আমেরিকান এয়ার লাইন্সের বিমান বোগোটায় পৌঁছল দেড় ঘণ্টা দেরিতে। অবশেষে আসা হল দক্ষিণ আমেরিকায়। এর পরেও দেখা দিতে লাগল নতুন-নতুন সমস্যা।
বোগোটা থেকে আজ রাতেই দিশি বিমানে পৌঁছবার কথা ম্যাডেলিন শহরে। কবিতা উৎসবের উদ্যোক্তারা লিখে জানিয়েছিল যে বোগোটা বিমানবন্দরেই কেউ আমাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে পৌঁছে দেবে অন্য ছোট বিমানের দরজায়। সুটকেস সংগ্রহ করার স্থানটিতে গিয়ে দেখতে পেলাম ইলিয়ানাকে। চার-পাঁচজনের একটি দলের মধ্যে দাঁড়িয়ে। মায়ামিতে বেশ গরম ছিল। এখানে নরম-নরম শীত, ইলিয়ানার গলায় একটা কমলা রঙের স্কার্ফ জড়ানো। ওই দলের মধ্যে একটি পনেরো-ষোলো বছরের খুকিও আছে, সে ইলিয়ানার সন্তান কি না জানার উপায় নেই। যদি হয়ও, মায়ের মতন রূপ সে পায়নি।
চলন্ত বেল্টে নানারকম সুটকেস ও পোঁটলাপুঁটলি ঘুরছে। এ সময় সবাই শ্যেন চক্ষুতে নিজের বস্তুটি খোঁজে। আমি লক্ষ করছি, ইলিয়ানার জিনিসপত্র আগে আসে কি না। আমার আগে পেলে সে আগেই বেরিয়ে যাবে, তাকে আর বেশিক্ষণ দেখা যাবে না। আমি চলে যাব অন্য শহরে।
ইলিয়ানা খুবই রূপবতী হলেও তার সেই রূপের মধ্যে উগ্রতা বা প্রগলভতা নেই একটুও। পোশাকেও নেই রুচিহীনতা কিংবা দেখানেপনা, শুধু একটা মেরুন রঙের স্কার্ট পরা, গলায় স্কার্ফটি তাঁকে আরও গরিমা দিয়েছে।
শুধু আমি নই, আরও অনেকে আড়ে-আড়ে দেখছে ইলিয়ানাকে।
ইলিয়ানার সুটকেস বা ব্যাগটা কী রঙের হতে পারে? এ কৌতূহলের কোনও মানে হয়? আমার সুটকেস এসে গেছে, তবু আমি তুলছি না, সেটাকে ঘুরতে দিচ্ছি, দেখছি ইলিয়ানার হাত। দেখব না? তিনিই যে এই রচনার নিঃশব্দ নায়িকা।
ইলিয়ানার মাঝারি আকারের সুটকেসটির রং খয়েরি। দামি কিছু নয়। সেটা তিনি তুলে নেওয়ার পর তাঁর এক সঙ্গী সেটা তাঁর হাত থেকে নিতে চাইল, তিনি দিলেন না। হাঁটার সময় তাঁর মাথাটা উঁচু করা থাকে। অনেক শিক্ষাদীক্ষায়, কিংবা আভিজাত্যে এরকম হাঁটা রপ্ত করতে হয়।
আমি বাইরে এসে দেখলাম, একজোড়া যুবক-যুবতী আমার নাম লেখা প্লাকার্ড নিয়ে অপেক্ষমাণ। স্বাগতম জানাবার আগেই তারা একটি দুঃসংবাদ দিল।
আমি এত দেরি করে পৌঁছেছি বলে ম্যাডেলিনগামী নির্দিষ্ট দিশি বিমানটি এর মধ্যেই ছেড়ে চলে গেছে। এর পরে আর একটিই মাত্র ফ্লাইট আছে, সেটাতে সিট পাওয়া যাবে কি না ঠিক নেই, সুতরাং এক্ষুনি আমাদের এয়ারপোর্টের অন্য প্রান্তে দৌড়ে যেতে হবে।
