০৪. সমস্ত শরীর ভিজে জবজব

সমস্ত শরীর ভিজে জবজব করছে। কাদায় মাখামাখি হয়েছেন। গা ধোয়া দরকার। কাপড় বদলে শুকনো কাপড় পরা দরকার। তারচেয়েও বেশি যা দরকার তা হচ্ছে গরম এক কাপ চা। আগুন-গরম চা। নেত্রকোনার লোকজন বলে আগুইন্যা চা। যে চা জিভ-মুখ পুড়িয়ে পাকস্থলিতে নেমে যায়। মনসুর সাহেব ক্ষুধার্ত বোধ করছেন। তারচেয়েও হাজারগুণে যা বোধ করছেন তার : নাম ক্লান্তি। মনে হচ্ছে শরীরের প্রতিটি জীবিত কোষ ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়তে চাচ্ছে। কেউ কেউ হয়তো এরমধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে।

ভেজা কাঠের চুলা এই মুহূর্তে ধরানো সম্ভব নয়। চোঙা দিয়ে ক্রমাগত যুঁ দিতে হবে। তার ফুসফুসে সেই জোর নেই। ছেলেটাকে নিয়ে এলে হত। যুবক ছেলে জোরালো ফুসফুস। আগুন জ্বালালে শরীর আরাম পেত। কোনোমতে চারটা ভাত ফুটাতে পারলে ভাতের উপর ঘি ছড়িয়ে দিয়ে খেয়ে ফেলা যেত। আজিজ খাঁ হরলিক্সের কৌটা ভর্তি এককৌটা ঘি দিয়ে গেছে। গরম ভাত-ঘি, সঙ্গে একটা ভাজা শুকনা মরিচ।

ক্লান্তি লাগছে, ক্লান্তি। তিনি শুয়ে পড়বেন। আরাম করে ঘুমুবেন। তাঁর মতে আজকের রাতের মতো আরামের ঘুম তার আর কোনো দিনও হবে না। এই সুযোগ নষ্ট করা ঠিক হবে না। কাপড় বদলানোর দরকার নেই। ভেজা কাপড়েই শুয়ে পড়বেন।

মনসুর সাহেব ক্লান্ত ভঙ্গিতে বিছানার দিকে এগুচ্ছেন। আর তখন শুনলেন। ফিবোনাক্কির গলা—স্যার! স্যার।

দেয়ালের বাইরে থেকেই ডাকছে। তবে ডাকছে তার ঘরের জানালার ঠিক নিচে থেকে। কষ্ট করে উঁকি দিলে দেখতে পাওয়ার কথা। মনসুর সাহেব নিতান্ত অনিচ্ছায় জানালা দিয়ে উঁকি দিলেন—আবছা আবছা একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

কি চাও?

স্যার, আপনি ভেজা কাপড়ে বিছানায় যাবেন না।

আমি কি করি না করি সেটা সম্পূর্ণই আমার ব্যাপার।

ভেজা কাপড়ে ঘুমুতে গেলেই ভয়ংকর ঠাণ্ডা লেগে যাবে। নিওমোনিয়া তো হবেই। আপনার যে বয়স! নিওমোনিয়ার ধকল সামলাতে পারবেন না।

তাতে তোমার কি সমস্যা?

আমার খুব সমস্যা। আপনি যে জটিল অন্ধটি শুরু করেছেন তার শেষটা আমাদের দরকার। আপনি যে কাজটি করতে পারছেন—আমরা তা পারছি না। আপনি কিছু ছোট ছোট ভুল করছেন। সেই ভুলগুলি ধরিয়ে দিলে আপনার জন্যে কাজ সহজ হয়…

আমি কি ভুল করছি?

স্যার, সবই বলব। আমাকে ভেতরে আসতে দিলে ভালো হয়। গেট খুলতে হবে না। আমি দেয়াল বেয়ে উঠে আসব।

তোমাকে উঠে আসতে হবে না—তুমি যেখানে আছ সেখানে থাক।

জ্বি আচ্ছা স্যার।

আমি কি ভুল করছি বল।

স্যার বলব, তার আগে আপনি কাপড়গুলি বদলে শুকনো কাপড় পরে আসুন।

আমাকে নিয়ে মাথা ঘামাবে না। ভুল কি করেছি বল…

ভুল ঠিক না—একটা ব্যাপার আপনাদের চোখে পড়েনি।

বল কি সেটা।

আপনি শুকনো কাপড় না পরলে আমি বলব না।

মনসুর সাহেবের কৌতূহলই শেষ পর্যন্ত জয়ী হল। তিনি কাপড় ছাড়লেন। শুকনো কাপড় পরলেন। গায়ের কাদা এখনো আছে। থাকুক। তিনি জানালার কাছে মুখ নিয়ে ডাকলেন–ফিবোনাক্কি। ফিবোনাক্কি।

জ্বি স্যার।

কাপড় বদলেছি। আমার ভুলটা কি বল।

স্যার শূন্য এবং ১ এই দু-এর ভেতরের মিল কি আপনি লক্ষ করেছেন?

