পরাশর পিতা যাঁর, শুকদেব সুত।
বেদের বিভাগ-কর্ত্তা বলি যিনি খ্যাত।।
বদরিকাশ্রমে যাঁর নিয়ত বসতি।
কৃষ্ণবর্ণে বিভূষিত যাঁহার মূরতি।।
দ্বীপের উপরি হৈল জনম যাঁহার।
সে ব্যাস-দেবের পদে প্রণাম আমার।।
বশিষ্ঠ-প্রপৌত্র, শক্তি-পৌত্র যাঁরে গণি।
পরাপর-পুত্র, শুক-পিতা হন যিনি।।
কিছুমাত্র কোন পাপ না আছে যাঁহার।
সে ব্যাস-দেবের পদে প্রণাম আমার।।
চারি মুখ নাহি যাঁর, তবু ভূমণ্ডলে।
যাঁহারে স্বয়ং ব্রহ্মা সকলেই বলে।।
চারি বাহু নাহি যাঁর, তবু ত্রিভুবনে।
যাঁহারে স্বয়ং বিষ্ণু বলি সবে গণে।।
যাঁর ভালে চন্দ্র নাই, তবু এই ভবে।
যাঁরে মহেশ্বর বলি সকলেই ভাবে।।
যিনি এক, কিন্তু যাঁহে তিনের মিলন।
ধন্য ধন্য সেই ব্যাস-দেব তপোধন।।
বন্দি মহামুনি ব্যাস, মুনির তিলক।
সুত শুক পরাশর যাঁহার জনক।।
বেদশাস্ত্র-পরনিষ্ঠ শুদ্ধবুদ্ধি ধীর।
নীলপদ্ম-আভা যিনি কোমল শরীর।
কনক-পিঙ্গল জটাভাব যাঁর শিরে।
প্রকাণ্ড শরীর পরিধান ব্যাঘ্র-চীরে।।
নয়ন-কমল দীপ্ত যুগল মিহির।
পদযুগে নত সুর-মুনি ইন্দ্রশির।।
ভাগবত ভারতাদি যতেক পুরাণ।
যাঁহার কমল মুখে সবার নির্ম্মাণ।।
লীলায় বিবিধ বেদ কৈল চারিখান।
ঋক্ সাম যদুঃ আর অথর্ব্ব বিধান।।
কৈবর্ত্তী জননী যাঁর দ্বীপমধ্যে জন্ম।
বাল্যকাল হৈতে যাঁর অচরণ ব্রহ্ম।।
নমস্কার করি তাঁর চরণ-পঙ্কজে।
পরম আনন্দে কাশীরাম দাস ভজে।।