আমার আন্তর্জাতিক টিকিটগুলির সঙ্গে এখানকার স্বল্প যাত্রার টিকিটটি যুক্ত ছিল না, সুতরাং তার সময়সূচিও জানতাম না।
মেয়েটি গেল টিকিটের ব্যবস্থা করতে, যুবকটি দাঁড়িয়ে রইল আমার পাশে। কিন্তু সে আমার সঙ্গে একটাও কথা বলেনি।
আমি দু-একটি বাক্য বলার চেষ্টা করে বুঝলাম, তার গাম্ভীর্য কিংবা লাজুকতার কারণ, সে ইংরিজি জানে না।
আবার একটা অনিশ্চয়তার উদ্বেগ আমাকে পেয়ে বসেছে।
ম্যাডেলিন-এ এয়ারপোর্টে যে আমাকে নিতে আসবে, সে নির্দিষ্ট ফ্লাইটে আমাকে দেখতে না পেয়ে যদি ফিরে যায়? তখন আমি কী করব? কোন হোটেলে আমার থাকার কথা, তাও তো জানা নেই।
লস অ্যাঞ্জেলিসে নামার আগে উদ্বেগ অনেকটা ভিত্তিহীন ছিল, কারণ সেখানে আমি নিজেই কিছু ব্যবস্থা করে নিতে পারতাম। কিন্তু এটা আমার অচেনা দেশ, গণ্ডগোল লেগেই আছে, এখানে বিপদের আশঙ্কা তুচ্ছ করার মতন নয়। সেখানে পৌঁছব রাত সাড়ে এগারোটায়।
যুবতীটি ফিরে এসে জানাল, একটাও সিট ছিল না, অনেক ধরাধরির পর এক নম্বর ওয়েটিংলিস্টের প্যাসেঞ্জারকে বঞ্চিত করে আমার জায়গা হয়েছে।
আমি আমার উদ্বেগের কথা জানাতে সে মেয়েটিও চিন্তিত মুখে বলল, হ্যাঁ তারা চলে যেতেই পারে, পরের ফ্লাইটে যে তুমি যাচ্ছ, তাও তো তারা জানবে না। আমি তাদের ফোনে ধরবার চেষ্টা করছি ফিরে গিয়ে।
যদি ফোনে ধরতে না পারো?
মেয়েটি বলল, ফেস্টিভালো অফিসে এখন কেউ থাকবে না, অন্য একজনের বাড়িতে.যাই হোক, তোমাকে হোটেলের নাম আর টেলিফোন নাম্বার লিখে দিচ্ছি, যদি এয়ারপোর্টে কেউ না থাকে, একটা ট্যাক্সি নিয়ে চলে যেতে হবে।
এয়ারপোর্ট থেকে শহর কত দূরে?
অন্তত এক ঘণ্টা তো লাগবেই।
রাত সাড়ে এগারোটায় এক অচেনা বিপদসঙ্কুল শহরে একা একা ট্যাক্সিতে যাওয়ার প্রস্তাবটা মোটেই সুখকর বলা যায় না। এইসব সময়ে মনে হয়, কেন এলাম?
বোগোটা থেকে ম্যাডেলিনের উড়ান-সময় মাত্র পঞ্চাশ মিনিট। ছোট বিমান।
তাতে উঠেই আমি যাত্রীদের প্রত্যেককে একবার দেখে নিলাম। কাকে খুঁজছি? অবশ্যই ইলিয়ানাকে। সেও তো এই বিমানে থাকতেও পারে।
ততটা কাকতালীয় আর হল না। ইলিয়ানা নেই।
সুটকেস নেওয়ার সময় ইলিয়ানাকে দেখে তো অনায়াসেই দুটো-একটা কথা বলা যেত। তাকে মনে করিয়ে দিতে পারতাম আমার মানিব্যাগ খুঁজে দেওয়ার কথা। কারুকে ধন্যবাদ জানানোটা কোনওক্রমেই অভদ্রতা বলে গণ্য হতে পারে না।
তবু কথা বলিনি। অনেক সময় এরকম হয় মানুষের। যে-কাজটা করা উচিত কিংবা যেটা করলে ভালো লাগবে, সেটাও করি না। মনে মনেই ভেবে যাই!