কি রকম মিল?

১×১=১

আবার

১×১x১= ১

একইভাবে ০ x০ = ০

০ X ০ x ০ = ০

১-এর বর্গমূল বা কিউব রুট যেমন ১

তেমনি ০-এর বর্গমূল বা কিউব রুটও ১।

মনসুর সাহেব বিরক্ত হয়ে বললেন, এই সামান্য তথ্য আমার অজানা নয়।

ফিবোনাক্কি বলল, অনেক সময় সামান্যের মধ্যে অসামান্য লুকানো থাকে। এই দুটি সংখ্যার ভেতর রহস্যময় মিল আছে।

মিল আছে তো বটেই। রহস্যময় বলছ কেন?

জর(১) কে নিয়ে আপনারা মাথা ঘামাচ্ছেন। এর আলাদা নাম দিয়েছেন—কাল্পনিক সংখ্যা ইমাজিনারি নাম্বার। কিন্তু জর(-০) নিয়ে আপনাদের মাথাব্যথা নেই।

মাথাব্যথার কারণ নেই বলেই মাথাব্যথা নেই।

স্যার, আপনি খুব ক্লান্ত পরিশ্রান্ত। আপনি ঘুমিয়ে পড়ন। একটা চাদরটাদর কিছু গায়ে দিয়ে ঘুমান। তুমি বিদেয় হও।

আমি তো বিদেয় হয়েই আছি। গেটের বাইরে ঠাণ্ডায় হাঁটাহাঁটি করছি। ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছি।

তোমার কোনো অস্তিত্ব নেই। তুমি হচ্ছ কল্পনা। আমার মনের কল্পনা। ঠিক বলিনি?

অবশ্যই ঠিক বলেছেন। আমি এসেছি শূন্য জগৎ থেকে। আমি তো শূন্য হবই। কল্পনাও শূন্য।

শাট আপ!

স্যার, ঘুমুতে যান। তবে আমাকে অনুমতি দিলে আমি ছোট্ট একটা কাজ করতে পারি। আমি দেয়াল বেয়ে উঠে এসে চারটা ভাত ফুটিয়ে দিতে পারি। দেয়াল বেয়ে উঠা আমার জন্যে কোনো সমস্যা নয়।

শাট আপ!

স্যার, আপনি এমন রাগারাগি করছেন কেন? রাগারাগি করা, গালাগালি করা এইসব তো আপনার মধ্যে কখনো ছিল না। স্যার, আপনার ঘুম দরকার। খুব ভালো ঘুম। আমি তো আপনার সঙ্গে কোনো অভদ্র ব্যবহার করছি না। অত্যন্ত ভদ্র ব্যবহার করছি। কথায় কথায় স্যার বলছি। আপনার কাছ থেকে সামান্য ভদ্ৰতা কি আমার প্রাপ্য নয়?

ফিবোনাক্কি, কিছু মনে করো না।

আমি কিছুই মনে করছি না। আমি বাইরেই আছি। আপনি ডাকলেই আমি আসব। স্যার, শুয়ে পড়ুন। আমি যদি আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকি তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

মনসুর সাহেব বিছানায় গেলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে গেলেন। তাঁর ঘুম ভাঙল সকাল নটায়। ঘরে ঝলমলে রোদ। কাল রাতের কাণ্ডকারখানা মনে হয়ে তাঁর হাসি পেতে লাগল।

তাঁর ঠাণ্ডা লাগেনি। শরীর ভালোই আছে। প্রচণ্ড ক্ষুধাবোধ হচ্ছে। দশটায় স্কুল। চারটা খেয়ে স্কুলে যেতে হবে। তার আগে গোসল করতে হবে। কাদা শুকিয়ে শরীরে শক্ত হয়ে গেলে বসে আছে।

 

স্কুলে পা দিতেই হেডমাস্টার সাহেবের সঙ্গে দেখা। তিনি বললেন—শরীর ঠিক আছে?

মনসুর সাহেব হাসলেন। হেডমাস্টার সাহেব বললেন বজলুর সঙ্গে দেখা। সে আপনাকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা করছিল। আপনি না-কি ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বের হয়ে পড়েছিলেন। কোনো অসুবিধা হয়নি তো?

জ্বি না।

চোখের সমস্যা দূর হয়েছে?

