প্রভাতে উঠিয়া রাজা, লইয়া সকল প্রজা,
মন্ত্রণা করেন এই সার।
বচন নাহিক কবে, অথচ বিচার হবে,
ইথে ভার ইষ্টদেবতার।।
এত বলি অনুচরে, আজ্ঞা দেন নরবরে,
আন দুই দিব্য সিংহাসন।
এক স্বর্ণে বিনির্ম্মিত, এক রৌপ্য বিরচিত,
দই পার্শ্বে দুয়ের স্থাপন।।
আসনের নানা সাজ, সাজাইয়া মহারাজ,
আপনি বসিল মধ্যস্থলে।
কমলা শনির সাথে, আসিল বৈকুণ্ঠ হতে,
বসিলেন আসন বিমলে।।
সম্মূখে দাঁড়ায়ে রাজা, বিধিমতে করি পূজা,
প্রকাশিয়া মহতী ভকতি।
কৃতাঞ্জলি প্রণিপাতে, দাঁড়াইল যোড়হাতে,
বহুবিধ করিলেন স্তুতি।।
হইয়া আহ্লাদ যুতা, বসিল জলধিসুতা,
স্বর্ণছত্র সিংহাসনোপরে।
বামে শনি মহাশয়, আসন রজতময়,
রবি শশী যেন তমো হরে।।
বসিলেন তিন জনে, নানা কথা আলাপনে,
রাজার পীযূষ বাক্য শুনি।
সংসার সাগরে সেতু, জীব তরাবার হেতুম
রচিলেন ব্যাস মহামুনি।।
কাশীরাম দাসে কয়, তরিবারে ভবভয়,
নাহি হবে জঠর যন্ত্রণা।
কৃষ্ণ নাম কর সার, জনম না হবে আর,
এই মম বচন রচনা।।