০২. নিশীতা ক্যামেরা হাতে

নিশীতা ক্যামেরা হাতে এগিয়ে যেতেই পুলিশ হাত উঁচু করে তাকে থামাল, কোথায় যান?

নিশীতা সামনে ভেজা মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা জব্বারের মৃতদেহটিকে দেখিয়ে বলল, ছবি তুলব।

পুলিশটি মুখ শক্ত করে বলল, কাছে যাওয়া নিষেধ।

নিশীতা কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ থেকে একটা কার্ড বের করে পুলিশটির চোখের সামনে দিয়ে নাড়িয়ে নিয়ে এসে বলল, আমি সাংবাদিক। তারপর তাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে প্রায় ধাক্কা দিয়ে এগিয়ে গেল। পুলিশটি প্রায় হা–হা করে পিছন থেকে ছুটে এল কিন্তু কম বয়সী একটা মেয়েকে ধরে ফেলা ঠিক হবে কি না বুঝতে পারল না। ততক্ষণে নিশীতা জব্বারের মৃতদেহের কাছে পৌঁছে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে তার ডিজিটাল ক্যামেরায় ঝটপট কয়টা ছবি তুলে নিয়েছে। পুলিশটি কাছে এসে চিৎকার করে বলল, আমি বললাম না, কাছে যাওয়া নিষেধ!

নিশীতা পুড়ে কুঁকড়ে যাওয়া জব্বারের মৃতদেহটির দিকে তাকিয়ে বলল, এই মানুষটার নাম কালা জব্বার?

পুলিশটা হাত নেড়ে বলল, আপনাকে আমি কী বললাম?

সাথে কব্জি কাটা দবির ছিল, তাকে পাওয়া গেছে?

সরে যান–সরে যান এখান থেকে।

নিশীতা ক্যামেরাটি দিয়ে ঘ্যাচঘ্যাচ করে পুলিশটির দুটি ছবি তুলে নিল। ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে ফিল্ম খরচ হয় না বলে নিশীতা কখনো ছবি তুলতে কার্পণ্য করে না। পুলিশটি রুষ্ট হয়ে বলল, কী হল? আমার ছবি তুলছেন কেন?

পত্রিকায় নিউজ হবে। সাংবাদিক হয়রানি।

সাংবাদিক হয়রানি?

হ্যাঁ। সাংবাদিক হয়রানি এবং তথ্য গোপন। এটা স্বাধীন দেশ–স্বাধীন দেশে কোনো তথ্য গোপন রাখা যাবে না।

পুলিশটি মাথা নেড়ে বলল, আমি এত কিছু জানি না– আমাকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে কেউ যেন কাছে না আসে। যদি কথা বলতে চান তা হলে বড় সাহেবের সাথে কথা বলবেন।

বলবই তো। অবশ্যই বলব– বলে নিশীতা মুখ গম্ভীর করে এগিয়ে গেল, তবে পুলিশের বড় সাহেবের কাছে নয়–দূরে জটলা করে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু মানুষের কাছে। কাল রাতে এই এলাকায় বিদ্যুঝলকের মতো একটা নীল আলোর ঝলকানি দেখা গেছে বলে শোনা যাচ্ছে, ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল–বজ্রপাত তো হতেই পারে। তবে আলোর ঝলকানিটি নাকি বজ্রপাতের মতো ছিল না, সোজা আকাশ থেকে একটা সরলরেখার মতো নিচে নেমে এসেছে।

নিশীতাকে হেঁটে আসতে দেখে জটলা পাকানো মানুষগুলো একটু নড়েচড়ে দাঁড়াল। নিশীতার আজকাল অভ্যাস হয়ে গেছে–সে যখন মোটর সাইকেলে করে শার্টপ্যান্ট পরে ছুটে বেড়ায় অনেকেই নড়েচড়ে দাঁড়ায়, ভুরু কুঁচকে তাকায়।

নিশীতা কাছে গিয়ে মুখে একটা হাসি ফুটিয়ে দাঁড়াল, আপনাদের একটা ছবি তুলতে পারি?

মানুষগুলোর অনেকের মুখে হাসি ফুটে উঠল। কী কারণ কে জানে ছবি তোলার কথা বললেই মানুষ খুশি হয়ে ওঠে। কমবয়সী একজন জিজ্ঞেস করল, কী করবেন ছবি দিয়ে?

