অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।
So We answered his call, and delivered him from the distress. And thus We do deliver the believers (who believe in the Oneness of Allâh, abstain from evil and work righteousness).
فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذَلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ
Faistajabna lahu wanajjaynahu mina alghammi wakathalika nunjee almu/mineena
YUSUFALI: So We listened to him: and delivered him from distress: and thus do We deliver those who have faith.
PICKTHAL: Then we heard his prayer and saved him from the anguish. Thus we save believers.
SHAKIR: So We responded to him and delivered him from the grief and thus do We deliver the believers.
KHALIFA: We responded to him, and saved him from the crisis; we thus save the believers.
৮৮। সুতারাং আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুর্দ্দশা থেকে উদ্ধার করলাম। এভাবেই আমি তাদের উদ্ধার করি যাদের ঈমান আছে।
৮৯। এবং [স্মরণ কর ] জাকারিয়ার ২৭৪৫ কথা , যখন সে তাঁর প্রভুর নিকট কেঁদে বলেছিলো, ” হে আমার প্রভু! আমাকে নিঃসন্তান [ অবস্থায় ] ত্যাগ করো না, যদিও তুমিই সর্বশ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকারী ২৭৪৬। ”
২৭৪৫। ” আমাকে নিঃসন্তান অবস্থায় ত্যাগ করো না ” এ স্থলে দেখুন আয়াত [ ১৯ : ২ – ১৫ ] এবং [ ৩ : ৩৮ – ৪১]। জাকারিয়া একজন পুরোহিত ছিলেন। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই ছিলেন একান্ত অনুগত এবং কর্তব্য কর্মে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ও দৃঢ়। তাঁরা বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তাঁদের কোনও বংশধর ছিলো না। এ ব্যাপারে জাকারিয়া মানসিক দিক থেকে অত্যন্ত উদ্বেগ বোধ করছিলেন। উদ্বেগের কারণ এ নয় যে তিনি তাঁর বংশধর না রেখে এ ধরাধাম ত্যাগ করবেন, উদ্বেগের কারণ হচ্ছে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর অবর্তমানে তাঁর কর্মভার বহন করার লোকের বড় অভাব হবে। কারণ তিনি যদি কাউকে আল্লাহ্র কাজের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে না যান তবে আল্লাহ্র কাজের জন্য নিঃস্বার্থ ও বিশ্বস্ত লোক তাঁর মৃত্যুর পরে থাকবে না। আল্লাহ্ তাঁকে এক পুত্র সন্তান দান করেন। যার নাম রাখা হয়েছিলো ইয়াহিয়া [ John the Baptist ]। ইয়াহিয়া তাঁর বংশের আল্লাহ্র প্রতি একান্ত আনুগত্যের ধারাটি রক্ষা করেন। আল্লাহ্ তাঁকে বলেছেন, ” নেতা, জিতেন্দ্রীয় এবং পূণ্যবানদের মধ্যে একজন নবী ” [ ৩ : ৩৯]।
এভাবেই পিতা, মাতা এবং পুত্র প্রত্যেকেই ছিলো সৎকাজের যোগ্যতা সম্পন্ন , তারা সৎকাজে প্রতিযোগীতা করতো, পাপ থেকে দূরে থাকতো এবং আশা ও ভীতির সাথে আল্লাহ্র নিকট বিণীত থাকতো।
২৭৪৬। ” তুমিই সর্বশ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকারী ” আকাশ , পৃথিবী বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের মালিক একমাত্র আল্লাহ্। এই বিপুল বিশ্ব ভূবনের সৃষ্টি , রক্ষণাবেক্ষণ তাঁরই করুণা, তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিপালক ও মালিক। জাকারিয়া ছিলেন পূণ্যাত্মা। তিনি বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের এই সত্যকে অনুধাবন করেছিলেন খুব সহজেই যে, পৃথিবীর কিছুই স্থায়ী নয়। সুতারাং উত্তরাধিকারী বা বংশধারা যার জন্য মানুষ খুব ব্যগ্র থাকে তাও কিছু স্থায়ী নয়। তিনি উত্তরাধিকারী বা বংশধর রেখে যাওয়ার জন্য ব্যগ্র ছিলেন না। তাঁর আশঙ্কা ছিলো যে, হয়তো বা তাঁর মৃত্যুর পর আল্লাহ্র পথে আহ্বান করার জন্য অকৃত্রিম নিবেদিত প্রাণ আর কেউ থাকবে না। সেই কারণে তিনি এক পুত্র সন্তান কামনা করেন যাকে তিনি উপযুক্ত রূপে গড়ে তুলতে পারবেন।