একটা কেমন সুনীল পাত্র উড়ছে শুধু উড়ছে।
দূরের মেঘে বাস চলে যায়,
অস্তরাগে যাত্রী মেশে।
মেঘে মেঘে কিংবদন্তি, ঢেউয়ের মাথায়
বোতলবন্দি গল্প কিছু বেড়ায় নেচে,
রাজার মতো পা ঝুলিয়ে বসব আমি শূন্যে।
হাত রেখো না আমার বুকে, ক্ষত আবার জ্বলবে।
ঘোর অবেলায় দেখা হলো,
হৃদয় জুড়ে ঝরা পাতা।
চোখে চোখে নিমেষ ফুরোয়, হঠাৎ শুনি
কণ্ঠে ছেড়ে ঝরনাধারা বললে তুমি-
এই যে শোনো, ভালো লাগে তোমার কিছু পদ্য।
মুখচোরা তুই পদ্য আমার যারে উড়ে শীঘ্র,
তার বাগানে যারে উড়ে,
আস্তেসুস্থে করগে ভ্রমণ
তার সে ভীরু চোখের পাতায়, স্তনের ছায়ায়,
অনিদ্র হে পদ্য আমার আয় না তাকে
ঘুম পাড়িয়ে চুমো খাগে তার ঘুমন্ত ওষ্ঠে।
আবার কেন তৃষ্ণা আমার গ্রাস করেছে সদ্য।
জলের কাছে গেলে ত্বরিত
জল স’রে যার অনেক দূরে
তীরের দিকে হাত বাড়ালে তীর থাকে না,
তাকে দেয়া চুমু আমার শূন্যে মিলায়,
আমি ঊষর হাহাকারে একলা থাকি বন্দি।