ফাইলে রাখব। কখন কী কাজে লাগে কে জানে। মনে হচ্ছে আপনাদের এলাকাটা খুব ইম্পরট্যান্ট হয়ে যাবে।

মানুষগুলোকে এবারে কৌতূহলী দেখা গেল, কমবয়সী মানুষটি জিজ্ঞেস করল, কেন আপা? ইম্পরট্যান্ট কেন হবে?

নিশীতা হাত দিয়ে দূরে পড়ে থাকা জব্বারের মৃতদেহটি দেখিয়ে বলল, ঐ যে দেখেন, মানুষটি কীভাবে মারা গেছে সেটা একটা রহস্য। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই, দেখে মনে হয় পুড়ে ঝলসে গেছে, বজ্রপাত হলে যেরকম হয়। কিন্তু কেউ বজ্রপাতের শব্দ শোনে নি। শুনেছেন আপনারা?

না। মানুষগুলো মাথা নাড়ল, কেউ শোনে নি।

নিশীতা মাথা ঘুরে তাকাল, বলল, বজ্রপাত হয় সবচেয়ে উঁচু জায়গায়–এই এখানে উঁচু জায়গা হচ্ছে এই লাইটপোস্ট–বজ্রপাত হলে ইলেকট্রিসিটি বন্ধ হয়ে যেত, লাইট ফিউজড হত, কিছু হয় নাই। রহস্য এবং রহস্য।

বুড়ো মতন একজন মানুষ বলল, আসলে এই জায়গাটার একটা দোষ আছে।

দোষ?

জে। প্রত্যেক বছর এক জন মানুষ মারা যায়।

এই জায়গায়?

এই আশপাশে। গেল বছর একটা ট্রাক এসে ধাক্কা দিল নজর আলীর ছোট ছেলেকে।

বুড়ো মতন মানুষটি ট্রাকের ধাক্কায় কীভাবে নজর আলীর ছোট ছেলের শরীর থেতলে গেল তার পুখানুপুঙ্খ বর্ণনা দিতে থাকে, শুনে নিশীতার শরীর গুলিয়ে আসতে চায়। নিশীতা তবু ধৈর্য ধরে মুখে আগ্রহ ধরে রেখে বর্ণনাটি শুনতে থাকে, মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য। হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আগ্রহ নিয়ে তাদের কথা শোনা। নিশীতা লক্ষ করে অন্যেরাও কিছু না কিছু বলতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। সে ব্যাগ থেকে ছোট একটা নোট বই বের করে নেয়, সাংবাদিকসুলভ একটি ভাব ফুটিয়ে সেখানে কিছু কিছু জিনিস লিখে রাখার। ভান করতে হবে। মানুষগুলো একটু সহজ হলে কাজও অনেক সহজ হয়ে যায়।

দৈনিক বাংলাদেশ পরিক্রমার সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সামনে নিশীতা অধৈর্য মুখে বসে আছে। তার পাশে দৈনিক পত্রিকার আরো দুজন সিনিয়র সাংবাদিক–মোহাম্মদ বোরহান এবং শ্যামল দে। মোজাম্মেল হক হাতের বল পয়েন্ট কলমটি অন্যমনস্কভাবে টেবিলে ঠুকতে ঠুকতে বললেন, উঁহু নিশীতা এটা তোমার জন্য নয়।

নিশীতা সোজা হয়ে বসে বলল, কেন নয়?

কব্জি কাটা দবির, কালা জব্বার এই রকম চরিত্রগুলো থেকে পুলিশেরাও দূরে থাকে। তুমি সাংবাদিক–ঠিক করে বললে বলতে হয় মহিলা সাংবাদিক। তোমার আরো বেশি দূরে থাকা দরকার।

নিশীতা মাথা নাড়ল, আমি আপনার সাথে একমত নই মোজাম্মেল ভাই। নিশীতা তার দুই পাশের দুজন সাংবাদিককে দেখিয়ে বলল, বোরহান ভাই কিংবা শ্যামল দা যেটা পারবেন আমিও সেটা পারব।

অবশ্যই পারবে। মোজাম্মেল হক মাথা নেড়ে বললেন, সে ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমি জেনেশুনে একটা মেয়েকে খুনি ডাকাত সন্ত্রাসীদের কাছে পাঠাতে পারব না। আমি আমার নিজের মেয়ে হলেও পাঠাতাম না।

নিশীতা বলল, আপনি বুঝতে পারছেন না মোজাম্মেল ভাই, এই কেসটা খুনি, ডাকাত আর সন্ত্রাসীদের নয়। খুনি, ডাকাত আর সন্ত্রাসীরা মারা পড়েছে, তাদের কাছে আমার আর যেতে হবে না। কেন মারা পড়ছে, কীভাবে মারা পড়ছে আমি সেটা দেখতে চাই। আপনি জানেন গভীর রাতে একটা নীল আলো আকাশ থেকে সোজা নিচে নেমে এসেছিল?

