তাদের মধ্যে যে বলে যে, তিনি ব্যতীত আমিই উপাস্য, তাকে আমি জাহান্নামের শাস্তি দেব। আমি জালেমদেরকে এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।
And if any of them should say: ”Verily, I am an ilâh (a god) besides Him (Allâh),” such a one We should recompense with Hell. Thus We recompense the Zâlimûn (polytheists and wrong-doers, etc.).
وَمَن يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّي إِلَهٌ مِّن دُونِهِ فَذَلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ كَذَلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ
Waman yaqul minhum innee ilahun min doonihi fathalika najzeehi jahannama kathalika najzee alththalimeena
YUSUFALI: If any of them should say, “I am a god besides Him”, such a one We should reward with Hell: thus do We reward those who do wrong.
PICKTHAL: And one of them who should say: Lo! I am a god beside Him, that one We should repay with hell. Thus We Repay wrong-doers.
SHAKIR: And whoever of them should say: Surely I am a god besides Him, such a one do We recompense with hell; thus do, We recompense the unjust.
KHALIFA: If any of them claims to be a god beside Him, we requite him with Hell; we thus requite the wicked.
২৯। যদি তাদের মধ্যে কেউ বলে, ” তিনি ব্যতীত আমি উপাস্য” তাকে আমি পুরষ্কার দিব্ জাহান্নাম। এ ভাবেই আমি যারা পাপ করে তাদের পুরষ্কৃত করে থাকি।
রুকু – ৩
৩০। অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী পৃথক হওয়ার পূর্বে সংযুক্ত ছিলো [ একক বস্তু হিসেবে ] ২৬৯০ ? আমি পানি থেকে সকল জীবিত প্রাণী সৃষ্টি করেছি ২৬৯১। এর পরেও কি তারা বিশ্বাস করবে না ?
২৬৯০। এই আয়াতে বির্বতনের মাধ্যমে বিশ্ব ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির ইতিহাসের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতের সাথে এই আয়াতে আল্লাহ্ পৃথিবী ও বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি সম্বন্ধে যে ইঙ্গিত করেছেন তা অভিন্ন। চৌদ্দশত বৎসর পূর্বে যখন বর্তমান বিজ্ঞান সম্বন্ধে মানুষের কোনও ধারণাই ছিলো না, তখন এই বৈজ্ঞানিক ধারণাই প্রমাণ করে এই মহাগ্রন্থ সেই বিশ্ব স্রষ্টার নিকট থেকে আগত। আধুনিক মতে সৃষ্টির আদিতে সূর্য , নক্ষত্র, আকাশ , পৃথিবী এদের কোন পৃথক সত্তা ছিলো না। মহাবিশ্ব ছিলো নিহারীকা নামক অসংখ্য গ্যাসীয় কণার সমষ্টি , যা পরবর্তীতে বহু অংশে বিভক্ত হয়ে , নক্ষত্রপুঞ্জ , সূর্য ও পৃথিবীর জন্ম দেয়।
২৬৯১। ” আমি পানি থেকে সকল জীবিত প্রাণী সৃষ্টি করেছি ” পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগ পানি দ্বারা আবৃত। পৃথিবীর প্রায় ৭২% পানি দ্বারা আবৃত। যদি পৃথিবীর স্থলভাগকে সমানভাবে সমুদ্রের তলদেশ থেকে স্থলভাগে সমান ভাবে বিস্তৃত করা হতো – কোথাও কোন উঁচু নীচু থাকতো না, তবে হিসাব করে দেখা গেছে যে, পৃথিবীতে কোনও স্থলাভাগ বিদ্যমান থাকতো না। সে সময়ে স্থলাভাগের যে গড় উচ্চতা হতো তা গড়ে ৭,০০০ – ১০,০০০ ফুট সমুদ্রের পানির নীচে থাকতো। এই উপাত্তকে তুলে ধরা হলো এজন্য যে সমস্ত পৃথিবীতে যে পানির আধিক্য বেশী তা বোঝানোর জন্য। বর্তমানে জীব বিজ্ঞান বলে যে জীবনের আবির্ভাব ঘটে পানি থেকে যা চৌদ্দশ বছর পূর্বে কোরাণের ভাষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জীব বিজ্ঞানের মতে সাগরের অভ্যন্তরে অর্থাৎ পানিতেই জীবনের মূল উপাদান প্রোটপ্লাজম থেকে জীবের প্রথম সৃষ্টি হয়। আরও দেখা যায় যে , স্থলাভাগে মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহে এমন কিছু অংগ বিদ্যমান যা জলভাগের প্রাণী মাছেও বিদ্যমান। এ উপাত্ত এ সত্যের দিকে ইঙ্গিত করে যে, জীবনের প্রথম সৃষ্টি পানিতে। এখানে লক্ষণীয় যে প্রোটোপ্লাজমের ৮০ -৮৫ ই হচ্ছে পানি দ্বারা গঠিত।