সকাল থেকে সন্তু আর জোজো নিজেদের মধ্যে কী যেন বলছে ফিসফিস করে। কাছাকাছি কাকাবাবুকে দেখলেই থেমে যাচ্ছে হঠাৎ। যেন তাদের একটা কিছু গোপন কথা আছে।
বাড়ির সামনে অনেকখানি জায়গা জুড়ে বাগান। বড় বড় সব ফলের গাছ। মাঝখানটায় মখমলের মতন সবুজ ঘাসে ভরা লন। ওখানে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য জাল টাঙানো আছে। কিন্তু ব্যাডমিন্টন খেলা শীতকালেই ভাল জমে। এখন ভরা বর্ষা, বৃষ্টি নামে যখন-তখন। বৃষ্টি না থাকলেও প্রবল হাওয়া দেয়। সন্তু আর জোজো এরই মধ্যে খেলার চেষ্টা করেছে কয়েকবার, কিন্তু খেলার বদলে হেসেই কুটি কুটি হয়েছে। পালকের কক উড়ে চলে যায় কোর্টের বাইরে, র্যাকেটে ছোঁয়াই যায় না।
একবার সন্তু সার্ভ করল জোজোর দিকে, ককটা ডান দিকে ঘুরে গিয়ে অনেকটা দূরে আটকে গেল একটা আমগাছের ডালে! গাছে উঠে সে ককটা পাড়তে গিয়ে জোজো পা পিছলে পড়ে গেল মাটিতে। যদিও তেমন কিছু লাগেনি, তবু জোজো ইচ্ছে করে খোঁড়াতে লাগল অনেকক্ষণ।
সেই লনের পাশেই একটা জামরুল গাছের নীচে একটা টেবিল ও চেয়ার পাতা। কাকাবাবু প্রায় সারাদিনই বসে থাকেন সেখানে। বই পড়েন। বই পড়তে পড়তে ঝিমুনিও আসে। তখনই হেঁকে বলেন, ওরে রঘু, এক কাপ কফি দিয়ে যা।
বৃষ্টি এসে গেলে অবশ্য উঠে আসতেই হয়। তখন এসে বসেন বারান্দায়। সেখানেও বৃষ্টির ছাট আসে। বাইরে কোথাও বেড়াতে এসে কাকাবাবু ঘরের মধ্যে বসে থাকতে চান না।
এটা সন্তুর মামার বাড়ি। জায়গাটার নাম টাকি। একসময় বেশ বড়সড় গ্রাম ছিল, এখন প্রায় শহরই হয়ে গেছে। তবে এখনও অনেক ফাঁকা ফাঁকা জায়গা আর
অনেক গাছপালা আছে। এই বাড়িটা থেকে ইছামতী নদীটাও খুব দূরে নয়।
নদী পেরিয়ে খানিকটা গেলেই বাংলাদেশের সীমানা। ওদিকে সাতক্ষীরা শহর। এত কাছে বলেই সন্তু আর জোজোর বাংলাদেশে বেড়িয়ে আসার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এমনি এমনি তো যাওয়া যায় না। পাসপোর্ট আর ভিসা লাগে। এ বাড়ির কাজের লোক রঘু অবশ্য বলেছে যে ওদিক থেকে, এদিক থেকে অনেক লোক ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই যাওয়া-আসা করে, সকালে আসে, বিকেলে চলে যায়, কিংবা দু-একদিন থেকেও যেতে পারে। রঘুই সন্তু আর জোজোকে নিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশে!
ওরা তাতে রাজি হয়নি। মনে মনে খানিকটা ইচ্ছে জাগলেও সন্তু জানে একথা শুনলেই কাকাবাবু বকুনি লাগাবেন।
একটু আগে বৃষ্টি থেমে গেছে। কাকাবাবু গিয়ে আবার বসেছেন গাছতলার নীচের চেয়ারে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে সন্তু আর জোজো গুজগুজ করতে শুরু করেছে। আবার।
সন্তুর ছোটমামা ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন, কী রে, সন্তু, তোরা কিছু ঠিক করলি?
সন্তু আমতা আমতা করে বলল, না, মানে, আমাদের তো সোমবারই ফিরে যাওয়ার কথা। কলেজ খুলে যাচ্ছে।
ছোটমামা বললেন, কলেজ খুলে যাবে তো কী হয়েছে? এখান থেকেই। কলেজে যাবি! সন্ধেবেলা ফিরে আসবি।
সন্তু খানিকটা অবিশ্বাসের সুরে বলল, এখান থেকে..মানে এত দূর থেকে কলেজে যাওয়া যায়?
