০৪. অমিয়বাবুর কাছ থেকে বিদায়

ধন্যবাদ জানিয়ে অমিয়বাবুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দুজনে বের হয়ে এলেন।

গাড়িতে উঠতে উঠতে কিরীটী বললে, আপনি তো দেবিকাকে দেখেছেন ভাদুড়ী মশাই?

হ্যাঁ। আজও তো মেয়েটি আদালতে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। কখনো সে মাথায় ঘোমটা দিয়ে আসেনি। তাছাড়া তার হাতে কোন উল্কি দেখিনি। তার রং অবিশ্যি। ফর্সাই। আমার মনে হয় সে দেবিকা নয় রায় মশাই।

আমারও তাই অনুমান। কিরীটী বললে, তাই ভাবছি কে হতে পারে মেয়েটি?

ভাদুড়ী মশাই!

বলুন।

মৃণালের চেহারার কোন ডেসক্রিপশন আপনার জানা আছে?

মেয়েটিকে তো আমরা কেউ দেখিনি।

আচ্ছা ঘটনার দিন পাশের ঘরে যে ভদ্রলোক ও মেয়েটি ছিল?

অবিনাশ সেন আর মিনতি দত্ত।

মেয়েটির নাম মিনতি দত্ত?

হ্যাঁ।

সে মেয়েটি তো মৃণালের পাশের ঘরেই থাকত। সেও রূপোপজীবিনী ছিল।

তার সাক্ষ্যও তো নেওয়া হয়েছে আদালতে।

জানি। আমি বলছিলাম—

কি বলুন?

মৃণালের ডিটেলস ওই মিনতির কাছে পাওয়া যেতে পারে।

তা অবিশ্যি পারে। তা এখনো তো বেশী রাত হয়নি। সেই পল্লীটা একবার ঘুরে যাবেন নাকি? সোমনাথ ভাদুড়ী বললেন।

গেলে আমার মনে হয় ভালোই হতো।

বেশ, চলুন।

সোমনাথ ভাদুড়ী ড্রাইভার সমরেশকে বললেন, কলেজ স্ট্রীটে যে শিবমন্দিরটা আছে সেদিকে যেতে।

 

গলিটা কুখ্যাত ছিল এককালে। বর্তমানে অবিশ্যি আর ততটা নেই—তাহলেও সেখানকার পুরাতন বাসিন্দারা কিছু কিছু সেখানে এখনো ছড়িয়ে আছে।

গলির মধ্যে গাড়ি নিলেন না সোমনাথ ভাদুড়ী। ট্রাম রাস্তার উপরেই একপাশে গাড়িটা দাঁড় করিয়ে দুজনে হেঁটে চললেন। সন্ধ্যার পর থেকেই গলিটাতে মানুষের চলাচল যেন বৃদ্ধি পায়। সোমনাথ ভাদুড়ী বাড়িটা ঠিক চিনতেন না কিন্তু বাড়ির নম্বরটা মনে ছিল। নম্বরটা খুঁজে পেতে দেরি হল না।

একটা দোতলা লাল রংয়ের পুরনো বাড়ি!

মিনতিকে একটি মেয়ে ডেকে দিল।

মিনতি বোধ হয় ঘরে বসে সাজসজ্জা করছিল। ডাক শুনে বের হয়ে এলো।

কি রে চাঁপা!

এই ভদ্রলোক দুটি তাকে খুঁজছেন।

মিনতি তাকাল। সোমনাথ ভাদুড়ীকে আদালতে দেখেছে। চিনতে তার কষ্ট হলো না। বললে, উকিলবাবু—

মিনতি, তোমার সঙ্গে আমাদের কিছু কথা আছে।

মিনতি মুহূর্তকাল যেন কি ভাবলো। তারপর বললে, আসুন উকিলবাবু ঘরে।

তিনজনে মিনতির ঘরে প্রবেশ করল।

ঘরটি বেশ গোছানো। ছিমছাম। একদিকে একটি পালঙ্ক পাতা। উপরে ধবধবে শয্যা পাতা। দুটি দুটি চারটি মাথার বালিশ, একটি মোটা পাশ-বালিশ। একধারে একটি কাঁচের পাল্লাওয়ালা আলমারি। কিছু রুপোর, কাঁচের ও কাঁসার বাসনপত্র। নানা ধরনের পুতুল, খান দুই চেয়ারও আছে একধারে।

বসুন উকিলবাবু। একটু চায়ের জোগাড় করি।

না না মেয়ে, তুমি ব্যস্ত হয়ো না। সোমনাথ ভাদুড়ী বললেন চেয়ারে বসতে বসতে।

মিনতি আর কথা বলে না।ওদের মুখের দিকে পর্যায়ক্রমে তাকায়।

মিনতি—

বলুন।

এই ভদ্রলোক তোমাকে মৃণালের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। সোমনাথ ভাদুড়ী বললেন।

মৃণাল!

