সিঁড়ি দিয়ে নামতে হল নীচে। প্রসাদ তাঁর ঘাড়ে রিভলভারটা ঠেকিয়ে আছে।
কাকাবাবু বললেন, রিভলভারটা সরাও। অত কিছুর দরকার নেই। আমি
খোঁড়া মানুষ, আমি কি দৌড়ে পালাতে পারব নাকি?
প্রসাদ বলল, শাট আপ!
কাকাবাবু বললেন, তুমি বুঝি আর কোনও ইংরিজি কথা জানো না?
প্রসাদ কাকাবাবুকে এমন একটা ধাক্কা দিল যে, তিনি আর একটু হলে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন।
কোনওরকমে সামলে নিয়ে বললেন, আমার ওপর এত রাগ কেন বাপু? আমি তোমার কী ক্ষতি করেছি, সেটা বলবে তো!
প্রসাদ আবার বলল, শাট আপ!
কাকাবাবু বললেন, ঠিক আছে, তাই বলে যাও!
একতলায় একটা ঘরে কাকাবাবুকে ঢুকিয়ে দিয়ে প্রসাদ দরজা বন্ধ করে দিল পেছন থেকে। সে নিজে ঘরে ঢুকল না।
ঘরটি বেশ বড়, সোফা দিয়ে সাজানো। একদিকে একটা সিংহাসনের মতন লাল ভেলভেট দিয়ে মোড়া চেয়ার। তার ওপরে বসে আছে একজন মহিলা। তিরিশ-বত্রিশ বছর বয়েস হবে, খুবই সুন্দর চেহারা। দুধে-আলতা গায়ের রং, একটা সাদা সিল্কের শাড়ি পরা, সারা গা ভর্তি গয়না। এমন ঝকমক করছে যে, মনে হয়, সবগুলোই হিরের, তাকে দেখাচ্ছে রানির মতন।
কাকাবাবু তাকে চিনতে পারলেন না। হাত জোড় করে বললেন, নমস্কার।
মহিলাটি কিন্তু নমস্কার করল না। তার ভুরু কুঁচকে গেল, অমন সুন্দর মুখোনা নিষ্ঠুর হয়ে উঠল। সামনের দিকে একটু ঝুঁকে বলল, এইবার রাজা রায়চৌধুরী, তোমাকে বাগে পেয়েছি। কুকুর দিয়ে তোমার মাংস খাওয়াব।
কাকাবাবু খুবই অবাক হয়ে বললেন, আপনাকে তো আমি চিনি না। আমার ওপর এত রাগ করছেন কেন? আমি কি আপনার কোনও ক্ষতি করেছি?
মহিলাটি বলল, চিনতে পারছ না? ন্যাকামি হচ্ছে। আমার পোষা ডালকুত্তা যখন তোমার মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে, তখন ঠিক চিনবে!
কাকাবাবু বললেন, আমার মাংস কী এমন সুস্বাদু যে, আপনার ডালকুত্তার পছন্দ হবে? বাজারে অনেক পাঁঠার মাংস পাওয়া যায়, কুকুররা সেই মাংসই বেশি পছন্দ করে। আমার ওপর আপনার এত রাগ কেন? আপনি কে?
মহিলাটি বলল, আমি তোমার যম। আমার হাতেই তুমি মরবে।
কাকাবাবু বললেন, যম তো মেয়ে নয়, পুরুষ। আমি মেয়েদের সঙ্গে কক্ষনও লড়াই করি না। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
সেই সুন্দরী মহিলাটি রাক্ষুসির মতন হিংস্র মুখ করে বলল, পাঁচ বছর ধরে আমি রাগ পুষে রেখেছি। তোমাকে ধরার অনেক চেষ্টা করেছি। এইবার বাগে পেয়েছি। আজ চোখের সামনে তোমাকে একটু একটু করে মরতে দেখে, তারপর রাত্তিরে শান্তিতে ঘুমোব!
কাকাবাবু নকল দুঃখের ভাব করে বললেন, অনেকেই এই কথা বলে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি মরি না। কী করব বলো! আজও তোমার শান্তিতে ঘুম হবে না!
এই সময় পাশের দরজা দিয়ে আর একজন লোক ঢুকল। সে যেমন লম্বা, তেমনই চওড়া। মাথায় বাবরি চুল, নাকের নীচে শেয়ালের লেজের মতন মোটা গোঁফ। একটা ঝলমলে দড়ি বসানো কোট পরা, কোমরে ঝুলছে তলোয়ার।
কাকাবাবু দেখামাত্র সেই লোকটিকে চিনতে পারলেন। অস্ফুট স্বরে বললেন, মোহন সিং।
তারপর মহিলাটির দিকে তাকিয়ে বললেন, এবার তোমাকেও চিনতে পেরেছি। সিনেমার নায়িকা! তোমাদের মুখের চেহারা আর সাজপোশাক এত বদলে যায় যে, চেনা মুশকিল। আমি তো সিনেমাটিনেমাও বিশেষ দেখি না। তোমার সঙ্গে সেই বিজয়নগরে দেখা হয়েছিল, তাই না? কী যেন তোমার নাম?