এই পঞ্চাশ মিনিট আমি অনবরত নিজের সঙ্গে একটা বাজি ধরার খেলা খেলতে লাগলাম। এয়ারপোর্টে কেউ থাকবে কি থাকবে না? বোগোটার মেয়েটি ওদের কারুকে টেলিফোনে পাবে কি পাবে না?
শেষপর্যন্ত এই বাজিতে আমি জিতলাম না হারলাম? নিজের সঙ্গে বাজি ধরার মুশকিল এটাই, ফলাফলটা ঠিক বোঝা যায় না।
দুটি লোক পোয়েট্রি ফেস্টিভালের বোর্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
কাছে গিয়ে আমার নাম বলতেই তারা মাথা নাড়ল।
এখানে আমার সুটকেসটা এল সবার শেষে। ততক্ষণে এয়ারপোর্ট ফাঁকা হয়ে গেছে।
বাইরে এসে ওদের গাড়িতে ওঠার আগে দেখে নিলাম, একটাও ট্যাক্সি নেই। অর্থাৎ এরা অপেক্ষা না করলে আমার দুর্ভোগের অন্ত থাকত না।
ওদের একজনকে আমি বললাম, মায়ামি থেকে আসার ফ্লাইট অনেক লেট করেছে, সে জন্য আগের প্লেনটা ধরতে পারিনি। তোমাদের এতক্ষণ অপেক্ষা করতে হল, সে জন্য আমি দুঃখিত। এবং অনেক ধন্যবাদ।
সে লোকটি তার পাশের লোকটিকে খোঁচা মারল।
অর্থাৎ সে ইংরিজি বোঝে না।
অন্য লোকটিও ইংরিজি ভাঙা-ভাঙা, সে বলল যে, বোগোটা থেকে একটি মেয়ে মোবাইল ফোনে তাদের জানিয়ে দিয়েছে।
মনে-মনে সেই নাম না জানা মেয়েটিকে ধন্যবাদ দিলাম।
গাড়িটা পুরোনো আর লঝঝরে, কাঁচকেঁচ শব্দ হচ্ছে। গতিও খুব কম।
কিছুক্ষণ সমতলে যাওয়ার পর গাড়িটা উঠতে লাগল পাহাড়ে। তারপর উঠছি তো উঠছিই, পথ আর ফুরোচ্ছে না।
অন্ধকারে যেটুকু দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হয় পাহাড়টা সুদৃশ্য নয়। বৃক্ষ বিরল, মাঝে-মাঝে দু-একটা বন্ধ দোকান। দার্জিলিঙে যাওয়ার পথে কাঠের তৈরি ছোটখাটো বাড়ির মতন বাড়ি, গরিব-গরিব ভাব।
রাস্তায় একজনও মানুষ নেই তো বটেই, আর কোনও গাড়িও নেই। পেছনেও নয়, সামনেও নয়। প্লেনের অন্য যাত্রীরা গেল কোন দিকে? আমার সুটকেস সবচেয়ে শেষে পেয়েছি বলে সব গাড়ি ও ট্যাক্সি আগেই বেরিয়ে গেছে? উলটো দিক থেকেও কোনও গাড়ি আসছে না, তার কারণ, এত রাতে শহর ছেড়ে কেউ বাইরে যায় না?