কিরীটী দেওয়ালে একটা ফটোগ্রাফের দিকে তাকিয়েছিল। সেই ফটোর দিকে তাকিয়েই

কিরীটী প্রশ্ন করল, ওই ফটোটার একজনকে তো চিনতে পারছি–মনে হচ্ছে তুমিই, তাই না?

মিনতি বললে, হ্যাঁ, আমিই। আমার পাশে—

তোমার বোন বা কোন আত্মীয়া বুঝি? কিরীটী বললে।

না। আমার পাশে ওই মৃণাল। মিনতি বললে।

মৃণাল! মানে যে মেয়েটি–

ঠিকই ধরেছেন। যে মৃণালকে নিয়ে এতদিন ধরে মামলা চললো। যার খোঁজ পাওয়া যায়নি—

ফটোটা কবেকার তোলা? কতদিনের?

তা প্রায় বছর দুই হবে। হঠাৎ একদিন মৃণালের খেয়াল হলো একটা ফটো তুলবে আমাকে নিয়ে—কথাটা বলতে বলতে মিনতির চোখ দুটি ছলছল করে ওঠে।

বছর দুই আগেকার ও ফটো তাহলে?

হ্যাঁ। মৃণালই একদিন আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে হ্যারিসন রোডের একটা স্টুডিও থেকে ফটোটা তোলায়। একটা কপি তার ঘরে ছিল, অন্যটা আমার ঘরে আমি বাঁধিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু–

কি?

পুলিসের লোক খানা-তল্লাসী করতে এলে ফটোটা কিন্তু তার ঘরে পায় না। মনে হয় বাড়ি ছেড়ে সে-রাত্রে যাবার আগে ফটোটা সে সঙ্গেই নিয়ে গিয়েছে।

পুলিস সেদিন তোমার ঘর খানা-তল্লাসী করেনি?

করেছিল।

ওই ফটো সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করেনি?

না।

মৃণালের সঙ্গে মনে হচ্ছে তোমার যথেষ্ট বন্ধুত্ব ছিল, তাই না?

ঠিক ধরেছেন, পুলিশকেও বলেছি—আপনাকেও বলছি, মৃণাল অত্যন্ত লক্ষ্মী ও শান্ত স্বভাবের ছিল। এ বাড়িতে একমাত্র আমার সঙ্গে ছাড়া আর কারো সঙ্গে মিশতো না, কথাও বলতো না বড় একটা।

মৃণাল তো তোমার পাশের ঘরেই থাকত?

হ্যাঁ।

ওই ঘরে এখন কে আছে?

কেউ নেই, ঘরটা আজও খালিই পড়ে আছে মৃণাল চলে যাবার পর থেকে।

কেন?

কেউ ও-ঘরে থাকতে চায়নি। মৃণাল খুব ভাল গান গাইতে পারত নাচতেও পারত। আজও মধ্যে মধ্যে রাত্রে নাকি ওর ঘর থেকে ঘুঙুরের শব্দ শোনা যায়।

তুমি শুনেছো?

না। সত্যি বলবো, আমি কোনদিন কিছু শুনিনি। কিন্তু মৃণালের কথা এত শুনতে চাইছেন কেন?

কথাটা তাহলে তোমাকে খুলেই বলি, কিরীটী বলল-তপন ঘোষের হত্যাকারীকে আজও পুলিস সর্বত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে।

কিন্তু বাবু, বিশ্বাস করুন, মৃণাল তপনবাবুকে হত্যা করেনি।

আমিও সে-কথাটা বিশ্বাস করি–কিরীটী বলল।

বিশ্বাস করেন?

করি, আর তাই তো মৃণালের সন্ধান আমিও করছি।

আপনি–

সোমনাথ ভাদুড়ী ওই সময় বললেন, এই ভদ্রলোকের পরিচয় তুমি জান না। কিরীটী রায়ের নাম শুনেছ?

না তো!

উনি সত্যসন্ধানী। সে-রাত্রে পাশের ঘরে সত্যই কি ঘটেছিল উনি সেটাই জানবার চেষ্টা করছেন।

কিন্তু বাবু, আমি তো মৃণালের কোন সন্ধানই জানি না। বিশ্বাস করুন।

হয়তো জানো না, কিরীটী বললে, কিন্তু তুমি মৃণালের কথা যতটা জানো–অন্য কেউ হয়ত সেটা জানে না।

মিনতি বললে, পাশের ঘরে ছিল মৃণাল। দিনের বেলাটা প্রায়ই তার আমার ঘরেই কেটে যেত-তবে–

কি?

