০২. অমল সোম এই প্রথমবার

অমল সোম এই প্রথমবার অর্জুনের বাড়িতে রাত্রিবাস করলেন। অর্জুনের খুব ভাল লাগছিল। খাওয়াদাওয়ার পর অমল সোম বললেন, তুমি ইচ্ছে হলে শুয়ে পড়তে পারো। আমি একটু জেগে থাকব!

আপনি কি দেরি করে ঘুমোন?

হ্যাঁ। একটা থেকে পাঁচটা।

অসুবিধে হয় না?

সবকিছু অভ্যেসের ওপর নির্ভর করে। শেষ পর্যন্ত অর্জুন প্রশ্নটা করে ফেলল, অমলদা, আপনি এই জীবন যাপন করছেন কেন? আপনার কি স্বাভাবিক জীবন সম্পর্কে কোনও আগ্রহ নেই?

স্বাভাবিক জীবন বলতে কি ধরাবাঁধা সাংসারিক জীবন বোঝাচ্ছ?

হ্যাঁ, ব্যাপারটা সেরকমই দাঁড়িয়ে যায়।

অনেককাল তো সে-জীবন যাপন করেছি। তাই স্বাদ বদলালাম।

এখন আপনি কোথায় থাকেন?

যখন যেখানে ভাল লাগে। কখনও যোশীমঠের কাছে এক আশ্রমে, কখনও হৃষীকেশো আসল নকল সাধুদের সঙ্গ বেশ উপভোগ করি। তবে কিছু উপকারও হয়েছে। এখন আমি মনঃসংযোগ করতে পারি।

আগে পারতেন না?

আমি সেই মনঃসংযোগের কথা বলছি, যা শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমার ক্ষমতা অবশ্য খুবই সামান্য। কিন্তু হিমালয়ে অনেক সাধু আছেন যাঁদের ক্ষমতা দেখলে বিজ্ঞান বিচলিত হয়ে যাবে। অমল সোম হাসলেন, এবার শুয়ে পড়ো। যাওয়ার সময় দরজাটা ভেজিয়ে দিয়ে যাও।

 

সকালবেলায় ওরা হাঁটতে হাঁটতে চলে এল হাকিমপাড়ায়। অমল সোমকে প্রায়ই থামতে হচ্ছিল, কারণ পথচারীদের কেউ কেউ তাঁকে দেখে অবাক হয়ে নানান প্রশ্ন করছিলেন।

বাড়ির সামনে পৌঁছে অমল সোম বললেন, হাবু তোমার সঙ্গে দেখছি নিয়মিত দেখা করে। এরকম মানুষ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু ভাবছি এবার বাড়িটাকে বিক্রি করে দেব। আমার পরে তো এখানে কেউ বাস করার নেই। ওই হাবুটার জন্যে যদি একটা আশ্ৰমটাশ্রমের ব্যবস্থা করতে পারি!

আপনার কেন মনে হচ্ছে হাবু আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে?

বাগানটা এখনও আগের মতো পরিষ্কার। হাবু যত্ন করছে। শুধু যত্নে তো হয়। টাকা দরকার। তোমার কাছে গেলে তুমি ওকে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে দেবে। অর্থাৎ সেটা সে করছে।

গেট খুলে ভেতরে ঢুকে অমল সোম বেশ জোরেই ডাকলেন, হাবু। কিন্তু কোনও সাজ এল না। অথচ অমল সোমের বাইরের দরজা খোলা। ওরা বারান্দায় উঠতেই অমল সোম দ্বিতীয়বার ডাকলেন। এবারও সাড়া নেই। ভেতরে ঢুকে অর্জুন বুঝতে পারল প্রলয় হয়ে গিয়েছে। জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড, চেয়ার ভেঙেছে, টেবিলের জিনিসগুলোর ওপর অত্যাচার হয়েছে।

অমল সোম দ্রুত ভেতরের বারান্দায় এলেন। উঠোনের ওপাশের তিনটে ঘরের একটায় হাবু থাকে। সেখানে হাবুকে পাওয়া গেল। তার হাত-পা বাঁধা, মুখে গলায় প্রহারের চিহ্ন স্পষ্ট। অমল সোমকে দেখামাত্রই হাবুর দুচোখ থেকে জল বেরিয়ে এল। দ্রুত ওকে বাঁধনমুক্ত করতেই হাবু অমল সোমের পায়ের ওপর পড়ে গিয়ে অদ্ভুত স্বরে কাঁদতে লাগল। অমল সোম ওকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। মাথায় গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে বললেন, অর্জুন দ্যাখো তো, আমার ফাস্ট

