সংক্ষিপ্ত তথ্য ও টীকা
‘ইন্দ্রো মায়াভিঃ…‘—বৃহ. উপ., ২/৫/১৯
‘নীহারেণ প্রাবৃতা…‘—কুয়াশার মতো অজ্ঞানের দ্বারা আবৃত হইয়া জীবগণ মনে করে, ‘আমি কর্তা, আমি ভোক্তা’; ইহলোকে সুখভোগ ও পরলোকে স্বর্গভোগ করিবা জন্য যজ্ঞে নানা প্রকার স্তোত্র উচ্চারণ করে।
‘মায়ান্তু প্রকৃতিং বিদ্যাৎ…‘—শ্বেতাশ্ব. উপ., ৪। ১০
‘সেই সর্বব্যাপী প্রাণতত্ত্ব…‘—প্রশ্ন. উপ.,২/৫-১৩
‘জীব চন্দ্রলোক হইতে পৃথিবীতে আসে।‘—বৃহ. উপ.,১৬/২/১৬ ছান্দোগ্য উপ., ৫/১০/৪
‘সুবর্ণলোম‘ (Golden Fleece): গ্রীকপুরাণের গল্প,—এখানে অপ্রাপ্য বা দুষ্প্রাপ্য কোন কিছুর অনুসন্ধান।
‘আপনারা সকলেই…জলপ্লাবনের গল্প জানেন‘—নোয়া (Noah)-র গল্পের জন্য দ্রষ্টব্য O.T. Genesis, Ch.7
‘একজন দিগ্বিজয়ী সম্রাট একবার ভারতবর্ষ আক্রমন করেন‘—এখানে আলেকজাণ্ডারের কথাই বলা হইতেছে।
‘হে সখে, কেন রোদন করিতেছ?…’—তুলনীয় :
কিং নাম রোদিষি সখে ন চ তে স্বরূপম্
কিং নাম রোদিষি সখে ন চ তে বিরূপম্
কিং নাম রোদিষি সখে ন চ তে বয়াংসি
জ্ঞানামৃতং সমরসং গগনোপমোহহম্।।’
অবধূতগীতা, ৩/৩৫
‘হিন্দুগণ বিশেষের প্রতি বড় মন দেন না।‘—সামান্যের প্রতিই তাহার দৃষ্টি। ‘যথা দুন্দুভের্হন্যমানস্য’ দ্রষ্টব্য বৃহ. উপ.,২/৪/৭-১১
‘যাঁহারা অত্যন্ত ধার্মিক, তাঁহাদের মৃত্যু হইলে…‘ ঐ ৬/২/১৫ ছান্দোগ্য উপ., ৫/১০/১-২
‘যাঁহারা অতিশয় দুর্বৃত্ত, তাহাদের মৃত্যু হইলে‘— ঐ ৫/১০/৭
‘আর চন্দ্রলোকের পথকে ‘পিতৃযান‘ বলে‘— ঐ ৫/১০/৩-৪ বৃহ. উপ., ৬/২/১৬
‘একটি জ্বলন্ত মশাল‘—অলাতচক্র দৃষ্টান্ত, মাণ্ডক্য কারিকা, ৪/৪৭
‘প্রাক্তন কর্মের বেগ‘—সাংখ্যকারিকা ৬৭
ট্যান্টালাস : গ্রীক পুরাণে জিউসের পুত্র। অমৃত চুরি করার অপরাধে তাঁহাকে শাস্তি দেওয়া হয়—হ্রদে তিনি ওষ্ঠ পর্যন্ত নিমজ্জিত, কিন্তু জল পান করিতে গেলে নামিয়া যায়; উপরে পৃষ্ঠা—পঙ্ক্তি
সুন্দর ফল ঝুলিতেছে, হাত বাড়াইতে গেলে সেগুলি উঠিয়া যায়।—অতৃপ্ত ও অপূরণীয় বাসনার দৃষ্টান্ত।