জ্বি।

গতকাল স্কুলে না আসায় খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছিলাম। আপনি তো স্কুলে না। আসার লোক না। ভেবেছিলাম, আজও যদি না আসেন তাহলে খোঁজ নিতে যাব।

মনসুর সাহেব বিস্মিত হয়ে বললেন, আজ ক তারিখ?

আঠারো তারিখ।

আঠারো তারিখ? আজ কি মঙ্গলবার।

হ্যাঁ। তারিখ জিজ্ঞেস করছেন কেন?

মনসুর সাহেব ফ্যাকাশে ভঙ্গিতে হাসতে চেষ্টা করলেন। তিনি তারিখ জিজ্ঞেস করছেন সঙ্গত কারণেই। হেডমাস্টার সাহেবের কথা শুনে মনে হচ্ছে তিনি চব্বিশ ঘণ্টা এক নাগাড়ে ঘুমিয়েছেন। মাঝখানের একটা দিনের কোনো হিসেব নেই।

হেডমাস্টার সাহেব বললেন, কি ব্যাপার, এমন করে তাকাচ্ছেন কেন?

শরীরটা ভালো বোধ হচ্ছে না।

শরীর ভালো না লাগে এসেছেন কেন? আপনারা সিনিয়র লোক। দুদিন পর রিটায়ার করবেন—বিশ্রাম তো আপনাদের প্রাপ্য।

মনসুর সাহেব বিরক্ত বোধ করছেন। ক্লাসের সময় হয়ে গেছে। ক্লাসে যাওয়া দরকার। যে ধরনের আলাপ শুরু হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে না হেডমাস্টার সাহেব সহজে থামবেন। মনসুর সাহেব বললেন, ক্লাসের ঘন্টা পড়ে গেছে। স্যার।

পড়ক না। ঘণ্টা তো পড়বেই। জীবনেরই ঘণ্টা পড়ে গেছে আর ক্লাস! রবার্ট ব্রাউনিং-এর এই বিষয়ে একটা কবিতা আছে Ring Ring-ding ding…না, এটা বোধহয় ব্রাউনিং-এর না—অন্য কারো।

যদি অনুমতি দেন ক্লাসে যাই।

ক্লাসে যাবেন তার আবার অনুমতি কি? আপনার পাংচুয়ালিটির কথা আমি সর্বত্র বলি। সবাইকে বলি–এই লোকটাকে দেখ। দেখে শেখ। শিক্ষার জন্যে জীবন উৎসর্গ করেছেন। কটা পুরুষ পারে? চিরকুমার একজন মানুষ।

আমি চিরকুমার না। বিবাহ করেছিলাম। অল্পবয়সে স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে। তারপর আর বিবাহ করিনি।

ঐ একই হল। স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিয়ে করে না এমন লোক আমাকে দেখান তো। বুড়ো হাবড়াগুলি চক্ষুলজ্জায় বিয়ে করতে পারে না—এ ছাড়া সবাই করে। আমার এক শ্যালক আছে। ক্যানসারে তার স্ত্রী মারা গেল। শোকে সে উন্মাদ। রাতে ঘুমায় না। হাঁ হাঁ করে কাঁদে। মনে হয় হায়না ডাকছে। কী গভীর প্ৰেম! দশ দিনের মাথায় শুনি—সে বিয়ের জন্যে মেয়ে খোঁজাখুঁজি করছে। শালা বলে গালি দিতে ইচ্ছা করে। গালি কি দেবসে আসলেই আমার শালা। আপন শালা।

আমার ক্লাসে দেরি হয়ে যাচ্ছে।

যান যান, ক্লাসে যান। ভালো কথা—ঐদিন ব্ল্যাকবোর্ড কি লিখেছিলেন?

বুঝতে পারছি না। কীসের কথা বলছেন?

ব্ল্যাকবোর্ড দেখলাম কি সব হাবিজাবি লেখা-ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ-খাঁজকাটা খাঁজকাটা সার্কেল…ছেলেদের বললাম, এইসব কে লিখেছে? ওরা বলল–আপনি।

মনসুর সাহেব চুপ করে রইলেন। তিনি নিজেও কিছু বুঝতে পারছেন না। হেডমাস্টার সাহেব বললেন, আচ্ছা যান, পরে এই নিয়ে কথা বলব। এটা এমন জরুরি কিছুও না। আপনার ব্লাডপ্রেসার নেই তো?