এইডের বাক্সটা এখনও আছে কিনা।

সেটাকে খুঁজে পেয়ে নিয়ে এল অর্জুন। অনেক চেষ্টায় হাবুকে শান্ত করে ওষুধ লাগালেন অমল সোম। তারপর অদ্ভুত দৃশ্যটি দেখল অর্জুন। হাবু কথা বলতে পারে না এবং কানে শোনে না। কিন্তু তার চোখমুখ চমৎকার কথা বলে। হাবু হাত নেড়ে চোখ ঘুরিয়ে মুখ বেঁকিয়ে কথা বলে যাচ্ছে আর তার সঙ্গে সমানে একই ভঙ্গি করছেন অমল সোম। মিনিট চারেক ধরে এই নির্বাক দৃশ্যটি দেখে গেল অর্জুন। হাবুর ইশারার সঙ্গে অর্জুন পরিচিত। সেটা ও যখন ধীরে ধীরে করে তখন বুঝতে অসুবিধে তেমন হয় না। কিন্তু এখন হাবু যে দ্রুততায় তার বক্তব্য জানাচ্ছে তা অর্জুনের কাছে অস্পষ্ট।

অমল সোম উঠে দাঁড়ালেন, দোষ আমারই।

কেন? অর্জুন জিজ্ঞেস করল।

আমি ভেবেছিলাম ও অথবা ওরা আজ সকালে এখানে আসবে। এই বোকামি আমি করে ফেলেছি।

তার মানে? কাজটা বিশ্বনাথের?

হ্যাঁ। ওরা এসেছিল ভোর রাতে। ছজন। আমাকে বাড়িতে না পেয়ে খুব হতাশ হয়ে হাবুর ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। হাবু যে কথা বলতে পারে না এটা সম্ভবত বুঝতে পারেনি। অমল সোমকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল।

ভাগ্যিস আপনি গতরাতে আমাদের বাড়িতে ছিলেন?

সেটা হাবুর দুর্ভাগ্য। আমি থাকলে ওকে কষ্ট সহ্য করতে হত না। কিন্তু আমি ভাবছি ওই ভোরে ওরা আমার বাড়ি খুঁজে বের করল কী করে? তখন জিজ্ঞেস করার মতো মানুষ তো রাস্তায় থাকে না।

মর্নিংওয়াকে যারা বের হয় তারাই বলে দিয়েছে বাড়ির হদিস। আমার মনে হয় এবার থানায় খবর দেওয়া উচিত।

হ্যাঁ। অবশ্যই। তুমিই কাজগুলো করো।

থানায় চলে এল অর্জুন। নতুন দারোগাবাবু সুদর্শন ব্যানার্জি মাস চারেক হল জয়েন করেছেন। ইতিমধ্যেই অর্জুনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়ে গেছে। ভদ্রলোককে দেখলে অধ্যাপক বলে মনে হয়, পুলিশের ছাপ ওঁর মুখে নেই।

আসুন অর্জুনবাবু। সুপ্রভাত। সুদর্শন তাঁর চেয়ারে বসে ছিলেন।

নমস্কার। কিন্তু আজকের সকালটা আমাদের কাছে শুভ নয়।

সে কী! বসুন।

অর্জুন সংক্ষেপে গত সন্ধ্যা থেকে যা যা ঘটেছিল তা বলে গেল। অমল সোম কে এবং অর্জুনের জীবনে তাঁর কী ভূমিকা সে ব্যাপারে সুদর্শন আগেই জানতেন। পুরোটা শোনার পর কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, একটা ব্যাপারে আমার খটকা লাগছে। মিস্টার সোম যখন বুঝতেই পারলেন বিশ্বনাথ ট্রেন ডাকাতি করেছে তখন কাল রাত্রেই পুলিশকে জানালেন না কেন?

উনি প্রথমে বলেছিলেন ওঁর ধারণা ঠিক কিনা যাচাই করতে চান। পরে নিঃসন্দেহ হওয়ার পর বললেন, পুলিশ ছেলেটাকে অ্যারেস্ট করতে পারে ঠিকই কিন্তু প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। বিশ্বনাথ যে ট্রেন ডাকাতি করেছে সেকথা প্রমাণের জন্যে পুলিশ কাউকে সাক্ষী হিসেবে পাবে না।

কেন? উনি তো ছিলেন?

ওঁর একার সাক্ষী যথেষ্ট নয় বলে ওঁর ধারণা।

কিন্তু পুলিশকে জানালে ওঁর বাড়িতে হামলা করতে পারত না ওরা। আচ্ছা, আর-একটা কথা, মিস্টার সোম কি কখনও আপনাদের বাড়িতে রাত্রে থেকেছেন?