মোহন সিং একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে বলল, কস্তুরীকে চিনতে পারোনি? ও এখন হিন্দি ফিমের দুনম্বর নায়িকা।
কস্তুরী বলল, দুনম্বর না, এক নম্বর!
মোহন সিং বলল, হ্যাঁ, এই নতুন ফিটা রিলিজ করলে তুমি নিশ্চিত এক নম্বর হবে! যাকগে, আসল কথায় আসা যাক। রাজা রায়চৌধুরী, তোমাকে কস্তুরী বেশি বেশি ভয় দেখাচ্ছিল। অবশ্য ওর অত রাগ হওয়াই স্বাভাবিক। তুমি তো আমাদের কম ক্ষতি করোনি! তবু তোমাকে আর একবার বাঁচার চান্স দেব।
কাকাবাবু নিজেও এবার একটা সোফায় বসে পড়ে হাঁফ ছেড়ে বললেন, যাক এবারে নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। এতক্ষণ ধাঁধার মধ্যে ছিলাম। কারা আমাদের ধরে এনেছে, কেন আমার ওপর এত রাগ, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তোমরাই ভাস্কো দা গামার ভূতের ধোঁকা দিয়ে আমাকে কালিকটে টেনে এনেছ?
মোহন সিং হা-হা করে হেসে উঠে বলল, কেমন ফাঁদ পেতেছি, বলো! এর আগেও অনেকবার তোমাকে টেনে আনার চেষ্টা করেছি। একবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, মুম্বইয়ে একটা খুনের তদন্ত করে দিলে তোমাকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হবে, তুমি আসোনি। রাজস্থানের একটা মন্দিরের মূর্তি চুরি যাওয়ার কথা জানালেও তুমি পাত্তা দাওনি। তারপর ভাস্কো দা গামা বিষয়ে তোমার প্রবন্ধটা ছাপা হওয়ার পর একজন আমাকে বুদ্ধি দিল, ওই ভূতের গুজবটা আস্তে আস্তে ছড়াও, বড় বড় লোকেদের নাম করে ফোন করাও, চিঠি লেখাও, তাতে ও টোপ গিলতে পারে। সেই বুদ্ধিটা ঠিক কাজে লেগে গেল!
কাকাবাবু বললেন, অন্যের বুদ্ধি! তোমার অত বড় মোটা মাথা থেকে যে এই সূক্ষ্ম বুদ্ধি বেরবে না, তা বোঝাই যায়। প্রথম রাউন্ডে আমি হেরে গেছি, ধরা পড়ে গেছি। এবার কী হবে বলো!
মোহন সিং বলল, তোমাকে আমরা ছেড়ে দিতে পারি, তুমি আমাদের বিজয়নগরের হিরেটা ফেরত দাও!
কাকাবাবু বললেন, বিজয়নগরের হিরেটা তোমাদের হল কী করে? যে-কোনও ঐতিহাসিক জিনিসই ভারত সরকারের সম্পত্তি।
মোহন সিং বলল, ওই হিরেটা উদ্ধার করার জন্য আমরা প্রায় কুড়ি লাখ টাকা খরচ করেছি।
কস্তুরী চিৎকার করে বলল, শুধু টাকা! কত অপমান সয়েছি। এই পাজি, শয়তান, খোঁড়া লোকটা আমাকে নদীর জলে চুবিয়ে আমার কাছ থেকে হিরেটা কেড়ে নিয়েছে। ওই হিরে আমার চাই—চাই—চাই! যেমন করে হোক!
কাকাবাবু হেসে বললেন, অত হিরের লোভ ভাল নয়। শোনো, ওই হিরেটা তোমাদের নয়, আমারও নয়। হিরেটা উদ্ধার করেছি আমি, কিন্তু নিজের কাছে তো রাখিনি। ভারত সরকারের কাছে জমা দিয়েছি। দিল্লিতে একটা মিউজিয়ামে কড়া পাহারা দিয়ে রাখা আছে। ওই বিশ্ববিখ্যাত হিরেটা দেখতে বহু লোক যায়। তোমরাও গিয়ে দেখে আসতে পারো।
মোহন সিং বলল, ওসব আমরা জানি। ছেলেদুটোকে জামিন রেখে তোমাকে আমরা ছেড়ে দেব। তুমি দিল্লিতে গিয়ে ওই হিরেটা আমাদের জন্য নিয়ে আসবে।
কাকাবাবু বললেন, আমি দিল্লিতে গেলেও হিরেটা আমাকে ফেরত দেবে কেন?
