পরিত্যাগপূর্ব্বক শকুনির অভিমুখে এবং মহতী কৌরবসেনা নিবারণপূর্ব্বক ভীমসেনের শূন্যরথসমীপে গমন করিয়া তাঁহার সারথি বিশোককে অবলোকন করিয়া দুঃখিতচিত্তে দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগপূর্ব্বক বাষ্মগদ্‌গদবচনে কহিলেন, “সূত!! আমার প্রাণ অপেক্ষা প্রিয়তর ভীমসেন কোথায়?” তখন ভীমসারথি বিশোক কৃতাঞ্জলিপুটে কহিতে লাগিলেন, “মহাশয়! মহাবলপরাক্রান্ত মহাবাহু আমাকে এই স্থানে রাখিয়া একাকী কৌরবসৈন্যমধ্যে প্রবেশ করিয়াছেন। গমনকালে আমাকে কহিয়া গিয়াছেন, “হে বিশোক! তুমি অশ্বগণকে স্থগিত করিয়া ক্ষণকাল এই স্থানে অবস্থানপূর্ব্বক আমার আগমন প্রতীক্ষা কর; কৌরবগণ আমাকে নিধন করিতে কৃতনিশ্চয় হইয়াছে; অতএব আমি মুহূৰ্তমধ্যেই উহাদিগকে সংহার করিয়া আসিতেছি।” হে মহাশয়! ভীমসেন এই কথা বলিয়া গদাহন্তে কৌরবসৈন্যগণের প্রতি ধাবমান হইলে তাহারা তাঁহাকে দেখিয়া কোলাহল করিতে লাগিল। তখন মহাবীর বৃকোদর সেই কৌরবগণের মহাব্যূহ ভেদ করিয়া তন্মধ্যে প্রবেশ করিলেন।”

“দ্রুপদতনয় ধৃষ্টদ্যুম্ন বিশোকের বাক্যশ্রবণানন্তর তাহাকে বলিলেন, “হে সূত! রণস্থলে ভীমসেনকে পরিত্যাগ ও পাণ্ডবগণের সহিত স্নেহভাব পরিহার করিয়া আমার জীবনধারণের প্রয়োজন কি? ভীম ও আমি একত্র কৌরবগণসমভিব্যাহারে সংগ্রাম করিতেছিলাম; এক্ষণে যদি আমি তাঁহাকে পরিত্যাগ করিয়া গমন করি, তাহা হইলে ক্ষত্ৰিয়গণ আমাকে কি বলিবেন? দেখ, যে ব্যক্তি আপনার সহায়দিগকে পরিত্যাগ করিয়া নির্বিঘ্নে গৃহে গমন করে, ইন্দ্রাদি দেবগণ তাহার অমঙ্গলবিধান করিয়া থাকেন। মহাবলপরাক্রান্ত ভীমসেন আমার সখা, আত্মীয় ও ভক্ত; আমিও তাঁহাকে অসাধারণ ভক্তি করিয়া থাকি; অতএব মহাবীর বৃকোদার যে স্থানে গমন করিয়াছেন, আমিও অবিলম্বে তথায় গমন করিয়া, সুররাজ পুরন্দর। যেমন দানবগণকে নিধন করিয়াছিলেন, তদ্রূপ শত্রুপক্ষীয় সৈন্যগণকে তোমার সমক্ষে সংহার করিব।”