না। ওঁর বাড়িতে অত রাতে খাওয়ার অসুবিধে হবে বলে আমি ওঁকে অনুরোধ করলে উনি শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যান।

এই রাজি হয়ে যাওয়াটা ওঁর অতীতের আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে একটু অস্বাভাবিক বলে মনে হয়নি আপনার? সুদর্শন জিজ্ঞেস করলেন।

আপনি কী বলতে চাইছেন?

আমার মনে হচ্ছে মিস্টার সোম জানতেন তাঁর বাড়িতে হামলা হবে।

হ্যাঁ। যদি বিশ্বনাথ একা না আসে তা হলে দলবল নিয়ে আসবে এটা ওঁর অনুমানে ছিল। কিন্তু সেটা রাত্রেই নয়, আজ দিনের বেলায় বলে ভেবেছিলেন উনি। অর্জুন একটু বিরক্ত হল।

সুদর্শন নিজেই ডায়েরিতে সব লিখে নিলেন। তারপর বললেন, চলুন, এই সুযোগে মিস্টার সোমের সঙ্গে কথা বলে আসি।

অর্জুন আপত্তি করল না, যদি ভদ্রলোক সাধারণ গল্প করতেও যান তা হলে এটা ওঁর তদন্তের মধ্যেই পড়বে। যদিও অমল সোম সেটা পছন্দ করবেন না।

 

মিনিট দশেক কথাবার্তার পর সুদর্শন অমল সোমকে প্রস্তাব দিলেন, মণ্ডলপাড়া যদিও জলপাইগুড়ি সদর থানার জুরিসডিকশনে নয় তবু এস পি সাহেবকে বলে আমি অনুমতি আনিয়ে নিতে পারি। আপনি কি আমাদের সঙ্গে সেখানে যাবেন?

অমল সোম নির্লিপ্ত গলায় জিজ্ঞেস করলেন, কেন?

প্রথমে এই বিশ্বনাথকে অ্যারেস্ট করব, তারপর ওর দলটাকে।

কী কারণে?

সে কী? প্রথম কথা, ওরা ট্রেনডাকাত; দ্বিতীয়ত, আপনার বাড়িতে এসে ভাঙচুর করেছে, আপনার কাজের লোককে মেরেছে।

ওরা যে ট্রেনডাকাত তার প্রমাণ কোথায়?

কিছু মনে করবেন না, আমি পুরনো পুলিশদের মতো অত্যাচারে বিশ্বাসী নই। কিন্তু তেমন হলে দেখেছি মারধোর করলে কাজ দেয়। পিঠে পড়লে বিশ্বনাথ পেটে কথা চেপে রাখতে পারবে না। আর ও যে এ বাড়িতে এসে হামলা করেছে। তা আপনার কাজের লোকই বলতে পারবে।

আপনি ভুলে যাচ্ছেন, হাবু কথা বলতে পারে না।

ঠিক আছে, দেখে তো চিনতে পারবে। ও আইডেন্টিফাই করলেই হয়ে যাবে।

সেটাও ওর পক্ষে করা অসম্ভব!

কেন? সুদর্শন অবাক হয়ে গেলেন। কারণ ওরা সবাই মুখে কালো কাপড় বেঁধে এসেছিল। হাবু ওদের মুখ দেখতে পায়নি। অমল সোম চোখ বন্ধ করলেন।

ও। মিস্টার সোম, আপনি অভিজ্ঞ মানুষ। কিন্তু কিছু মনে করবেন না, আপনার কথাবার্তায় আমি কোনও উৎসাহ পাচ্ছি না। দলটাকে ধরার কোনও চেষ্টাই আপনি করছেন না। সুদর্শন বলতে বাধ্য হলেন।

আমি আইনরক্ষক নই যে, কাউকে ধরার ক্ষমতা পাব। আপনি আমাকে সঙ্গে যেতে বলেছিলেন বলে আমি আমার ধারণা আপনাকে জানিয়েছিলাম। আপনার থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। আইনরক্ষক হিসেবে আপনি যা ভাল হয় তাই করুন। ওরা যা করছে তার জন্যে কড়া শাস্তি হওয়া দরকার। দেখবেন সেটা যেন হয়। আইনের ফাঁক গলে অল্পদিনের মধ্যে বেরিয়ে এলে ওরা আরও ডেসপারেট হয়ে যাবে। তাতে সাধারণ মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এর পর সুদর্শন বিদায় নিলেন। অর্জুন যখন তাঁকে গেটের বাইরে রাখা জিপের কাছে এগিয়ে দিল তখন তিনি নিচুগলায় বললেন, এত নিরুত্তাপ মানুষ আমি কখনও দেখিনি। বরফের চেয়ে ঠাণ্ডা।

