নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
For it is He Who heareth and knoweth all things.
إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
Innahu huwa alssameeAAu alAAaleemu
YUSUFALI: For it is He Who heareth and knoweth all things.
PICKTHAL: Lo! He, only He, is the Hearer, the Knower.
SHAKIR: Surely He is the Hearing, the Knowing.
KHALIFA: He is the Hearer, the Omniscient.
২২০। তিনিই তো সব কিছু শোনেন এবং জানেন।
২২১। [ হে মানব সম্প্রদায় ! ] আমি কি তোমাদের জানাবো কার নিকট শয়তানেরা অবতীর্ণ হয় ? ৩২৩৬
৩২৩৬। এই আয়াতটির ব্যাখ্যা করা হয়েছে রসুলের [ সা ] জীবনের প্রেক্ষিতে , যার একটি সাধারণ অর্থও বিদ্যমান যা সকল যুগের জন্য প্রযোজ্য। ইসলাম প্রচারের সময়ে অবিশ্বাসীরা বিদ্বেষবশে রসুলের চরিত্রে কালিমা লেপনের প্রয়াস পেতো। তারা বলতো রসুল [সা] যাদুগ্রস্থ ও অশুভ শক্তিদ্বারা প্রভাবিত [ দেখুন ২৬ : ২১০ আয়াত ]। এ কথার উত্তর অবশ্য পূর্বেই দেয়া হয়েছে। এই আয়াতে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে এসব অপপ্রচারের উৎসের প্রতি। বলা হয়েছে এসব মিথ্যা অপপ্রচারের মূল উৎস হচ্ছে শয়তানের প্ররোচনা। এসব মিথ্যা অপপ্রচারের পিছনে থাকে শয়তানী , অর্ধসত্য, এবং বিকৃত অপপ্রচার যেনো সাধারণ লোক আল্লাহ্র প্রকৃত রূপকে অনুধাবন করতে না পারে। অর্থাৎ প্রতিটি মিথ্যা অপপ্রচারের মূল হচ্ছে শয়তানের কাজ। এ কথাকেই নবীর জীবনের উদাহরণের মাধ্যমে আমাদের জন্য সর্বকাল ও সর্বযুগের জন্য চিরস্থায়ী হেদায়েত করা হয়েছে। মিথ্যা হচ্ছে সকল পাপের উৎস। তাই মিথ্যাকে এই আয়াতে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ মিথ্যার সাথে জড়িত থাকে দুর্নীতি ; যা শয়তানের প্রকৃতি। অপরপক্ষে , সত্যের সাথে জড়িত হচ্ছে সততা, বিশ্বস্ততা, ন্যায়পরায়ণতা, ইত্যাদি।
উপদেশ : জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিথ্যাকে পরিহার করতে হবে।