৮৫ ১৩ ‘বুদ্ধদেব বোধিবৃক্ষের নিম্নে বসিয়া দৃড়স্বরে যাহা বলিয়াছেন’—’ইহাসনে শুষ্যতু মে শরীরম্’ ইত্যাদি—ললিতবিস্তর
৮৮ ৭ মোহন বংশীবাদক : ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিং-রচিত ‘The Pied Piper of Hamelin’ কবিতা স্মরণীয়।
১০৮ ২। ৩ ‘কিন্তু তাঁহার অন্তরঙ্গ শিষ্যদিগকে আরও খোলাখুলিভাবে বলিয়াছিলেন’—এ- বিষয়ে ৪০৫ পৃষ্ঠায় ১৩-১৭ পঙ্ক্তি দ্রষ্টব্য।
১০৯ ১৫ ‘অস্তি নাস্তি কিছুই ছিল না’…নাসদীয়সূক্ত দ্রষ্টব্য।
‘নাসদাসীন্ন যদাসীত্তদানীং’—ঋগ্বেদ ১০/১২৯/১
১১৩ ২১ কল্প : পুরাণমতে ৪,৩২,০০,০০,০০০ বৎসর ব্রহ্মার দিবস ও সৃষ্টিকাল। অনুরূপ কাল রাত্রি, উহা প্রলয়কাল। এই দিবস ও রাত্রিতে এক কল্প।
১১৭ ৯ উদ্দেশ্যবাদ (Design Theory): জগতের সৃষ্টিকৌশল দেখিয়া ইহার পশ্চাতে যে একজন জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি বা ঈশ্বর আছেন, তাহা বোঝা যায়। ২৭ ‘আমরা ঈশ্বর হইতে আসিয়াছি’— ‘তস্মাচ্চ দেবা বহুধা সম্প্রসূতাঃ’ ইত্যাদি মুণ্ডক ২/১/৭-৮-৯
১১৯ ১৭ ‘তুমিই পুরুষ তুমিই স্ত্রী’—’ত্বং স্ত্রী ত্বং পুমানসি’ শ্বে. উপ. ৪/৪
১৬২ ১৭ ‘আমেরিকায় একজন বিখ্যাত অজ্ঞেয়বাদী বক্তা’— মিঃ ইঙ্গারসোল, ৭ম খণ্ডে ব্যক্তি পরিচয় দ্রষ্টব্য।
১৮৬ ৮/৯ ‘শ্রেয়ঃ’ ও ‘প্রেয়ঃ’ : শ্রেয়ঃ অর্থাৎ নিঃশ্রেয়স বা মুক্তি; প্রেয়ঃ অর্থাৎ ভোগ্য প্রিয়বস্তু।
১৮৯ ১৬ ‘শৈলোপদেশ’ : N.T. ম্যাথু ৫—৭, ল্যুক ৬:২০-৪৯
১৯৩ ২৭ ‘ওঁকারের অতিশয় মহিমা…’ ওঁকারতত্ত্ব, মাণ্ডুক্য উপ. দ্রষ্টব্য।
২০৯ ২১ স্বরাজ্যসিদ্ধি : আচার্য শঙ্করের অন্যতম প্রধান শিষ্য সুরেশ্বরাচার্য-কৃত বেদান্তগ্রন্থ।
২৩২ ৯/১০ ‘জড়বিজ্ঞানও ইহাই ঘোষণা করিতেছে’—আধুনিক বিজ্ঞানের মতে সকল বস্তুই বিদ্যুৎশক্তি (কণা)র বিভিন্ন সংস্থান।
২৬০ ৫ ‘জ্ঞানালাভের দুইটি মূলসূত্র আছে’— আরোহ (Inductive) ও অবরোহ (Deductive)পদ্ধতি।
২৬২ ৭/৮ ‘শূন্য হইতে সৃষ্টি…উপহাসের বিষয়’— শূন্য হইতে শূন্যই আসিতে পারে, ‘Ex nihilo nihil fit’ শূন্য হইতে পদার্থ সৃষ্টি কোন দর্শনই স্বীকার করে না।