পয়গাম্বর বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি ন্যায়ানুগ ফয়সালা করে দিন। আমাদের পালনকর্তা তো দয়াময়, তোমরা যা বলছ, সে বিষয়ে আমরা তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।
He (Muhammad SAW) said:”My Lord! Judge You in truth! Our Lord is the Most Beneficent, Whose Help is to be sought against that which you attribute (unto Allâh that He has offspring, and unto Muhammad SAW that he is a sorcerer, and unto the Qur’ân that it is poetry, etc.)!”
قَالَ رَبِّ احْكُم بِالْحَقِّ وَرَبُّنَا الرَّحْمَنُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ
Qala rabbi ohkum bialhaqqi warabbuna alrrahmanu almustaAAanu AAala ma tasifoona
YUSUFALI: Say: “O my Lord! judge Thou in truth!” “Our Lord Most Gracious is the One Whose assistance should be sought against the blasphemies ye utter!” PICKTHAL: He saith: My Lord! Judge Thou with truth. Our Lord is the Beneficent, Whose help is to be implored against that which ye ascribe (unto Him).
SHAKIR: He said: O my Lord! judge Thou with truth; and our Lord is the Beneficent Allah, Whose help is sought against what you ascribe (to Him).
KHALIFA: Say, “My Lord, Your judgment is the absolute justice. Our Lord is the Most Gracious; only His help is sought in the face of your claims.”
১১২। বল, ২৭৬৭, ” হে আমার প্রভু ! তুমি ন্যায়ের সাথে ফয়সালা করে দিও ” ২৭৬৮। ” আমাদের প্রভু পরম করুণাময়, তোমরা আল্লাহর প্রতি যে বিদ্রোহ বাক্য উচ্চারণ করছো তার বিরুদ্ধে আমরা তাহারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি।” ২৭৬৯।
২৭৬৭। দেখুন টিকা ২৬৬৬ এবং আয়াত [ ২১ : ৪ ]। ইউসুফ আলী সাহেবের মতে অনুবাদ হওয়া উচিত “বল” – যার দ্বারা রসুলের [ সা ] প্রতি আল্লাহ্র আদেশকে বোঝায়। আয়াত [ ২১ : ১০৯ – ১১২ ] গুলির মাধ্যমে আল্লাহ্ রাসুলকে [ সা ] তিনটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হতে আদেশ দিয়েছেন। ১) আয়াত [ ২১ : ১০৯ – ১১১ ] গুলিতে যারা আল্লাহ্র হেদায়েত থেকে বিমুখ তাদের সম্বোধন করা হয়েছে। ২) [২১ :১১২ ] আয়াতের প্রথমার্ধে ” হে আমার প্রতিপালক ! তুমি ন্যায় বিচার করো ” আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা জ্ঞাপন করা হয়েছে। এবং ৩) [ ২১ : ১১২ ] আয়াতের শেষার্ধে ” আমাদের প্রভু পরম করুণাময়, তোমরা আল্লাহর প্রতি যে বিদ্রোহ বাক্য উচ্চারণ করছো তার বিরুদ্ধে আমরা তাহারই সাহায্য প্রার্থনা করি।” বিশ্বাসীদের জন্য পরোক্ষভাবে উপদেশ প্রদান করা হয়েছে।
২৭৬৮। ” ন্যায়ের সহিত ফয়সালা করে দিও ” এই বাক্যটি দ্বারা বিভিন্ন ভাবকে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ্র ফয়সালা কামনা করেছেন তাঁর প্রেরিত দূত ও অবিশ্বাসীদের মধ্যে অথবা মোমেন বান্দা ও তাদের যারা উপহাস করতো নিম্ন অবস্থার জন্য তাদের মধ্যে। আর এই ফয়সালা একদিন হবেই – এ অবধারিত সত্য। এবং আল্লাহ্র বাণীর প্রচারক ও মোমেন বান্দারা অবশ্যই এ ব্যাপারে শুধুমাত্র আল্লাহ্র উপরেই নির্ভর করবে।
২৭৬৯। আল্লাহ্র নিন্দা এক মহাপাপ। আমরা সর্বদা আমাদের নিজেদের এই মহাপাপ থেকে বিরত রাখবো। শুধু নিবৃত রাখা নয় সদা সর্বদা নিজেদের সর্তকাবস্থায় রাখবো যেনো এ পাপ আমাদের স্পর্শ না করে। কিন্তু অন্যকে যদি আমরা এ পাপ থেকে বিরত রাখতে না পারি তখন আমাদের যে কর্তব্য তারই ইঙ্গিত এখানে দেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা সেই সর্বশক্তিমানের ক্ষমতার উপরে নির্ভর করবো। কখনও জিঘাংসা বৃত্তির আশ্রয় গ্রহণ করবো না। “তোমরা আল্লাহর প্রতি যে বিদ্রোহ বাক্য ………….. ” অর্থাৎ তিনিই একমাত্র আশ্রয়স্থল।
মন্তব্য : আজকে বাংলাদেশে ধর্মের নামে যে হানাহানি চলছে তার সমাধান আছে এই আয়াতে।