“হে মহারাজ! মহাবীর ধৃষ্টদ্যুম্ন এই বলিয়া গদাপ্রমথিত [গদাদ্বারা বিমর্দ্দিত] গজযুথে চিহ্নিত পথ অবলম্বনপূর্ব্বক ভীমসেনের সমীপে গমন করিয়া দেখিলেন, মহাবীর বৃকোদার শত্রুসৈন্যগণকে নিধনপূর্ব্বক ভূপগণকে বৃক্ষসমুদয়ের ন্যায় ভগ্ন করিতেছেন। এদিকে রথী, অশ্বারোহী, পদাতি ও হস্তিগণ বিচিত্ৰযোধী ভীমসেনের ভীষণ আঘাতে নিতান্ত নিপীড়িত হইয়া আর্ত্তনাদ করিতে লাগিল; এইরূপে কৌরবসৈন্যমধ্যে হাহাকার সমুত্থিত হইল। তখন অস্ত্রবিদ্যায় সুনিপুণ বীরগণ নিৰ্ভয়চিত্তে ভীমসেনকে পরিবেষ্টিত করিয়া চতুর্দ্দিক হইতে তাঁহার উপর শরনিক্ষেপ করিতে আরম্ভ করিলেন।

“ভয়ঙ্কর সৈন্যসমুদয় একত্র হইয়া অস্ত্রবিদ্‌গণের অগ্রগণ্য মহাবীর ভীমসেনের প্রতি ধাবমান হইয়াছে দেখিয়া মহাবল পরাক্রান্ত ধৃষ্টদ্যুম্ন সত্বর সেই শরবিক্ষতাঙ্গ [বাণদ্বারা ক্ষতিকলেবর] পদাতি, ক্রোধবিষোদ্‌গারী [রোষবিষউদ্‌গিরণকারী] পাণ্ডুতনয়কে সমাশ্বাসিত করিয়া তাঁহার মধ্যবর্ত্তী হইলেন এবং তাঁহাকে স্বীয় রথে আরোপণপূর্ব্বক নিঃশল্য [অস্ত্ৰাঘাত-বেদনাশূন্য] করিয়া শত্ৰুগণ সমক্ষে গাঢ় আলিঙ্গন করিতে লাগিলেন। তখন মহারাজ দুৰ্য্যোধন সহসা সেই সংগ্রামস্থলে স্বীয় ভ্রাতৃগণসমীপে সমুপস্থিত হইয়া কহিলেন, “হে কৌরবগণ! এই দুরাত্মা দ্রুপদতনয় ভীমসেনের সহিত সংগ্রামস্থলে সমুপস্থিত হইয়াছে; চল, আমরা সকলে একত্ৰ গমন করিয়া উহাকে সংহার করি।”

দুৰ্য্যোধন-ধৃষ্টদ্যুম্ন যুদ্ধ

“হে মহারাজ! তখন আপনার তনয়গণ জ্যেষ্ঠের অনুজ্ঞা শ্রবণমাত্র কিঞ্চিম্মাত্র বিবেচনা না করিয়া দ্রুপদতনায়কে সংহার করিবার মানসে বিচিত্র শরাসন গ্রহণপূর্ব্বক জ্যানির্ঘোষে মেদিনী কম্পিত করিয়া যুগক্ষয়কালীন কেতুগণের ন্যায় তাঁহার সমীপে সমুপস্থিত হইলেন এবং মেঘ যেমন পর্ব্বতোপরি বারিবর্ষণ করে, তদ্রূপ দ্রুপদতনয়ের প্রতি শরনিকর নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন চিত্ৰযোধী মহাবীর ধৃষ্টদ্যুন্ন ধার্ত্তরাষ্ট্রগণের শরে সমস্তাৎ আহত হইয়াও তাঁহাদিগকে চতুর্দ্দিকে অবস্থিত দেখিয়া কিছুমাত্র ব্যথিত হইলেন না; বরং ক্রোধান্বিতচিত্তে সংহার করিবার নিমিত্ত তাঁহাদের উপর সম্মোহনবাণ নিক্ষেপ করিলেন। ধার্ত্তরাষ্ট্রগণ মহাবীর দ্রুপদতনয়ের সম্মোহনশরপ্রভাবে হতবুদ্ধি ও বিমোহিত হইতে লাগিলেন। অন্যান্য কৌরবগণ তাঁহাদিগকে কালপ্ৰাপ্তের ন্যায় বিসংজ্ঞ [অচেতন] ও বিমোহিত দেখিয়া রথ, অশ্ব ও নাগসমুদয়সমভিব্যাহারে লইয়া পলায়ন করিতে আরম্ভ করিলেন।

