যুধিষ্ঠির মহারাজ সেবেন ভাস্কর।
ব্রতী হয়ে নানাপুষ্পে পূজেন বিস্তর।।
অষ্টোত্তর শতনাম জপেন ভূপতি।
দণ্ডবৎ প্রণমিয়া করে নানা স্তুতি।।
তুমি প্রভু লোকপাল লোকের পালন।
চতুর্দ্দিকে দীপ্ত দীপ তোমার কিরণ।।
অমর কিন্নর নর রাক্ষস মানুষে।
সর্ব্বস্দ্ধি হয় দেব তব কৃপাবশে।।
ইত্যাদি অনেক স্তব করেন রাজন।
আসিলেন তথা মূর্ত্তিমান বিকর্ত্তন।।
বলিলেন, চিন্তা ত্যাজ ধর্ম্মের নন্দন।
সিদ্ধ হবে নরপতি যে তোমার মন।।
এয়োদশ বৎসর যাবৎ রাজ্য হীনে।
যত অন্ন চাহ পাবে মোর বরদানে।।
ফল মূল শাক আদি যে কিছু আনিবে।
অল্পমাত্র রন্ধনেতে অব্যয় হইবে।।
দ্রুপদনন্দিনী কৃষ্ণা লক্ষ্মী অবতরি।
রন্ধন পাত্র ভাণ্ড সদা থাকিবে ভরি।।
কিন্তু এক বাক্য কহি শুন সর্ব্বজনে।
সকলে সন্তোষ হবে তাহার রন্ধনে।।
তাহার পাকের দ্রব্য অব্যয় হইবে।
যত চাহ তত পাবে কিছু না টুটিবে।।
তাহার প্রমাণ কহি শুন সাবধানে।
আনন্দে সকল লোক থাকিবে কাননে।।
যাবৎ দ্রৌপদী দেবী না করে ভক্ষণ।
শূন্য না হৈবে রন্ধন পাত্র ততক্ষণ।।
নিয়মের কথা এই কহিনু তোমারে।
সকল সম্পূর্ণ দ্রব্য হবে মোর বরে।।
এত বলি অন্তর্হিত হন দিনকর।
হৃষ্ট হয়ে সবারে বলেন নৃপবর।।
এমতে পাইল বর সূর্য্যের সেবনে।
বনে যান ধর্ম্মরাজ সঙ্গে দ্বিজগণে।।
কাম্যক বনেতে প্রবেশিলেন ভূপতি।
ভ্রাতৃ পুরোহিত পুর লোকের সংহতি।।
ভারত পর্ব্বের কথা পাপের বিনাশ।
বনপর্ব্বে যত্নেতে রহিল কাশীদাস।।