জানি না।

ব্লাডপ্রেসার থাকলে মাথায় মাঝে মাঝে ইয়ে হয়। আপনি বজলুকে দিয়ে প্রেসারটা মাপাবেন।

জ্বি আচ্ছা।

ওর প্রেসারের যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কি-না কে জানে। ঐদিন প্রেসার মাপতে নিয়েছি, সে প্রেসার-ট্রেসার মেপে বলল—আবার মাপতে হবে। রিডিং ভুল আছে। আমি বললাম, কত আসছে? সে বলল ২৫। এখন আপনিই বলুন ২৫ কি কোনো প্রেসার? একটা মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছের প্রেসারও পঁচিশের চেয়ে বেশি হয়।

 

মনসুর সাহেব পনেরো মিনিট দেরি করে ক্লাসে ঢুকলেন। প্রথমেই তাকালেন ববার্ডের দিকে। তারিখ এবং বার বোর্ডের মাথায় লেখা আছে। তার মনে ক্ষীণ সন্দেহ ছিল হয়তো হেডমাস্টার সাহেব তারিখ ভুল করছেন।

না, হেডমাস্টার সাহেব তারিখ ভুল করেন নি। তারিখ ঠিকই বলেছেন। মনসুর সাহেব রিপ ভ্যান উইংকেলের মতো পুরো চব্বিশ ঘণ্টাই ঘুমিয়েছেন।

মনসুর সাহেব বললেন, বাবারা, তোমরা কেমন আছ?

ছেলেরা মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে লাগল। মনসুর সাহেবের কাছ থেকে তারা এ জাতীয় কথা আগে শুনেনি।

আজ ক্লাসে আসতে দেরি করে ফেললাম। আজ আমরা কি পড়ব?

কোনো ছাত্র জবাব দিচ্ছে না। মনসুর সাহেব রেজিস্ট্রার খাতা খুলে ডাকলেন—রোল নাম্বার ওয়ান।

ক্লাস ক্যাপ্টেন উঠে দাঁড়াল।

তাকে প্রেজেন্ট মার্ক দিয়েই মনে হল—শূন্য কোনো প্রতীক না। শূন্য একটা সংখ্যা অথচ আমরা তাকে বাদ দিয়ে সংখ্যা শুরু করছি। এটা কি ঠিক হচ্ছে?

মনসুর সাহেব বললেন, রোল নম্বর ওয়ান, তোমার নাম কি?

মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন।

শূন্য কাকে বলে সাব্বির হোসেন?

সাব্বির ভীত মুখে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। মনে হচ্ছে শূন্য শব্দটা এই প্রথম শুনল।

শূন্য কাকে বলে তুমি জান না? জ্বি না। তোমরা কেউ জান?

মনসুর সাহেব ছাত্রদের মুখের দিকে তাকালেন। কেউ শব্দ করছে না। মনে হচ্ছে কেউ নিশ্বাস ফেলছে না।

আশ্চর্য ব্যাপার, তোমরা জান না শূন্য কি?

শূন্য হল স্যার গোল্লা।

মনসুর সাহেব বোর্ডে একটা চক্র আঁকলেন—সহজ গলায় বললেন, এই কি শূন্য?

জ্বি স্যার।

আচ্ছা শোন, আমার হাতের এই ডাস্টারটার দিকে তাকাও। ডাস্টারটা যদি আমরা ভাঙতে থাকি তাহলে ভেঙে কি পাব?

অণু পাব।

হ্যাঁ, অণু পাব। অণুটা যখন ভাঙব তখন কি পাব?

পরমাণু?

পরমাণু ভাঙলে?

ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন। এদের যদি ভাঙা যায় তাহলে কি পাব?

জানি না স্যার।

আমার ধারণা, ভাঙতে ভাঙতে এক সময় দেখব কিছুই নেই। এই জগৎ সংসার, বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড, গাছপালা, পৰ্বত-নদী সব তৈরি হয়েছে শূন্য দিয়ে সব কিছুই শূন্যের উপর। শুরুটা হল শূন্যে। যার শুরু শূন্যে তার শেষ কোথায়?

ছাত্ররা ভীত চোখে একে অন্যের মুখের দিকে তাকাচ্ছে। মনসুর সাহেব বললেন–তার শেষও শূন্যে। বিশ্বজগৎ হল আঙটির মতো। আঙটির যেখানে শুরু সেখানেই শেষ। তোমরা কি বুঝতে পারছ?

সব ছেলে এক সঙ্গে মাথা নাড়ল। মনে হচ্ছে তারা সবাই ব্যাপারটা বুঝে ফেলেছে।

ক্লাসের ঘন্টা পড়ে গেছে। ঘণ্টা পড়ার পরেও ব্ল্যাকবোর্ড আঁকা বিশাল শূন্যের দিকে মনসুর সাহেব তাকিয়ে আছেন। মনে হচ্ছে ব্ল্যাকবোর্ডে তিনি অপরূপ কোনো চিত্র এঁকেছেন। চিত্রকলার সৌন্দর্য থেকে তিনি নিজেকে মুক্ত করতে পারছেন না।