বড় চাপা মেয়ে ছিল মৃণাল। তাছাড়া নিজের কথা বড় একটা বলতো না কখনও। বিশেষ করে এখানে আসার আগে তার সব কথা জানায়নি।

তুমি জিজ্ঞাসা করোনি কখনো সে-সব কথা তাকে? কিরীটীর প্রশ্ন।

না। আর জিজ্ঞাসা করেই বা কি করবো বলুন।

কেন?

এ লাইনে যারা আসে তাদের ইতিহাস তো প্রায় সকলেরই এক অন্যরকম আর কি হবে।

আচ্ছা তোমার কি মনে হয়? হঠাৎ সে পালাল কেন?

আমার মনে হয় বাবু, খুনখারাপি দেখে হঠাৎ ভয় পেয়ে হয়ত সে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে।

আচ্ছা মিনতি, কিরীটী বলল, এমন তো হতে পারে তপন ঘোষের খুনের ব্যাপারে সে-রাত্রে ওই মৃণালও জড়িত ছিল বা তার পরোক্ষ হাত ছিল?

না, না বাবু, না। কখনো তা হতে পারে না। মৃণালকে তো আমি জানি।

সে-রাত্রে কি ঘটেছিল বা না ঘটেছিল তুমি তো আর কিছু দেখনি!

তা হলেও আমি জোর গলায় বলতে পারি—মৃণাল সম্পূর্ণ নির্দোষ, সে ওই ধরনের মেয়েই নয়, অমন শান্ত স্বভাবের মেয়েকে–না বাবু, না।

তুমি তো একটু আগে বললে, তোমাদের মধ্যে খুব ভাব ছিল!

হ্যাঁ। পাশাপাশি ঘরে থাকতাম। দিনের বেলা বেশীর ভাগ সময় তো সে আমার ঘরেই থাকত, আমার সঙ্গে খেতো—এক বিছানায় দুজনে শুয়ে থাকতাম।

মৃণালের ঘরে কে আসতো নিশ্চয় তুমি জানতে?

জানতাম বৈকি, তপনবাবুরই যাতায়াত ছিল তার ঘরে।

আর কেউ আসতো না? বিজিতবাবু?

আসতো। তবে মধ্যে মধ্যে।

তপন ঘোষ তখন থাকত?

না। তপন ঘোষ থাকলে বিজিতবাবু আসতো না। তবে একটা কথা। আমার মনে হয় বিজিতবাবুর উপরে মৃণালের বোধ হয় একটা দুর্বলতা ছিল।

হুঁ। আচ্ছা মিনতি—সুদীপবাবুকে কখনো মৃণালের ঘরে আসতে দেখেছো?

দেখেছি।

একা একা?

না–তপন ঘোষের সঙ্গেই বারকয়েক আসতে দেখেছি।

আদালতে সাক্ষী দেবার সময় তো কথাটা তুমি বলোনি!

না, বলিনি।

কেন, কেবল বিজিতবাবুর কথাই বা বলেছিলে কেন?

মিনতি চুপ করে থাকে।

অবিশ্যি তোমার আপত্তি থাকলে আমি শুনতে চাই না।

না, তা নয়—

তবে?

আমার মনে হয় বাবু–বিজিতবাবু কোন চোরাকারবারে লিপ্ত ছিল—তপনবাবুর সঙ্গে তার হয়ত সেই নিয়েই শেষ পর্যন্ত খুনোখুনি হয়েছে। আদালতে সে-কথাটা আমি বলেছিলামও।

আর কেউ কখনো মৃণালের ঘরে আসেনি? আসতে দেখনি?

না।

মৃণালের আত্মীয়-স্বজন কেউ ছিল না?

জানি না? বলতে পারব না।

তার দেশ বা বাড়ি কোথায় ছিল জানো?

না, সেও কোনদিন তার বাড়িঘরের কথা বলেনি, আমিও সে-সব কথা কখনো তাকে শুধাইনি।

কতদিন এখানে মৃণাল ছিল?

তা প্রায় আড়াই বছর তো হবেই।

তার আগে কোথায় ছিল সে?

জানি না।

কথাটা তুমি তাকে কখনো জিজ্ঞাসা করনি?

না।

জানবার কখনো ইচ্ছা করেনি তোমার?

না।

তার অতীত জীবনের কথা তাহলে তুমি কিছুই জানো না?

না।

কিছু না?

কথায় কথায় একদিন সে বলেছিল—

কি?

তার স্বামী তাকে প্রচণ্ড মারধোর করতে প্রতি রাত্রে মাতাল হয়ে ঘরে ফিরে এসে। এক রাত্রে মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা দিয়ে চলে যায়।

তারপর?

