এ সম্পর্কে সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়ালা এ নির্দেশ নাযিল করেছিলেন যে, “হে নবী, তুমি তোমার নিকটাত্মীয়দের আল্লাহর আযাম সম্পর্কে ভয় প্রদান করো। এটি হচ্ছে সূরা শোয়ারার একটি আয়াত। এ সূরায় সর্বপ্রথম হযরত মূসা (আ) এর ঘটনা ব্যক্ত করা হয়। অর্থাৎ বলা হয়, কিভাবে হযরত মূসা (আ) নবুয়ত পেয়েছিলেন এবং বনি ইসমাইলসহ হিজরত করে ফেরাউন এবং ফেরাউনের জাতি এবং তার সঙ্গী সাথীদের নীল নদে ডুবিয়ে মারা হয়েছিলো। অন্যকথায় এ সূরায় হযরত মূসা (আ) ফেরাউন এবং বনি ইসরাইলদের কাছে যেভাবে দাওয়াত করেছিলেন, সেই দাওয়াতের বিভিন্ন পর্যায় তুলে ধরা হয়েছে।
আমার ধারণা রসূল্লল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাঁর কওমের মধ্যে প্রকাশ্য তাবলীগের নির্দেশ বলে দেয়ার পর হযরত মূসা (আ) -এর ঘটনা এ কারণে বলা হয়েছে যাতে, একটা উদাহরণ সামনে থাকে। প্রকাশ্যে দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার পর হযরত মূসা (আ) কে যেভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলায় করতে হয়েছিলো এবং যে ধরণের বাড়াবাড়ি তাঁর সাথে করা হয়েছিলো রসূল্লল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের সামনে যেন তার একটা নমুনা সব সময় বিদ্যমান থাকে।
অন্যদিকে এ সূরায় যেসব সম্প্রদায় নবীদের মিথ্যাবাদী বলেছিলো, যেমন ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়, নূহের সম্প্রদায়, আদ, সামুদ, ইবরাহীমের সম্প্রদায়, লুতের সম্প্রদায়, আইকার অধিবাসীসহ এদের সবার পরিণাম কিরূপ হয়েছিলো, সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। সম্ভবত এর উদ্দেশ্য ছিলো এই যে, যেসব লোক আল্লাহর রসূলকে মিথ্যাবাদী বলবে, তারা যেন বুঝতে পারে যে, এ ধরণের আচরণের ওপর অবিচল থাকতে তাদের পরিণাম এবং আল্লাহর কিরূপ পাকড়াও এর সম্মখীন হতে হবে। এছাড়া ঈমানদাররাও বুঝতে পারবেন যে, উত্তম পরিণাম তাদেরই জন্যে রয়েছে। পক্ষান্তরে যারা নবীকে মিথ্যাবাদী বলে, তাদের পরিণাম মোটেই ভালো হবে না।