অর্জুনেরও অনেকটা সেইরকম মনে হচ্ছিল। এবার যেন অমল সোম একদম বদলে গিয়েছেন। ওঁর কথাবার্তা, অ্যাটিচুডের সঙ্গে আগের অমল সোমের কোনও মিল নেই। সে ফিরে এসে দেখল অমল সোম আবার চোখ বন্ধ করে বসে আছেন। তাঁর হাতের আঙুলগুলো শুধু নড়ছে।

এই সময় হাবু চা নিয়ে এল। তিনকাপ চা, অর্থাৎ দারোগাবাবু যে চলে গেছেন সেটা সে বুঝতে পারেনি। আগে হাবুর এরকম ভুল কখনও হত না। এখন চুল পেকেছে, একটু থপথপে হয়েছে। যে হাবুর শরীরে হাতির শক্তি ছিল সে পড়ে পড়ে মার খেয়েছে ভাবতে অসুবিধে হয়।

অমল সোম চুপচাপ চা খেলেন। হাবু দাঁড়িয়ে ছিল একটু দূরে। তাকে জিজ্ঞেস করলেন, দুপুরে খাব কী? বাজার আছে?

হাবু শুনতে পায় না কিন্তু অমল সোমের ঠোঁট নাড়া দেখে বুঝতে পারে। আঙুল নেড়ে জিজ্ঞেস করল, কী খাবেন তিনি?

পেঁপে সেদ্ধ, মাঝারি সাইজের, শসা আর দুধ।

হাবু ঘাড় নেড়ে চলে যেতে অর্জুন জিজ্ঞেস করল, আপনি কি ওখানে এই খান?

হ্যাঁ। রাতে রুটি আর সবজি, যদি পাওয়া যায়। গত রাতে তোমার বাড়িতে অনেকদিন পরে অনিয়ম করেছি। পেঁপেটা নিয়মিত খাওয়া উচিত; ওর অনেক গুণ।

অমল সোম এমনভাবে কথা বলছিলেন যে, বিশ্বনাথ-সংক্রান্ত সমস্যার কথা তিনি যেন ভুলে গেছেন। সে বলল, বিশ্বনাথের ব্যাপারটা কী করব? হাবুকে মেরে গেল ওরা, ছেড়ে দেবেন?

অমল সোম উঠলেন। ব্যাগ থেকে কিছু জিনিস বের করে টেবিলে রাখতে রাখতে বললেন, পুলিশ তো জেনে গেল। ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব ওদের। আমি তো মণ্ডলপাড়ায় গিয়ে বদলা নিতে পারি না। সেটা তো আইনসম্মত নয়।

কিন্তু ওকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া–।

তুলে দেব? কেন? পুলিশ কি ঠুঁটো জগন্নাথ। অন্য কেউ তাদের হয়ে কাজ করে দিলে তারা কাজটা করতে পারে না? কথা বলতে বলতে অমল সোম জামা খুললেন। গত রাতে ওঁকে খোলা গাঁয়ে দেখেনি অর্জুন। আজ দেখে অবাক হল। অমল সোমের গলায় দুটো মালা, একটা পাথরের, অন্যটা সম্ভবত রুদ্রাক্ষ। এর আগে কখনও মানুষটাকে ওসব পরতে দেখেনি সে। তাই জিজ্ঞেস না করে পারল না, মালাগুলো কেন পরেছেন?

এগুলো শরীর এবং মনের খুব উপকার করে। গলা থেকে রুদ্রাক্ষের মালাটা খুলে এগিয়ে ধরলেন, এগুলো একমুখী রুদ্রাক্ষ। সচরাচর পাওয়া যায় না। আবার যা পাওয়া যায় তার সঙ্গে এর বেশ পার্থক্য আছে। তুমি কোথাও এই জিনিস কিনতে পারবে না। অলকানন্দার জলে স্নান করতে গিয়ে এটাকে পেয়েছিলাম। অনেক সাধু এটাকে চেয়েছিলেন। আর চেয়েছিলেন বলেই আমি দিইনি। যাঁরা সাধু তাঁরা কেন চাইবেন? তাঁদের তো সব দিয়ে দেওয়ার কথা। তুমি ইচ্ছে করলে পরতে পারো। অমল সোম বললেন।

আমি পরে কী করব? অর্জুন মৃদু আপত্তি জানাল।

নাথিং। জাস্ট ফিল দ্য ডিফারেন্স। অর্জুনের হাতে মালাটা দিয়ে অমল সোম বললেন, স্নানটান করে পরো, আর স্কিনের সঙ্গে যেন লেগে থাকে।

রুদ্রাক্ষের মালাটাকে পকেটে ঢোকাল অর্জুন। এখন অমল সোম স্নান সেরে পুজোয় বসবেন। সেটা চলবে অনেকটা সময় ধরে। অতএব এখানে অপেক্ষা করার কোনও মানে হয় না।