০৬. ষষ্ঠ পাঠ

সবিকল্প ও সুষুম্না। সুষুম্নার ধ্যান করা বিশেষ প্রয়োজন। ভাব-চক্ষে কখনও এর দর্শন পেয়ে যেতে পারো, এটিই সবচেয়ে ভাল উপায়। ঐভাবে দর্শন পেলে বহুক্ষণ তার ধ্যান করবে। সুষুম্না একটি অতি সূক্ষ্ম, জ্যোতির্ময়, সূত্রাকার, প্রাণময় পথ-মেরুদন্ডের মধ্য দিয়ে চলেছে, মুক্তির এই পথ দিয়েই কুন্ডলিনীকে ওপরে তুলতে হবে।

যোগীর ভাষায় সুষুম্নার দুটি প্রান্ত দুটি পদ্মে; নীচের পদ্মটি কুন্ডলিনীর ত্রিকোণকে ঘিরে আছে, আর উপরের পদ্মটি ব্রহ্মরন্ধ্রে সহস্রারকে ঘিরে আছে। এ-দুটির মাঝখানে আরও পাঁচটি পদ্ম আছে।

উপরের দিক থেকে নিম্নের স্তর বা অবস্থাগুলি, চক্র বা পদ্মের নামঃ

সপ্তম-সহস্রার-মস্তকে।
ষষ্ঠ-আজ্ঞাচক্র-ভ্রূদ্বয়ের মধ্যে।
পঞ্চম-বিশুদ্ধ-কন্ঠে।
চতুর্থ-অনাহত-বক্ষে বা হৃদয়ে।
তৃতীয়-মনিপুর-নাভিদেশে।
দ্বিতীয়-স্বাধিষ্ঠান-উদর-নিম্নে।
প্রথম-মূলাধার-মেরুদন্ডের নিম্নে।

প্রথমে কুন্ডলিনীকে জাগাতে হবে, তারপর একটির পর একটি পদ্ম ভেদ ক’রে ওপরে তুলতে হবে, যে-পর্যন্ত না মস্তিষ্ক পৌঁছানো যায়। প্রত্যেক অবস্থা বা ভূমি হচ্ছে মনের নতুন নতুন স্তর।

১ ইংরেজী সংস্করণে আছেঃ ‘four other lotuses’l
২ ইংরেজীতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় একত্র ধরা হইয়াছে।