বজ্রপাত।

না, বজ্রপাত না। বজ্রপাতের শব্দ হয় কিন্তু এখানে কোনো শব্দ হয় নি। কালা জব্বারের পোস্টমর্টেম করে দেখা গেছে এস বজ্রপাতে মারা যায় নি।

তা হলে কীভাবে মারা গেছে?

কেউ বুঝতে পারছে না। হঠাৎ করে হার্ট থেমে গেছে। শরীরের ভিতরে বিচিত্র এক ধরনের ক্রিস্টাল পাওয়া গেছে। তার সাথে ছিল কব্জি কাটা দবির–তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তার পায়ের ছাপ সেখানে আছে। রক্তের দাগ আছে, এ ছাড়া মাটিতে বিচিত্র কিছু চিহ্ন আছে। মনে হচ্ছে–

নিশীতা হঠাৎ করে থেমে গেল। মোজাম্মেল হক ভুরু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন, মনে হচ্ছে কী?

মনে হচ্ছে অন্য কোনো একটা প্রাণী এখানে এসেছে।

অন্য কোনো প্রাণী?

হ্যাঁ। একজন ট্রাক ড্রাইভার দেখেছে পানিতে ডুবে থাকা একটা যন্ত্র থেকে একটা প্রাণী বের হয়ে এসেছে।

মোজাম্মেল হক অবাক হয়ে নিশীতার দিকে তাকিয়ে রইলেন, মনে হল নিশীতা কী বলছে তিনি ঠিক বুঝতে পারছেন না। নিশীতার দুই পাশে বসে থাকা দুজন সাংবাদিকের দিকে তিনি একনজর তাকিয়ে আবার নিশীতার দিকে চোখ ফিরিয়ে আনলেন, বললেন, তুমি ঠিক কী বলতে চাইছ আমি বুঝতে পারছি না নিশীতা। ওখানে কী হয়েছে বলে তোমার ধারণা?

আমার ধারণা, মহাকাশ থেকে একটা স্পেসশিপ নেমে এসেছে। সেখান থেকে একটা মহাজাগতিক প্রাণী বের হয়ে এসে কালা জব্বারকে খুন করে কব্জি কাটা দবিরকে ধরে নিয়ে গেছে।

নিশীতার দুই পাশে বসে থাকা দুজন এতক্ষণ বেশ কষ্ট করে হাসি চেপে রাখার চেষ্টা করছিল, এবারে আর পারল না, হঠাৎ শব্দ করে হেসে উঠল। বোরহান হাসতে হাসতে বলল, মোজাম্মেল ভাই, চিন্তা করতে পারেন আমাদের দৈনিক বাংলাদেশ পরিক্রমায় বড়। বড় হেডলাইন, মহাজাগতিক প্রাণী কর্তৃক কব্জি কাটা জব্বার অপহরণ!

শ্যামল হাত নেড়ে বলল, সবচেয়ে ভালো হয় পত্রিকাটি হাফ সাইজ করে ট্যাবলয়েড তৈরি করে ফেললে। তা হলে মহাজাগতিক প্রাণীর ইন্টারভিউ পর্যন্ত ছাপতে পারব। সম্পাদকীয় বের হবে, মহাজাগতিক প্রেম : বাংলাদেশের নতুন স্বপ্ন।

নিশীতা মুখ শক্ত করে বলল, ঠাট্টা করবেন না শ্যামল দা। আপনি যখন বিদেশে টিকটিকি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন আমি তখন সেটা নিয়ে ঠাট্টা করি নি।

শ্যামল গলার স্বর উঁচু করে বলল, আমি টিকটিকি রপ্তানি করার কথা বলি নি–-দুষ্প্রাপ্য সরীসৃপের কথা বলেছিলাম।

একই কথা। যেটা এখানে টিকটিকি সেটা অন্য জায়গায় দুষ্প্রাপ্য সরীসৃপ। উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দেখে মোজাম্মেল হক হাত তুলে দুজনকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, ব্যস, অনেক হয়েছে।

নিশীতা বলল, তা হলে কী দাঁড়াল ব্যাপারটা? আমি কি এই এ্যাসাইনমেন্টটা পেতে পারি?