ধৃষ্টদ্যুম্ন-দ্রোণযুদ্ধ

“হে মহারাজ! ঐ সময় অস্ত্রবিদগণের অগ্রগণ্য দ্রোণ দ্রুপদের সম্মুখীন হইয়া অতি দারুণ তিনশরে তাঁহাকে বিদ্ধ করিলেন। মহারাজ দ্রুপদ দ্রোণের শরে নিতান্ত ব্যথিত হইয়া পূর্ব্বতন বৈর স্মরণপূর্ব্বক রণস্থল পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিলেন। মহাবীর দ্রোণাচাৰ্য্য এইরূপে দ্রুপদকে পরাজিত করিয়া হৃষ্টচিত্তে শঙ্খধ্বনি করিতে লাগিলেন। সোমকগণ তাঁহার শঙ্খধ্বনিশ্রবণে নিতান্ত ভীত হইয়া উঠিল। এমন সময় মহাবীর ধার্ত্তরাষ্ট্রগণ ধৃষ্টদ্যুম্নের সম্মোহনাস্ত্ৰ প্ৰভাবে বিমোহিত হইয়াছেন শ্রবণ করিবামাত্র দ্রোণাচাৰ্য্য অতিমাত্র ব্যগ্র হইয়া তাঁহাদের সমীপে গমনপূর্ব্বক দেখিলেন, মহাবীর ধৃষ্টদ্যুম্ন ও ভীমসেন অবলীলাক্রমে সংগ্রামস্থলে বিচরণ করিতেছেন, আর ধার্ত্তরাষ্ট্রগণ বিমোহিত হইয়া রহিয়াছেন। তখন তিনি প্রজ্ঞাস্ত্র [চৈতন্যসম্পাদক] নিক্ষেপপূর্ব্বক দ্রুপদতনয়নিক্ষিপ্ত প্রমোহনাস্ত্ৰ বিনাশ করিলেন। অস্ত্ৰ বিনষ্ট হইবামাত্র ধার্ত্তরাষ্ট্রগণ সংজ্ঞালাভ করিয়া পুনরায় ভীম ও ধৃষ্টদ্যুম্নের সহিত সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইলেন।

“তখন ধর্ম্মরাজ যুধিষ্ঠির আপনার সৈন্যগণকে আহ্বান করিয়া কহিলেন, “হে বীরগণ! তোমরা অবিলম্বে ভীমসেন ও ধৃষ্টদ্যুম্নের সমীপে গমন কর; সৌভদ্রপ্রভৃতি দ্বাদশ বীর উহাদের সমাচার আনয়ন করুন; ভীম ও ধৃষ্টদ্যুম্নের সংবাদ অবগত না হইলে আমার মনস্থির হইতেছে না।” তখন সেই পৌরুষাভিমানী বিক্রমশালী বীরগণ যুধিষ্ঠিরের আজ্ঞা শ্রবণমাত্র “যে আজ্ঞা” বলিয়া মধ্যাহ্নসময়ে সংগ্রামার্থ গমন করিতে লাগিলেন। মহতী সেনাসমবেত কৈকেয়সমুদয়, দ্রৌপদীতনয়গণ ও মহাবীর ধৃষ্টকেতু অভিমন্যুকে পুরোবর্ত্তী করিয়া সূচীমুখব্যূহ নির্ম্মাণপূর্ব্বক কৌরবদিগের রথসৈন্য ভেদ করিতে লাগিলেন। ভীমভয়াবিষ্ট ধৃষ্টদ্যুম্নশরবিমোহিত কৌরবসৈন্যগণ সেই অভিমন্যুপ্রমুখ মহাধনুৰ্দ্ধরগণের বেগ সহ্য করিতে অসমর্থ হইয়া পথিস্থিত প্রমদার ন্যায় [অসহায়া নারীর ন্যায়] মূৰ্ছাপন্ন হইল।

