তারা সকলেই তোমাদের ধর্মের; একই ধর্মে তো বিশ্বাসী সবাই এবং আমিই তোমাদের পালনকর্তা, অতএব আমার বন্দেগী কর।
Truly! This, your Ummah [Sharia or religion (Islâmic Monotheism)] is one religion, and I am your Lord, therefore worship Me (Alone). [Tafsîr Ibn Kathîr]
إِنَّ هَذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ
Inna hathihi ommatukum ommatan wahidatan waana rabbukum faoAAbudooni
YUSUFALI: Verily, this brotherhood of yours is a single brotherhood, and I am your Lord and Cherisher: therefore serve Me (and no other).
PICKTHAL: Lo! this, your religion, is one religion, and I am your Lord, so worship Me.
SHAKIR: Surely this Islam is your religion, one religion (only), and I am your Lord, therefore serve Me.
KHALIFA: Your congregation is but one congregation, and I alone am your Lord; you shall worship Me alone.
৯২। অবশ্যই তোমাদের এই উম্মত হচ্ছে একই উম্মত ২৭৪৯। এবং আমি তোমাদের প্রভু ও প্রতিপালক। সুতারাং আমার আনুগত্য কর [অন্য কারও নয় ]।
২৭৪৯। “Ummat ” এই শব্দটি ‘জাতি’ শব্দটির দ্বারা অনুবাদ করা যায়। ‘সম্প্রদায় ‘ ‘শ্রেণী’ বা ‘বংশ ‘ , “জাতি” ইত্যাদি শব্দগুলিও উম্মত শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়। আবার ‘উম্মত’ শব্দটির থেকে যে ভাবধারা প্রয়োগ হতে পারে তা হচ্ছে , “একই ধর্ম বিশিষ্ট ” বা “জীবনধারা বিশিষ্ট “যার প্রয়োগ অন্যান্য স্থানে করা হয়েছে ; কিন্তু এ আয়াতে তা প্রযোজ্য নয়। এই আয়াতে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির প্রতি। বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনধারার অধিকারী। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে জাতির বা সম্প্রদায়ের জীবনে তাদের জীবনধারা ও সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটে। কারণ এগুলি কোনটাই স্থায়ী নয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কারের ফলে মানুষের জীবনধারা আমূল পাল্টে যায়। ফলে জাতির শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি সবই হয়ে পরে পরিবর্তনশীল। পৃথিবীতে স্থান ও কালের দূরত্বের জন্য , সময়ের ব্যবধানের জন্য , ভাষার পার্থক্যের জন্য, পরিবেশ ও প্রকৃতির বিভিন্নতার কারণে, মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে ভাষাগত , সংস্কৃতিগত পার্থক্যের উদ্ভব ঘটে। কিন্তু যারা আল্লাহ্র সেবায় নিয়োজিত, যাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন ও সান্নিধ্য লাভের কামনা , তারা পৃথিবীর যেখানেই বাস করুন না কেন, যে পরিবেশেই থাকুন না কেন তারা “একই জাতি” বা সম্প্রদায়। কারণ দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে যে পার্থক্য তা মানুষের রচনা। যে মুহুর্তে যে কোন ব্যক্তি আল্লাহ্র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জীবনকে নিয়োজিত করে সে বৃহত্তর উম্মত বা সম্প্রদায়ের তালিকাভূক্ত হয়ে যায়। সে নারীই হোক বা পুরুষই হোক সে বিশ্বমানবতার জন্য উৎসর্গীকৃত এক সম্মানজনক সম্প্রদায়ের সদস্যভূক্ত হয়ে যায়। যারা শুধুমাত্র এক আল্লাহ্র এবাদত করে ও তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাঁর সেবা বা তাঁর সৃষ্টির সেবায় আত্ম নিয়োগ করে। এ ভাবেই তারা একই জাতি বা ধর্ম বিশিষ্ট। এভাবেই ইসলাম বিশ্ব মানবতার অগ্রপথিক।