মোহন সিং বলল, তোমার অনেক খাতির, তুমি হিরেটা এক সময় দেখতে চাইবে। তারপর ওখানে একটা নকল ঠিক ওইরকম হিরে বসিয়ে আসলটা নিয়ে চলে আসবে। খুব সোজা।
কাকাবাবু বললেন, তার মানে আমাকে চুরি করতে বলছ? তোমাদের কি মাথাখারাপ হয়েছে! তোমাদের জন্য আমি হিরে চুরি করতে যাব কেন? আমাকে ছেড়ে দিলেই তো আমি পুলিশ সঙ্গে এনে সন্তু আর জোজোকে উদ্ধার করব। তোমাদেরও ধরিয়ে দেব।
মোহন সিং বলল, আমরা কি এতই বোকা? তোমার ওপর নজর রাখা হবে। তুমি পুলিশের কাছে গেলেই আমরা ওই ছেলেদুটোর গলা কেটে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলব! পুলিশ এলেই বা কী হবে? আমরা যে তোমাদের ধরে এনেছি তার কোনও প্রমাণ আছে? আমরা তো এখানে সিনেমার শুটিং করতে এসেছি।
কাকাবাবু বললেন, সন্তু আর জোজোকে যদি কেউ মারে, তা হলে সে পৃথিবীর কোনও জায়গাতেই লুকোতে পারবে না, আমি ঠিক তাকে খুঁজে বার করব, নিজের হাতে তার গলা টিপে মারব।
কস্তুরী চেয়ার ছেড়ে নেমে এসে রাগে কাঁপতে কাঁপতে বলল, কী, তোর এত সাহস, এখনও আমাদের ভয় দেখাচ্ছিস? তোকে এখনই যদি মেরে ফেলি, তুই কী করবি?
সে খুব জোরে কাকাবাবুর দুগালে দুটো চড় কষাল।
চড় খেয়েও কাকাবাবু একটুও নড়লেন না। প্রায় এক মিনিট স্থির চোখে তাকিয়ে রইলেন কস্তুরীর মুখের দিকে।
তারপর ঠাণ্ডা গলায় বললেন, ছিঃ, এভাবে কাউকে মারতে নেই। কাউকে মারলে তুমি নিজেও যে কখনও এরকম মার খেতে পারো, সে-কথা ভাব না কেন?
মোহন সিং ফস করে একটা রিভলভার বার করে বলল, সাবধান কস্তুরী। ওর কাছ থেকে সরে এসো। ও লোকটা খোঁড়া হলেও ওর গায়ে অসম্ভব জোর। ও তোমাকে একবার ধরলে ছিঁড়ে ফেলতে পারে।
কাকাবাবু মোহন সিংয়ের দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন, আমি মেয়েদের গায়ে হাত তুলি না, তাই ও বেঁচে গেল!
কস্তুরী সত্যি যেন ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেল খানিকটা।
মোহন সিং বলল, রাজা রায়চৌধুরী, তুমি আমার দিকে এগোবার চেষ্টা করলেই আমি গুলি করব। এখানে আরও পাঁচজন পাহারাদার আছে। তুমি পালাতে পারবে না কিছুতেই। এর পরেও তুমি আমাদের কথা শুনবে না?
কাকাবাবু বললেন, বিজয়নগরের হিরেটা পাওয়ার আশা ত্যাগ করো। ওটা জাতীয় সম্পত্তি। আমাদের আটকে রেখে তোমাদের কোনও লাভ নেই।
কস্তুরী দাঁতে দাঁত চেপে বলল, হিরেটা যদি না পাই, তা হলে তোমাকে আমি পুড়িয়ে মারব। তাতেও আমার শান্তি হবে।
কাকাবাবু বললেন, একবার বলছে কুকুর দিয়ে খাওয়াবে, একবার বলছে পুড়িয়ে মারবে। এর দেখছি মন স্থির নেই!
মোহন সিং বলল, আমি ব্যবসাদার লোক। কুড়ি লাখ টাকা খরচ করেছি, সে টাকা আমি উশুল করবই। রাজা রায়চৌধুরী, তুমি আমার প্রস্তাবে রাজি না হলে কী ভুল করবে, পরে বুঝবে!
তারপর সে চিৎকার করে ডাকল, প্রসাদ! প্রসাদ!