ধৃষ্টদ্যুম্নের অভিমন্যু সাহায্য

“অভিমন্যুপ্রমুখ মহাধনুৰ্দ্ধরগণ সুবৰ্ণবিনির্ম্মিত ধ্বজ সমুচ্ছ্রিত করিয়া ধৃষ্টদ্যুম্ন ও ভীমসেনের সমীপে ধাবমান হইলেন; তৎকালে তাঁহারা শত্রুসৈন্য ক্ষয় করিতেছিলেন; অভিমন্যুপ্রভৃতি ধনুর্দ্ধরগণকে দর্শন করিয়া তাঁহাদের আনন্দের পরিসীমা রহিল না। ঐ সময় মহাবীর পাঞ্চালতনয় সহসা দ্ৰোণাচাৰ্য্যকে আগমন করিতে দেখিয়া ধাৰ্তরাষ্ট্রগণের বিনাশে ক্ষান্ত হইলেন এবং সত্বর ভীমসেনকে কেকয়রাজের রথে সমারোপিত করিয়া স্বয়ং ক্রুদ্ধচিত্তে দ্রোণাভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন। দুৰ্য্যোধনহিতার্থী কৃতজ্ঞ প্রতাপশালী দ্রোণাচাৰ্য্য দ্রুপদতনয়কে ধাবমান দেখিয়া ক্রোধভরে ভল্লদ্বারা তদীয় শরাসন ছেদন করিয়া তাঁহার উপর শত শার নিক্ষেপ করিলেন। অরাতিকুলনিপাতন মহাবলপরাক্রান্ত ধৃষ্টদ্যুম্ন ক্ষণকালমধ্যে অন্য শরাসন গ্রহণপূর্ব্বক সুবর্ণপুঙ্খ শিলাশিত সপ্ততি সায়কে [বাণে] দ্রোণাচাৰ্য্যকে বিদ্ধ করিলেন। মহাবীর দ্রোণাচাৰ্য্য পুনরায় দ্রপদতনয়ের শরাসন ছেদনপূর্ব্বক চারিশরে তাঁহার চারি অশ্ব ও নিশিতভল্লদ্বারা সারথিকে শমনসদনে প্রেরণ করিয়া নিঃশঙ্কচিত্তে অবস্থান করিতে লাগিলেন। তখন মহারথ ধৃষ্টদ্যুম্ন সেই অশ্ববিহীন রথ হইতে সত্বর অবরোহণ [অবদ্ধরণ] করিয়া অভিমন্যুর রথে আরোহণ করিলেন।

“হে মহারাজ! ঐ সময় পাণ্ডবসৈন্যগণ দ্রোণের শরে আহত হইয়া ভীম ও দ্রুপদতনয়ের সমক্ষেই কম্পিত হইতে লাগিল। পাণ্ডবপক্ষীয় সমুদয় মহারথীগণ সেই অমিততেজাঃ দ্রোণকর্ত্তৃক ভগ্ন সৈন্যগণকে কোনক্রমেই নিবারণ করিতে পারিলেন না। উহারা দ্রোণের শরাঘাতে নিতান্ত নিপীড়িত হইয়া ক্ষুব্ধ সাগরের ন্যায় ভ্ৰমণ করিতে লাগিল। কৌরবসৈন্যগণ পাণ্ডবসৈন্যগণকে তদবস্থ ও দ্রোণাচাৰ্য্যকে ক্রুদ্ধচিত্তে শত্রুসৈন্যবিনাশে প্রবৃত্ত দেখিয়া পরমহ্লাদিত হইল; যোদ্ধৃগণ সাধু সাধু বলিয়া দ্রোণের প্রশংসা করিতে লাগিলেন।”