দুদিন বাড়ির দরজার সামনেই সে বসে ছিল। তৃতীয় দিন বিকেলে হঠাৎ তার স্বামীর এক বন্ধু সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং তার স্বামীর কাছে তাকে পৌঁছে দেবে বলে কলকাতায় নিয়ে আসে।

সেই বন্ধুটিকে মৃণালের স্বামী চিনতো?

হ্যাঁ—প্রায়ই সে যেতো ওদের বাড়িতে।

কে সে? কি নাম তার জানো?

না।

তারপর?

তারপর আর কি, এখানে বাড়িউলী মাসীর হাতে তাকে তুলে দিয়ে বন্ধুটি চলে যায়। পরে জেনেছিল মৃণাল, ওই লোকটির নাকি মেয়ে চালান দেবার ব্যবসা ছিল। আর সেই ব্যবসায় তার স্বামীও একজন ভাগীদার ছিল। সম্ভবত ওই লোকটি মৃণালকে চালান দেবার মতলব করেছিল।

কিন্তু এখানে এলো কি করে মৃণাল?

সে আর এক দৈবচক্র—

কি রকম?

স্বামীর সেই বন্ধুর আশ্রয় থেকে পালিয়ে এল রাত্রে মৃণাল। রাস্তায় এসে নামল। হাঁটতে হাঁটতে নিমতলার গঙ্গার ঘাটে গিয়ে বসে থাকল। সেখানে আমাদের বাড়িউলী মাসীর সঙ্গে দেখা

কিরীটী মৃদু হেসে বললে, ফ্রম ফ্রাইং প্যান টু দ্য ফায়ার!

কি বললেন বাবু?

না, কিছু না, তোমাদের বাড়িউলী মাসী তখন তাকে এখানে এনে তুলল, তাই না?

আজ্ঞে। এ পাপ দেহের ব্যবসায় সে নামতে চায়নি, কিন্তু পালাবার তো আর পথ ছিল, মাসীর চার-পাঁচজন তাবেদার গুণ্ডা আছে—মাসীর পোষ্যও তারা–তারা সর্বক্ষণ চোখ মেলে থাকত। কাজেই বুঝতে পারছেন বাবু–

কিরীটী প্রত্যুত্তরে মৃদু হাসলো।

আচ্ছা সে-রাত্রে ঠিক কি ঘটেছিল, মানে যতটা তুমি জানো বা জানতে পেরেছিলে আমাকে বলতে পার! কিরীটী প্রশ্নটা করে মিনতির দিকে তাকাল।

বাবু, সে রাত্রে আমার ঘরে কেউ ছিল না রাত দশটার পর। আমার বাবু পৌনে দশটা নাগাদ চলে যান

কিন্তু আদালতে বলেছে, অবিনাশ সেন নামে এক ভদ্রলোক আর তুমি—

ঠিকই বলেছি-যার কথা বলেছি সে আমার স্বামী।

স্বামী!

হ্যাঁ, আট বছর আগে তার ঘর ছেড়ে আমি চলে আসি–

কেন?

তার জঘন্য চরিত্র ও নিষ্ঠুর ব্যবহারের জন্য। কিন্তু সে আমাকে বছর তিনেক বাদে খুঁজে বের করে এখানে। এবং তারপর থেকে মধ্যে মধ্যে সে আসতো আমার কাছে।

কেন? টাকার জন্য?

না, সোনার বেনে—মস্তবড় জুয়েলারী ফার্ম তার, টাকার অভাব তো নেই। অনেক টাকা তার। টাকার জন্য সে আমার কাছে আসবে কেন?

তবে কি জন্যে আসতো?

আমাকে আবার ঘরে ফিরিয়ে নেবার জন্য।

ফিরে গেলে না কেন?

না। কারণ আমি জানতাম সেই একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে। তাছাড়া—

কি?

এই পাপ নিয়ে আর কি সেখানে ফিরে যেতে পারি।

তোমার কোন সন্তানাদি

না, হয়নি। তবে তার প্রথম পক্ষের দুটি সন্তান ছিল–আমি তার দ্বিতীয় পক্ষ। আরো অনেক কথা আছে, যা বলতে পারবো না।

থাক, বলতে হবে না। কিন্তু তুমি আদালতে সে সব কথা তো প্রকাশ করনি?

না, করিনি।

কেন? ওই সব কি প্রকাশ করবার মত কথা দশজনের সামনে আদালতে দাঁড়িয়ে?

এবার বল, সে রাত্রে ঠিক কি ঘটেছিল।

রাত সাড়ে দশটার পর, বোধ হয় এগারোটা হবে তখন আমার স্বামী এলো।

বললে, সে আমাকে না নিয়ে ফিরবে না। আমিও যাবো না। সেও নাছোড়বান্দা। আমি বললাম আর আমি জীবনে কোনদিন তার ঘরে ফিরে যাবো না, সেও যেন আর না আসে।