প্রায় চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ মিনিট কেটে গেছে, গাড়ি এখনও পাহাড়ে। এমনকী হতে পারে, বিমানবন্দর থেকে শহরে যেতে হলে এত পাহাড় ডিঙোনো ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই?
মাঝে-মাঝে দূরে কোনও একটা আলো-জ্বলা বাড়ি দেখলে মনে হচ্ছে, এটাই বোধহয় একটা হোটেল, এবার পৌঁছে যাব। না, পেরিয়ে যাচ্ছি সেইসব বাড়ি।
এই লোকদুটি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।
এরা উৎসব কমিটির প্রতিনিধি, এদের সন্দেহ করার কোনও কারণই নেই। কিন্তু মধ্যরাত্রি পেরিয়ে যাওয়া এই নির্জন পাহাড়ি রাস্তায় যদি কোনও ঝোঁপের আড়াল থেকে উগ্রপন্থীরা গুলি টুলি চালায়!
আমি বেশি-বেশি ভয় পাচ্ছি, বয়েস বেড়েছে বলে? অন্য কেউ হলে কী ভাবত। মাঝে-মাঝে এরকম মনে হয়। এই মুহূর্তে আমার জায়গায় শক্তি থাকলে কী করত? শঙ্খ ঘোষ থাকলে কী চিন্তা করতেন?
হঠাৎ সব কিছুই মনে হল, পরাবাস্তবতা। এক অচিন দেশে, দুজন নির্বাক মানুষের সঙ্গে, মধ্যরাত্রির অন্ধকারে আমি ঘুরছি একটা পাহাড়ে। এটা সত্য নয়, অলীক।
সুতরাং উৎকণ্ঠা সম্পূর্ণ মুছে ফেলে, শরীরের সব স্নায়ু শিথিল করে, এই সময়টা উপভোগ করাই ভালো।
এখন আমি আর এই পৃথিবীতেই নেই, চাঁদের দিকে যাচ্ছি ভাবলেও ক্ষতি কী? কিংবা পৃথিবীতে আর হিংসা নেই। সমস্ত উগ্রপন্থীদের অস্ত্রসম্ভার মরচে ধরে অকেজো হয়ে গেছে।
হঠাৎ গাড়িটা এক জায়গায় থেমে গেল। ভাঙা ইংরিজির লোকটি বলল, কাম!
পাহাড়ের খুব উঁচুতে, কাছাকাছি কোনও বাড়ি নেই, আলো নেই, এখানে নামতে বলছে কেন?
এটাও অলীকের মধ্যে ধরে নিলে অনায়াসে নামা যেতে পারে।
ভাঙা ইংরিজির লোকটি একটি সিগারেট ধরাল। লোকটি বুঝি গাড়ির মধ্যে ধূমপান করে না! উচিত কি উচিত নয় ঠিক জানতে না পেরে আমিও এতক্ষণ সিগারেট ধরাইনি। আমার বন্ধু অসীম রায় নিজে ধূমপায়ী হলেও তার গাড়ির মধ্যে বসে সিগারেট ধরানোর কঠোর নিষেধ আছে।
অন্য লোকটি এগিয়ে গেল পাহাড়ের খাদের দিকে। ও বুঝি হিসি করবে? তা নয়, সেও আমার দিকে হাতছানি দিয়ে বলল, কাম, কাম!