মোজাম্মেল হক খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, দেখ নিশীতা, সাংবাদিকতা ব্যাপারটা অনেকটা কোর্টে বিচার করার মত। তুমি যদি মনে কর একটা মানুষ অপরাধী, সেটা কিন্তু যথেষ্ট নয়। তোমাকে প্রমাণ করতে হবে মানুষটা অপরাধী। এখানেও তাই তুমি যদি মনে কর মহাকাশ থেকে মহাজাগতিক প্রাণী চলে এসেছে, সেটা যথেষ্ট নয়, তোমাকে দেখাতে হবে। ঘটনাটি যত বিচিত্র হবে তোমার দায়িত্ব তত কঠিন। শ্যামল ঠিকই বলেছ। আমরা ট্যাবলয়েড বের করি না!

মোজাম্মেল ভাই– নিশীতা বাধা দিয়ে বলল, আমি কখনোই বলি নি পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্য আমি উদ্ভট খবর ছাপাব। এই ঘটনার মাঝে সায়েন্টিফিক রহস্য আছে সেটা আপনারা ধরতে পারছেন না। আমি ধরতে পারছি কারণ আমি বিজ্ঞানের ছাত্রী, ফিজিক্সে মাস্টার্স করেছি–তারপর সাংবাদিকতায় এসেছি।

বোরহান টিপ্পনী কাটল, সেটাই তোমার সমস্যা। যদি জার্নালিজমের ছাত্রী হতে তা হলে তুমি সাংবাদিকতা করতে, সব জায়গায় সায়েন্স ফিকশান খুঁজে বেড়াতে না।

মোজাম্মেল হক মাথা নাড়লেন, বললেন, হ্যাঁ। তুমি যদি রিপোর্ট কর স্টক মার্কেট ইনডেক্স দুই পয়েন্ট বেড়েছে কেউ দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করে না। কিন্তু তুমি যদি রিপোর্ট করতে চাও একটা কুকুরছানা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে পারে তা হলে সেটা সত্যি হলেও কেউ সেটা বিশ্বাস করবে না। তোমাকে জোর করে সবাইকে বিশ্বাস করাতে হবে।

নিশীতা ক্ষুব্ধ গলায় বলল, আমি কখনো বলি নি কুকুরছানা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে পারে।

শ্যামল বলল, মহাজাগতিক প্রাণী কব্জি কাটা দবিরকে তুলে নিয়ে গিয়েছে আর কুকুরছানা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইছে–এই দুটোর মাঝে খুব একটা পার্থক্য নেই।

মোজাম্মেল হক মাথা নাড়লেন, বললেন, শ্যামল ঠিকই বলেছে। খুব বেশি পার্থক্য নেই। তবুও তুমি যদি মহাজাগতিক প্রাণীর খোঁজাখুঁজি করতে চাও আমার কোনো আপত্তি নেই, তবে দুটো শর্ত রয়েছে।

নিশীতার রাগে–দুঃখে–অপমানে প্রায় চোখে পানি চলে আসছিল, খুব কষ্ট করে মুখ স্বাভাবিক রেখে বলল, কী শর্ত?।

প্রথম শর্ত হচ্ছে ব্যাপারটা জানাজানি হতে পারবে না। যদি অন্যেরা জেনে যায় আমাদের সাংবাদিকদের আমরা আরিচাঘাটে মহাজাগতিক প্রাণী খুঁজতে পাঠাচ্ছি সেটা আমাদের জন্য সম্মানজনক হবে না। দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে তোমার রেগুলার এ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে তারপর এই হাইস্টেক এ্যাসাইনমেন্টে যাবে।

সূক্ষ্ম অপমানে নিশীতার গাল লাল হয়ে উঠল, কষ্ট করে গলার স্বর স্বাভাবিক রেখে বলল, ঠিক আছে।

ভেরি গুড। তা হলে তুমি যাও মহিলা পরিষদের আজ একটা বিক্ষোভ মিছিল আছে। সেটা কাভার কর। পতিতা পুনর্বাসনের সরকারি প্রোগ্রামের ওপর আমি একটা ক্রিটিক চাই।

বেশ। নিশীতা উঠে দাঁড়াল। দৈনিক বাংলাদেশ পরিক্রমার সম্পাদক মোজাম্মেল হকের ঘর থেকে বের হবার সাথে সাথে ভিতরে যে একটা হাসির রোল শুরু হয়ে গেছে ঘর থেকে বের হয়েও সেটা বুঝতে নিশীতার কোনো অসুবিধে হল না। নিশীতার ভিতরে হঠাৎ কেমন জানি একটা জেদ এসে যায়–কে কী বলছে তাতে তার আর কিছুই আসে-যায় না। সে যেভাবেই হোক সত্যটা বের করেই ছাড়বে।