এবং স্মরণ করুন আইয়্যুবের কথা, যখন তিনি তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করে বলেছিলেনঃ আমি দুঃখকষ্টে পতিত হয়েছি এবং আপনি দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান।
And (remember) Ayûb (Job), when he cried to his Lord: ”Verily, distress has seized me, and You are the Most Merciful of all those who show mercy.”
وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
Waayyooba ith nada rabbahu annee massaniya alddurru waanta arhamu alrrahimeena
YUSUFALI: And (remember) Job, when He cried to his Lord, “Truly distress has seized me, but Thou art the Most Merciful of those that are merciful.”
PICKTHAL: And Job, when he cried unto his Lord, (saying): Lo! adversity afflicteth me, and Thou art Most Merciful of all who show mercy.
SHAKIR: And Ayub, when he cried to his Lord, (saying): Harm has afflicted me, and Thou art the most Merciful of the merciful.
KHALIFA: And Job implored his Lord: “Adversity has befallen me, and, of all the merciful ones, You are the Most Merciful.”
৮৩। এবং [ স্মরণ কর ! ] , যখন আইউব তাঁর প্রভুর নিকট কেঁদে বলেছিলো, ” দুঃখ – দুর্দ্দশা আমাকে গ্রেফতার করে ফেলেছে ২৭৩৯। কিন্তু তুমি তো দয়ালুদের মধ্যেও সর্বশ্রেষ্ঠ। ”
২৭৩৯। আইউব নবী আরবের উত্তর পূর্ব প্রান্তের কোন এক জায়গায় থাকতেন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন সম্পদশালী। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁর উপরে বিপর্যয়ের ঝড় বয়ে যায়। তাঁর পশু সম্পদ বিনষ্ট হয়, ভৃত্যরা নিহত হয়, পরিবার পরিজন ধ্বসে পড়া বাড়ীর নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু বরণ করে। এত বিপর্যয়েও আইউব নবী তাঁর ধৈর্য্য হারান নাই, তিনি আল্লাহ্র প্রতি ছিলেন বিশ্বাসে অটল। তার বিপদ বিপর্যয় এখানেই শেষ হয় নাই। তাঁর সমস্ত শরীর পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুজ রক্ত পূর্ণ ক্ষততে ভরে যায়। ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনা অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত আইউব নবীর ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে। তিনি পৃথিবীতে তাঁর জন্মকেই অভিশপ্ত মনে করতে থাকেন। তার বন্ধু বলে আখ্যায়িত ব্যক্তিরা তাঁকে ত্যাগ করে চলে যায় এবং বলে যে এ সব তাঁর পাপের পরিণতি। তাঁর এ সব বন্ধুরা প্রকৃত পক্ষে বন্ধু ছিলো না। ফলে শেষ পর্যন্ত তিনি মানসিক ভারসাম্য হারান। কিন্ত শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রতি আল্লাহ্র করুণা হয় এবং তিনি তাঁর মনের ধৈর্য্য, সহিষ্ণুতা, বিনয় বিশ্বাসের দৃঢ়তা, এবং বিচার বুদ্ধি ফিরে পান। আল্লাহ্ তাকে সুস্থ করে তোলেন এবং তাঁর ধন সম্পদ ,মান – মর্যাদা , পরিবার – পরিজন সব ফিরিয়ে দেন এবং তা পূর্বাপেক্ষা দ্বিগুণ ভাবে ফিরিয়ে দেন। তাঁর বন্ধুবান্ধব আত্মীয় – স্বজনেরা আবার তাঁর নিকট ফিরে আসে। তিনি নূতন ভাবে পরিবারের সৃষ্টি করেন। এবারে তার সাত ছেলে ও তিন মেয়ে জন্ম লাভ করে। এরপর তিনি বহু বছর জীবিত ছিলেন। ওল্ড টেস্টামেন্টে হীব্রু ভাষাতে এসব কথা লেখা আছে। বাইবেলে হযরত আইউবের চরিত্রকে যেভাবে অংকন করা হয়েছে তার থেকে কোরানের এবং হাদীসের ভাষ্য ভিন্নতর। মুসলিম ধর্মগ্রন্থে তাঁকে চিত্রিত করা হয়েছে ধৈর্য্যের প্রতীক হিসেবে , সম্মানীয় নবী এবং সর্ব অবস্থায় আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীল এবং বিশ্বস্ত হিসেবে। বাইবেলে তাঁকে এভাবে চিত্রিত করা হয়েছে যে, তিনি বিপদ বিপর্যয়ের দ্বারা অধৈর্য্য হয়ে মনের ভারসাম্য হারান এবং নিজেকে অভিশপ্ত মনে করেন। একথা সত্যের অপলাপ ব্যতীত আর কিছু নয়। কারণ কোরাণ তাঁকে বর্ণনা করেছে বিপদ বিপর্যয়ের দ্বারা আল্লাহ্র পরীক্ষার মাঝে তিনি ছিলেন দৃঢ়তা ,সহিষ্ণুতার প্রতীক স্বরূপ। তিনি সবর করে যান, অবশেষে আল্লাহ্র রহমতে মুক্তি পান। সবরের মাধ্যমেই আল্লাহ্ তাঁর প্রিয় বান্দাদের কাছে টেনে নেন।