কাছে গিয়ে বোঝা গেল কারণটা।
পাহাড়ের একপাশটা ঢালু হয়ে নেমে গেছে অনেক নীচে। সেখানকার উপত্যকায় দেখা যাচ্ছে অসংখ্য বিন্দু বিন্দু আলো।
অর্থাৎ ওরা আমাকে একটা দৃশ্য দেখাচ্ছে।
অন্য লোকটি বলল, ওই যে ম্যাডেলিন শহর।
যারা রাত্তিরবেলা দূর থেকে দার্জিলিং বা শিলং দেখেছে, তাদের কাছে এ দৃশ্য এমন কিছু আহামরি মনে হবে না। প্লেন থেকে অনেক সমতল শহরও এরকমই দেখায়।
তবু, তুলনা না করেও সব সুন্দরী তো সুন্দর। আলো-ঝলমল একটি উপত্যকার একটা বিশেষ রূপ তো আছেই।
কিন্তু আমি আজ উঠেছি মুরগি না-জাগা ভোরে, তারপর সারাদিন ধরে এতরকম অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠার ধকল গেছে যে শরীরের চেয়েও মনটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বেশি। এখন আমার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার চোখ নেই।
তবু ভদ্রতা করে বললাম, বাঃ, ভারী সুন্দর তোমাদের শহর।
লোকটি আমার কথা ঠিক বুঝতে না পেরে নিজেই বলল, বিউটিফুল, বিউটিফুল, এরকম আগে দেখেছ?
এরকম সময়, আমাদের দার্জিলিং-কালিম্পং-শিলং আছে এমন বলাটা অসভ্যতা।
সুতরাং বললাম, না, আগে দেখিনি। সত্যি খুব সুন্দর!
এরপর গাড়ি নামতে লাগল নীচের দিকে।
মিনিট পনেরো পর দেখা গেল লোকালয়। শুধু আলয় বলাই উচিত, শহরের রাস্তাতেও একটিও লোক নেই। এত রাতে কেউ বাইরে থাকে না। মনে আছে, চিনের সাংহাই শহরে রাত একটা-দুটোর সময় রাস্তায় দেখেছি প্রচুর মানুষজন। অবশ্য, সাংহাইতে তো উগ্রপন্থী দল থাকা সম্ভব নয়।
হোটেলের কাউন্টারে উৎসব কমিটির একজন এখনও বসে আছেন। তিনি আমাকে স্বাগত জানিয়ে হাতে তুলে দিলেন একটি ফাইল। রেজিস্টারে নাম সই করার পর পাওয়া গেল ঘরের চাবি।
আমার ঘর আটতলায়। ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করার পরই খুলে ফেললাম একটা ব্র্যান্ডির বোতল। এটা আমার অস্ত্রের মতন, সব সময় সঙ্গে থাকে। ক্লান্তিতে শরীর আর বইছিল না।
দু-চুমুক দেওয়ার পর খানিকটা চাঙ্গা হয়ে খুলে ফেললাম ফাইল।
অন্যান্য কাগজপত্রের মধ্যে একটি চিঠিতে অনেক ভালো ভালো কথার পর লেখা আছে দশ দিনের অনুষ্ঠান সূচি। তারপর শেষের দিকে কয়েকটি সতর্কবাণী।
তাতে বোঝা গেল, আমার আশঙ্কা কিংবা ভয়-ভয় ভাব একেবারেই অমূলক নয়। সতর্কবাণীগুলি এরকম:
* সম্মেলনের উদ্যোক্তাদের জিগ্যেস না করে কিংবা অনুমতি ছাড়া কোনও অচেনা ব্যক্তির আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন না।
*শহরের মধ্যে কোথাও একা-একা যাবেন না।
* যে-কোনওদিন অনুষ্ঠানের পর কোনও অচেনা ব্যক্তি আপনাকে তার গাড়িতে পৌঁছে দিতে চাইলে রাজি হবেন না।
* প্রকাশ্য স্থানেও কোনও অচেনা ব্যক্তি আপনাকে খাদ্য বা পানীয় দিয়ে আপ্যায়ন করতে চাইলেও তা নেবেন না।
*রাস্তায় সাবধানে হাঁটবেন, আপনাকে যেন বিদেশি বলে চেনা না যায়।
* কোনও দামি জিনিস, গয়নাগাটি, টাকাপয়সা নিজের কাছে না রেখে হোটেলের সিকিউরিটি বাক্সে জমা রাখবেন ইত্যাদি।