ছোটমামা বললেন, কেন যাবে না? কত ছেলে যায়। কলকাতা কি খুব দূর নাকি? বাস বা ট্রেনে বড়জোর দু ঘণ্টা লাগে।
জোজো বলল, কত লোক বর্ধমান থেকে, আসানসোল থেকে কলকাতায় চাকরি করতে আসে। আমার এক পিসতুতো দাদা প্রত্যেকদিন দিল্লি থেকে কলকাতা যাওয়া-আসা করে।
এবারে অবিশ্বাসের ছাপ ফুটে উঠল ছোটমামার মুখে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কী কাজ করেন তোমার পিসতুতো দাদা?
জোজো বলল, পাইলট! থতমত খেয়ে ছোটমামা বললেন, ও, সেটা আলাদা কথা!
সন্তু বলল, কাকাবাবুকে কিছু বলা হয়নি। কাকাবাবু সোমবারই ফিরবেন ঠিক করেছেন।
ছোটমামা বললেন, আরে, তোর কাকাবাবুকে তো আর কলেজে যেতে হয়। না, কোথাও যাতায়াতও করতে হবে না। আরও কিছুদিন থেকে গেলে ক্ষতি কী? মোটে তো দশটা দিন। মাঝখানে আমার তিনদিন ছুটি। তোরা কয়েকটা দিন একটু কষ্ট করে কলেজে ক্লাস করে আসবি, তারপর সন্ধেবেলা রিহার্সাল। আমি গিয়ে রাজাদাকে বলব?
সন্তু বলল, না, না, আমি বললেই ভাল হয়।
কিছুদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে এসে থাকতে ভালই লাগে। যেমন টাটকা বাতাস, তেমনই টাটকা মাছ আর ফল আর তরিতরকারি। তা বলে কি আর খুব বেশিদিন থাকা যায়? কয়েকদিন পরই কলকাতার জন্য মন ছটফট করে। এরমধ্যেই এখানে আটদিন কেটে গেছে।
সন্তুর মামা আর মাসিদের মধ্যে আর কেউ থাকেন না এখানে। সবাই চলে গেছেন শহরে। শুধু ছোটমামা একলা পড়ে আছেন এখানে। ছোটমামা আদর্শবাদী, তিনি এখানে থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষদের জন্য অনেক কাজটাজ করেন। কেউ বিপদে-আপদে পড়লেই ছুটে আসে তার কাছে। ছোটমামার নাম চন্দ্রশেখর। সবাই বলে চাদুবাবু!
এখানকার একটা স্কুলবাড়ি গত বছর বন্যায় ড়ুবে গিয়েছিল। অনেক ক্ষতি হয়েছে, তিনখানা ঘর হেলে পড়ে গেছে। ছোটমামা স্কুলটাকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চান। সেজন্য অনেক টাকা লাগবে। ছোটমামা নিজে তো কিছু দিচ্ছেনই, আরও টাকা জোগাড় করার জন্য মাঝে মাঝে চ্যারিটি শো করছেন। একটা বিরাট গানবাজনার জলসা হবে, কলকাতা থেকে বড় বড় শিল্পীরা আসবেন।
কিন্তু ছোটমামা বলছেন, সবই শহরের শিল্পীরা এসে করবে কেন? গ্রামের মানুষও কিছু করতে পারে না ইস্কুল বাড়িটার জন্য? তাই তার ইচ্ছে, ছোটদের দিয়ে একটা থিয়েটার করাবেন। তাঁর নিজের অনেক কাজ, সন্তু আর জোজো যদি একটা নাটক বেছে নিয়ে অন্য ছেলেদের সঙ্গে নিজেরাও পার্ট করে, তা হলে বেশ ভাল হয়।
কিন্তু কলেজ কামাই করে গ্রামে বসে থিয়েটার করলে, মা-বাবারাই রেগে যাবেন। আর কাকাবাবু রাজি না হলে তো প্রশ্নই ওঠে না।
বাগানের গেটের কাছে একটা সাইকেল রিকশা এসে থামল। একজন কেউ ডেকে উঠল, চাঁদুদা, চাঁদুদা।
ছোটমামা চলে গেলেন সেদিকে।
কাকাবাবু বারান্দার দিকে পেছন ফিরে বসে আছেন। তাঁর হাত থেকে বইটা পড়ে গেল। তার মানে ঘুমিয়ে পড়েছেন। সন্তু দৌড়ে গেল মাটি থেকে বইখানা তুলে দিতে। মাটি এখনও ভেজা।
সন্তু বইটা টেবিলে রাখতেই কাকাবাবু চোখ মেলে বললেন, তোরা দুটিতে আজ সকাল থেকে কী করছিস রে? আমার সঙ্গে তো একবারও কথা বলিসনি!