সঙ্গে সঙ্গে প্রসাদ আর দুজন লোককে নিয়ে ঘরে ঢুকল।
মোহন সিং বলল, প্রসাদ, একে নিয়ে যাও। তিনজনেরই হাত বেঁধে রাখবে। কস্তুরী বলল, এদের কিছু খেতে দেবে না। কিচ্ছু না। জলও দেবে না।
প্রসাদের হাতে রিভলভার, অন্য দুজনের হাতে লোহার ডাণ্ডা। তারা ঠেলতে ঠেলতে কাকাবাবুকে নিয়ে চলল।
আগের ঘরটায় ঢুকিয়ে বন্ধ করে দিল দরজা। সন্তু আর জোজো উদগ্রীব হয়ে বসে ছিল।
কাকাবাবু বললেন, একটা ব্যাপারে অন্তত নিশ্চিত হওয়া গেছে। কারা আমাদের ধরে এনেছে, সেটা জানা গেল। শত্রুপক্ষকে চিনতে না পারলে লড়াইয়ের পদ্ধতিটা ঠিক করা যায় না।
সন্তু জিজ্ঞেস করল, এরা কারা?
কাকাবাবু বললেন, তোদের সেই বিজয়নগরের কথা মনে আছে? মোহন সিং, কস্তুরী, ওরা সিনেমা তোলার ছুতোয় বিজয়নগরের বিশ্ববিখ্যাত হিরেটা খুঁজে বার করার চেষ্টা করেছিল?
জোজো বলল, হ্যাঁ মনে, আছে। সেবারে রিঙ্কুদি আর রঞ্জনদা সঙ্গে ছিল। ওরা পারেনি, বিজয়নগরের হিরে আমারই উদ্ধার করেছিলাম।
কাকাবাবু বললেন, ওদের মুখের গ্রাস আমরা কেড়ে নিয়েছি। ওদের চোখে ধুলো দিয়ে হিরেটা আমরা নিয়ে গিয়েছিলাম। সেই রাগ ওরা পুষে রেখেছে।
সন্তু বলল, সেইজন্য প্রতিশোধ নিতে আমাদের ধরে রেখেছে?
কাকাবাবু বললেন, শুধু প্রতিশোধ নয়। ওরা হিরেটা ফেরত চায়। কিন্তু সেটা আমি দেব কী করে? সেটা তো আমি গভর্নমেন্টের কাছে জমা দিয়ে দিয়েছি।
জোজো জিজ্ঞেস করল, তা হলে ওরা এখন কী করবে?
কাকাবাবু বললেন, সেটাই তো বোঝা যাচ্ছে না। তবে জোজো, তোমার জন্য একটা ভাল খবর আছে। তোমাকে আর ভিণ্ডি মানে ঢ্যাঁড়সের ঘ্যাঁট খেতে হবে না।
জোজো খানিকটা উৎসাহিত হয়ে বলল, তা হলে কী দেবে? ভাল খাবার
দেবে?
কাকাবাবু বললেন, কিছুই দেবে না। খাবার বন্ধ।
জোজো ভুরু তুলে বলল, কাকাবাবু, এটাকে আপনি ভাল খবর বলছেন।?
কাকাবাবু হাসতে হাসতে বললেন, জলও দেবে না বলেছে। তবে বাথরুমের কলের জল আছে, তা দিয়ে তেষ্টা মেটানো যেতে পারে।
জোজো বলল, এইরকম সময়েও আপনি হাসছেন কী করে বলুন তো?
কাকাবাবু বললেন, হাসির বদলে মুখ ব্যাজার করে থাকলে কি কোনও লাভ হবে?
সন্তু বলল, এইজন্যই তো তোকে বলেছিলাম, বন্দি অবস্থায় যে-কোনও খাবার পেলেই চট করে খেয়ে নিতে হয়।
জোজো বলল, রাখ তো খাওয়ার কথা! আমি উপোস করতে মোটেই ভয় পাই না। কিন্তু এখান থেকে উদ্ধার পাব কী করে? আমাদের কাছে কোনও কিছু অস্ত্রও নেই। ইস, হোটেল থেকে খানিকটা শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো যদি আনতাম! সেবারে খুব কাজে লেগেছিল!
কাকাবাবু বললেন, অস্ত্র নেই কে বলল? একটা অস্ত্র তো সব সময়ই আমাদের সঙ্গে থাকে।
জোজো অবাক হয়ে বলল, তার মানে? কী অস্ত্র আছে?
কাকাবাবু বললেন, তুমি এত বুদ্ধিমান, এটা বুঝলে না?
কাকাবাবু নিজের মাথায় টোকা দিয়ে বললেন, এই যে অস্ত্র!