আপনার পালনকর্তার আযাবের কিছুমাত্রও তাদেরকে স্পর্শ করলে তারা বলতে থাকবে, হায় আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা অবশ্যই পাপী ছিলাম।
And if a breath (minor calamity) of the Torment of your Lord touches them, they will surely cry: ”Woe unto us! Indeed we have been Zâlimûn (polytheists and wrong-doers, etc.).
وَلَئِن مَّسَّتْهُمْ نَفْحَةٌ مِّنْ عَذَابِ رَبِّكَ لَيَقُولُنَّ يَا وَيْلَنَا إِنَّا كُنَّا ظَالِمِينَ
Wala-in massat-hum nafhatun min AAathabi rabbika layaqoolunna ya waylana inna kunna thalimeena
YUSUFALI: If but a breath of the Wrath of thy Lord do touch them, they will then say, “Woe to us! we did wrong indeed!”
PICKTHAL: And if a breath of thy Lord’s punishment were to touch them, they assuredly would say: Alas for us! Lo! we were wrong-doers.
SHAKIR: And if a blast of the chastisement of your Lord were to touch them, they will certainly say: O woe to us! surely we were unjust.
KHALIFA: When a sample of your Lord’s retribution afflicts them, they readily say, “We were indeed wicked.”
৪৬। যদি তোমার প্রভুর ক্রোধের সামান্য নিঃশ্বাসও তাদের স্পর্শ করে, তারা তখন বলে উঠবে, ” দুর্ভাগ্য আমাদের! প্রকৃতই আমরা পাপী।”
৪৭। শেষ বিচারের দিনে আমি ন্যায়ের মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করবো, যেনো কোন আত্মার প্রতি সামান্য পরিমাণ অন্যায়ও করা না হয়। [ কর্ম ] যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়, তবুও আমি তা [ হিসাবের জন্য ] উপস্থিত করবো ২৭০৭। এবং হিসাব গ্রহণে আমিই যথেষ্ট ২৭০৮।
২৭০৭। শুধু আমদের জীবনই নয়, সারা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সকল কিছুর হিসাব আল্লাহ্র নখদর্পনে। অতিক্ষুদ্র জিনিষও তাঁর অজ্ঞাত নয়। মহাকালের গর্ভে কিছুই হারিয়ে যায় না।
২৭০৮। ” হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট।” এই বাক্যটির মাধ্যমে আল্লাহ্র ক্ষমতাকে প্রকাশ করা হয়েছে। আল্লাহ্র হিসাব নির্ভুল , এই হিসাব গ্রহণের জন্য তাঁর কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন হয় না। এই হিসাব গ্রহণ সম্পূর্ণ নিখুঁত ও নির্ভুল। পৃথিবীর মানুষের হিসাব নিকাশের জন্য বহু ব্যক্তি ,কাগজপত্র, সাহায্য-সহযোগিতার সাহায্য গ্রহণ প্রয়োজন। কারণ তার জ্ঞান সীমাবদ্ধ। যা সে বুঝতে পারে না, তার জন্য অন্যের সাহায্য সহযোগীতার প্রয়োজন হয়। আল্লাহ্ অসীম ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর অগোচরে বিশ্বচরাচরের কোনও ঘটনাই ঘটা সম্ভব নয়। এমন কি মানুষের অন্তরের লুক্কায়িত চিন্তা ভাবনাও আল্লাহ্র নিকট দিবালোকের ন্যায় ভাস্বর। তাঁর বিচার হচ্ছে সর্বোচ্চ ন্যায় এবং নির্ভুল এবং সম্পূর্ণ। কারণ দৃশ্য -অদৃশ্য , স্পষ্ট -অস্পষ্ট, ভিতর – বাহির , মানুষের চরিত্রের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুভূতি কর্মের উদ্দেশ্য বা নিয়ত সবই আল্লাহ্র নিকট দিবালোকের ন্যায় ভাস্বর। আল্লাহ্র অগোচর কিছুই নাই। তিনি সব কিছুরই হিসাব গ্রহণে তৎপর। এই আয়াতটিকে [ ২১ : ৪৭ ] আয়াতের [ ১৮: ১০৪ – ১০৫ ] সাথে তুলনীয়। আয়াত [ ১৮ : ১০৪ – ১০৫ ] এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, মানুষের সকল কর্মই আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় না। মোনাফেকদের সকল সৎকর্মই হয় লোক দেখানো, এবং আত্মগর্ব ও আত্ম প্রশংসার উদ্দেশ্যে। এসব কাজ আল্লাহ্র চোখে অর্থহীন, মূল্যহীন। এই আয়াতে [ ৪৭ ] বলা হয়েছে ” আল্লাহ্ হিসাব গ্রহণে যথেষ্ট।” দুইটি আয়াতের মধ্যে সামঞ্জস্য বিদ্যমান , আল্লাহ্র বিচার ন্যায়বিচার কারণ সেখানে দৃশ্য – অদৃশ্য সকল কিছুরই মূল্যায়ন ঘটে।