মানুষ কিছুই শিখলো না আর, কিছুই শিখলো না
এইসব বয়স্ক বালক-
শুধু আদিবিদ্যা তীর ছোঁড়া ছাড়া তার কিচুই হলো না শেখা,
কেবল শিকার আর রক্তপাত ব্যতীত বিশেষ কোনো পাঠ
করলো না শেষ বুঝি এই নির্বোধ মানুষ;
মনে হয় হিংসা তার আদিগ্রন্থ, শেষ বই
এই রক্তপাত
তাই কি এখনো তার চোখেমুখে লেখা সেই আদিম অক্ষর?
সে কোনো নিলো না শিক্ষা আলোকিত দিবসের কাছে
উজ্জ্বল সূর্যের কাছে, দ্যুতিময় নক্ষত্রের কাছে-
তার যা কিছু সামান্য বিদ্যা অন্ধকার রাত্রি আর
বধ্যভূমি, পিশাচের কাছ থেকে শেখা।
কখনো বসলো না সে হাঁটু গেড়ে স্নিগ্ধ নদী, নীলাকাশ
শ্যামল বৃক্ষের পাদদেশে-
শিশুর পবিত্র মুখ থেকে নিলো না সে অনন্ত সুঘ্রাণ,
সে কেবল বারবার তুলে নিলো শিকারীর তীর, তরবারি
আজো সে তেমনি কুরুক্ষেত্রে দুষ্ট দুঃশাসন।
পাঁচ সহস্র বছর আগে যেখানে সে ছিলো
এখনো তেমনি সেখানেই হামাগুঁড়ি দেয়, চার পায়ে হাঁটে,
এর বেশি কিছুই হলো না তার শেখা
একচুলও এগুলো না তার এই লনড় জাহাজ।
ঘুরে ফিরে সেখানেই ফিরে এলো অর্বাচীন অথর্ব মানুষ
নিজেকে ধ্বংস করা ছাড়া সম্ভবত কিছুই হলো না জানা তার-
আর অপরের হৃদয় রক্তাক্ত করা ছাড়া কিছুই শিখলো না
এই মানুষ নামের দ্বিপদ প্রাণীরা।