আমি কেয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি জুলুম হবে না। যদি কোন আমল সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্যে আমিই যথেষ্ট।
And We shall set up balances of justice on the Day of Resurrection, then none will be dealt with unjustly in anything. And if there be the weight of a mustard seed, We will bring it. And Sufficient are We as Reckoners.
وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِن كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا وَكَفَى بِنَا حَاسِبِينَ
WanadaAAu almawazeena alqista liyawmi alqiyamati fala tuthlamu nafsun shay-an wa-in kana mithqala habbatin min khardalin atayna biha wakafa bina hasibeena
YUSUFALI: We shall set up scales of justice for the Day of Judgment, so that not a soul will be dealt with unjustly in the least, and if there be (no more than) the weight of a mustard seed, We will bring it (to account): and enough are We to take account.
PICKTHAL: And We set a just balance for the Day of Resurrection so that no soul is wronged in aught. Though it be of the weight of a grain of mustard seed, We bring it. And We suffice for reckoners.
SHAKIR: And We will set up a just balance on the day of resurrection, so no soul shall be dealt with unjustly in the least; and though there be the weight of a grain of mustard seed, (yet) will We bring it, and sufficient are We to take account.
KHALIFA: We will establish the scales of justice on the Day of Resurrection. No soul will suffer the least injustice. Even the equivalent of a mustard seed will be accounted for. We are the most efficient reckoners.
৪৬। যদি তোমার প্রভুর ক্রোধের সামান্য নিঃশ্বাসও তাদের স্পর্শ করে, তারা তখন বলে উঠবে, ” দুর্ভাগ্য আমাদের! প্রকৃতই আমরা পাপী।”
৪৭। শেষ বিচারের দিনে আমি ন্যায়ের মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করবো, যেনো কোন আত্মার প্রতি সামান্য পরিমাণ অন্যায়ও করা না হয়। [ কর্ম ] যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়, তবুও আমি তা [ হিসাবের জন্য ] উপস্থিত করবো ২৭০৭। এবং হিসাব গ্রহণে আমিই যথেষ্ট ২৭০৮।
২৭০৭। শুধু আমদের জীবনই নয়, সারা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সকল কিছুর হিসাব আল্লাহ্র নখদর্পনে। অতিক্ষুদ্র জিনিষও তাঁর অজ্ঞাত নয়। মহাকালের গর্ভে কিছুই হারিয়ে যায় না।
২৭০৮। ” হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট।” এই বাক্যটির মাধ্যমে আল্লাহ্র ক্ষমতাকে প্রকাশ করা হয়েছে। আল্লাহ্র হিসাব নির্ভুল , এই হিসাব গ্রহণের জন্য তাঁর কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন হয় না। এই হিসাব গ্রহণ সম্পূর্ণ নিখুঁত ও নির্ভুল। পৃথিবীর মানুষের হিসাব নিকাশের জন্য বহু ব্যক্তি ,কাগজপত্র, সাহায্য-সহযোগিতার সাহায্য গ্রহণ প্রয়োজন। কারণ তার জ্ঞান সীমাবদ্ধ। যা সে বুঝতে পারে না, তার জন্য অন্যের সাহায্য সহযোগীতার প্রয়োজন হয়। আল্লাহ্ অসীম ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর অগোচরে বিশ্বচরাচরের কোনও ঘটনাই ঘটা সম্ভব নয়। এমন কি মানুষের অন্তরের লুক্কায়িত চিন্তা ভাবনাও আল্লাহ্র নিকট দিবালোকের ন্যায় ভাস্বর। তাঁর বিচার হচ্ছে সর্বোচ্চ ন্যায় এবং নির্ভুল এবং সম্পূর্ণ। কারণ দৃশ্য -অদৃশ্য , স্পষ্ট -অস্পষ্ট, ভিতর – বাহির , মানুষের চরিত্রের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুভূতি কর্মের উদ্দেশ্য বা নিয়ত সবই আল্লাহ্র নিকট দিবালোকের ন্যায় ভাস্বর। আল্লাহ্র অগোচর কিছুই নাই। তিনি সব কিছুরই হিসাব গ্রহণে তৎপর। এই আয়াতটিকে [ ২১ : ৪৭ ] আয়াতের [ ১৮: ১০৪ – ১০৫ ] সাথে তুলনীয়। আয়াত [ ১৮ : ১০৪ – ১০৫ ] এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, মানুষের সকল কর্মই আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় না। মোনাফেকদের সকল সৎকর্মই হয় লোক দেখানো, এবং আত্মগর্ব ও আত্ম প্রশংসার উদ্দেশ্যে। এসব কাজ আল্লাহ্র চোখে অর্থহীন, মূল্যহীন। এই আয়াতে [ ৪৭ ] বলা হয়েছে ” আল্লাহ্ হিসাব গ্রহণে যথেষ্ট।” দুইটি আয়াতের মধ্যে সামঞ্জস্য বিদ্যমান , আল্লাহ্র বিচার ন্যায়বিচার কারণ সেখানে দৃশ্য – অদৃশ্য সকল কিছুরই মূল্যায়ন ঘটে।