হাফেজ ইবনে হাজার লিখেছেন, ওহী কিছুকাল স্থগিত থাকার কারণ ছিলো এই যে, তিনি যে ভয় পেয়েছিলেন সে ভয় যেন কেটে যায় এবং পুনরায় ওহী প্রাপ্তির আগ্রহ এবং প্রতিক্ষা যেন তাঁর মনে জাগে।
বিস্ময়ের ঘোর কেটে যাওয়ার পর, বাস্তব অবস্থা তার সামনে প্রকাশ পেলো। তিনি সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারলেন যে, তিনি আল্লাহর নবী হয়েছেন। তিনি আরো বুঝতে সক্ষম হলেন যে, কাছে যিনি এসেছিলেন তিনি ওহীর বাণী বাহণকারী, আসমানী সংবাদবাহক। এইরূপ বিশ্বাস তাঁর মনে দৃঢ় হওয়ার পর তিনি আগ্রহের সাথে ওহীর জন্যে অপেক্ষা করতে লাগলেন। তিনি সিন্ধান্ত নিলেন যে, তাঁকে দৃঢ় হয়ে থাকতে হবে এবং এ দায়িত্ব বহন করতে হবে। মানসিক অবস্থা এ পর্যায়ে হযরত জিবরাঈল (আ) পুনরায় এসে হাযির হলেন। সহীহ বোখারী শরীফে হযর জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি প্রিয় নবীর মুখে ওহী স্থগিত হওয়ার বিবরণ শুনেছেন। রসূল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি পথ চলছিলাম। হঠাৎ আকাশে থেকে একটি আওয়ায শোনা গেলো। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি সেই ফেরেশতা যিনি হেরা গুহায় আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি আসমান যমীনের মাঝখানে একখানি কুরসীতে বসে আছেন। আমি ভয় পেয়ে চোখ ফিরেয়ে নিলাম। এরপর বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী কাছে বললাম, আমাকে চাদার জড়িয়ে দাও, আমাকে চাদর জড়িয়ে দাও। স্ত্রী আমাকে চাদর জড়িয়ে শুইয়ে দিলেন। এরপর আল্লাহ তায়ালা সূরা মোদাসসের-এর “ ওয়াররুজযা ফাহজুর” পর্যন্ত নাযিল করেন। এ ঘটনার পর থেকে ঘন ঘন ওহী নাযিল হতে থাকে।