মায়ের বচন শুনি নাগগণে ভয়।
শীঘ্রগতি গেল যথা উচ্চৈঃশ্রবা হয়।।
তুরঙ্গের পুচ্ছ ছিল ধবল বরণ।
ঢাকিল তাহার বর্ণ যত নাগগণ।।
নিঃশ্বাসেতে কৃষ্ণাঙ্গ হইল উচ্চৈঃশ্রবা।
লুকাইল পূর্ব্বের ধবল-ইন্দুআভা।।
হেথায় বিনতা কদ্রু উঠিয়া প্রভাতে।
ক্রোধযুক্ত গেল দোঁহে তুরঙ্গ দেখিতে।।
পথে যেতে সমুদ্র দেখিল দুইজনে।
পর্ব্বত আকার তাহে জলচরগণে।।
শতেক যোজন কেহ বিংশতি যোজন।
কুম্ভীর-কচ্ছপ-মৎস্য আদি জন্তুগণ।।
হেনমতে কৌতুক দেখিয়া দুইজন।
উচ্চৈঃশ্রবা অশ্ব যথা করিল গমন।।
নিকটেতে গিয়া দোঁহে করে নিরীক্ষণ।
কৃষ্ণবর্ণ দেখে ঘোড়া, অতি সুলক্ষণ।।
দেখিয়া বিনতা হৈল বিষণ্ণ-বদন।
অঙ্গীকার কৈল সপত্নীর দাসীগণ।।