সন্তু বলল, তুমি বই পড়ছিলে—
কাকাবাবু বললেন, আজ বুঝি তুই আর জোজো ঝগড়া করিসনি? জোজো কাছে এসে বলল, দেখুন না কাকাবাবু, সন্তুটা এমন ভিতু, আপনাকে একটা কথা বলা দরকার, আমাকেও বলতে দিচ্ছে না!
কাকাবাবু হেসে বললেন, সন্তু, আমাকে কিছু বলতে ভয় পায়? এ তো নতুন কথা শুনছি! তুমি তো ভিতুনও, তুমিই বলে ফেলো! আমি তোমাদের কাকাবাবু, তোমাদের জ্যাঠামশাই তো নই! ছেলেরা জ্যাঠামশাইদের ভয় পায়।
জোজো বলল, কাকাবাবু, আমরা এখানে থিয়েটার করতে পারি?
কাকাবাবু একটু অবাক হয়ে বললেন, থিয়েটার মানে? কী থিয়েটার?
জোজো বলল, এখানকার ইস্কুল বাড়িটা ভাল করার জন্য চ্যারিটি শো হচ্ছে। কলকাতা থেকে অনেক আর্টিস্ট আসবেন। ছোটমামা বলছেন, গ্রামের ছেলেদের নিয়ে আমরাও একটা নাটক করি।
কাকাবাবু বললেন, থিয়েটার করতে গেলে রিহার্সাল দিতে হয়, পার্ট মুখস্থ করতে হয়। অনেক সময় লাগে। হুট করে কি থিয়েটার করা যায়?
জোজো বলল, এখনও দশদিন সময় আছে।
কাকাবাবু বললেন, দশদিন? আমাদের যে সোমবারই ফিরে যাওয়ার কথা। এবারে সন্তু বলল, সেইজন্যই তো ভাবছি…আমাদের কলেজ খুলে যাবে।
জোজো বলল, এখান থেকেও কলেজে ক্লাস করা যায়। সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসব! যেতে দু ঘণ্টা, আসতে দুঘণ্টা, তারপর সন্ধে থেকে টানা রিহার্সাল!
কাকাবাবু চোখ বড় বড় করে বললেন, যেতে দুঘণ্টা, আসতে দুঘণ্টা? তার মানে, আরও বেশি সময়ও লাগতে পারে। কখন বাস বন্ধ হয়, ট্রেন বন্ধ হয়, তার কি কোনও ঠিক আছে?
তারপর গম্ভীরভাবে বললেন, না, হবে না, অসম্ভব!
সন্তু আর জোজো পরস্পরের চোখের দিকে তাকাল। সন্তুর মুখের ভাবখানা এমন, যেন জোজোকে সে বোঝাচ্ছে, তোকে আগেই বলেছিলুম না যে কাকাবাবু রাজি হবেন না!
কাকাবাবু আবার মুখ তুলে বললেন, অত ধকল আর সময় নষ্ট করে কলেজে যাওয়ার বদলে আট-দশদিন কলেজে না গেলেও এমন কিছু ক্ষতি হয় না। তার চেয়ে থিয়েটার করা অনেক বেশি উপকারী!
সন্তু আর জোজো দুজনেই হকচকিয়ে গেল। কাকাবাবু কলেজে যেতে বারণ করছেন?
কাকাবাবু জিজ্ঞেস করলেন, কী নাটক হবে?
জোজো বলল, আপনি পারমিশান দিচ্ছেন? নাটক এখনও ঠিক হয়নি। এখানকার লাইব্রেরি থেকে কয়েকটা বই আনিয়েছি।
কাকাবাবু বললেন, নাটক বাছাই করতে দেরি করলেই তর্কাতর্কি হবে। এ বলবে ওটা, সে বলবে সেটা! বড়রাও থাকবে, না ছোটরা?
জোজো বলল, আমরা বড়দের নেব না!
কাকাবাবু বললেন, যাঃ, তা হলে তো আমার পার্ট পাওয়ার আশা রইল না। তোদের নাটকে একটা খোঁড়া লোকের যদি পার্ট থাকত?
জোজো বলল, সত্যি আপনি করবেন?
কাকাবাবু বললেন, ভেবেছ বুঝি পারি না? ছেলেবেলায় আমি অনেক শখের থিয়েটার করেছি, তখন তো খোঁড়া ছিলাম না! যাকগে, এখানকার ছোটরা করছে, সেটাই ভাল। নিজেদের স্কুলের জন্য একটা কিছু সাহায্য করা হবে। তোমরা তাদের সঙ্গে যোগ দেবে, তোমরাও তো কলকাতার আর্টিস্ট হয়ে গেলে!
