প্রথমে যা কিছু নাযিল হয়েছিলো এরমধ্যে নামাযের আদেশও ছিলো। মোকাতেল ইবনে সোলায়মান বলেন, ইসলামের শুরুতে আল্লাহ তায়ালা দু’রাকাত নামায সকালে এবং দু’রাকাত নামায সন্ধ্যার জন্যে নির্দিষ্ট করেছিলেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, সকাল এবং সন্ধায় তোমরা প্রতিপালকের প্রশংসার সাথে তাঁর সেজদা করো।
ইবনে হাজার বলেন, প্রিয় রসূল এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরাম মে’রাজের ঘটনার আগেই নামায আদায় করতেন। তবে এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আগে অন্য কোন নামায ফরয ছিলো কিনা। কেউ কেউ বলেন, সূর্য উদয় হওয়ার আগে এবং অস্ত যাওয়ার আগে এক এক নামায ফরয ছিলো।
হারেস ইবনে ওসামা হযরত যায়েদ ইবনে হারেছা থেকে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, প্রিয় নবীর কাছে প্রথম যখন ওহী এসেছিলো, সেই সময় জিবরাঈল এসে তাঁকে প্রথমে ওযুর নিয়ম শিক্ষা দেন। ওযু শেষ করার পর এক আজলা পানি লজ্জাস্থনে ছুঁড়ে মারেন। ইবনে মাজাও এ ধরেণের হাদীস বর্ণনা করেছেন। বারা ইবনে আযেব এবং ইবনে আব্বাস (রা) থেকেও এ ছিলো প্রথম দিকের ফরযের অন্তর্ভুক্ত।
ইবনে হিশাব বর্ণনা করেছেন যে, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম নামাযের সময়ে পাহাড়ে চলে যেতেন এবং গোপনে নামায আদায় করতেন। একবার আবু তালেব রসূলুল্লাহ মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আলী (রা)-কে নামায আদায় করতে দেখে ফেলেন। তিনি এ সম্পর্কে জিজ্ঞসা করেন। তাঁকে জানানোর পর তিনি বলেন, এই অভ্যাস অব্যাহত রেখো।