হে নির্বোধ, কেন তুমি পান ক’রে ভীষণ গরল
নীলকণ্ঠ থেকে অবিরল
আগুন ঝরিয়ে ছিলে প্রহরে প্রহরে
গ্রামে ও শহরে
ময়লা গলির মোড়ে, পৌরপথে, লঞ্চ টার্মিনালে,
হাটে মাঠে? কেন আগুনের উন্দ্রজালে
আনতে নিজের কাছে টেনে
রাস্তা-উপ্চানো ভিড়? দূর-থেকে-আসা বেনে
বউ পাখিটাও তার উড়াল থামিয়ে
উঠতো গাছের ডালে মেতে সেই আগুনের ফুলঝুরি নিয়ে।
ইদানীং নির্জনতা করেছো চয়ন, চুপিসাড়ে
হেঁটে যাও বনের কিনারে,
নদীতীরে একা-একা আর
বারবার
কিছু চন্দ্রমল্লিকা করবী কিংবা জুঁই
ফোটাও শুধুই
ডিমের খোলের মতো মনোনীত নিজস্ব জগতে;
তোমাকে যায় না দেখা এখন সহজে পৌরপথে।
তোমার ভেতরে হোমশিখা
জ্বলুক অথবা না-ই জ্বলুক, তবুও অগ্নিটিকা
নিয়ত কপালে জ্বেলে হাটে
বিপুল ঝরাতে হবে আগুনের ফুল, নইলে মাঠে
পন্ড হবে মস্ত জনসভা,
শত শত ইট পাটকেল ফোটাবে তোমার বুকে রক্তজবা;
কেউ কেউ মাথা নত ক’রে ফিরে যাবে
ঘরে আর দক্ষযজ্ঞে তুমি সংজ্ঞাহীন নোংরা ধুলায় গড়াবে।।