সন্তু বলল, ছোটমামা যে বললেন!
কাকাবাবু বললেন, ঠিক আছে। ইস্কুলের জন্য যে-কেউ সাহায্য করতে পারে। নাটকের পরিচালক কে? সেটা ঠিক করা খুব জরুরি।
জোজো বলল, আমি আর সন্তু দুজনে মিলে ম্যানেজ করব!
কাকাবাবু বললেন, দুজন পরিচালক? সর্বনাশ! পদে পদে ঝগড়া হবে। তোমাদের এমনিতেই ঝগড়া হয়—
জোজো বলল, সন্তুকেও লাগবে না। আমি একলাই পারব।
কাকাবাবু বললেন, তোমার যোগ্যতা কী? তুমি আগে কখনও পরিচালনা করেছ?
জোজো বলল, আমার বাবা শম্ভু মিত্র আর উৎপল দত্তকে আবৃত্তি শিখিয়েছিলেন!
কাকাবাবু হেসে ফেলে বললেন, তোমার বাবা অত বড় বড় অভিনেতাদের আবৃত্তি শিখিয়েছিলেন, সেটা তোমার বাবার যোগ্যতা হতে পারে, তোমার হবে কী করে?
জোজো বলল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আমাদের বাড়িতে প্রায়ই আসেন, আমার সঙ্গে ভাব আছে।
কাকাবাবু বললেন, সে তুমি যাই-ই বলো জোজো, তুমি পরিচালক হলে সবাই কি তোমাকে মানবে? পরিচালকের কথার ওপর কথা চলে না। সেইজন্যই ভাবছি পরিচালনার দায়িত্বটা আমারই নেওয়া উচিত। আমার কথা সবাই শুনবে!
সন্তু বলল, তা হলে তো খুব ভাল হয়!
জোজো বলল, কিন্তু কাকাবাবু, আপনার যোগ্যতা কী? আপনি কি কখনও পরিচালনা করেছেন?
কাকাবাবু বললেন, না, নাটক পরিচালনা করিনি বটে, তবে অভিনয় তো করেছি অনেকবার। অভিনয় করতে করতেও অনেকে পরিচালক হয়।
জোজো বলল, ঠিক আছে, আপনাকে পরিচালনার ভারটা ছেড়ে দিচ্ছি, কিন্তু আমাকে বড় পার্ট দিতে হবে!
কাকাবাবু বললেন, এই তো, কে কোন পার্ট করবে, তা নিয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়ে যায়। সবাই বড় পার্ট চায়। আগে তো নাটক ঠিক হোক! আমি সাজেস্ট করছি, তোমরা লক্ষ্মণের শক্তিশেল নাটকটা করো।
জোজো বলল, রামায়ণ?
সন্তু বলল, না, না, সুকুমার রায়ের লেখা!
জোজো সেটা পড়েনি। সন্তু পড়েছে, অনেক আগে।
কাকাবাবু বললেন, এ নাটকটা দারুণ মজার। একটু ভুলভাল করলেও জমে যায়। আর একটা সুবিধে হল, আমি নিজে এ নাটকে কয়েকবার অভিনয় করেছি। তো। অনেক সংলাপ এখনও মুখস্থ আছে। আমাদের পরিচালক যেমন শিখিয়েছিলেন, তোমাদেরও তেমনই শেখাব।
সন্তু বলল, কাকাবাবু, এ নাটকে যে অনেক গান আছে?
কাকাবাবু বললেন, তোরাই গেয়ে দিবি! শক্ত কিছু নয়।
সন্তু বলল, গানের সুর কী করে জানব?
কাকাবাবু বললেন, আমি গাইতে পারি না। কিন্তু সুর সব জানি। তোদের মোটামুটি শিখিয়ে দেব। এ এমনই নাটক, ভুল সুরে গান গাইলেও ঠিক খাপ খেয়ে যাবে।
তারপর উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, আমি করেছিলাম রাবণের পার্ট, বড়সড় চেহারা তো আমার। গদা ঘুরিয়ে সুগ্রীবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে গান গেয়েছি। শুনবি?
মাথার ওপর হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তিনি গাইতে লাগলেন হেঁড়ে গলায়!
ওরে পাষণ্ড, তোর ও মুণ্ড খণ্ড খণ্ড করিব।
যত অস্থি-হাড়, হবে চুরমার, এমনই আছাড় মারিব।
ব্যাটা গুলিশোর, বুদ্ধি নেই তোর, নেহাত তুই চ্যাংড়া
আয় তবে আয় যষ্টির ঘায় করিব তোরে ল্যাংড়া…